গল্প:-দুই_বধূ_এক_স্বামী পর্ব:-(০৪)

0
2174

গল্প:-দুই_বধূ_এক_স্বামী পর্ব:-(০৪)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
দুই বউ পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে আছে! কার হাতের গ্লাসটা নিবো চিন্তায় আছি ঠিক তখনি ভাবিও পানির গ্লাস নিয়ে এসেছে। আমি ভাবির হাতের গ্লাসটা নিয়েছি এমনি তসিবার হাতের পানিটা আমার মাথার উপর ঢেলে দিছে। আরে তসিবা কি করছো এইটা?

তসিবা:- একদম ঠিক করেছি আপনি আমার হাতের গ্লাসটা না নিয়ে ভাবিরটা নিয়েছেন এর মানে মীম যাতে কোন কষ্ট না পাই তাই আপনি এমনটা করেছেন!

মীম:- হ্যা তসিবা তুমি সত্যি বলছো সৌরভ এখনো আমাকে অনেক ভালোবাসে তাই তো আমাকে কষ্ট দিতে চাইনা।

আমি:- মীম তোমাকে আমি ভালবাসি না! আর কোনো দিন ভাল বাসবোনা। তখনি চেয়ে দেখি তসিবা মন খারাপ করে চলে গেছে। আমি তসিবার পিছু পিছু গেছি তসিবা রুমে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিতে চাইছে আমি গিয়ে দরজাটা আটকাতে গেছি আর আমার হাতে দুই দিক থেকে চাপ লেগেছে আমি আঁ বলে চিল্লাই উঠেছি!

তসিবা:- কি হয়ছে আপনার হাতে দেখি বলে (তসিবা আমার হাত ধরতে চাইছে। আমি একটু ভাব নিয়েছি)

আমি:- কিছুই হয়নি দেখি তুমি ছাড়ো দরজাটা একটু আস্তে লাগানো যায়না নাকী?

তসিবা:- আগে হাতটা দেন (জোর করে আমার হাতটা নিয়েছে) আরে আঙুলে তো ঠসা পড়ে গেছে আপনি একটু বসেন আমি এখুনি বরফ নিয়ে আসতেছি।

আমি:- দেরি করোনা কিন্তু তাহলে আবার অন্যজন চলে আসবে।

তসিবা:- ভালোই তো মজা নিতেছেন বলে বেড়িয়ে গেছে! (আমি রুমে বসে আছি কিছুক্ষণ পর তসিবা রুমে বরফ নিয়ে এসেছে! তসিবা অনেকটা মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে আছে)

আমি:- আচ্ছা তসিবা তোমার বাড়ীতে যাবে কবে?

তসিবা:- আগামী কাল যাবো, তবে মনে তো হচ্ছে আমার একা যেতে হবে?

আমি:- কেনো তুমি একা যাবে কেনো?

তসিবা:- আব্বু অসুস্থ আর আমার তো চার পাঁচটা ভাই বোন নেয় যে আমাকে এসে নিয়ে যাবে?

আমি:- তুমি তোমার বাবা মার এক মাত্র মেয়ে তাহলে আমার মত বিবাহিত একটা ছেলেকে বিয়ে করেছো কেনো?

তসিবা:- এইটা আপনার না জানলেও হবে! এখন একটু চুপ করে বসে থাকলে আমার কাজটা করতে পারবো।

আমি:- তুমি আমাকে ভালবাসবে তসিবা নাকী মীমের মত আমার সাথে অভিনয় করবে?

তসিবা:- কি করে ভালবাসি বলেন আপনাকে তো বিশ্বাস করা যাচ্ছেনা। আপনি এখনো মীমকে আমার থেকে বেশি ভালবাসেন।

আমি:- ঠিক আছে আমরা দুজনে আগামী কাল তোমাদের বাড়ীতে যাবো কেমন। আর মীমকে নতুন করে ডির্ভোস দিয়ে দিব তাহলে তো সব জামেলা শেষ।

তসিবা:- দরকার নেয় আমি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছিনা! আর আমি যাকে ভালবাসি সে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। বরং আপনি আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দেন তাহলে হবে।

আমি:- সত্যি তুমি অন্য কাওকে ভালবাসো নাকী?

তসিবা:- হ্যা অনেক বেশি আর আপনাকে তো বিয়ে করেছি আপনার আব্বু আমাদের অনেক সহযোগীতা করছে। আর ওনি বলছে আপনাকে বিয়ে করে যাতে মীমের যায়গাটা নিয়ে নেয়। তাছারা আব্বু আম্মু বলছে তাই আপনাকে বিয়ে করছি।

আমি:- তার মানে তুমি আমাকে করুনা করতে এসেছো?

তসিবা:- মনে করেন তাই।

আমি:- দেখি হাতটা ছাড়ো বলে তসিবার কাছ থেকে হাত ছারিয়ে নিয়েছি। ঠিক আছে তুমি তোমার ভালবাসার মানুষকে যাও।

তসিবা:- কি করে যাবো আপনি তো আমাকে ডির্ভোস দিতে রাজি হচ্ছেন না।

আমি:- আমি নিজেই তোমাকে তোমার ভালবাসার মানুষের কাছে পৌছায় দিব। আর একটা কথা মীমকে আমি আমার জীবনে মেনে নিব না। মীম আমাকে যে কষ্ট দিয়েছে সেই কষ্টটা এত সহজে ভুলে যাবো নাকী? বরং মীমকে তার চাইতে বেশি কষ্ট দিয়ে বাড়ী থেকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।

তসিবা:- সেইটা আপনার ব্যপার আমার তাতে কিছু যায় আসেনা।

আমি:- ঠিক আছে তাহলে কালকে আমার সাথে যাবে তোমাকে আর মীমকে দুজনের জন্য এক সাথে ডির্ভোসের এপ্লিকেশন করে আসবো। তখনি চেয়ে দেখি তসিবার চেহারাটা কালো করে নিয়েছে। আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেছি মন খারাপ করে ছাদে উপর চলে এসেছি। ছাদের উপর ব্যাঞ্চে বসে আছি আসলে কেনো এমনটা হয় আমার সাথে? যাকে ভালবাসতে চাই সেই আমার সাথে এমনটা করে কেনো? আঁকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আজকে চাঁদট অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। হঠাত কাদের উপর কারো হাতের স্পর্শ পেলাম। চেয়ে দেখি মীম আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেছি। তুমি এখানে কেনো এসেছো?

মীম:- তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে প্লিজ আমার কথা গুলা শুনো।

আমি:- না তোমার কোনো কথা শুনতে চাইনা! আচ্ছা মীম তুমি কেনো আবার এসেছো আমার জীবনে? আমি তো তোমাকে মুক্ত করে দিয়ে চলে এসেছি অনেক দূরে?

মীম:- কারন আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি! তোমাকে ছাড়া আমার থাকতে অনেক কষ্ট হয়। আমি জানি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি কিন্তু কি করবো বলো?

আমি:- তোমার কিছু করা লাগবেনা প্লিজ তুমি আমার জীবন থেকে চলে যাও। তোমার মুখ দেখতে নিজের কাছে ঘৃনা হয়।

মীম:- আমি চলে যাবো থাকার জন্য আসিনি এসেছি একটু সূখের সন্ধানে। আমি সত্যি বলছি তোমার আর তসিবার মাঝে কোন দিন বাধা হয়ে থাকবোনা।

আমি:- যেহেতু বাধা দিবেনা তাহলে এসেছো কেনো যতসব নাটক করতে পারো। তোমার সাথে কথা বলে আমার সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয়না। বলে চলে আসতেছি তখন মীম পেছন থেকে আমার হাত ধরেছে।

মীম:- প্লিজ আমার কথা গুলা শুনো তারপর তুমি যা বলবে তাই হবে।

আমি:- ছাড়্র তুমি বলে হাতটা ছারিয়ে নিয়েছি। আমি চাইনা তোমার জন্য তসিবার সাথে আমার কোন জামেলা হোক। মীম প্লিজ তুমি এই বাড়ী থেকে চলে যাও আমি চাইনা তুমি এখানে থেকে আমাদের সংসারে অসান্তি তৈরি করো।

মীম:- বলেছি তো চলে যাবো থাকতে আসিনি এসেছিলাম পাপের কিছুটা পাশ্চিৎ করতে।

আমি:- তোমার পাপের পাশ্চিৎ করতে হবে না তুমি চলে যাও। আর আগামী কাল তোমাকে আমি ডির্ভোস দিয়ে দিবো তুমি যা করার করো।

মীম:- প্লিজ আমাকে একটু বুঝার চেষ্টা করো! আমাকে লাস্ট একবার পাশ্চিৎ করার সুযোগ দাও।

আমি:- দেখো মীম যা হবার নয় তা কেনো বলছো তোমাকে আমি কোনো সুযোগ দিতে পারবোনা! আর তুমি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবেনা এইটা আমি ভালো করে বুঝতে পারছি। তুমিও যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছো তা কোনোদিন সফল হবেনা। সবচেয়ে ভাল হবে তুমি এখান থেকে ভালোই ভালোই চলে যাও। মীমের দিকে তাকিয়ে দেখি মীম কান্না করছে তাও আমি চলে আসছি কথা গুলি বলে। নিছে এসে দেখি তসিবা কাটুন ছবি দেখে হাসতেছে আমি গিয়ে তসিবার কাছে বসতেই তসিবা উঠে চলে আসতে চাইলো কিন্তু আমি হাত তসিবার ধরে ফেলছি।

তসিবা:- আমার হাত ছারুন আপনি কোন অধিকারে আমার হাত ধরছেন?

আমি:- তুমি এখনো আমার স্ত্রী আছো যখন ডির্ভোস হবে তখন তোমার হাত ধরবোনা বলে টান মেরে আমার কুলের উপর বসিয়ে নিয়েছি।

তসিবা:- কি হচ্ছেটা কি আমাকে ছারুন আমার লাগছে?

আমি:- কি লাগছে?

তসিবা:- ব্যথা লাগছে ছারুন বলছি?

আমি:- ছারবোনা আর যদি পারো তাহলে তুমি নিজেকে ছারিয়ে নাও?

তসিবা:- ঠিক আছে বলে ঘুরে আমার ঠোটে কিস করে দিয়েছে। আমি এক মহূর্তের জন্য থমকে গেলাম তখনি তসিবা নিজেকে ছারিয়ে নিয়েছে।

আমি:- তুমি চিটিং করেছো এইটা আমি মানিনা?

তসিবা:- না মানলে আমার কি? আমি তো নিজেকে ছারিয়ে নিয়েছি। তবে আপনাকে বোকা বানাতে আমার বা হাতের খেল বলে দৌরে চলে গেছে উপরে। আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে রইলাম তসিবা চলে গেছে উপরে। নিছে বসে আছি এমনি আব্বু এসেছে,,,

আব্বু:- সৌরভ কি চিন্তা করছিস?

আমি:- আচ্ছা আমার সাথে কেনো এমন হয়?

আব্বু:- সব ঠিক হয়ে যাবে, কালকে তসিবাকে নিয়ে ওর বাড়ী থেকে একটু বেড়িয়ে আয় কেমন?

আমি:- ঠিক আছে যাবো।

আম্মু:- সৌরভ আয় রাতের খাবার খাবি।

আমি:- হ্যা আসতেছি, আমি গিয়ে খাবার টেবিলে বসেছি ভাই ভাবি এসে বসেছে।

ভাইয়া:- কি তোর বউ দুইটা কোথায়?

আমি:- ভাইয়া তুই আমিকে নিয়ে মজা নিতেছিস? তখনি তসিবা এসে আমার ডান দিকে বসেছে আর মীম বা দিকে মাঝ খানে আমি বসে আছি।

আম্মু:- তসিবা তুমি আগামী কাল সৌরভকে সাথে নিয়ে যাবে তোমাদের বাড়ীতে।

তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে ওনাকে বলবেন সকালে রেডি হয়ে যেতে।

আম্মু:- সৌরভ তুই সকাল সকাল রেডি হয়ে যাবি কেমন।

আমি:- ঠিক আছে বলেছি তখনি দুই দিক দিয়ে দুইটা লাথি আমার দু পায়ে লাগছে। আমি ওমা বলে উঠেছি,,,

আব্বু:- কিরে কি হয়ছে তোর ও মা বললি কেনো?

আমি:- মা বলতে পাররবোনা নাকী?

আম্মু:- হ্যা তা বলবি সমস্যা নেয় তবে হঠাত ডাক দিলি তো তাই আর কি?

আমি:- এমনিতেই! তখনি তসিবা আর মীম মনে মনে হাসছে মুচকি হাসি বের করবো। আমি চুপ চাপ খাবার শেষ করে নিয়েছি। আমি নিছে সুফায় বসে আছি। এক এক করে সবাই যার যার রুমে চলে গেছে শুধু আমি তসিবা আর মীম তিনজন নিচে বসে আছি। বসে বসে চিন্তা করতেছি কার সাথে গিয়ে শুইবো নাকী একা নিচে স্টোর রুমে শুয়ে থাকবো? না একটু উপরে গিয়ে দেখি হাব ভাবটা একটু বুঝে আসি। আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি আর তখন তসিবা আর মীম দুজন দাঁড়িয়েছে।

আমি সোজা উপরের দিকে হাটা দিয়েছি আমার পিছু পিছু মীম তসিবা দুজনে আসতেছে। উপরে এসেছি ওরা দুজনে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি মাঝে দাঁড়িয়ে আছি কার রুমে যাবো? আমি মীমের দিকে তাকিয়েছি একবার আর তসিবার দিকে তাকিয়েছি একবার। একটু চিন্তা করে তসিবার দিকে হাটা দিয়েছি তখনি মীম এসে আমার হাত ধরেছে আমি মীমের দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবা আমার আরেক হাত ধরেছে।
বউ দুইটা দুই হাত ধরে দুই দিক দিয়ে টানা টানি করছে মাঝ খানে আমি বর হিসাবে পুরাই বেরা কলে আটকা পড়েছি। তসিবা আর মীম আমাকে টানা টানি করতে দেখে ভাইয়া আর ভাবি দুজনে এসেছে।

ভাবি:- আরে তোমরা দুজনে সৌরভকে নিয়ে টানা টানি করতেছো কেনো?

তসিবা:- ভাবি আম্মু বলছে সৌরভকে সাথে নিয়ে বাড়ীতে যেতাম। আমি তো খুব সকালে রওনা দিব সৌরভ যদি মীমের সাথে থাকে তাহলে সকালে নিয়ে যাবো কি করে?

মীম:- আমি সৌরভকে সকালে তুলে দিবো।

আমি:- মীম তুমি কি আমাকে খেলার পতুল মনে করেছো? মীম তোমার কি মনে হয় আমি তোমার সাথে থাকবো?

মীম:- সৌরভ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে! সেই কথা গুলা তোমার সাথে সেয়ার করতে চাই। সেই কথা গুলা বলা শেষ হলে তুমি তসিবার কাছে চলে এসো!

আমি:- দরকার নেয় তোমার কোনো কথা শুনার দেখি ছাড়ো বলে মীমের কাছ থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিয়েছি।

ভাইয়া:- দেখো মীম তোমার জন্য আমাদের পরিবার সবাই অনেক অপমানিত হয়ছে। দয়া করে আর আমাদের কোনো অপমান করোনা তোমার কোন কিছু বলা লাগবেনা তুমি যদি যেতে চাও তাহলে চলে যাও কেমন?

মীম:- কিন্তু এই কথা গুলা আমার বলতে হবে তানা হলে আমি মরেও শান্তি পাবোনা প্লিজ সৌরভ আমার কথা গুলা একটু শুনো প্লিজ।

তসিবা:- আমি যদি আপনার মত হতাম তাহলে জীবনেও আর এখানে ফিরে আসতাম না। আপনার তো লজ্জা থাকা উচিত যার সাথে এতটা খারাপ ব্যাবহার করেছেন আবার তার কাছে ফিরে এসেছেন?

মীম:- ঠিকই বলছো আমি মানুষটা এমনি সেলফিস! আমি নিজের সার্থে সব কিছু করতে পারি।

ভাবি:- সৌরভ রাত অনেক হয়ছে এখন তুমি কি করবে?

আমি:- ভাবি তোমরা যাও আমি তসিবার সাথেই থাকবো, তসিবা আসো বলে মীমের সামনে তসিবার হাত ধরে রুমে এসে মীমের মুখের উপর দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছি।

তসিবা:- মেয়েটা কেমন নিজের লজ্জা সরম বলতে কিছু নেয়। ওর মত যদি আমাকে কেও ভালবাসতো তাহলে তো আমি জীবন দিয়ে দিতাম।

আমি:- কি বললে তুমি?

তসিবা:- এইরে কি বলতে কি বলে ফেলছি! না কিছুনা আমার ঘুমাতে হবে আপনি খাটের উপর ঘুমান আমি নিছে ঘুমিয়ে যায় কেমন?

আমি:- তুমি আলাদা থাকবে মানে তাহলে আমি মীমের সাথে থাকলে ভালো হত আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকের মাঝে ঘুমাত।

তসিবা:- তাহলে যান মীমের কাছে আমার কাছে আসছেন কেনো?

আমি:- তাই তাহলে কি মীমের কাছে চলে যাবো নাকী?

তসিবা:- যান আমি মানা করেছি নাকী?

আমি:- ঠিক আছে তাহলে গেলাম তুমি একা থাকো বলে চলে আসতেছি এমনি তসিবা বলে।

তসিবা:- আপনি যদি মীমকে এতটা ভালবাসেন তাহলে কেনো আমার সাথে রুমে এসেছেন?

আমি:- কারনটা তোমাকে বলেছি আর বার বার এক কথা কেনো বলো? আমি গেলাম আমার মাথা ব্যথা করছে আমি গিয়ে ঘুমাবো।

তসিবা:- হ্যা যান আপনার ভালবাসার মানুষের কাছে। আমি কোন কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়ে এসে সোজা ছাদে চলে এসেছি।

আমি:- দূর সবাই এক তসিবা কেনো আমাকে বুঝতে চেস্টা করেনা। আমি তো মীমকে এখন আর ভালবাসিনা তাহলে তসিবা কেনো এমন কথা বলে? ছাদে ব্যাঞ্চের উপর শুয়ে পড়েছি আজকে ঠান্ডা লাগছে অনেক। দূর চাদরটা যদি কেও এনে দিত তাহলে তো ভালোই হতো। দুইটা বউ নামে আছে কাজের বেলাতে একটাও নেয়। তখনি চেয়ে দেখি নুপুরের আওয়াজ শুনতে পেলাম।

আরে এই নুপুরের শব্দ গুলা তো তসিবার ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে নিলাম যাতে করে তসিবা মনে করে আমি ঘুমিয়ে গেছি। হঠাত করে আর নুপুরের শব্দটা হচ্ছেনা এর মানে তসিবা আমার কাছে চলে এসেছে। আমি চোখ বন্ধ করে রাখছি এমন সময় আমার গায়ের উপর একটা চাদর দিয়েছে, আবার নুপুরের শব্দ শুনতে পেলাম তখনি চোখ খুলে দেখি তসিবা চলে যেতেছে আর তখনি আমি ওর হাতটা ধরে ফেলেছি। তসিবা একদম ভয় পেয়ে গেছে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

তসিবা:- মীম আপনাকে তার রুমে থাকতে দেয়নি নাকী?

আমি:- তুমি কি করে জানলে আমি ছাদের উপর আসছি?

তসিবা:- দরজাটা খুলা ছিলো দেখলাম মীমের রুমে যাননি তখনি মনে হলো ছাদে এসেছেন?

আমি:- বসো এখানে দুজনে মিলে গল্প করি।

তসিবা:- আমার গল্প করার কোন ইচ্ছা নেয়! আর আমি শুনতে পছন্দ করিনা বলতে পছন্দ করি। যদি আপনি শুনতে পছন্দ করেন তাহলে আমি বসতে পারি।

আমি:- হ্যা বসো আমারো শুনতে ভালো লাগে।

তসিবা:- সত্যি?

আমি:- হ্যা সত্যি।

তসিবা:- (অনেক আগ্রহো নিয়ে আমার পাশে বসেছে) তাহলে শুনেন আমার ছোট বেলার কাহিনী কিন্তু বলবো। আপনি জানেন আমি ছোট থেকে একটু বেশি দুষ্ট ছিলাম।

আমি:- এখনো কম কিসের?

তসিবা:- যান বলবোনা আমি গেলাম বলে তসিবা উঠে যেতে লাগলো তখনি তসিবার হাত ধরে টান মেরে আমার কুলের উপর বসিয়ে নিয়েছি। আমি তসিবার চুলের গুলা পাগল করার মত ঘ্রাণ।

আমি:- তসিবা তোমার চুল গুলা তো অনেক সুন্দর আর চুলে কি শ্যাম্পু ব্যাবহার করো?

তসিবা:- আর জোক মারতে হবেনা দেখি ছারেন আমি রুমে যাই।

আমি:- এমন করছো কেনো তোমার চুল গুলা সত্যি অনেক সুন্দর। আচ্ছা তুমি না চায়ছো বাসর ঘরে কিছু করি তাহলে কি এখন করবো?

তসিবা:- এই ভালো হবেনা কিন্তু আমি এখনো আপনাকে ভালবাসিনা কিন্তু?

আমি:- তুমি বলবে আমি মানবো কেনো আর তুমি তো আমার বউ তাইনা? আচ্ছা একটা কিস করি কেমন বলে তসিবাকে কিস করে দিয়েছি। তসিবা একদম চুপ হয়ে গেছে। তসিবা আমার দিকে তাকিয়েছে ওর কপালে কিস করেছি! তসিবাকে রাগাতে এখন ভালোই লাগছে তবে এইটা আমি নিশ্চিত তসিবা আমাকে ভালোবাসে।

তসিবা:- ঐ আপনি আমাকে কিস করলেন কেনো?

আমি:- এত কাছে বসে আছো আর তা মিস করাটা ঠিক হবেনা। এখন বলো কি বলতে চাচ্ছো ছোট বেলার কাহিনী?

তসিবা:- আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে ইচ্ছে করে আপনার সাথে সারা জীবন এমনি করে দুষ্টুমি করি! কিন্তু আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না আপনি তো মীমকে এখনো অনেক বেশি ভালোবাসেন।

আমি:- তুমি কি বলবে ঐটা বলো এখন এসব বাদ দাও তসিবা মুড ভালো আছে আর খারাপ করোনা প্লিজ।

তসিবা:- ওকে তাহলে আমাকে কুলের উপর থেকে নামাবেন নাকি কুলের উপর বসিয়ে রাখবেন?

আমি:- নাও ছেরে দিলাম, তসিবা বলতে শুরু করেছে ওর ছোট বেলার সব কাহিনী, আমি ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। তসিবার কথা বলা ওর হাসি সব কিছু চাঁদের আলের সাথে মিসে গেছে। তসিবা বসেছে আমার পাশে আমি চাদরটা গায়ে জড়িয়ে রাখছি হঠাত বুঝতে পারছি তসিবার ঠান্ডা লাগছে তাই চাদরটা ওর গায়ের উপর দিয়ে জড়িয়ে দিয়েছি।

তসিবা:- আপনার ঠান্ডা লাগবেনা?

আমি:- নাহ লাগবেনা, দুজনে পাশা পাশি বসে আছি।

তসিবা:- আচ্ছা আপনিও চাদরটা কিছুটা দেন আর একটা গল্প বলেন আমি শুনবো।

আমি:- হ্যা বলতেছি আমি গল্প বলতেছি তসিবা আমার কাদের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে কখন আমি নিজেও বলতে পারবোনা। নাহ তসিবাকে রুমে নিয়ে যাই সারা রাত ছাদের উপর থাকলে কূয়াসা পড়ে জ্বর আসতে পারে। আমি তসিবাকে কুলে তুলে নিলাম তসিবা দু হাত নিচের দিকে পড়ে আছে চুল গুলাও।

আমি ওর কপালে একটা কিস করে রুমের দিকে আসতে লাগলাম। নিছে নেমে এসেছি তখনি চেয়ে দেখি মীম নিচ তলা থেকে উপরে দিকে সিঁড়ি দিয়ে আসতেছে। আমি তসিবাকে কুলে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি আর মীম আমাকে দেখে কিছুটা বিচলিত হয়ে গেছে। মীমের হাতে দেখি একটা ব্যাগ আমাকে দেখে ব্যাগটা লুকিয়ে নিয়েছে। আর তাকিয়ে আছে তসিবার চেহারাটার দিকে। To be continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে