অন্তর্দহন প্রণয় ২ পর্ব-০৩

0
1920

#অন্তর্দহন_প্রণয়
#দ্বিতীয়_খন্ড
৩।
সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি
❌(কপি করা নিষেধ) ❌

অন্ধকার ঘরটিতে বিছনার উপর এলোমেলো
হয়ে শুয়ে থাকা জয়নব কাঁদতে কাঁদতে এবার হাতে লাগলো। আদরের কিছুক্ষন আগে করা আঘাতে ঠোঁটের কোনে কেঁটে রক্ত বেড়িয়ে গেছিলো। এখন শুকিয়ে আছে। গালে পড়েছে লাল দাগ। গলার মাঝেও রয়েছে আদরের হাতের ছাপ। কৃষ্ণভো মুখখানার হাসিটির বড্ড ভয়ঙ্কর লাগছে এবার। জয়নব এবার সটান করে উঠে বসলো। ঘরটিতে আছে কোনায় কোনায় ক্যামেরা। সব দিকে নজর বুলিয়ে নিরীহ মানুষের মতো চলে গেল ওয়াশরুম। হাই কমোডের উপর বসে পড়লো সে। পাশেই একটি কাঠের কারুকাজ করা সুন্দর একটি টেবিল। তার উপর একটি আয়না। যার উপর ভেসে উঠেছে জয়নবের প্রতিছবি। জয়নব হাসলো। কমাডের পিছন থেকে বের করলো একটি পলি। তার ভিতরে থাকা ক্ষুদ্র একটি ফোন বের করে ডায়াল করলো একটি নাম্বার….

রিং হচ্ছে…
ওপাশ থেকে ভেসে এলো চিকন একটি কন্ঠ…..
জয়নব বলল,

” কুয়াশা… কি খবর?”

কুয়াশা ধীমি আওয়াজ ভেসে এলো,

” এদিকে সব ঠিক। তোর কথা বল! আদর তোকে টর্চার করছে না তো?”

জয়নব আয়নায় নিজের কাঁটা ঠোঁট আর গলার দাগ টা দেখে মৃদু হাসলো।

” নাহ্, কিছু করেনি! ”

” আচ্ছা তো নেক্সট প্ল্যান কি?”

” ডা. সাহির!”

কুয়াশা হাসলো। বলল,

” অ্যাল দ্যা বেস্ট! দেখা হচ্ছে তাহলে আমাদের!”

“খুব শীঘ্রই! ”

জয়নব আবারো বাকা হাসলো। আয়নায় নিজের প্রতিছবি ছুয়ে দিয়ে ভাবলো কিছু অতীত…..

ডা. আদরের সাথে সেই রাতে বিয়ের পর তাকে নিয়ে চলে আসে একটি বাঙলো বাড়িতে। চারিদিক নিস্তব্ধতা, আর সবুজে ঘেরা মাঝ বরাবর দোতলা একটি বাড়ি। চারিদিকে হাট্টা গাট্টা বডিগার্ড…।
জয়নব ভয়ে জড়সড় হয়ে পিছু পিছু । একটি আলিশান ঘরের এসে থেমে গেলো তারা। ডা. আদর তার দাম্ভিকপূর্ণ মুখ খানায় এক অদ্ভুত হাসি এঁকে রেখে। জয়নব তখনো হিমশিম খাচ্ছে নিজের ডিসিশনের উপর। জয়নব ভয়ে ভয়ে চোখ ঘোরালো আসপাশটায়….

ঠিক তখনি কয়েক জোড়া পায়ের শব্দ ঘনিয়ে এলো ঘরটির কাছে। জয়নব চমকে পিছনে তাকালো। মাথা তার ঘুরছে অগনিত প্রশ্ন। দরজার ওপাশটায় নরম আলো। লোক গুলো মুখ স্পষ্ট নয়… জয়নবের মনে হলো, আদর হয়তো তাকেও তার বোনের মতো বন্দিনী করে রাখবে, হাত-পা বেঁধে টর্চার করাবে। কিন্তু তার ভাবনার ফোঁড়ন ভেঙ্গে গেলো তখন…. যখন আদর একজন উকিল, একজন কাজি আর কিছু কালো পোশাক পরিহিত লোকজনকে নিয়ে ঘরে ঢুকলো। জয়নবের চোখে মুখে তখনো অবাকতা… সে কি বলবে, কি করবে এই মুহূর্তে বুঝতেই পারছেনা। ঠিক তখনি আদর চুটকী বাজালো তার মুখের সামনে। জয়নবের ধ্যানক্ষন যেন ফিরে এলো৷ আদরের দিকে তার ডাগড় ডাগড় চোখে চেয়ে থেকে বলল,

” আমার বোন কোথায়?”

আদর হাসলো মুচকি। জয়নবের মাথায় পরম যত্নে হাত বুলিয়ে দিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিলো। দু হাতে জয়নবে মুখটি তার হাতের মাঝে ভরে মাদক লাগানো কন্ঠে বলল,

” টেনশন করো না জান। আগে বিয়ে হোক? ভাবির সাথে দেখা করিয়ে আনবো!”

“কিন্তু…!”

মুখের কথাটুকু বলতে দিলো না আদর। নরম তুলতুলে ঠোঁটের উপর তর্জনী আঙ্গুল চেপে ধরলো।

“শুশ্… নো মোর ওয়ার্ডস!”

জয়নব ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলো আদরের ফ্যাকাসে চোখ জোড়ার দিকে। আদর এবার কাজিকে উদ্দেশ্য করে বলল,

” বিয়ে পড়ানো শুরু করুন! ”

হুজুর সঙ্গে সঙ্গে সব রেডি করে ফেললেন। উকিল নিজেও সব গুছিয়ে নিলে যখন কবুল বলার সময় হলো, জয়নব হু হু করে কেঁদে দিলো। কোনো মতোই যখন বলতে পারছিলো না কবুল? তখন আদর জড়িয়ে দরে সবার সামনে। লুকিয়ে ফেলে জয়নবকে তার বুকের মাঝে। নরম আওয়াজে সামলাতে থাকে জয়নবকে।

” জান.. ডোন্ট ক্রাই। প্লিজ কবুল বলো। কাঁদে না জান। বিয়ে হলেই তো যাবো আমরা রুফাইদা ভাবিকে দেখতে।”

জয়নব এবার শান্ত হলো। একে একে ভেসে উঠলো তার পালক বাবা-মা আর বড় বোন রুফাইদার মুখটি। ভেসে উঠতে লাগলো তাদের ছোট সংসারের হাসি খুশি, খুনসুটির মুহূর্ত গুলোর কথা…. জয়নব চোখের ভারি পল্লব জোড়া বুঝে নিলো। নিজেকে শক্ত করলো। আদরের বাহুডোরেই কবুল বলল। আদরের মনে তখন যেন বয়ে গেলো নরম উঞ্চতা। মনের কোনে শুরু হলো যেন আনন্দ মেলা। কোথাও যেন শব্দ করে ফুটলো আতশবাজি। আদরের মনে সুখে সীমা রইলো না। শক্ত করে চেপে ধরে চুমু দিলো মাথায়…! আবেগ মিশ্রীত কন্ঠে বলল,

” জান থ্যাঙ্ক ইউ। আই লাভ ইউ। আই লাভ ইউ সো মাচ…!”

কিন্তু জয়নব শান্ত ছিলো। কঠিন নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে পড়েছে যেন তার দেহে। সব ফর্মালিটি যখন শেষ? জয়নব তখন তার ঠোঁট নাড়লো।

” আমি আপুর কাছে যাবো প্লিজ!”

কাতর কন্ঠে বলল জয়নব। জয়নবের কন্ঠে কতটা মায়া কতটা কষ্ট ছিলো? আদর ঠিক বুঝতে পেরেছে। আদর বলল,

” চলো!”

জয়নব না চাইতেও তার মুখে হাসির রেখা ফুঁটে উঠলো। আদর তা দেখে নিজেও হাসলো। কাছে টেনে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো তারা।

কিছুক্ষণ পর….

বাসার পিছনের সাইডে এসে দাঁড়ালো তারা। জয়নব অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলল,

” এইখানে কেনো?”

আদর জয়নবের গালে হাত বুলিয়ে বলল,

” এখনি জানতে পারবে!”

কিছু দূর যাওয়ার পর একটি ঘরের সামনে এসে পড়লো তারা। সুন্দর গোছানো পরিপাটি রুমটির এক কোনায় খাঁচার মাঝে বন্দী রুফাইদা তার পাশেই বসে আছে অভিনব তার পায়েও শিকল পড়ানো। খাঁচার ফাক দিয়ে, রুফাইদার হাত তার হাতের মুঠোয় ভরে রেখেছে। দুজনেই জেনে গভীর নির্দ্রায়। দেখে মনে হচ্ছে একটা যুগলের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই খাঁচা আর শিকল। জয়নবের বুক মোচড় দিয়ে উঠলো। আদর কাউকে ডেকে বলল,

” খুলে দাও!”

খাঁচার দরজা খুলে গেলো। এত দিনের বিচ্ছেদের বোনের জন্য আকুলতা আর সইতো পারলো না সে। এক ছুটে বোনকে জড়িয়ে ধরলো। কাঁদতে কাঁদতে ডুকরে উঠলো। এদিকে শরীরে কারো ভর অনুভব করতেই রুফাইদা তার প্রাণহীন চোখ জোড়া নিয়ে তাকালো। বোনকে নিজের এতো কাছে দেখে যেন শক্ড খেলে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যেন রুফািদার। মনে হচ্ছে কোনো ভ্রম। মনে হচ্ছে তার স্মৃতি শক্তি খেলা করছে তার সাথে। বার বার চোখের পলক ফেলে ধাতস্থ করলো নিজেকে। যখন বুঝতে পারলো এটি তার ভ্রম নয়! তখনি বোন জড়িয়ে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলো রুফাইদা। রুফাইদার কান্নার শব্দে অভিনব নিজেও জেগে উঠলো। অবাক হয়ে দেখতে লাগলো দু বোনের ক্রোন্দন।

এভাবেই কিছু মুহূর্তে কেঁটে গেলো। রুফাইদার যখন হুশ এলো, তার বোন এখানে কি করছে? সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করলো সে,

” তুই তুই কি করছিস এখানে? কেনো এসেছিস এই জাহান্নামে? ”

জয়নব মুচকি হেসে বলল,

” তোমাকে বাঁচাতে বড়পু!”

রুফাইদা অবাক হয়ে বলল,

” তোর এখানে মোটেও আসা উচিত হয়নি! চলে যা যত জলদি সম্ভব চলে যা।”

” আপু আমি তোমাকে মুক্ত করতেই এসেছি। ”

রুফাইদা ম্লান হাসলো। বলল,

” আমার মুক্তি নেই জয়নব। এখানে যারা চলে আসে? তাদের কখনো মুক্তি নেই!”

জয়নব রুফাইদার মাথায় আলতো ভাবে হাত বুলিয়ে বলল,

” আছে আপু মুক্তি আছে, আমি তোমাকে মুক্ত করবো!”

রুফাইদার চোখ মুখ যেন চক চক করে উঠলো। বাচ্চাদের মতো ব্যবহার করতে লাগলো সে। মুলত এত মাস এভাবে একটি রুমে বন্দি থাকতে থাকতে ওর মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তখনি আদরের দিকে তাকালো জয়নব। আদর যখন তাদের কাছে এলো রুফাইদা ভীত বাচ্চাদের মতো গুটিয়ে নিলো নিজেকে। লুকিয়ে ফেললো জয়নবের পিছনে। তা দেখে আদর বলল,

” রুফাইদা ভাবি! আজ থেকে আপনি মুক্ত। অভিনব ভাইয়ার সাথে আপনি নতুন জীবন শুরু করবেন।”

রুফাইদা ভয়ে ভয়ে তাকালো। জয়নবের পিছন থেকেই বলল,

” সত্যি!”

আদর মাথা নাড়লো। তখনি পিছন থেকে অভিনব হুংকার ছেড়ে বলল,

” আদর? আবার কি নতুন খেলায় মেতেছিস তুই?”

আদর মুচকি হেসে ভাইয়ের কাছে গিয়ে পায়ের শিকল খুলে দিলো,

” ভাই নতুন জীবন শুরু করো। শুভ কমনা তোমাদের!”

অভিনব বেকুবের মতো তাকিয়ে রইলো শুধু, হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে আদরের মুখের অভিব্যক্তি। এই হাসির পিছনের রহস্য টা কি?”

সেদিন সত্যি রুফাইদা আর অভিনবকে ছেঁড়ে দেয়া হলো। রুফাইদাকে ভালো ট্রিটমেন্টের জন্য দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিলো অভিনবের সাথে। এতে তারা অনেক খুশি।বোনের খুশিতে জয়নব নিজেও খুশি ছিলো সেদিন । এর পর দিন যেতে লাগলো, সময় কাঁটতে লাগলো। বছর ঘুরতে লাগলো। কিন্তু আদর তার প্রণয়ের দহনে পুরতে লাগলো। তার বড় কারণ ছিল জয়নবের গড়া অদৃশ্য দেয়াল। আদর জয়নবের কাছে অনেক আসতে চেয়েছে, গভীর ভাবে আপন করতে চেয়েছে কিন্তু জয়নব যেন সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলো তাকে। এর পরেই জয়নব সুযোগ বুঝে তার শত্রুদের পথ থেকে সরাতে চাইলো। কিন্তু যখন সে পালাতে চাইলো এই চারদেয়ালের বন্দী শলা থেকে… তখনি ধরা পরে গেলো আদরের কাছে……!

এসব ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো জয়নব।।

———-

” বেলেনা উদ্ভিদ? ”

” হ্যাঁ বেলেনা উদ্ভিদ! এই উদ্ভিদের ব্লিচ দিয়েই মারা হয়েছে এদের!”

” এটা আবার কেমন উদ্ভিদ? আর কিভাবে মারা হলো এটি দ্বারা?”

অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো আবির। ফরেনসিক ল্যাবের ডাক্তার তখন বলে উঠে,

বেলাদোনা একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ, সোলানাসি পরিবারে অন্তর্ভুক্ত, ইতালিয়ান থেকে অনুবাদ করা অর্থ “সুন্দরী মহিলা”। লোকে একে বেলাদোনা, ক্রেজি চেরি, স্লিপ বোকা, রাবিদ বেরি, কুকুরের চেরি এবং অন্যান্য নাম বলে।

প্রাচীন মিশরের মহিলারা তাদের চোখে বেলডোনা রস পুঁতে ফেলেন, যখন শিষ্যরা সঞ্চারিত হন এবং একটি জাদুকরী ঝলক চোখে উপস্থিত হয়েছিল। গালেও রস দিয়ে মাখানো হত এবং এ থেকে তারা একটি উজ্জ্বল ব্লাশ অর্জন করেছিল।

সর্বকালে, বেলাদোনা অন্যতম বিষাক্ত উদ্ভিদ হিসাবে বিবেচিত হত। যে ব্যক্তি বেরিটি খেয়েছিল তার চলাফেরা করার, হাসতে আগ্রহ ছিল, সেখানে ভিজ্যুয়াল এবং শ্রাবণ হ্যালুসিনেশন এবং উড়ানের অনুভূতি ছিল। মধ্যযুগে, বেলাদোনা ডাইনিট্রাক্ট ড্রিঙ্কস এবং মলমগুলির অংশ ছিল। মহিলারা, এই জাতীয় ককটেল পান করেছেন বা এই জাতীয় ক্রিম গন্ধ পেয়ে নিজেকে হতবাক করেছেন এবং তাদের কাছে যেমন মনে হয়েছিল, “বাতাসে উড়েছিলেন”।
এর একটি ঘটনা অবশ্যি আছে।
প্রাচীন কালে, ইতালির একটি শহরে বেলাদোনা নামে এক সুন্দরী মহিলা থাকতেন। এই মহিলার একটি অপ্রীতিকর বৈশিষ্ট্য ছিল: তিনি কথা বলার সাথে সাথে তার জিহ্বা নোংরা শব্দের জলপ্রপাতটি ছড়িয়ে দিল। ছোটবেলায় মেয়েটি তার মায়ের সতর্কবাণী শুনে না, বনে অজানা একটি কালো বেরি খেয়েছিল এবং তার মন হারিয়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে, তার মন সাফ হয়ে গেছে, এবং অবাধ্য ভাষা অবাধ্যতার অনুস্মারক হিসাবে রয়ে গেছে। একবার শহরে একজন ঘোরাফেরা করল। বেলাদোনের বাড়িতে গিয়ে তিনি তার কাছে জল চেয়েছিলেন। জবাবে দুষ্টু কথায় স্রোতের কথা শুনে বৃদ্ধা তার কর্মীদের সাথে মাটিতে আঘাত করলেন এবং বললেন:

তবে আপনি সর্বদা বিষাক্ত হন, তবে … মানুষের পক্ষে উপকারী।”

সেই থেকে, মহিলাটি অদৃশ্য হয়ে গেছে, এবং তার উঠানে একটি নতুন উদ্ভিদ হাজির হয়েছে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকে, নোংরা বেগুনি রঙের বেল আকারের ফুলগুলি তার উপর খুলতে শুরু করে। এবং গ্রীষ্মের শেষে, চেনি চকচকে কালো-বেগুনি বেরগুলি ছোট চেরির মতো পাকা হয়।

হাজার বছর আগেও আভিচেনা লিখেছিলেন: “বেলেনা এমন একটি বিষ যা পাগলামি সৃষ্টি করে, স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে, শ্বাসরোধ ও দানবীর কারণ হয়।”

আবির এসব শুনে শুকনো ঢুক গিললো। মেহজাব নিজেও চকিত হয়েছে। একেকটা খুনের জন্য কতটুকু গেঠেছে খুনিটা! তখনি মেহজাব বলল,

” আগের লাশ গুলো থেকে কেন বুঝতে পারলেন না মরার কারণ! আর এটাই বা বুঝলেন কিভাবে!”

ডাক্তার হেসে বললেন,

” ভালো প্রশ্ন! ব্লিচডের যে কোনও অংশই বিষাক্ত। উদ্ভিদে রয়েছে বিষাক্ত অ্যালকোলয়েড, তেতো গ্লাইকোসাইড, ফ্যাটি অয়েল, এট্রপাইন গ্রুপ, রেজিন। ফুলের সময়কালে বিষের সর্বাধিক সামগ্রী। বেলিনে থাকা এট্রপাইন একটি নিউরোটক্সিক এবং সাইকোট্রপিক প্রভাব ফেলে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রাণঘাতী ডোজ 100 মিলিগ্রাম পদার্থ, 10 মিলিগ্রাম শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত। অ্যাট্রপাইন ত্বকের মাধ্যমে খুব দ্রুত শোষিত হয়। পদার্থটি প্রস্রাবে 14 ঘন্টার মধ্যে নির্গত হয়। আর আগের লাশ গুলোতে তোমরা এখানে পাঠাতে পাঠাতে পুরো ২৪ ঘন্টা পার করে ফেলতে এবারের কেইস টা ভিন্ন।”

মেহজাব বাঁকা হাসলো। একজন মানুষ কতটা রিসার্চ করেছে এই খুন গুলো করতে। এতটুকু সময় যদি ভালো কাজে ব্যয় করতো। হয়তো দেশ উন্নতি হতো। মেহজাবের তবুও বলতে ইচ্ছে করলো,

” ব্রিলিয়ান্ট! ”

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে