গল্প:-একটু_অধিকার পর্ব:-(০৭)

0
2666

গল্প:-একটু_অধিকার পর্ব:-(০৭)
লেখা:- AL MohammadSourav
!!
মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি এমনি আম্মা বলে! তসিবা তুমি আজ থেকে সৌরভের সামনে আসবেনা যতদিন তোমাকে আমি বাড়ির বউ হিসাবে অধিকার দিচ্ছি ঠিক ততদিন তুমি সৌরভের সাথে দেখা বা কথাবার্তা বলবেনা।

দাদি:- হ্যা কথাটা একদম ঠিক বলছো বউমা। তসিবা তুমি এসো আমার সাথে! দাদি তসিবার হাত ধরে নিয়ে যেতে ছিলো তখনি তসিবা বলে।

তসিবা:- এই শর্তটা আগে দেওয়া ছিলোনা তাই আমি এখন মানতে পারবোনা। ওনি যদি আমার সাথে কথা বলে বা দেখা করে তাহলে আমার কি দোষ?

আম্মা:- সব দোষ তোমার তুমি আমার ছেলের মাথাটা খারাপ করে দিয়েছো? সৌরভ তোরা আজকেই যাবি তসিবাদের বাড়িতে! আর ঐখানে তসিবাকে রেখে আসবি কথাটা মনে থাকে যেনো।

আমি:- আজকে যাবো কি করে? আগামীকাল সকালে যাবো তসিবা এখন তুমি আমার সাথে আসো।

দাদি:- তসিবা তোর সাথে যাবে কেনো?

আমি:- সেইটা তোমাকে বলতে যাবো কেনো?

দাদি:- আমাকে বলে সব করতে হবে কারণ আমি হলার এই বাড়ির কর্তী।

আমি:- সেইটা অন্য কোনো বিষয় হলে বলতাম! স্বামী স্ত্রীর মাঝে অনেক রকম কথাবার্তা থাকে সব বলা ঠিক না। কি হলো তসিবা দাঁড়িয়ে আছো কেনো?

তসিবা:- আসছি বলে তসিবা আমার কাছে এসেছে। আমি তসিবার হাত ধরে সোজা উপরের দিকে হাটা দিয়েছি। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তসিবাকে নিয়ে রুমে এসেছি।

আমি:- চুপ করে বসো আমি এখুনি আসছি।

তসিবা:- কোথায় যাবেন শুনি?

আমি:- দরজাটা বন্ধ করতে হবে।

তসিবা:- কি দরজা বন্ধ করবেন কিন্তু কেনো?

আমি:- দরকার আছে! তসিবা ভয় পাচ্ছে আমি গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। এক পা দু পা করে তসিবার দিকে এগিয়ে আসছি আর তসিবা পিছু পা হচ্ছে।

তসিবা:- আপনি এমন ভাবে আমার দিকে আসছেন কেনো?

আমি:- তুমি যা চায়ছো সেইটা দেওয়ার জন্য।

তসিবা:- এখন কিন্তু বাড়ির সবাই কি মনে করবে এখন এসব করলে?

আমি:- কে কি মনে করবে এটা করা জুরুরী।

তসিবা:- যেহেতু জুরুরী তাহলে এতদিন দূরে সরিয়ে রাখছেন কেনো? আরো আগে কাছে টেনে নিতেন।

আমি:- মানে আরো আগে তোমার হাত কাটছে নাকী? এমন ভাবে পিছু পা হচ্ছো কেনো? বলে তসিবার হাতটা ধরেছি। দেখি দাও তোমার হাতটা বেন্ডিজ খুলে ডেসিং করে আবার বেন্ডিজ করে দিতে হবে।

তসিবা:- ও তাই বলেন!

আমি:- হ্যা এখন একটু চুপ করে বসো!

তসিবা:- চুপ করে আছি। দূর আমি ভাবছি রোমান্স করার জন্য দরজাটা বন্ধ করছেন। ডেসিং করার জন্য দরজা বন্ধ করার কি দরকার ছিলো? আচ্ছা একটা কথা বলবো?

