Your Lover পার্ট- ৯+১০

0
2502

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_৯+১০

রেস্টুরেন্টে বসে ইভা ভাবছে,”” রাইয়ানকে মারা কি ঠিক হলো? ও এর প্রতিশোধ আবার নিবে তখন কি করবে? বারবার আয়ান যদি সাথে না থাকে তাহলে কি যে হবে, না না আব্বুকে বলবো আায়ানের কথা, আমাদের তারাতাড়ি বিয়ে দেয় জেনো।”” রাফসান, নিলয়,সানভি, আয়ান, তুলি,রাহি,লামিসা,ঈশিতা সবাই খাচ্ছে আর কথা বলে যাচ্ছে কিন্তু ইভার সেদিন কেনো খেয়াল নেই তাই সানভি বললো,

-কি রে তুই খাচ্ছিস না কেনো?
ইভার হাতে আয়ান চিমটি কেটে বলে,
-কি এতো ভাবো?
-আমরা বিয়ে করবো (ইভা)
-কিহ্ (আয়ান)
-কানে শুনো না কি বলছি, আমরা বিয়ে করবো(ইভা)
-দোস্ত তোর মাথা ঠিক নেই এখন আর কথা বলিস না চুপচাপ খেয়ে নে (ঈশিতা)
-আমার মাথা একদম ঠিক আছে (ইভা)
-এমনিতেই মাথার ঘিলু-টিলু নেই আবার যদি হয় মাথা খারাপ তখন কি করবি আয়ান (নিলয়)
-তাই তো ভাবছি, অন্য মেয়ে দেখতে হবে (আয়ান)
-রাইয়ানের মতো মার খাওয়ার শখ হয়েছে তাই না (ইভা)
-আহহা্ আমরা বোনটাকে তোমরা কেনো খেপাচ্ছো, ও এখনো পিচ্চি আছে (তুলি)
-আহারে পিচ্চি বৌ আমার আসো তোমাকে খাইয়ে দেই(আয়ান)
-ঢং করা লাগবে না, আমার হাত আছে একা খেতে পারি (ইভা)
আয়ান তৃষাকে দেখতে পেয়ে বললো,
-আচ্ছা তোমার ঢং ভালো না লাগলে অন্য কেউ আছে যে আমার ঢং লাইক করে (আয়ান)
-সে কে (তুলি)
-এই যে এসেছে (আয়ান)

তৃষাকে দেখে ইভার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। আয়ানের দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।

-হায় আয়ান (তৃষা)
-কেমন আছো? (আয়ান)
-ভালো আছি, তুমি এই পিচ্চি মেয়েদের সাথে কেনো বসে আছো? আমার সাথে চলো (তৃষা)
-তুমিও একটা সময় পিচ্চি ছিলে, একেবারে কেউ বড় হয় না। আর আমি কার সাথে বসবো বা থাকবো তা তুমি ঠিক করার কেউ না (আয়ান)
-এখানে আমরাও আছি দেখতে পাচ্ছো না, আগে আমরা সবকিছু আয়ানের কাছে (সানভি)
-আমাকে ইনসাল্ট করছো কিন্তু (তৃষা)
– তুমিও ওদের ইনসাল্ট করছো (আয়ান)
-আপু আমাদের সাথে বসো (ইভা)
-নো ওয়ে, তোমাদের সাথে আমার যায় না। কালকে রাইয়ানকে পটিয়েছো আজকে আবার আয়ানের সাথে (তৃষা)
-মুখ সামনে কথা বলো, রাইয়ানের সাথে ওর কিছু হয়েছে কি না তা রাইয়ানকে জিজ্ঞেস করে দেখো (আয়ান)
-ওকে নিয়ে কথা বললে তোমার এতো গায়ে লাগে কেনো, কে হয় তোমার(তৃষা)
-এতো কিছু তোমার না জানলেও চলবে (আয়ান)
-আচ্ছা বেবি চলো আমার সাথে, একসাথে বসে খাবো (তৃষা)
-নাহ্, আমার ফ্রেন্ডরা আগে তুমি না (আয়ান)

“”কোনো একদিন তোমাকে আমার করেই ছাড়বো “”তৃষা মনে মনে বিরবির করে রাগে খজ খজ করতে চলে গেলো।

-তুমি কেনো ওর সাথে কথা বলতে গেলে? কি দরকার ছিলো ওকে এখানে বসতে বলা? (আয়ান রেগে বলছে)
-আমি বুঝতে পারি নি ভালো কথা বললেও এমন করবে (ইভা)
-তুমি কখনও কিছু বুঝতে পারবে না,বিরিয়ানি খাবার সাথে অপমান ও খাও। যত্তসব (আয়ান)
-আহ্ দোস্ত এভাবে বকিস না ও না বুঝে বলে ফেলেছে (রাফসান)
-ওকে অপমান করলে আমার ভালো লাগে না তা কেনো বুঝবে না? (আয়ান)
-সরি আর হবে না। নেক্সট টাইম কেউ অপমান জনক কথা বললে তার জবাব দিয়ে আসবো। (ইভা)
-সবার সামনে কথা দিচ্ছো তো (আয়ান)
-হুম (ইভা).

খাওয়া শেষে রেস্টুরেন্টের বিল আয়ান মিটিয়ে ইভাকে বাইকে করে বাসায় পৌঁছে দিলো।
কিছু দিনের মধ্যে তৃষা ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছে আয়ানের সাথে ইভার সম্পর্ক আছে। কিন্তু আয়ান কোনো ভাবে তৃষাকে পাত্তা দিচ্ছে না তাই কিছু বলার সুযোগ নেই।

আজ আয়নের জন্ম দিন তাই ইভা সকালে ঘুম থেকে উঠে খিচুড়ি, ডিম ভাজা আর মুরগীর মাংস রান্না করেছে, আর আমের আচার। আয়ানের দেওয়া নীল শাড়িটা পরেছে সাথে মেচিং নীল চুড়ি ও হিজাব পরেছে, চোখে গাঢ়ো কাজল এবং ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়েছে।

ও হ্যাঁ আপনাদের বলা হয় নি, কক্সবাজার থেকে আসার পর থেকে ইভা কোথাও গেলে হিজাব পরে যায়। ইভার লম্বা চুল আয়ান চায় না অন্য কেউ দেখুক।

ইভা রান্নাবান্না পারে না সকালে এতো রান্না করতে দেখে ইভার মা অবাক হয়ে দেখছে, হঠাৎ করে তার মেয়ের কি হলো? আবার সুন্দর করে সাজুগুজু করছে।
-দেখো তো আম্মু আমায় কেমন লাগছে?
-মাশাল্লাহ। তুই তো এমনিতে অনেক সুন্দর তোর সাজার দরকার হয় না।
-তুমি আমার আম্মু বলে বেশি প্রসংশা করছো?
-আরে না সত্যি বলছি। তবে তুই আজকে কোথায় যাচ্ছিস আর এতো রান্না করলি যে?
-আমরা ফ্রেন্ডরা ঠিক করেছি আজকে সবাই কিছু না কিছু রান্না করে নিয়ে যাবো তাই আর কি.
-কিন্তু কোথায় যাবি?
-বেশি দূর না ধারে কাছে। বিকেলের মধ্যে বাসায় আসবো।
-আচ্ছা সাবধানে থাকিস।
-আচ্ছা আমি আসি।

বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে ইভা আয়ানকে কল দিলো,
-হ্যালো,
-হুম বলো।
-রেডি হয়েছো?
-হুম। তুমি কোথায় এখন?
-এই তো বাসা থেকে বের হয়েছে
-আচ্ছা। আর কিছু বলবে?
-না রাখছি সাবধানে এসো।
-আচ্ছা
-শুনো
-হ্যাঁ বলো
-ভালোবাসি
-আমিও
-রাখছি।
আয়ান আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল ঠিক করে পারফিউম দিচ্ছে আর ভাবছে,
“”আজকে আমার জন্ম দিন আর ইভা একটা বারও উইস করলো না আজকের দিনটা ভুলে যেতে পারলো। বারবার জিজ্ঞাসা করার পরও কিছু মনে পড়লো না। আমাকে নাকি অনেক ভালোবাসে তার নমুনা এই হুহ “”
-কি রে ভাইয়া তোর মন খারাপ? আবার একা একা বিড়বিড় করছিস যে? (আয়ানের বোন আয়েশা)
-না মন অনেক ভালো আছে।
-ভালো থাকলেই ভালো। তবে আমার ট্রিট টা রাতে নিয়ে আসিস।
-তুইও আমার গিফট নিয়ে আসিস
-আমার কাছে টাকা নেই টাকা দে তোর জন্য গিফট কিনে আনবো
– বাবার থেকে টাকা নিয়ে কিনে আনিস। আমার লেট হচ্ছে আমি গেলাম।
-বাবা একটু দাড়া(আয়ানের মা)
-কি
-“আ” কর, তোর জন্য পায়েস রান্না করেছি আর রাতের জন্য তোর সব প্রিয় খাবার রান্না করবো।
-আ” দেও।

আয়ান পায়েস খেয়ে বাসা থেকে বের হলো। ও দিকে ইভা আগে পৌঁছে গিয়েছে। ওদের কথা ছিলো জাস্ট ১১টা বাজে মিট করবে আর আয়ানও ১১টা বাজে হাজির হলো।

-মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ, চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। যুগ যুগ এভাবে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
-থাকো তাকিয়ে আমি কি বারন করেছি নাকি?
-লজ্জা লাগবে না
-নাহ্ তুমিই তো
-তা আজকে হঠাৎ শাড়ি পরেছো যে (এবার অন্তত উইস কর ইভা) “আয়ান মনে মনে বললো”
-ইচ্ছে হলো তাই, এখন চলো কোথায় যেনো আমাকে নিয়ে যাবে।
-হুম চলো তবে তোমার হাতে এতো বড় প্যাকেটটা কিসের?
-একটা জিনিস আছে পরে দেখাবো
-আচ্ছা

শহর থেকে কিছুটা গ্রামের দিকে ওরা গেলো। চারপাশটা সবুজের মেলা, ছোট নদী, আশেপাশে কিছু বাড়িঘর আছে।
গ্রাম অঞ্চল বলে লোকজনেরও বেশি দেখা নেই। পরিবেশটা খুব শান্ত আছে। নদীর ধারে দুজন বসলো,
-আয়ান চোখটা বন্ধ করো
-কেনো?
-করতে বলছি করো
-আচ্ছা।
ইভা এক হাত দিয়ে আয়ানের চোখ ধরে রেখেছে আর এক হাত দিয়ে ব্যাগ থেকে একটা গোলাপ ফুলের তোরা বেড় করে আয়ানকে বললো,
-হ্যাপি বার্থডে টু উই মাই লাভার
-থ্যাকউই মাই সুইটহার্ট।
-ভেবেছিলে আমি তোমার বার্থডে ভুলে গেছি তাই না
-হুম আমার অনেক মন খারাপ হয়েছে আমাকে উইস করো নি বলে
– মেসেঞ্জারে রাত ১২টায় তোমাকে উইস করেছি
-কালকে থেকে একবার বারও মেসেঞ্জারে যাই নি
-জানতাম যাবে না তাই দিয়েছে
-খুব পাজি হয়েছো
ইভা আয়ানের হাতটা ধরে ঘড়িটা পড়িয়ে দিলো। আর পাঞ্জাবি হাতে দিয়ে বললো
-নেও এখন এটা পড়ো
-এখন এখানে কিভাবে পরবো
-এখানে কেউ নেই তো পরো
-আচ্ছা উঠো, ঐ যে বাড়ি দেখছো ওখানে আমি কয়েক বার এসেছি তারা আমাকে চিনে, তাদের বাসায় গিয়ে পাঞ্জাবিটা পরে আসি।
-হুম চলো

আয়ান ফ্রেন্ডের সাথে দুবার ঘুরতে এসে বৃষ্টিতে আটকা পরে একটা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলো সে বাড়িতে এখন গেলো।

চলবে,,,

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১০

-আসসালামু ওলাইকুম চাচা! কেমন আছেন?
– ওয়ালাইকুম সালাম, ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছো?
-আলহামদুলিল্লাহ।
-তুমি কখন আসছো?
-এই একটু আগে এসেছি।
-তা বাবা তোমার বাসার সবাই কেমন আছে? তোমার সাথে মেয়েটা তোমার বৌ?
-জ্বি, চাচা ভালো আছে। হবু বৌ আমার
ইভা মতিউর চাচাকে সালাম করলো।
-মাশাল্লাহ দেখতে, তোমরা সুখী হও দোয়া করি।
-চাচা বাসায় কেউ নেই?
-হ্যাঁ হ্যাঁ আছে। কই গো সুলতানের মা দেখো কে এসেছে?

সুলতানের মা এসে বললো,
-আরে আয়ান বাবা যে, কেমন আছো? আজকে সাথে করে বৌ নিয়ে এসেছো?
-ভালো আছি, আপনি ভালো আছেন? হবু বৌ নিয়ে আসছি আপনাদের দেখাতে।
-হ্যাঁ। মাশাল্লাহ দেখতে।
তুমি কি গো ওগো ভিতরে বসতে দিবা না (সুলতানের বাবার উদ্দেশ্যে বলেছে)
-হ্যাঁ তাই তো। চলো মা ভিতরে গিয়ে বসো।
-না না আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। (ইভা)
-সে কি মা তুমি এই প্রথম আর খালি মুখে যাবা তা হবে না
-অন্য একদিন সময় করে আসবো। চাচা সুলতান বাসায় নাই?
-ও স্কুলে গেছে।
আয়ান অনেক গুলো চকলেট সুলতানের মায়ের হাতে দিয়ে বললো,
-এগুলো সুলতানকে দিবেন আর চাচা আপনার নৌকার বৈঠাটা দেন।
-হ্যাঁ এই নেও।
-চাচা আমি ড্রেসটা চেঞ্জ করবো, ভিতরে যেতে পারি?
-হ্যাঁ যাও।
আয়ান ভিতরে গিয়ে পাঞ্জাবি পরে এসলো। ইভা নতুন করে আয়ানের প্রতি ক্রাস খেয়েছে। নীল পাঞ্জাবি, হাতে ঘড়ি, চোখ সানগ্লাস এতো গুলা কিউটের বাক্স যা দেখে যে কেউর ক্রাস খাবে।

তাদের থেকে বিদায় নিয়ে দুজনে নৌকায় বসলো।
-আয়ান আমার ভয় করছে যদি পানিতে পরে যাই।
-পরবে না আমি আছি তো।
-বৈঠা বাইতে হবে না এমনি বসে থাকি।
-আরে ভয় পেও না।
-ওনারা খুব ভালো মানুষ তাই না।
-হুম, একবার দুপুর খুব বৃষ্টি তখন ওনাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন খেতেও দিয়েছিলো।
-হ্যাঁ। আমাদের বিয়েতে তাদের ইনভাইট করবো।
-আচ্ছা।
-তোমাকে আজকে এতোগুলা সুন্দর লাগছে
-আগে বুঝি এতোগুলা সুন্দর লাগে নি?
-লেগেছে তো তাও আজকে একটু অন্য রকম।
-তোমার হিজাবটা খুলো,
-কেনো? তুমি তো বলেছো বাসার বাইরে হিজাব না পরে যাওয়া যাবে না।
-আমি বলছি খুলো।
-আচ্ছা খুলছি।
আয়ান মনোমুগ্ধকর ভাবে তাকিয়ে আছে। আজকে দুজনের ভালো লাগা প্রকৃতির মাঝে অন্য রকম ভাবে ফুটে উঠেছে।
আকাশে মেঘ জমেছে, বাতাস বইতে লম্বা চুল এলোমেলো হয়ে আয়ানকে পাগল করে দিচ্ছে। ইভার ঘারে চুমু এঁকে দিয়ে শুর ধরলো,

-“কন্যারে কন্যারে বাঁকা চুলেতে খোঁপা আর বাইন্ধো না রে , ওই চুলেতে জাদু আছে আমার ঘুম আসে না রাতে একলা ঘরে”

-বাহ্ তোমার গানের গলা খুব ভালো। আগে কখনো গান গেয়ে শোনাও নি কেনো?
-বারে তুমি বুঝি কতো গান গেয়ে আমাকে শুনিয়েছো?
-আমি তোমার মতো ভালো পারি না।
-আমিও পারি না কিন্তু আজকে কেমন জানো তোমাকে কাছে পেয়ে রোমান্টিকতায় গেয়ে ফেলছি।
-এখন থেকে মাঝে মাঝে গান গেয়ে শোনাবে
-আচ্ছা । তোমার ইচ্ছে ছিলে নৌকায় চড়ার সে ইচ্ছা তো পূরণ করেছি, এখন বাড়ি ফেরা যাক।
-না আরও কিছুক্ষন থাকবো।
-বৃষ্টি নামবে তো
-নামুক, আজ দুজনে বৃষ্টিতে ভিজবো
-না তোমার ঠান্ডা ধাঁজ আছে।
-প্লিজ
-নাহ্।
-এখন উঠি চলো
-এতো বড় ব্যাগ নিয়ে এসেছি কি করতে হ্যাঁ
-তা আমি কি জানি?
-জানতে তো হবে, এটার মধ্যে তোমার জন্য খাবার এনেছি।
-শাশুড়ী আম্মা খাবার পাঠিয়েছে আর তুমি এখনও খেতে দেও নি।
-শাশুড়ী আম্মা না আমি রান্না করেছি।
-তুমি আবার রান্না বিশ্বাস হচ্ছে না
-তাহলে খেয়ে দেখো তোমার ফেভারিট খিচুড়ি, ডিম, আমের আচার আর মুরগীর মাংস।
-শুনে তো জিভে পানি এসে গেলো, তাড়াতাড়ি খাইয়ে দেও “আ”
-নেও।
-উম অনেক মজা হয়েছে সত্যি।
-ধন্যবাদ
দুজন দুজনকে খাইয়ে দিলো। খাওয়া শেষে আয়ান বৈঠা বেয়ে গান শুরু করলো,

“”তুমি না ডাকলে আসব না,
কাছে না এসে ভালোবাসবো না,
দূরত্ব কি ভালাবাসা বাড়ায়,
নাকি চলে যাওয়ার বাহানা বানায়।
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল, গল্পটা পুরোনো
ডুবে ডুবে ভালোবাসি তুমি না বাসলেও আমি বাসি।(২)

এটা কি ছেলে খেলা আমার এই স্বপ্ন নিয়ে,
চাইলে ভেঙ্গে দেবে গুড়ে দেবে ইচ্ছে হলে।
আমি গোপনে ভালোবেসেছি,
বাড়ি ফেরা পিছিয়েছি তোমায় নিয়ে যাবো।
একবার এসে দেখো এসে বুকে মাথা রেখো,
বুলে দেবো চুলে রেখে হাত।
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল গল্পটা পুরোনো,
ডুবে ডুবে ভালোবাসি,
তুমি না বাসলেও আমি বাসি……………….!””
(নিজ দ্বায়িত্বে গান শুনে নিবেন)

ইভা চিৎকার করে বলছে,
-I LOVE U AYAN, I REALLY LOVE U SO MUCH
-I LOVE U A LOT EVA PAKHI
-আজকের দিনে কথা দেও সারা জীবন আমাকে তোমার ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবে।
-হুম কথা দিলাম। সত্যি আজকে তুমি দারুন সারপ্রাইজ দিলা। আমি খুব খুব খশি।
-তোমাকে খুশি করতে পেরেছি তাতে আমি ধন্য।
-পাগলী
-দেখেছো পিক তুলতে তো ভুলে গেছি
-তাই তো চলো পিক তুলি।

অনেক পিক তুলে নৌকা থেকে নেমে মতিউর চাচাকে বৈঠা ফেরত দিতে যাবে তখন সুলতানের সাথে দেখা,
-ভাইয়া কেমন আছেন?
-ভালো, তুই কেমন আছিস?
-ভালো, সঙ্গে কি ভাবি?
-হুম।
-বৈঠাটা নে, আর বাসায় চকলেট রেখে আসছি।
-আচ্ছা,আবার আসবেন।
-হুম

ইভা -আয়ান হাটতেছে।সামনে একটা ইটে ইভার পায়ে বেজে হচোট খেলো, ভাগ্যিস আয়ান হাত ধরা ছিলো পরে যায় নি।
-চোখ থাকে কোথায়? দেখে চলতে পারো না
-চোখ তোমার দিকে থাকে।
-এখন আমার দিকে না তাকিয়ে নিজের শাড়ির দিকে তাকাও
-হায়রে এটাও হওয়ার ছিলো, এখন কি করবো।
-your_lover all time protect you. বলে আয়ান ইভাকে কোলে তুলে নিলো। ইভা আয়ানে জাপ্টে চোখ বন্ধ করে ধরলো। ইভার এরকম অবস্থা দেখে আয়ান বললো,
-ফালিয়ে দিলাম।
-নাহ্
-তাহলে চোখ খুলো
-আমার লজ্জা লাগে
-আমি খুলতে বলছি
-আচ্ছা খুলছি
আয়ান ইভার কপালে চুমু এঁকে দিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো।
-এখন শাড়ি ঠিক করে নেও।
-হুম, তুমি বাইরে থাকো আমি যতোক্ষণ না বলবো ততক্ষণে আসবে না।
-হাহাহাহা একটু আসি
-পাঁজি যাও এখান থেকে
-হাহাহা।

ইভা শাড়ি ঠিক করে আয়ানকে ডাক দিলো, আয়ান গাড়ি স্টার্ট দিতে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। সাথে গান চলছে,

“এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো,
এই পৃথিবীটা যদি স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো”,

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে