গল্প: উড়ান পর্ব-১

0
1821

#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
গল্প: উড়ান পর্ব-১
লেখা: ফাহমিদা আঁখি

পার্কের বেঞ্চিতে বসে উড়ান লক্ষ্য করলো, একটু দূরে তার বোন পূর্বার পাশে বসা যুবকটি কাঁদছে। যুবকটির নাম সোহানুর রহমান সোহান। উড়ান তাকে সোহান ভাই বলে ডাকে। কিন্তু সোহান ভাই কাঁদছেন কেন? উড়ানের চোখে কৌতূহল ঠিকরে পড়ছে। সে শুনতে পেল, পূর্বা রাগী গলায় বলছে, “ছিঃ সোহান, মেয়েদের মতো এমন ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদছো কেন? আমি কি হারিয়ে যাচ্ছি? আমি তো বলেছি, বিয়ে করলে আমি তোমাকেই করবো। তুমি শুধু মন দিয়ে পড়াশোনাটা শেষ করো। আর একটা চাকরীর চেষ্টা করো।” সোহানের কান্না তবু থামেনা। তার কেবল ভয় করে। পূর্বাকে হারিয়ে ফেলার ভয়। পূর্বা, সোহানের কান্না থামানোর চেষ্টা করেনা। বিরক্ত হয়ে বলে, এখন যেতে হবে আমাকে। সোহান চোখ তুলে তাকায়, ওর চোখে মিনতী, আর একটু থাকো। পূর্বা, সোহানের চোখের ভাষা বুঝতে পারে। কিন্তু আকাশের অবস্থা খারাপ। মা হয়তো অপেক্ষা করছে, তার মেয়েরা কখন বাড়ি ফিরবে? পূর্বা, উড়ানের দিকে তাকালো। উড়ান করুণ চোখে তাকিয়ে আছে। ওর চোখ যেন বলছে, আপা, এক্ষুণি বাড়ি চল, নইলে তুলকালাম হয়ে যাবে। পূর্বা, সোহানকে বিদায় জানিয়ে, উড়ানকে নিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ালো। রাস্তায় এসে ওরা কোনো রিকশা বা অটোর দেখা পেলোনা। সোহান অবশ্য বলেছিল, ওদের বাড়ি অবদি পৌঁছে দেবে। কিন্তু কেউ দেখে ফেলবে ভেবে এই রিস্কটা নেয়নি পূর্বা। পনেরো মিনিটের রাস্তা পাঁচ মিনিটে এসেছিল অটোতে করে। শধুমাত্র সোহানের সাথে দেখা করবে বলে এই বাড়তি খরচা। তা না হলে হেঁটেই যাওয়া আসা করতো। তাছাড়া বাড়ি ফিরতেও যে দেড়ি হয়ে যাবে। আর মা তখন সন্দেহের চোখে তাকাবে।

চারদিকে অন্ধকার, সেইসাথে ঝড়ো হাওয়া। লোকজনের সমাগমও নেই খুব একটা। অটো, রিকশার আশা ছেড়ে দিয়ে দুবোন হাঁটা শুরু করলো। উড়ানের কেমন ভয় করতে শুরু করলো। ভয়ে সে পূর্বার বাহু জাপটে ধরে পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো। পূর্বার সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। উড়ান বলল,
-আপা, তোমার ভয় করছেনা?
-পূর্বা ভ্রু কুচকে বলল, ভয় কেন করবে?
-দেখো কেমন অন্ধকার! ঝড়ও শুরু হয়েছে। যদি বাড়ি ফিরতে না পারি?
-না পারলে না পারবো। পূর্বার নির্বিকার উত্তর।
-উড়ান হতবাক হয়ে চেয়ে থাকে পূর্বার দিকে। এই ঘোর বিপদের সময় কেউ এমন সাবলীল থাকতে পারে? উড়ান তা ভাবতেই পারছেনা।
-পূর্বা এবার উড়ানকে পেছন থেকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে স্মিত হেসে বলল, এতো ভয় কিসের? বিপদ যিনি দেন, রক্ষাও করেন তিনি। এখন তাড়াতাড়ি পা চালাতো।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


বারন্দার খুঁটিতে হাত রেখে আকাশের দিকে চোখ মেলে তাকালেন, হামিদা বেগম। আকাশে মেঘ করেছে, মাঝেমাঝে আবার বিদ্যুৎও চমকাচ্ছে। সন্ধ্যে নামতে এখনো ঘণ্টা তিনেক বাকী। অথচ চারপাশ এমন অন্ধকার করে এসেছে যে, এখন দিন না রাত তা বোঝা মুশকিল। মেয়ে দুটোকে সেই কখন তিনি বাজারে পাঠিয়েছেন। এখনো আসার নাম গন্ধ নেই। চিন্তায় অস্থির হয়ে বারবার ঘরের ভিতর বাহির করতে লাগলেন। মনসুর সাহেব চৌকিতে পা তুলে বসে আছেন। এখনো তার জন্য এক কাপ চা নিয়ে কেউ আসছেনা কেন? তাই ভাবছেন। তিনি ভীষণভাবে চায়ের তেষ্টা অনুভব করছেন। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও যখন কেউ চা নিয়ে এলোনা। তখন তিনি গলা তুলে ডাকলেন, হামিদা, হামিদা? আমি কি এখন এক কাপ চাও পেতে পারিনা? চোখে দেখতে পাইনা বলে, তোমরা সকলে আমাকে এভাবে অবহেলা করছো? আজ একবছর হলো মনসুর সাহেব চোখে খুব একটা দেখতে পান না। ডাক্তার বলেছে চোখে ছানি টানি কি যেন পড়েছে। অপারেশন করা ছাড়া আর উপায় নেই। কিন্তু সংসারের যে দূরাবস্থা! তার মধ্যে সে কথা সকলে প্রায় ভুলতে বসেছে। চোখের সমস্যা তো আছেই। চলাফেরা করতেও তার বেশ অসুবিধায় হয় আজকাল। সংসারের হাল এখন আর তার হাতে নেই। বড়বাজারে একটা মুদির দোকান আছে তার। ব্যবসাপাতি ভালোই চলছিল। অসুস্থ হওয়ায় এখন তার বড় শ্যালক দোকানের দায়িত্ব নিয়েছেন। বলতে গেলে সংসারের দায়িত্ব এখন তারই হাতে। হামিদা বেগম স্বামীর চিৎকার শুনে তার কাছে গিয়ে, বিরক্ত কণ্ঠে বললেন, আর তোমার চা, ঘরে চা নেই, চিনি নেই। কি করে চা টা হবে শুনি? মেয়ে দুটোকে সেই কখন বাজারে পাঠিয়েছি। তাদের আসার নাম নেই। এদিকে বাহিরে ঝড়-তুফান শুরু হয়েছে। মনসুর সাহেব তাতে সামান্য বিচলিতও হলেন না। বরং শান্ত কণ্ঠে বললেন, ওহ, তা মেয়েরা যখন বাজারে গেছে, তখন এসেও পড়বে। ওরা তো আর বাচ্চা নয়। এতো চিন্তার কি আছে? হামিদা বেগম রেগে গিয়ে বললেন, ওরা বাচ্চা নয় ঠিক আছে। কিন্তু ওরা মেয়ে। তার ওপর এই ঝড়-তুফান। কোনো বিপদ-আপদ হলে! তখন কি হবে? তোমার তো কোনো চিন্তা নেই। তুমি আছো তোমার চা নিয়ে। স্ত্রীর কথায় মনসুর সাহেব বেশ দমে গেলেন। কিন্তু তার চা খাওয়ার ইচ্ছেটা কিছুতেই গেল না। তিনি নিজের মনকে শাসন করতে লাগলেন, ছিঃ ছিঃ বাহিরে ঝড়-তুফান, মেয়ে দুটো বাড়িতে নেই। কি করে তারা ফিরে আসবে? এখন তো তার এসব ভাবা উচিত। আর তিনি কিনা সামান্য চায়ের নেশা দমিয়ে রাখতে পারছেন না! আশ্চর্য মন তার।

মেয়েরা বাড়ি ফিরতেই হামিদা বেগম যেন প্রাণ ফিরে পেলেন। কিন্তু অন্যদিনের মতো কোনো প্রশ্নের বান ছুঁড়ে দিলেন না। বরং ওদের অবাক করে দিয়ে বললেন, ঘরে গিয়ে শিগ্রী মাথাটা মুছে ফেল। অসময়ের বৃষ্টি। মাথায় বৃষ্টির পানি বসে গেলে আবার জ্বর টর না হয়ে বসে। দুবোন মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। তারপর নিঃশব্দে ঘরের ভেতরে চলে গেল।

চুলোয় চায়ের জল ফুটতে দিয়ে হামিদা বেগম হাঁটুতে মাথা রেখে বসে আছেন। মনটা কেমন অস্থির লাগছে তার। এই অস্থিরতার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। খানিক পরে আবিষ্কার করলেন, বড় মেয়ে আভার জন্য তার মন কেমন করছে। কেমন আছে তার মেয়েটা? অভাবের তাড়নায় মেয়েকে শহরে বড় বোন শায়লার কাছে পাঠিয়েছেন বছর দুই হলো। টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচটা চালিয়ে নেয় সে। থাকা খাওয়াটা বোনের হাতে। তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের প্রতি তার একটা আলাদা টান রয়েছে। পড়াশোনায় খুব ভালো তার মেয়েটা। তাই তো এতো কষ্টের মাঝেও ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। একদিন তার মেয়েটা অনেক বড় হবে। চাকরী করবে। সংসারের সকল অভাব ঘুচিয়ে ফেলবে। মেয়ে হয়েই সে ছেলের দায়িত্ব পালন করবে। হাঁটু থেকে মাথা তুলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন তিনি। ছুটিতে যখন মেয়ে বাড়িতে আসে তখন সকলের জন্য এটা সেটা কিনে নিয়ে আসে। গতবার যখন এলো, তার জন্য একটা শাড়ি কিনে নিয়ে এসেছিল। শাড়ির রং টা তার এতো পছন্দ হয়েছিল যে, শাড়িটা হাতে নিয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন। তখন মাকে জড়িয়ে ধরে মেয়ে বলেছিল, কাঁদছো কেন মা? মা বলেছিল, খুশিতে কাঁদি মা, আনন্দে কাঁদি। মেয়ে, মায়ের কাঁধে মাথা রেখে বলেছিল, এ তো কিছুই না মা, যখন চাকরী করবো, তখন দেখবা তোমার জন্য ডজন ডজন শাড়ি কিনে আনবো। স্বামীর ডাকে ধ্যান ভঙ্গ হলো তার। চা নিয়ে গিয়ে স্বামীর হাতে দিলেন তিনি। চা পেয়ে মনসুর সাহেবের চোখ চকচক করছে। চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন, আহ! চা টা দারুণ হয়েছে। এতোক্ষণে যেন তার সকল তৃষ্ণা মিটলো। নেশার মধ্যে এই এক চায়ের নেশা তার। হামিদা বেগম এই দৃশ্য দেখে যেন তৃপ্তি পেলেন। তারপর যখন আবার রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিলেন, মনসুর সাহেব বললেন, রাতে খিচুড়ি করবে নাকি? না মানে বৃষ্টি হচ্ছে তো খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করছে। হামিদা বেগম কোনো উত্তর দিলেন না। খিচুড়ি আভার খুব পছন্দের। বৃষ্টি নামলেই বলতো, মা খিচুড়ি করবে একটু? এমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় গরম গরম খিচুড়ি আর তেলেভাজা হলে একদম জমে যাবে। মেয়ের জন্য আপসোস করতে করতে খিচুড়ি রাঁধতে বসলেন তিনি।

কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিল উড়ান। কারো ফোঁপানির শব্দে কাঁথা থেকে কচ্ছপের মতো মাথা বের করলো সে। লোডশেডিং হওয়ায় মোমবাতি জ্বালিয়ে, বিছানায় পাশ ফিরে শুয়ে চিঠি পড়ছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে পূর্বা। অবাক কাণ্ড! পূর্বাকে কখনো কাঁদতে দেখেনি উড়ান। উড়ানের চোখে পূর্বা খুব শক্ত মনের মেয়ে। সেই কিনা কাঁদছে! উড়ানের মনে পড়লো, সোহান ভাইও তখন কাঁদছিলেন। কিন্তু কেন? এটা জিজ্ঞেস করবে বলেও আর করা হয়নি তার। পূর্বার গায়ে একটা হাত রেখে উড়ান বলল, আপা কাঁদছো কেন? সাথে সাথেই পূর্বার ফোঁপানি বন্ধ হয়ে গেল। সে উঠে বসলো। মোমবাতির আবছা আলোতে ওর চেখে একবিন্দু অশ্রু কেমন চিকচিক করছে। পূর্বাকে এমনভাবে দেখে উড়ানের কেন জানি খুব মায়া হলো। বেশ কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার পর পূর্বা বলল, সোহান লিখেছে, “আমাকে না পেলে সে মরে যাবে। হয়তো তার দৈহিক মৃত্যু হবেনা, কিন্তু আত্মিক মৃত্যু হয়ে যাবে।” উড়ান বলল,
-সোহান ভাই তোমাকে খুব ভালোবাসে তাইনা আপা?
-শুধু ভালোবাসেনা, পাগলের মতো ভালোবাসে।
-তাই বুঝি তখন ওভাবে কাঁদছিল?
-হুম, পাগল তো তাই ওমন মেয়েদের মতো কাঁদছিল। ছেলেদের কি কাঁদলে মানায়? কিন্তু সোহান কাঁদে। পূর্বার ঠোঁটে বিশ্বজয়ের হাসি।
-এ হাসির অর্থ উড়ান বুঝলো না। এ যুগেও তোমরা এমন চিঠি লেখো কেন আপা? কেমন অদ্ভুত লাগেনা ব্যাপারটা? বাড়িতে তো একটা ফোন আছে। তুমি চাইলেই সোহান ভাইয়ের সাথে কথা বলতে পারো।
-তা পারি। কিন্তু চিঠিতে এক অন্যরকম অনুভূতি আছে জানিস। হৃদয়ের সব অভিব্যক্তি কেমন অকপটে লিখে ফেলা যায়। আর পড়ার সময় তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়। আমরা দুজনেই তা খুব ভালোভাবে রপ্ত করেছি। তাই তো ফোনে কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া সপ্তাহে দু একবার দেখা তো হয়েই যায়। মাঝখানের দিনগুলো অপেক্ষা করতে ভালোলাগে। আর এই ভালোলাগাটা ভালোবাসার গভীরতা বাড়িয়ে করে দ্বিগুণ। এটুকু বলে হাই তুলতে তুলতে পূর্বা বলল, ঘুম পাচ্ছে উড়ান। চল ঘুমিয়ে পড়ি। অনেক রাত হয়েছে।

পূর্বা ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে সেই কখন। কিন্তু উড়ান তখনো ঠায় বসে আছে। এতোকিছুর মাঝে যে শব্দটা ওকে কাবু করেছে, তা হলো ভালোবাসা। এই যে এতো শোনে শব্দটা। এর অনুভূতিটা কেমন? বিছানা ছেড়ে জানালা খুলে দাঁড়ালো সে। বৃষ্টির ঝাপটা এসে লাগলো ওর গায়ে। একটু যেন কেঁপে উঠলো তাতে। বাহিরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঘরের ভেতরে মোমবাতির অবশিষ্টাংশ এখনো মৃদু মৃদু আলো ছড়াচ্ছে। জানালার পাশে হাসনাহেনা ফুটে আছে শতশত। তারই মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। নিঃশ্বাসে হাসনাহেনার সেই মাতাল করা সুবাস ধারণ করতেই উড়ানের মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করে উঠলো। এক এক করে মা-বাবা, বোনদের কথা ভুলে গিয়ে, সংসারের সব জটিলতা ভুলে গিয়ে নিজস্ব পৃথিবীতে বুদ হয়ে রইলো সে। টিনের চালে তখন বৃষ্টির তোড় বেড়েছে। ঝমঝম শব্দের কাছে বিশ্ব চরাচরের কোন শব্দই যেন আর টিকতে পারছেনা। উড়ান চোখদুটো বন্ধ করলো। অবচেতন মনে কি যেন একটা খুঁজতে লাগলো।

চলবে…