আমি:- তুমি কি বলবে আমি জানি কিন্তু এখন কিছু করা যাবেনা! তুমি চুপ থাকলে আমি কাজটা করতে পারবো।

তসিবা:- কাজ করবেন হাতে আর কথা শুনবেন কানে এতে সমস্যা কি কথা বললে? বলিকি আসেন একটু রোমান্স করি আমার খুব ইচ্ছে ছিলো।

আমি:- তসিবা মাথা ঠিক আছে তো?

তসিবা:- হ্যা! আমার কিছু স্বপ্ন ছিলো যেমন ধরেন আমি রান্না করবো আমার বর মানে আপনি গিয়ে পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে ঘারে কিস করবেন। আমি নিজেকে ছাড়াতে মিথ্যা অভিনয় করবো আপনি আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরবেন তখনি শ্বাশুরী এসে পরবে আপনি আমাকে ছেড়ে লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বাহানা দেখিয়ে চলে আসবেন। যখন আপনি অফিসে যাবেন তখন আমি দরজা অব্দি এগিয়ে দিবো যাবার সময় আমার ঠোটে আলতু ছোঁয়া দিয়ে যাবেন।

আমি:- তসিবা এই তসিবা কি বির বির করছো কিছুই তো বুঝতেছিনা।

তসিবা:- আমার স্বপ্নের কথা আপনি শুনেন নাই?

আমি:- নাহ তুমি কি বলছিলে এতক্ষন ধরে। নাও বেন্ডিজ করা হয়ে গেছে আর এই মেডিসিন গুলি খেয়ে নাও।

তসিবা:- হ্যা দেন! তসিবা মন খারাপ করে নিয়েছে! আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি! তসিবা মেডিসিন গুলি খেয়েছে!

আমি:- তসিবা তোমাকে এই রুমে থাকার অধিকার দিলাম! আজ থেকে তুমি আমার রুমে থাকতে পারবে যদি তুমি চাও। তখনি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমিও তসিবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছি।

তসিবা:- আমার লক্ষী বড় উম্মা উম্মা উম্মা তসিবা আমাকে একের পর এক কিস করতেছে।

আমি:- তসিবা কি করছো?

তসিবা:- আমার স্বপ্ন পুরুণ করছি।

আমি:- অনেক হয়ছে এবার ছাড়ো আমি অফিসে যাবো।

তসিবা:- আজকে ছুটি নিয়ে নেন ফোন করে।

আমি:- বস অফিসে আসবেনা ওনার মেরিজ এনিভার্সারি জন্য পার্টি থ্রু করেছে। দেখি ছাড়ো বলে তসিবার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়েছি। তসিবার চোখে মুখে অন্য নেশা চেপে আছে।

তসিবা:- সমস্যা নেই এখন থেকে আমি তো আপনার সাথে থাকবো প্রতিদিন রোমান্স করবো কেমন?

আমি:- রুমে থাকতে দিয়েছি কিন্তু রোমান্স করার অধিকার এখনো দেয়নি। দেখি সরো আর শুনো নিজেকে কন্ট্রোল করতে শিখো আখের তোমার জন্য ভালো হবে। কথাটা বলে আমি রুম থেকে বেড়িয়ে এসেছি। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে তখনি দাদি বলে।

দাদি:- কিরে তোর গালে আর ঠোটে লাল রং কেনো?

আমি:- তোমার নাতবউ কিস করেছে তার জন্য। কথাটা বলে রুমাল বেড় করে মুছতে মুছতে বেড়িয়ে এসেছি। গালে লিবিষ্টিক দেখছে তাও জিগেস করে আর আমিও বোকা কোথাকার তসিবা যে কিস করছে তা একবার মুখটা ধূয়ে নিলে কি হত? অফিসে এসে কাজ করতে আরম্ভ করেছি। তসিবা কি সব রোমান্টিক মেসেজ করছে! এই মেয়েটা তো দেখছি আমার সবকিছু গুল্লাই নিবে। কাজ করতেছি তখনি মনে হলো আরে আমি তো তসিবাকে নিয়ে এখন ওদের বাড়িতে যেতে পারবোনা কারণ স্যারের মেরিজের অনুষ্টান আগামীকাল রাতে। তসিবাকে নিয়ে এর পরের দিন যাবো। হ্যা এটাই ভালো কাজ শেষ করে সন্ধায় অফিস থেকে বেরুলাম। কিছু আইসক্রিম আর চকলেট নিলাম তসিবার জন্য যদিও জানিনা তসিবা এসব পছন্দ করে কিনা তাও নিয়ে যাই। বাসায় এসেছি রাত আটটার দিকে কলিং বেল চাপ দিয়েছি তখন আম্মা দরজাটা খুলছে।

আম্মা:- সৌরভ আয় তোকে পরিচয় করিয়ে দেয়।

আমি:- কার সাথে পরিচয় করাবে?

আম্মা:- তোর হুব বউ আর শ্বশুর শ্বাশুরী। বলে আমাকে সোফায় বসা থাকা মানুষ গুলির কাছে নিয়ে গেছে। এই হলো আমার ছোট ছেলে ওর জন্য আপনার মেয়ে স্নেহার বিয়ের কথা বলছি। বসা থাকা মেয়েটি তাকিয়ে আছে আমার দিকে আর আমি তাকিয়ে আছি তসিবার দিকে। আমি দেখি তসিবা ট্রে সাজিয়ে নাস্তা নিয়ে সামনে এসেছে।

আপনার ছেলের আগে একটা বিয়ে হয়ছে! আমরা সব জানি কিন্তু ঐটা সব কিছু ক্লিয়ার ভাবে ছাড়া ছাড়ি হয়ছে তো মানে ডির্ভোস।

দাদি:- হ্যা সব কিছু হয়েছে! আপনারা রাজি থাকলে আগামী সাপ্তাহে শুভ কাজটা সেরে নিবো। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

ঠিক আছে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তা বাবা আমার মেয়েকে তোমার কেমন লাগছে।

আমি:- মানে? তখনি দাদি আমার কথাটা না বলতে দিয়ে নিজেই বলে।

দাদি:- হ্যা হ্যা পছন্দ হয়ছে এই নিয়ে কোনো চিন্তা করবেন না। তসিবা ওনাদের মিষ্টি মুখ করাও ওনাদের সামনে মিষ্টি দাও। ভাবি ভাইয়া আব্বা সবাই চুপ চাপ বসে আছে। তসিবা ওনাদের সামনে মিষ্টি দিতে ছিলো তখনি আমি তসিবার হাতের ট্রেটা ফেলে দিয়েছি। সবাই বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেছে।

আম্মা:- সৌরভ কি করছিস এটা? কোনো কথা নাহ বলে সোজা তসিবার হাত ধরে টান মেরে আমার বুকের মাঝে নিয়ে এসেছি। তখন সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

আপনার ছেলে তো দেখছি কাজের মেয়ের সাথে ভাব আছে আমরা এখানে আমাদের মেয়ে বিয়ে দিবোনা!

আমি:- ও কাজের মেয়ে নয়! ও আমার স্ত্রী তসিবা তুমি কিছু বলছোনা কেনো? ঠিক তখনি তসিবা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে।

তসিবা:- মিথ্যা কথা কেনো বলছেন আমার সাথে আপনার বিয়ে হয়েছে কখন?
দেখুন আপনাদের বাড়িতে কাজ করে বলে নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিতে আসিনি! এর পর যদি আমার দিকে আপনার নজর পরে তাহলে আমি ভুলে যাবো আপনি আমার মালিকিনের ছেলে।

আমি:- তসিবা কি হয়ছে তোমার কেনো এমন কথাবার্তা বলছো? ভাবি তোমরা কিছু বলছোনা কেনো? তখনি ভাবি তসিবাকে কিছু নাহ বলে উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। আমি আবার তসিবার হাতটা ধরেছি বলো তোমার কি হয়ছে?

তসিবা:- ছাড়ুন বলছি তানা হলে ভালো হবেনা কিন্তু।

আমি:- ছাড়বোনা দেখি তুমি কি করো! চলো আমার সাথে আর আপনারা দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? বেড়িয়ে যান বলছি ঠিক তখনি তসিবা ওর হাতটা টান মেরে ছাড়িয়ে নিয়ে আমাকে থাপ্পড় দিতে ছিলো তখনি আমি ওর হাতটা ধরে নিয়েছি। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি আমি তসিবাকে জোরে একটা থাপ্পড় দিয়েছি তসিবা গিয়ে স্নেহার পায়ের সামনে পড়েছে।To be continue,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে