গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৫)

0
2319
গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৫) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! সকালে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়ে রুমে আসলাম দেখি মীম এখনো ঘুমিয়ে আছে। সকাল ৭টা বেজে গেছে মীম এই মীম উঠনা কখন রেডি হবে? কখন যাবে উকিলের কাছে? মীম: আর একটু ঘুমাতে দাওনা? আমি: না এখন ওঠো বলছি। বলে হাত দিয়ে ধাক্কা দিতেছি, ঠিক তখনি মীম আমার হাতটা জড়িয়ে ধরলো। এমন ভাবে ধরছে হাত ছারাতে পারছিনা। আমি আর ছারাবার ব্যার্থ চেষ্টা করলামনা। আমি ওর সুন্দর্য্য দেখছি, মীমকে যত দেখি তত ভালো লাগে। তখনি মহারানি সজাগ হয়ে বলে,,
মীম: কি ব্যপার তুমি এখানে কি করছো? আর তোমার হাত এখানে কেন? আমি: তুমি নিজে আমার হাত ধরে রাখছো। এবার যদি ছারো তাহলে আমি ফ্রেশ হতে যাবো। বেলা ৮টা বেজে গেছে কখন যাবে উকিলের কাছে? মীম: আমি কখন তোমার হাত ধরলাম? আমি তো এখানে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি: তোমাকে যখন ডাকতে আসছি, ঠিক তখনি তুমি আমার হাতটা জড়িয়ে ধরছো। এখন উঠো দেরি হয়ে গেছে। মীম: কেন কোথাও যাবে নাকি? আমি: উকিলের কাছে ডির্ভোসের এপ্লিকেশন করার জন্য কেনো তোমার মনে নেই? মীম: হ্যা মনে পড়ছে চলো তারাতারি রেডি হয়ে যাই। আমি: তুমি না রাতে বলছো যাবেনা? আর এখন তারাতারি করছো কেনো? মীম: তোমার সাথে যত তারা তারি ডির্ভোস হবে। তত তারা তারি আমি রাসেলকে কাছে পাবো। আমি: আর শ্যালোকে আমি পাবো। চলো তারা তারি যেতে হবে, আর আমি উকিলকে কল করে সব বলে রাখছি। ফ্রেশহয়ে নিছে নামলাম আমরা দুজনে নাস্তা করছি এক সাথে সবাই বসে। তখনি শ্বাশুরি: সৌরভ বাবা আজ একটু তারা তারি এসো বাসায়। রাতে আমরা সবাই একটা দাওয়াত যাবো। মীম: আম্মু কোথায় দাওয়াত আছে? শ্বাশুরি: তোর ডাক্তার আঙ্কেলের বাসায়। ওনাদের বিবাহ বার্ষিকী আজ পার্ঠি দিছে আমাদের সবাইকে যেতে বলছে। আমি: আচ্ছা আন্টি তারা তারি আসবো। এখন আমি বের হবো। মীম: আম্মু আমি কলেজ যাই। শ্বাশুরি: ঠিক আছে যা সাবদানে যাস। আমরা বেরিয়ে আসলাম বাইকে উঠেছি তখনি মীম আমার বাইকে এসে বসলো। আমি: তুমি গাড়িতে করে আসো। মীম: না আমি তোমার সাথে যাবো তানা হলে আমি যাবোনা। আমি: ঠিক আছে চলো নাও এইটা পড়ো। মীম হাসছে আমার অবশ্য ভালোই লাগে মীমকে বাইকে নিতে ৫০মিনিট পড়ে উকিলের কাছে পৌছালাম। উকিল: আপনারা আলাদা হতে চান কেন? মীম: এমনিতেই। উকিল: এমনি এমনি এপ্লিকেশন করা যাবেনা কোনো কারন দেখাতে হবে। আমি: দেখিয়ে দেন আপনি যা যা লাগে তা দিয়ে। উকিল: তাহলে লেখি মেয়ের অন্য কারো সাথে পরকিয়া আছে? আমি: না লেখেন ছেলে রাতে ড্রিন্ক্স করে বাড়ি আসে। অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক আছে। আর যা যা আছে সব আমার নামে সাথে যোগ করেন? মীম: এই তুমি তো ড্রিংক্স করোনা? আমি: তুমি চুপ থাকো। উকিল: আমার মনে হয় আপনারা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসেন। কিন্ত আলাদা হচ্ছেন কেন তা আমি বুজতে পারছিনা। মীম: আমি ওকে ভালোবাসিনা। আর ও আমাকে ভালোবাসেনা। আমরা দুজনেই অন্য কাওকে লাভ করি। আমি: আচ্ছা কতদিন সময় লাগবে আমাদের ডির্ভোস হতে? উকিল: তা ঠিক বলতে পারছিনা। তবে মিনিমাম ৪ থেকে ৫ মাস সময় তো লাগবেই। আমি: ঠিক আছে তাহলে আসি আমারা। এই বলে বেরিয়ে আসলাম, মীম তুমি কলেজে চলে যাও আমি অফিসে যাই। মীম: তুমি আমাকে কলেজে দিয়ে যাও। আমি: দেরিহয়ে যাবে। মীম: হলে হোক তাতে আমার কি? আমি: ঠিক আছে চলো। তারপর মীমকে কলেজে নামিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি অফিসে আসলাম, তারপর হাতের কাজ করেতেছি। অফিস থেকে আজ একটু আগে বেরিয়ে গেলাম বাসার উদ্দেশ। বাসায় আসলাম সন্ধা ৭টায় দেখি আন্টি রেডি হয়ে আছে। আর আঙ্কেল চলে আসবে এখনি। আমি রুমে গিয়ে দেখি মীম কাপর পড়ছে তখনি,,, মীম: এই তুমি রুমে কি করছো? আমি: সরি বুঝতে পারিনাই তুমি কাপর চেন্জ করছো। মীম: তুমি রুমে ঢুকার সময় কন্ক করে ঢুকলেনা কেন? আমি: কিভাবে বুজবো তুমি রুমে কাপর চেন্জ করবে আমি তো জানি বাথরুমের ভীতর কাপর চেন্জ করো। মীম: হয়ছে এখন আমাকে একটু হেল্প করো। আমি: কি আমি কিবাবে হেল্প করবো। মীম: শাড়িটার কচিটা একটু ধরো? আমি: পারবোনা? মীম: প্লিজ ধরো। যাও একটা জিনিস দেবো তোমাকে যদি শাড়ির কচিটা ধরে দাও। আমি: কি জিনিস আগে বলো? মীম: তুমি আগে কাজ করো তারপর নিও। আমি: দাও ( কচি ঠিক করে দিতেছি কচি করতে করতে একেবারে শেষ পর্যন্ত চলে আসলাম ) এখন কি করবো? মীম: দাও তখনি এই কি দেখছো? আমি: কয় কিছুনা? মীম: এইটা সব ছেলেদের বদ অব্বাশ। আর চোখে মেয়েদের দেখবেই। আমি: আরে আমি কিছু দেখিনি। আর তুমি তো নিজে দেখাচ্ছো। আর এখন ছেলেদের দোষ দিতেছো? মীম: হয়ছে এখন আমার পেছনে জামার হুকটা লাগিয়ে দাও? আমি: কি হয়ছে আমি কি তোমার বয়ফ্রেন্ড নাকি? এইসব কাজ রাসেলকে দিয়ে করাবে।
মীম: করাবো যখন রাসেল কাছে থাকবে এখন তুমি কাছে আছো তুমি করো। আমি হুকটা লাগিয়ে দিলাম তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বের হলাম। এরপর আমরা পার্ঠিতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। আমি ড্রাইব করছি মীম আমার পাশে বসেছে। আর আন্টি ও আঙ্কেল পিছনে বসে আছে। মীম আমার দিকে একটু পড় পড় দেখছে আর আমিও মাঝে মাঝে দেখছি।পার্ঠিতে এসেগেছি আন্টি আঙ্কেল চলে গেছে। আমি আর মীম এক সাথে ঢুকলাম। আর তখনি দেখি রাসেল আসছে পার্ঠিতে। তারপর শ্বশুড় মানে মীমের আব্বু, আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো, আমি মীমের স্বামী। আর ঐদিকে মীম রাসেলের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আর আমি একা একা বসে আছি চেয়ারে। এমন সময় একটা মেয়ে এসে বলে মেয়ে:- কেমন আছেন? আমি: ভালো কিন্ত আপনাকে তো চিনতে পারলামনা। মেয়ে: আমি কেয়া আপনাকে আমি চিনি আপনি মীমের হাজবেন্ট। আমি: হ্যা। কেয়া: যদি আমার সাথে আগে দেখা হতো তাহলে আমি আপনাকে বিয়ে করতাম বলে হাসি। আচ্ছা মীম কোথায়? আমি: ঐ তো ওর ফ্রেন্ডেরর সাথে কথা বলছে। তখনি মীম আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আর আমি ইচ্ছে করে কেয়ার সাথে হেসে হেসে কথা বলছি। কেয়া আমার সাথে অনেক ভাব নিয়া কথা বলছে। তখনি মীম আমার দিকে আসছে এসে মীম আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে বলে। মীম: কেয়া এইটা আমার হাজবেন্ট কিন্ত? কেয়া: জানি তবে মীম যদি তোমার সাথে কখনো ছারা ছারি হয় তাহলে আমি ওকে বিয়ে করবো। মীম: মাথা ঠিক আছে তো তোমার কেয়া? এই বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়া যাচ্ছে মীম। আর রাসেল সহ সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমার ভালোই লাগছে মীমের কান্ডো দেখে। আমি: এই মীম তুমি আমায় কোথায় নিয়া যাচ্ছো? কি হলো কথা বলছো না কেন? কেমন লাগে সবাই দেখছে তো? আমার কোন কথা না শুনে উপরে একটা রুমে নিয়া আসলো। এখানে আনলে কেন? মীম: আদর করতে। (এই বলে আমার মাথার সব চুল এলোমেলো করে দিলো) আমি: কি করছো চুল গুলোকে এমন করছো কেন? মীম: তুমি বাসা থেকে বেরহলে এইভাবে বের হবে? জেনো কোন মেয়ে তোমাকে পছন্দ না করে। আমি: মেয়েরা পছন্দ করলে আমার কি দোষ? আর তাতে তোমার কি? আজ বাদে কাল আমাদের ডির্ভোস হয়ে যাবে। তখন তুমি রাসেলের সাথে থাকবে আর আমি শ্যালোর সাথে। মীম: জানি তবে এই কয়টা দিন আমাদের অভিনয়টা ভালো করে করতে হবে। আর আব্বু দেখছিলো তুমি কেয়ার সাথে হেসে হেসে কথা বলছো। আর কেয়া হেসে হেসে কথা বলছে তাই এমন করলাম। আমি: তুমি যখন রাসেলের সাথে কথা বলছিলে তখন তোমার আম্মু দেখছে। মীম: কি সত্যি দেখছে? আমি: সত্যি দেখছে তোমাকে? মীম: সারছে আম্মু আজ আমার আস্থা রাখবেনা। আমি: আন্টির সাথে আমি কথা বলবো। এখন চলো যাই অনেক্ষন হয়ছে আসছি আমরা। তারপর দুজনে নিছে আসলাম। মীম: তুমি এখানে দাঁড়াও আমি আসছি। আমি: আরে কোথায় যাচ্ছো? কে শুনে আমার কথা চলে গেলো একটু পর আসছে। মীম: চলো। আমি: কোথায় গেছিলে? মীম: রাসেলের কাছে ওকে বলে আসছি আমি যদি তোমার হাত ধরে হাটি। এতে যেনো কোন কিছু মনে না করে। কারন আম্মু আব্বু আছে তাই। আমি: ও চলো তাহলে? মীম: চলো তারপর থেকে মীম আমার হাত একবারের জন্য ছারেনা। সব সময় আমার পাশে পাশে হাটছে। (যাক পার্ঠি শেষ পর্যায়ে পার্ঠি থেকে বেরিয়ে বাসায় আসলাম রাত২টা বাজে। সোজা রুমে চলে আসলাম আমি আর মীম। আর আন্টি আঙ্কেল ওদের রুমে চলে গেছে।) মীম: আমাকে কাল ডাকবেনা কিন্ত কাল আমার কলেজ অফ। আমি: তোমাকে ডাকতে আমার বয়ে গেছে? মীম: ভালো গুড নাইট। আমি: কবে যে ডির্ভোস হবে আল্লাহ জানে। আর ফ্লোরে ঘুমাতে ভালো লাগেনা। মীম: বক বক না করে ঘুমাও। আমি: ঘুমাচ্ছি এই বলে শুয়ে পরলাম। কখন ঘুমায়ে গেছি ঠিক মনে নাই। ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙলো মসজিদে নামায পড়তে গেলাম। নামায পড়ে রাস্তায় একটু হাটলাম, সকালের ঢাকা একদম নিরব থাকে পরিবেশটা ভালো লাগে। তারপর বাসায় আসলাম ৭টা বাজে। রুমে এসে দেখি মীম এখনো ঘুমিয়ে আছে। ফ্রেশহয়ে হাল্কা নাস্তা করে আমি অফিসের জন্য রওনা দিলাম। অফিসে আসলাম একটু বসে কাজ করতে লাগলাম তখনি মোবাইল বেজে উঠলো। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি শ্যালোর নাম্বার রিসিব করতে,, শ্যালো: সৌরভ আমি বাসায় আসছি বিকালে দেখা করতে পারবে? জুরুরি কথা আছে। আমি: ঠিক আছে (এই বলতে কল কেটে দিলো) কি কথা বলবে আল্লাহ জানে। টেনশন হচ্ছে যাক কাজে মন দিলাম। দেখতে দেখতে ৬টা বাজে অফিস থেকে বেরহয়ে শ্যালোকে কল করে বললাম। তারপর হাতির্ঝিলে সারে ৬টার দিকে পৌছালাম। দেখি শ্যালো দাঁড়িয়ে আছে। শ্যালো: কেমন আছো সৌরভ? আমি: ভালো তুমি কেমন আছো? শ্যালো: ভালো বাসায় থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিতেছে এখন কি করবো? আমি: ডির্ভোসের জন্য এপ্লিকেশন করেছি ৪ মাসের মধ্যে মীম আর আমার ডির্ভোস হয়ে যাবে। শ্যালো: সত্যি বলছো ? আমি: হ্যা এমন সময় মোবাইল কল আসছে। দেখি মীমের নাম্বার রিসিব করলাম। মীম: সৌরভ তুমি যেখানে থাকোনা কেন তারাতারি গুল্ডেন নাইট ক্লাবে চলে আসো এখানে অনেক সমস্যা হচ্ছে, এই বলে কল কেটে দিলো। আমি: শ্যালো তুমি গাড়ি আনছো? শ্যালো: হ্যা কিন্তু কেন? আমি: তাহলে তুমি বাসায় যাও পরে সবকিছু বলবো? এই বলে গুল্ডেন নাইট ক্লাবে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ৩০মিনিটের মধ্যে পৌছালাম ভীতরে ঢুকে দেখি মীম কে কতোগুলো ছেলে ডিসট্রাব করছে। কাছে গেলাম দেখি রাসেলকে দুইটা ছেলে ধরে রাখছে। আর মীমের উরনাটা অন্য একটা ছেলের হাতে। তা দেখে মাথায় রক্ত চেপে উঠলো। তখনি মীম আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরছে আর কান্না করছে। আমি: কান্না করছো কেনো আমি তো আসছি। মীম: তুমি এত দেরি করলে কেনো? আমি: কোথায় দেরি করলাম বলে আমার ব্যলেজারটা মীম কে পড়তে দিলাম। আর দেখলাম ওরা কয়জন, ওরা তিনজন। তবে মনে হচ্ছে ধাক্কা দিলে আর উঠে দাড়াতে পারবেনা। ছেলেদের কে বললাম দেখ ভাই ওর উরনাটা দিয়ে দে আর রাসেলকে ছেরে দে ওদের মধ্য থেকে একজন বলে ছেলে: দিবনা কি করবি? আমি: কিছু করবোনা বলে দিলাম এক থাপ্পড় একটাকে আর সাথে সাথে নিচে পরে গেলো আর অন্য দুইটা নেই আমি উরনাটা এনে মীমকে দিলাম আর মীমের হাত ধরে টেনে নিয়া আসলাম বাহিরে। রাসেল: ধন্যবাদ সৌরভ তোমাকে। আমি: না ঠিক আছে, কিন্তু তুমি ইচ্ছে করলে পারতে আমাকে আর আসতে হতনা। রাসেল: ওরা আমাকে ভয় দেখাইছে তাই। মীম: সৌরভ বাসায় কিছু বলো না। আমি: বলার মত কাজ করেছো তো বলবো যে? ঠিক আছে তুমি রাসেলের সাথে বাসায় যাও? আমি পরে আসছি। মীম: আমি তোমার সাথে যাবো রাসেল একা যাক? আমি: না তোমাকে রাসেল বাসায় পৌছেদেবে তুমি গাড়িতে করে আসো বলে আমি বাইকে বসলাম তখনি,,,, মীম: বলছি তো আমি তোমার সাথে যাবো। রাসেল: ঠিক আছে সৌরভ তুমি মীমকে সাথে নিয়া যাও। আমি: ঠিক আছে চলো মীম বাইকে এসে মীম বসছে। ওকে হেমলেটটা দিলাম পড়তে রাসেল চলে গেলো আমি বাইক চালাচ্ছি। মীম: একটা কথা বলবো? আমি: বলো? মীম: তোমার শীত করছে? আমি: হ্যা না করছে না। মীম: জড়িয়ে ধরবো তোমার শীত একদম উদাও হয়ে যাবে। আমি: না একদম ধরবেনা বলে দিলাম? মীম: ধরবো তোমার কি আমি আমার হাজবেন্টকে ধরবোএই বলে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। আমি: কে তোমার হাজবেন্ট? আর তো মাত্র ৪ মাস তারপর আলাদা হয়ে যাবো। মীম: যখন হবে তখন দেখা যাবে। এখন তো আমি তোমার বউ। সো এখন আমি যা বলবো তাই হবে। আমি: তুমি ড্রিন্ক্স করছো? মীম: না আমি ড্রিন্ক্স করি না। একটু পরে বাসার সামনে আসলাম মীম জড়িয়ে ধরে আছে। আমি: মীম নামো বাসায় এসে গেছি। কিন্তু মীম শুনছেনা, মাতাল মাতাল একটা তবে মনে হচ্ছে ঐখানে ড্রিন্ক্স করছে। মীম কে বাসার সামনে বেঞ্চে বসিয়ে বাইকটা ভিতরে রেখে আসলাম। তারপর মীমকে কোলে তুলে নিলাম, এই প্রথম কোন মেয়েকে কোলে নিলাম। ভালোই লাগছে বাসার কলিং বেল টিপ দিলাম। একটু পর কাজের মেয়েটা দরজা খুলে দিলো। কিরে আন্টিরা কয়? ভাইয়া খালাম্মারা তো বাসায় নাই সন্ধায় বের হয়ছে, বলছে আসতে দেরি হবে আপনারা খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতেন। ভাইয়া মীম আপুর কি হয়ছে? আমি: কিছুনা আন্টিরা আসলে কিছু বলবিনা। বলবি আমরা বাহির থেকে খেয়ে আসছি। আর রুমে ঘুমিয়ে আছি, এই বলে রুমে চলে আসছি। মীমকে খাটে শুইয়ে দিয়েছি,, আমি উঠতে যাবো তখনি মীম আমার সাট ধরে রাখছে আর বলছে,,,, মীম: আমাকে ছেরে যাবেনা বলে দিলাম আমার ভয় করবে? আমি: ছারো আমি তোমার কাছে আছি? মীম: না ছারবোনা তুমি খাটে শুইবে আমার সাথে। আমি: তুমি এখন ঠিক নাই ছারো? মীম: তোমাকে বলছি তো আমার পাশে শুইতে। এই বলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আর এমন ভাবে জড়িয়ে ধরছে আমি নিজেকে ছারতে পারছিনা। আমি ওর বুকের উপর শুইয়ে আছি অনেক কষ্টে একটু ছারালাম কিন্তু সাটটা ছারছেনা। তাই আমি ওর পাশে শুইয়ে পরলাম আর তখনি সাথে সাথে ওর একটা পা আমার উপর দিয়ে দিলো। আমি সরিয়ে দিলাম আবার দিয়েছে আল্লাহ জানে সকালে আমার কি অবস্তা করে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মীম খাঠের উপর নাই। কি হলো মীম কোথায়? আমি খাঠের উপর শুয়ে আছি কিন্তু মীম তো আমার সাথে ঘুমিয়ে ছিলো, তবে আজ তো কোন কিছু বললোনা। শুয়া থেকে উঠলাম বাথরুমে দেখি নাই রুমথেকে বের হবো তখনি আরে মা গো আমি শেষ। মীম: কি হলো শারের মত চেচাচ্ছো কেনো কানা হয়ে গেলে নাকি চোখে দেখতে পাওনা। আমি: চেচাবো নাতো কি করবো যে জোরে ধাক্কা দিলে দেখতে পাইলে কি আর ধাক্কা খেতাম কিন্তু তুমি দেখতে পাওনা। মীম: পাইছি ইচ্ছে করে ধাক্কা দিছি এত তারাহুরা করে কোথায় যাও? আমি: তোমাকে খুঁজতে মীম: কেনো আমাকে খুজার কি হলো? আমি: না এমনিতে, তুমি তো কালকে আমার সাথে খাঠের উপর এক সাথে ঘুমায়ছো? মীম: তো তাতে কি হয়ছে আর আমি তোমার সাথে খাঠের উপর ঘুমায়নি বরং তুমি আমার সাথে খাঠের উপর ঘুমায়ছো। আমি: না কিছুনা আর হ্যা জানি আমি তোমার সাথে খাঠের উপর ঘুমিয়েছি। মীম: এবার আমার মাথাই একটা গুতো দাও। আমি: গুতো দেবো কেনো? মীম: আমার শিং নিয়া ঘুরার শখনাই। আমি : মানে তোমার মাথায় শিং তো দেখছিনা? মীম: এখন নাই পড়ে হবে। এখন দিবে কিনা বলো? আমি: না দেবোনা? মীম: তবেরে বলে আমাকে ধাক্কা মেরে খাঠের উপর ফেলে দিলো। আর সাথে সাথে আমার উপর বসে পরলো। আমি: কি হলো বুকের উপর বসলে কেনো? মীম: তুমি গুতো দিবেনা তাই জোর করে আমি দিবো। বলে আমার মাথায় গুতো দিয়েছে। আমি: এবার তো ওঠো? মীম: না উঠবো না কি করবে? আমি: কিছু করবোনা আমার ব্যাথা লাগছে? মীম: তাই বুজি আমার উজন মাত্র ৪৫ কেজি তার ওজন সইতে পারোনা। আমি: না পারিনা এবার তুমি উঠো? মীম: বলছিনা উঠবোনা আর তুমি কেমন বর আমি তোমার উপর বসে আছি। বরং তুমি একটু আদর করবে তানা খালি ওঠতে বলছো? আমি: কি আদর করবো তোমাকে এই কথা বলতে উঠে পরলো। মীম: দু মিনিটের মধ্যে খাঠটা গুচিয়ে রাখবে? তা না হলে খবর আছে। এতক্ষন লতা এখানে দাঁড়িয়ে আছিলো তাই অভিনয় করতে হলো। কারন ও আম্মুকে সবকিছু বলে দেই। (লতা মানে কাজের মেয়েটা) আমি: ঠিক আছে বলে খাঠটা গুচিয়ে দিলাম। আর ফ্রেশহয়ে নাস্তার টেবিলে আসলাম, নাস্তা করতেছি তখন আমার শ্বশুর বলে,,,বাবা সৌরভ তুমি আমার সাথে অফিসে আসো। কি দরকার অন্যের কাছে চাকরি করার? শ্বাশুরি: হ্যা বাবা আমরা মনে করি তুমি সবকিছু আগে থেকে বুজে নাও। একটু চুপ থাকার পরে বললাম,, আমি: ঠিক আছে আঙ্কেল আমাকে কয়েকটা দিন সময় দিন। তারপর আপনার অফিসে জয়েন করবো। তখনি মীম আমার দিকে তাকিয়ে আছে চোখ গুলো বড় বড় করে। আমি বুঝতে পারছি মীম চাইনা আমি ওর আব্বুর অফিসে জয়েন করি। মীম: ঠিক আছে আম্মু আমি কলেজ যাইতেছি। শ্বাশুরি: গাড়িটা নিয়া যা তোর মতি কাকা আছে। মীম: ওকে আম্মু। এই বলে মীম চলে গেলো। আমি: একটা কথা ছিলো আপনাদের সাথে আমার। শ্বশুড়: কি কথা বলো বাবা কি বলবা? আমি: কাল থেকে আমার অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। তাই আমি একমাস ম্যাচে থাকবো, কারন আমার পরিক্ষার হল এখান থেকে অনেক দুর। আর যাইতে অনেক সময় লাগবে। আর মীম এই ব্যাপারে যানে। শ্বশুড়: দেখো কি করা যায় তবে দেখো বাসায় থেকে জেনো পরীক্ষা দিতে পারো। আমি: চেষ্টা করছি কিন্তু সম্বব হবেনা। তাই ফ্রেন্ডের সাথে থাকবো ওর রুমে আর আজই চলে যাবো। শ্বশুড়: ঠিক আছে যা ভালো হয় তাই করো। আমি: ঠিক আছে, এই বলে রুমে এসে আমার ব্যাগ গুচিয়ে নিলাম। আর বেরিয়ে গেলাম বাসা থেকে শ্যালোকে একটা কল করলাম। শ্যালো: কেমন আছো সৌরভ? আমি: ভালো তুমি কেমন আছো? শ্যালো: ভালো কাল যে তারাহুরা করে গেলে তারপর তো রাতে কল করলেনা আমি করলাম রিসিব করলেনা। আমি: আর বলোনা মীম কালরাতে রাসেলের সাথে গুল্ডেন নাইট ক্লাবে গেছিলো। আর জামেলা হয়ছিলো তাই। শ্যালো: ও আচ্ছা পড়ে সব ঠিক হয়ছে মীম ঠিক আছে? আমি: হ্যা সব ঠিক আছে শুনো শ্যালো আমি তোমার সাথে দেখা করতে পারবো না প্রাই এক মাসের মত। আমার কাল থেকে পরীক্ষা শুরু আমি একটা ম্যাচে থাকবো। শ্যালো: কেনো ম্যাচে থাকবে? আমি: আমার পরীক্ষা হল অনেক দুরে তাই। শ্যালো: আচ্ছা তবে রোজ কল করবে আর সময় হলে দেখা করবে? আমি: ঠিক আছে বলে কল কেটে দিলাম এখন আমি রওনা দিলাম। আমি সবার কাছে বলছি ম্যাচে থাকবো আসলে আমি আগে একটা রুম ভাভা নিয়া রাখছি। দুই মাসের জন্য এখন আমি রুমে আসলাম। আর আগে অফিসে থেকে ছুটি নিয়া আসছিলাম। এখন রুমে ঢুকে রুমটা পরিষ্কার করে নিলাম। সন্ধা হয়ে গেছে নিছে নামলাম, ভালোই লাগছে এলাকাটা। একটা হোটেল থেকে রাতের খাবার কিনে নিলাম। তারপর রুমে এসে শুয়ে পরলাম। দেখি মোবাইল বাজে হাতে নিয়া দেখি মীম কল করছে। রিসিব করলাম,,, মীম: কি ব্যপার তুমি কোথায়? আমি: কেনো তা যেনে তুমি কি করবে? মীম: কথা না পেচিয়ে বলো তুমি কোথায় আর আম্মুর কাছে কি বলছো? আমি: ফ্রেন্ডের সাথে আছি কাল থেকে আমার পরীক্ষা। এক মাসের মত লাগবে আমি এখানে থাকবো। মীম: কিন্তু আমাকে বলোনি তো তোমার পরীক্ষা আর আম্মুকে কি বলছো,,? আমি: বলছি তুমা জানো। মীম: আমাকে তো বলনি? আমি: তোমাকে বলবো কেনো? মীম: ঠিক আছে আমি আম্মুকে বলে দেবো তুমি আমাকে কিছু বলনি। আমি: বলো তাতে আমার ভালো হবে। আমি তারা তারি তোমার কাছ থেকে মুক্তি পাবো। মীম: কি এতবড় কথা তুমি বাসায় আসো তারপর বুজাবো। আমি: মনে হয় বাসায় আর আসা লাগবেনা। মীম: কেনো? আমি: আমার পরিক্ষা শেষ হতে একমাস লাগবে। আর তখন ডির্ভোসের সময় হয়ে যাবে। মীম: ডির্ভোস হলে তুমি অনেক খুশি হবে? আমি: হুম অনেক খুশি হবো। আর তোমার তো আরো বেশি খুশি হওয়ার কথা? মীম: হ্যা আমি অনেক খুশি। আমি: ওকে রাখি,, মীম: আমার সাথে তোমার কথা বলতে ও সমস্যা হয়? ঠিক আছে আর কোন দিন কল করবো না তোমাকে? এমনকি আমি মরে গেলে ও করবোনা। আমি: আরে ঠিক তানা। কথাটা বলতে পারলাম না কলটা কেটে দিলো। (কি রাগি মেয়েরে আল্লাহ জানে রাসেলের কি হয়। মনে মনে ভাবতে লাগলাম) না একটা কল করে দেখি কি বলে? কি হলো মীমের মোবাইল অফ কেনো? অনেক বার ট্রাই করলাম কিন্ত ঢুকছে না। দুর না ঢুকলে আমার কি? রাসেলের সাথে কথা বলছে হয়তো? আবার ভাবতে লাগলাম কিন্ত নাম্বার তো বিজি বলবে? কিন্ত অফ কেনো? আর এখন কি করবো? এই ভাবতে লাগলাম ঠিক তখনি,,,To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে