গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০২)

0
6335
গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০২) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! তসিবা তুমি এই বিয়েতে রাজি ছিলে না? তাহলে বিয়েটা করেছো কেনো? কি হলো চুপ করে আছো কেনো? সৌরভ তোমাকে কি করেছে যার কারনে তুমি থাপ্পড় দিয়েছো? একের পর এক ভাবি তসিবাকে প্রশ্ন করতেছে,,, আর তসিবা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আর ভয়ে একদম চুপসে গেছে,,,, আমি:- ভাবি আসলে তসিবা আমাকে থাপ্পড় দিতে চাইনি ও আমার গালে মসা মারতে চাইছে প্লিজ তুমি ওকে কিছু বলোনা। আর আম্মুকে তুমি কিছু বলোনা প্লিজ ভাবি। ভাবি:- তসিবা তোমার ভাগ্য ভালো সৌরভকে স্বামী হিসাবে পেয়েছো। আর সৌরভ তোমাকে বলে ছিলাম আর বোনকে বিয়ে করতে তাহলে আজকে এই দিনটা তুমি দেখতে হত না। আমি:- ভাবি যা হবার হয়ে গেছে এখন কেনো তুমি পেছনের কথা আনতেছো? এখন বলো কেনো তুমি এখানে এসেছো? ভাবি:- শ্বাশুমা তোমাদের ডাকছে আসো আমার সাথে। আমি:- তুমি যাও আমি তসিবাকে সাথে করে নিয়ে আসতেছি,,, ভাবি চলে গেছে,,, তসিবা এসো আম্মু কেনো ডাকছে শুনে আসি,, তখনি তসিবা আমাকে কিছু একটা বলতে চাইছে কিন্তু আমি বেড়িয়ে এসেছি,,, তসিবা আমার পিছু পিছু এসেছে আম্মুর রুমে,,, আম্মু:- তসিবা তুমি কি পড়া শুনা করতে চাও? তসিবা:- হ্যা আমি আমার ফাইনাল পরীক্ষাটা দিতে চাই। আম্মু:- তাহলে তুমি বাড়ীর সংসারের কাজ কর্ম কখন করবে? আর তোমাকে তো এই বাড়ীর বউ করে আনছি বাড়ীর কাজ কর্ম করার জন্য। তসিবা:- বাড়ীর কাজ করার জন্য বউ করে আনতে হয় নাকী তার চাইতে ভালো আপনারা একটা কাজের মেয়ে খুজে নিতেন। আম্মু:- তোমার এত বড় সাহোস আমার মুখে মুখে তর্ক করো। সাহেদের আব্বা আমি তোমাকে বলে দেয় এই বউ আমার সংসারটাকে বারোটা বাজাবে। আমি তোমাকে বলছি গ্রাম থেকে কম পড়া লেখা একটা মেয়ে নিয়ে আসি যেমন সাহেদের জন্য এনেছো তেমন। কিন্তু তুমি তোমার বন্ধুর মেয়েকে এই বাড়ীর বউ করে আনছো যদি আমার সংসারে কোনো রকম অশান্তি হয় তাহলে আমি তোমাকে আর এই মেয়ে বাড়ী থেকে বের করে দিবো। আব্বু:- মেয়েটা বাড়ীতে এসেছে ওকে একটু সময় দাও। প্রথম দিন থেকে যদি ওর সাথে এমন ব্যবহার করো তাহলে তো মেয়েটা থাকতে চাইবে না। নব নধূর সাথে এমন ব্যবহার করা তোমার মুটেও ঠিক হচ্ছে না। আম্মু:- হ্যা সব দোষ আমার আর তোমার মা যখন আমার সাথে এমন ব্যবহার করতো তখন তো তুমি চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকতে। তোমার বাবা ও আমাকে সাপট করেনি।

প্রিয় পাঠক আমাদের গল্প পোকা ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটিতে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে একটিভ থাকুন।
আর আপনাদের ভালোবাসার গল্প গুলো আমাদের কাছে লিখে পাঠান।
আমরা আপনাদের গল্প গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব। ধন্যবাদ

আমি:- আম্মু আমি একটা কথা বলি? আম্মু:- হ্যা বল তবে তোর বউয়ের আইন টেনে কোনো কথা বলবি না। আমি:- আম্মু তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তো? আম্মু:- হ্যা করি তোর উপর আমার পুরা বিশ্বাস আছে। আমি:- তসিবাকে পড়তে অনুমতি দাও তসিবা এমন কোনো কাজ করবে না যাতে আমাদের পরিবারের কোনো দূর্নাম হবে। তুমি দেখো তসিবা ভাবির মত সংসারী হবে আর তোমাকে অনেক সম্মান করবে প্লিজ আম্মু তুমি তসিবাকে পড়তে অনুমতি দাও। আম্মু:- তুই বলছিস? ঠিক আছে তবে আমার কাছে যদি কোনো রকম খারাপ কিছু ভেসে আসে তাহলে তুই তোর বউকে ডির্ভোস দিবি আমাকে কথা দে? আমি:- আম্মু তুমি কি বলছো? আম্মু:- আমি ঠিক বলছি যদি আমি তোর বউ মানে তসিবার নামে খারাপ কিছু শুনি তাহলে তুই তসিবাকে ডির্ভোস দিয়ে আমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবি আমাকে কথা দে। (তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি কি করবো চিন্তায় পরে গেছে একটু তসিবার দিকে তাকিয়ে আম্মুকে ছুয়ে বলতেছি,,,) আমি:- হ্যা কথা দিলাম যদি এমন কোনো প্রমান তুমি বা কেও দেখাতে পারে তাহলে আমি তসিবাকে ডির্ভোস দিয়ে তোমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো। আম্মু:- ঠিক আছে তাহলে আমি অনুমতি দিলাম তসিবাকে পড়া লেখা করার জন্য। আর তসিবা তুমি শুনে রেখো সৌরভ তোমাকে যেমন বিশ্বাস করে তুমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদাটা রেখো। যাও সবাই যার যার রুমে যাও তাহলে এখন হানিমুনে যাওয়া নিষেধ। আমি:- আম্মু তুমি আমার লক্ষী মা উম্মা আম্মুকে জড়িয়ে ধরে আদর করে দিয়েছি আম্মু আমার কপালে মায়ের মমতা দিয়েছে। আমি রুমে এসে দেখি তসিবা বসে আছে আমাকে দেখে কিছু বলবে বলবে ভাব তখনি আমার মোবাইলে জুয়েল ফোন করেছে,,,, আমি রিসিব করে রুম থেকে বেড়িয়ে এসেছি,,, জুয়েল:- সৌরভ একটু চায়ের দোকানে আয় কথা আছে তোর সাথে। আমি:- হ্যা আসতেছি ফোন কেটে ওর কাছে গেছি,,,, কিরে বল কি খবর তোর? জুয়েল:- আগে বল তোর কি খবর? আমি:- হ্যা অনেক ভালো আর আমার বউটা অনেক ভালো একটা মেয়ে সবার সাথে খুব সহজে মেনে নিয়েছে। চল চা খায় দুজনে বসে চা খেলাম আরো কিছু কথা বলে দুজনে দুজনের বাড়ীতে গেছি। আমি বাড়ীর ভীতরে গেছি এমনি তসিবা এসে বলে,,,, তসিবা:- এই আপনি কোথায় গেছেন হ্যা কখন ধরে আপনাকে খুঁজতেছি। আমি:- কেনো আমাকে খুঁজতেছো কেনো? তসিবা:- দরকার আছে আমাকে একটু বের হতে হবে। কিন্তু আমি একা বের হলে আপনার মা আবার কাহিনি কিচ্ছা শুরু করবে এখন আপনি আমার সাথে বের হবেন। আমি:- মানে এখন আমি যেতে পারবো না আমার কাজ আছে তুমি যাও আমি আম্মুকে বলে দিতেছি,,,,, তসিবা:- আপনি চলেন প্লিজ প্লিজ চলেন না তানা হলে তখনি আম্মু এসেছে,,, আম্মু:- সৌরভ কি হচ্ছে তসিবা এমন করছে কেনো? নতুন বউ হাতে নাছে পায়ে নাছে এইটা কেমন স্বভাব। এই মেয়ে তোমার বাবা মা তোমাকে শিখিয়ে দেয়নি শ্বশুড় বাড়ীতে কি করে চলতে হবে। তসিবা:- আমি কি আমার বরের সাথে একটু কথাও বলতে পারবো না আর এত টুক ধরেন কেনো তখনি তসিবা আমার হাত ধরে টেনে আম্মুর সামনে রুমে নিয়ে এসেছে,,, আমি:- তুমি আমার হাত ধরেছো কেনো এখন যদি আমি তোমাকে থাপ্পড় দেয় তাহলে তুমি কি করবে? তসিবা:- থাপ্পড় দিবেন ঠিক আছে দেন নেন আমার সুন্দর গালটা আপনার দিকে এগিয়ে দিয়েছি,, (আমি তসিবা দিকে তাকিয়ে আছি বাহ তসিবার গালটা অনেক সুন্দর ইচ্ছে করছে একটু আদর করি কিন্তু করা যাবে না পরে বা গালটা লাল হয়ে যাবে।) আমি:- থাক তোমার মত পেত্নি গালে হাত লাগিয়ে আমার হাতটা নষ্ট করতে চাইনা। এখন এত অভিনয় না করে বলো কি করতে হবে? তসিবা:- আমার বান্ধবীর বয় ফ্রেন্ড অন্য যায়গা বিয়ে ঠিক করে ফেলছে। এখন সে অনেক কান্না কাটি করতেছে আপনি ছেলেটার সাথে আমার বান্ধবীর বিয়ে দিবেন প্লিজ না করবেন না প্লিজ। আমি:- দেখো এইটা আমার দাড়া সম্ভব না আমি এই জন্য কোনো দিন কোনো মেয়ের সাথে প্রেম করিনি আবার অন্য ছেলে মেয়ের প্রেমের বিয়ে প্রশ্নই আসেনা। তসিবা:- এত করে বলতে তাও আপনি যাবেন না ঠিক আছে আমি একা যাবো যদি আমার কিছু হয় তাহলে আমি আপনাকে ফাসিয়ে দিবো। আর ছোট একটা কাগজে লিখে যাবো সব কিছুর জন্য আপনি দায়। আমি:- যদি জানতাম তুমি বিয়ের এক দিনে এত কাহিনী শুরু করবে তাহলে তোমাকে আমি জীবনে বিয়ে করতাম না। এখন বলো কোথায় যেতে হবে,,,? তসিবা:- আমার সাথে গেলে হবে। আমি:- ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে নেই,, আমি রেডি হয়েছি আর তসিবাও কফি কালার একটে চুরিদার পড়েছে। বাহিরে এসে আম্মুকে বলেছি তসিবাকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি আম্মু প্রথমে রাজি ছিলোনা কিন্তু অনেক রিকুয়েস্ট করে তসিবাকে নিয়ে বেরিয়ে এসে বাইক বাহির করেছি তখনি,,, আম্মু:- সৌরভ রাত ১১টার আগে বাসায় ফিরে আসবে তানা হলে কিন্তু কপালে খারাপি আছে,,, আমি:- ঠিক আছে আম্মু, বাইকে বসেছি আম্মু চলে গেছে তখনি,,, তসিবা:- আমি বাইকে যাবো না। আমি:- কেনো? তসিবা:- বাইকে বসলে তো শুধু ব্রেক মারতে থাকবেন আমি ভালো করে বুঝতে পারছি আপনার মতলব। রিক্সা করে যাবো আপনি বাইক ভীতরে রেখে আসেন। আমি:- ছিঃ তোমার মত নিছু মনের মেয়ে আমি কমিই দেখছি তবে তুমি অনেক প্রস্থাবে। তুমি চাইলেও আমি তোমাকে বাইকে উঠাবো না আর তোমাকে স্পর্শ করবো না। (তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি বাইক রেখে এসেছি একটা রিক্সা ঠিক করেছি,,,) তসিবা:- ক্যাম্পাসে চলেন মামা, আমি বসেছি তসিবা মাঝে ওর পার্স ব্যাগটা রাখছে আমি কিছুই বলিনি। ২৫ মিনিট পর ক্যাম্পাসে এসেছি ভাড়াটা দিয়েছি ওনি চলে গেছে,,, তসিবাকে দেখে দুইটা মেয়ে এগিয়ে এসেছে,,,, মেয়ে গুলি এসে তসিবাকে জড়িয়ে ধরেছে,,, প্রীতি আর রাবেয়া এই হচ্ছে আমার কাজিন সৌরভ। আমি:- তসিবা কি বললে আমি তোমার কি? তসিবা:- কাজিন তো হোন আসেন গিয়ে দেখি আরো ছেলে মেয়ে সবাই বসে আছে আর একটা মেয়ে কান্না করছে,,,, এই সাহিদা কান্না করছিস কেনো? আর সোহেল কোথায় রে,,,,? সোহেল:- এই তো আমি, তসিবা তুই সাহিদাকে বুঝা আমার পরিবার কখনো মেনে নিবেনা। আর আব্বু বিয়ে ঠিক করেছে এখন বলতেছি সাহিদা সব কিছু ভূলে যেতে,,, আমি:- ভূলে যাওয়াটা কি এত সহজ আপনি পারবেন ভূলে যেতে আরে আপনি আপনার আব্বুর সাথে কথা বলেন ওনাকে আপনার মনের কথা গুলি বুঝিয়ে বলেন। সোহেল:- আপনি কে আমাকে উপদেশ দিতেছেন? তসিবা:- আমার কাজিন হয় এক কাজ কর তোর আব্বুর কাছে আমাদের নিয়ে চল দেখি কি করে মেনে না নেই। আমি:- হ্যা চলেন আমি আপনার আব্বুকে রাজি করাবো চলেন আমার সাথে। তবে আগে আপনাদের বিয়ে করে নেন একদম বর বউ সেজে আপনার আব্বুর কাছে গিয়ে উঠবেন। হ্যা হ্যা তাই কর সোহেল তাহলে মেনে নিবে তোর আব্বু। সোহেল:- যদি মেনে না নেই তাহলে থাকবো কোথায় খাবো কি? আমি:- আমি যেই কম্পানিতে জব করি সেখানে আপনাকে চাকরি পায়িয়ে দিবো কথা দিলাম। তসিবা:- হ্যা ও অনেক ভালো একটা চাকরি করে চল তোরা আজকে বিয়েটা করে নিবি। ওরা সবাই মিলে সোহেল আর সাহিদাকে রাজি করিয়েছে। একটা কাজি অফিসে গিয়ে ওদের বিয়ে পড়িয়ে দিলাম। তসিবা আমার দিকে বার বার আর চোখে দেখছে আর ঐ দিকে প্রীতি আমার সাথে লাইন মারতে চাচ্ছে। বিয়ের কাজ শেষ করে সোহেলের বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম আমি তসিবা প্রীতি রাবেয়া আর সোহেল সাহিদা। আঙ্কেল:- সোহেল বউ সেজে আছে মেয়েটা কে? সোহেল:- আমার বউ আমরা আজকে বিয়ে করেছি তখনি আঙ্কেল বসা থেকে উঠে গেছে। আঙ্কেল:- তোর সাহোস হলো কি করে বিয়ে করার? ওনি রেগে মেগে আগুন আর সোহেলের মাও রেগে আছে,,,,, আমি:- আঙ্কেল প্লিজ বোঝার চেষ্টা করেন যেই মেয়েটাকে সোহেল ভালোবাসে তাকে তো বিয়ে করেছে। মেয়েটাও সোহেলকে অনেক লাভ করে আর আপনাদের অনেক সম্মান করে। আপনি তো সোহেলের সূখের চিন্তা করেন এখন থেকে দেখবেন সোহেল নিজেই সুখে থাকবে আর আপনাদের অনেক কেয়ার করবে। ওর পরীক্ষার রেজাল্ট অনেক ভালো হবে ওনাকে আরো অনেক কিছু বলে অনেক কষ্টে আমরা সবাই মিলে রাজি করিয়েছি,,, আঙ্কেল:- ঠিক আছে আমি মেনে নিয়েছি তবে আমি অনুষ্টান করে বউকে বাড়ীতে তুলবো। আমি:- ঠিক আছে সবাই অনেক খুশি হয়ছে,,,তাহলে আমরা এখন যাই কেমন। সোহেল সাহিদাকে দিয়ে প্রীতি রাবেয়া আর তসিবাকে নিয়ে আমি বাহিরে এসেছি,,,, প্রীতি:- আচ্ছা তসিবা তোর কাজিনের নাম কি? তসিবা:- কেনো তুই যেনে কি করবি? তখনি আমি বলি,,, আমার নাম আল মুহাম্মদ সৌরভ,,, তসিবা আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়েছে,,, প্রীতি:- বাহ অনেক সুন্দর নাম আচ্ছা আপনা মোবাইলটা একটু দিবেন? মানে আমার মোবাইলে টাকা নেই বাড়ীতে আম্মুকে ফোন করে বলে দিলে আম্মু চিন্তা মুক্ত থাকতো। তসিবা:- কোনো দরকার নেই দেখি তোর মোবাইলটা আমার কাছে দে আমি দেখবো তখনি আমি প্রীতিকে মোবাইলটা বাড়িয়ে দিয়েছি,,, আমি:- আহ তসিবা এমন করছো কেনো ওনি তো তোমার বান্ধবী নেন আপনি ফোন করেন প্রীতি মোবাইলটা হাতে নিয়েছে তসিবা চেহারাটা একদম কালো করে রাখছে,,, প্রীতি ফোন করে কথা বলে নিয়েছে,,, প্রীতি:- আচ্ছা তসিবা আমি কি তোর কাজিনের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করতে পারি,, (তসিবা প্রীতির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে এখুনি খেয়ে ফেলবে তখনি আমি বলি,,,) আমি:- আরে হ্যা নিশ্চয় আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড বলে আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি তখনি তসিবা আমার হাত ধরে বলে,,, তসিবা:- প্রীতি তুই এমন কেনো হ্যা সুন্দর ছেলে দেখলে লাইন মারতে চাস। যা এখন তোরা বাড়ীতে যা আমার অনেক ক্লান্ত লাগছে আমি বাড়ীতে যাবো। রাবেয়া বাই কল করিস কেমন তোর সাথে কথা আছে,,,, প্রীতি:- বা রে তোর কাজিন তো লাগে এমন ভাব করছিস মনে হচ্ছে তোর বর বাই সৌরভ আমি রাতে ফোন করবো কেমন। আমি:- ঠিক আছে, তসিবা আমাকে টেনে দূরে নিয়ে এসেছে,,, আমি আরে তুমি এমন করতেছো কেনো? তসিবা:- আপনি প্রীতির ফোন রিসিব করবেন না করলে খবর আছে। আর প্রীতি মেয়ে হিসাবে ওতটা ভালোনা অনেক ছেলেদের সাথে ফোনে কথা বলে। আমি:- সমস্যা কি কথা বললে বলোক তাতে আমার কি তবে প্রীতি দেখতে অনেক সুন্দর। তখনি তসিবা আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে বলে,,,, তসিবা:- তাহলে প্রীতির সাথে আপনি কথা বলবেন ফোনে? ঠিক আছে বলেন তাতে আমার কি? এখন চলেন বাড়ীতে যাই তা না হলে আপনার মায়ের বকা জকা শুনা লাগবে। আমি:- আমার মা মা বলো কেনো? বলবে আম্মাজান তাহলে দেখবে তোমাকে ভাবির থেকে বেশী আদর আর স্নেহ করবে। একটা টিপস তোমাকে দিয়ে দিলাম দেখো কাজে লাগাতে পারো কিনা। তসিবা আর আমি রাস্তায় হেটে আসতেছি আর গল্প করতেছি,,, একটা রিক্সা দেখছিনা এমনি তসিবা বলে,,,, তসিবা:- আমি আর হাটতে পারবো না আমার পা ব্যথা করছে একটা রিক্সা ডেকে আনবেন প্লিজ। আমি:- এত রাতে রিক্সা পাবো কোথায়? তখন যদি বাইকটা নিয়ে আসতাম তাহলে এতক্ষনে বাড়ীতে গিয়ে ফ্রেস হয়ে শুয়ে থাকতে পারতাম। তসিবা:- আরো তো ১০ মিনিট হাটা লাগবে। একটা কথা বলবো? আমি:- হ্যা বলো কি বলবে? তসিবা:- আমাকে কুলে করে নিয়ে যান। আমি:- এমনিতেই বা গালটা এখনো লাল হয়ে আছে আর ডান গাল লাল করতে চাইনা। তুমি হেটে আসো তোমাকে কুলে নিলে তো তোমাকে স্পর্শ করতে হবে। তসিবা:- এখন তো আমি বলতেছি আমাকে কুলে নেন প্লিজ তা না হলে বকা গুলি কিন্তু আপনি শুনবেন আর মাত্র ২০ মিনিট বাকি আছে ১১টা বাজার বাকী। আমি:- আম্মুকে বলে দিবো তুমি ইচ্ছে করে দেরি করিয়েছো তখনি তসিবা দৌরে এসে আমার কাদে জড়িয়ে ধরে বলে,,, তসিবা:- আমি বকা শুনবো ভালোই তো আমি বলে দিবো আপনি প্রীতির সাথে কথা বলতে গিয়ে এমন করছেন। এখন আমি কাদের উপর উঠেছি আমাকে এমন ভাবে বাসায় নিয়ে চলেন। আমি:- বাইকে বসলে তো কম ব্রেক মারতাম আর এখন তো একদম পুরা রাস্তায় ব্রেকের মত যাবো। তসিবা:- মানে কিসের ব্রেক মারবেন? আমি:- দেখবে তো কিসের ব্রেক তসিবা আমার কাদের উপর দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছে। ভালোই লাগছে আমার তসিবার চুল গুলো অনেক লম্বা যার কারনে আমার চোখে এসে বারি খাচ্ছে। তসিবা তোমার ওজন কত কেজি? তসিবা:- মাত্র ৪৬ কেজি হবে মনে হয় কেনো আপনার কি মনে হয়? আমি:- আমার তো মনে হচ্ছে ৪০ কেজি হবে, এখন নামো এসে গেছি তসিবা নেমে সোজা বাড়ীতে ঢেব ঢেব করে হেটে চলে গেছে আমি ওর পিছু পিছু ঢুকেছি,,, আম্মু আমাদের দিকে তাকিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে এখনো ৫ মিনিট বাকী আছে। আর কিছু বলেনি আমরা দুজনে রুমে চলে এসেছি,,,, তসিবা:- আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সত্যি আপনার মত ছেলেকে বর হিসাবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার তবে আমি আপনাকে বর হিসাবে এখুনি মেনে নিতে পারছি না। আমার কিছু স্বপ্ন আছে আগে সেই গুলি পুরুন করি তারপর চিন্তা করে দেখবো কেমন। আমি:- তুমি এত বেশি চিন্তা করো না আর এমন না হয়ে যাই যে তোমার সব স্বপ্ন পুরুন হয়ছে কিন্তু আমি তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। হয়ত বা তখন তোমার জীবনে আমার প্রয়োজন না লাগতে পারে তবে আমার শূন্যতা তোমাকে ছিড়ে ছিড়ে খাই। আচ্ছা তুমি চিন্তা করতে থাকো আমিও কাওকে খুঁজতে থাকি দেখি আমাদের ভাগ্যে কি আছে। কথা গুলি বলে রুম থেকে বেড়িয়ে এসেছি আর তসিবা অভাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,, To be continue,,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে