#Unending_love♥️
লেখা- পূজা
পর্ব-৫
।
বর্নকে ওর বাবা বাসায় নিয়ে আসার পর বলেন,,
—- তুই আর ওই মেয়ের সাথে কথা বলবি না। আর দেখা ও করবি না। ওই মেয়েকে আমি কখনোই মেনে নেবো না। তবে যদি ও ওর ফ্যামিলি ছেড়ে ওর বাবাকে ছেড়ে একেবারে এখানে চলে আসতে পারে তাহলেই মেনে নেবো।
বর্ন ওর বাবার কথা শুনে অবাক হয়ে বললো,
—- এটা কি বলছো তুমি। ও কিভাবে ওর ফ্যামিলি ছেড়ে আসবে। আর তুমি এরকম কথাই বা কেনো বলছো। প্লিজ বাবা বলো কেনো তোমরা এমন বিহেভ করলে। তোমাদের কথায় মনে হলো তোমরা আগে থেকেই চিনো।
—- হ্যা চিনি ছোট বেলা থেকেই চিনি। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো। কিন্তু এখন নয়। আর কি হয়েছে, না হয়েছে এসব আমি তকে বলতে পারবো না। আশা করি আমার কথাটা বুঝতে পেরেছিস। আমি যা বললাম তাই করবি। আর তারপর ও যদি তুই আমার কথার অমান্য করিস তাহলে মনে করিস তর বাবা মরে গেছে।
—- বাবা!! এটা কি বলছো তুমি।
বর্নর বাবা আর কিছু না বলে রুমে চলে যান। বর্নর মা বর্নর কাছে এগিয়ে এসে বললেন,,
—- কষ্ট পাস না। তর বাবা তিয়াকে কখনো মানবেন না। আর আমি তিয়াকে যতোটুকু চিনেছি ও ওর মা বাবাকে কখনো ছারতে পারবে না। মনকে শক্ত কর। পারলে ভুলে যা।
বর্ন ওর মার কথা শুনে অবাক হয়ে ওর মার দিকে তাকালো আর বললো,
—- এসব কি বলছো তুমি। তুমি জানো তিয়াকে আমি কতটা ভালোবাসি। কখনো কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাই নি পর্যন্ত। তিয়াই ছিলো আমার লাইফ এর ফাস্ট মেয়ে আর তুমি বলছো ওকে ভুলে যেথে। কিভাবে ভুলবে বলবে।
বর্নর কথা শুনে বর্নর মার খুব কষ্ট হচ্ছে। যখন প্রথম বর্নর মুখে তিয়ার কথা শুনেছিলেন আর তিয়াকে মেনে নিয়েছিলেন তারা বর্ন যে কতো খুশি হয়েছিলো। বর্নর মা এতো খুশি বর্নকে এর আগে কখনো দেখেননি। আর আজ বর্ন যতটা কষ্ট পাচ্ছে এতো কষ্ট পেতে ও বর্নকে আগে দেখেন নি। উনি কি করবেন বুঝতে পারছেন না। রুমে গিয়ে বর্নর বাবাকে অনেক বুঝালেন কাজ হয়নি। বর্ন রুমে দরজা বন্ধ করে বসে আছে। ওর চোখের সামনে শুধু তিয়ার কান্না করা মুখটা ভেসে আসছে। এই তিন বছরে বর্ন তিয়াকে এরকম কান্না করতে কখনো দেখে নি। শুধু একদিন দেখেছিলো যখন বর্ন বলেছিলো যদি বর্ন তিয়াকে ছেড়ে চলে যায় তো তিয়া কি করবে এটা শুনে তিয়ার সে কি কান্না। বর্ন কোনোভাবেই তিয়াকে থাকাতে পারছিলো না। কান্না থামাতে বর্ন তিয়ার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে নেয়। যখন তিয়া শান্ত হয় তখন বর্ন তিয়াকে ছেড়ে দেয়। তারপর কান্নার বদলে কি লজ্জা পাচ্ছিলো এক ঘন্টা বর্নর দিকে চোখ তুলে তাকায় নি।
বর্ন এসব ভাবছিলো আর চোখ দিকে একফোটা জল গরিয়ে পরলো। বর্ন কখনো কাদে নি।
.
এদিকে তিয়াকে ওর বাবা বলেন,
—- শুনো আমি জানতাম না বর্ন এই ধোকাবাজের ছেলে। জানলে কখনোই দেখা করতে রাজি হতাম না। এখন একটা কথা ক্লিয়ারলি বলছি। বর্নকে ভুলে যাও। এই ছেলের সাথে তোমার বিয়ে আমি কিছুতেই দেবো না।
তিয়া কাদতে কাদতে ওর বাবাকে জরিয়ে ধরে বললো;
—- প্লিজ বাবা এসব বলো না আমি বর্নকে ছাড়া বাচবো না। অনেক ভালোবাসি। প্লিজ আমাকে ওর থেকে আলাদা করো না।
—- তোমার এমন ইমোশনাল কথায় আমার মন কিছুতেই গলবে না। যা বলছি তাই করো। বর্নর সাথে আজকের পর কোনো কথা বলবে না আর দেখা ত করবে না। ওকে ভুলে যাও।
বলেই তিয়ার বাবা নিজের থেকে তিয়াকে চারিয়ে এখান থেকে চলে গেলেন। তিয়ার ভাবি তিয়ার কাছে এসে তিয়াকে জরিয়ে ধরলেন। আর বললেন,
—- কান্না বন্ধ করো। সব ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে কেউ কাদে।
—- ভাবি আমি ওকে ছাড়া বাচবো না। প্লিজ কিছু করো। আমি এখন কি করবো।
—- তুমি আগে কান্না বন্ধ করো। আর রুমে চলো।
তিয়ার ভাবি তিয়াকে রুমে নিয়ে গেলেন। তিয়ার মা তিয়ার বাবার কাছে গিয়ে অনেক বুঝালেন। তিয়ার কষ্ট উনি সহ্য করতে পারছেন না। একটাই মেয়ে খুব আদরের। কখনো চোখের জল আসতে দেন নি। আর আজ এতো চোখের জল পেলছে কিভাবে সহ্য করবেন। কিন্তু তিয়ার বাবার এক কথা তিনি কিছুতেই বর্নকে মেনে নেবেন না। প্রায় এক মাস ওরা বুঝায় কোনো কাজ হয় না। তারপর বর্ন তিয়ার খুশির জন্য তিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তবে ও লুখিয়ে দেখতে যেতো তিয়াকে। তিয়া ফোন দিলেও ভালো ভাবে কথা বলতো না। প্রায় দুমাস তিয়াকে বর্ন ওর মুখ দেখায় নি। পরশু তিয়া এমনভাবে দেখা করার কথা বললো আর না করতে পারে নি।
.
তিয়া ক্লাস শেষ করে সায়রার সাথে হেটে হেটে বাসায় চলে আসে। তিয়াকে রুমে যেথে দেখে ওর মা ওর রুমে গেলেন। তিয়া বিছানায় বসে ছিলো। উনি পাশে গিয়ে বসেন আর তিয়ার মাথায় হাত রেখে বলেন,,
—- নিজের একি অবস্থা করছিস। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করিস না। ঘুমাস না। এসব করলে কি চলবে।
—- তো আর কি করবো। তোমরা তো তাই চাও। তো আর এসব বলছো কেনো।
—- তুই জানিস আমি এসব চাই না। তারপরো আমাকে এসব বলছিস।
—- বাবা ভাইয়া ওরা ত চান। ওদের জন্যই করছি। আমি মরি বাচি তাতে ওদের কিছু যায় আসে না।
—- মরার কথা বলিস না দয়া করে কোনো মায়ের সামনে। আমি তর বাবাকে কম বুঝাই নি। কিন্তু ও রাজি হচ্ছে না তো কি করবো বল। জানি না বর্নর বাবার উপর ওর কিসের এতো রাগ। রাগের কারন টা জানলে হয়তো কিছু একটা করা যেতো। তুই এক কাজ কর। এই ব্যাপারে বর্নর সাথে কথা বলে দেখ।
—- ঠিক বলেছো। আমি এক্ষণি ফোন দিচ্ছি।
—- না। আগে খেয়ে নে। ও তো এখন অফিসে। খেয়ে কিছুক্ষণ পর ফোন দিস।
—- ওকে। আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
—- আমি খাবার বারছি।
তিয়ার মা চলে যান। তিয়া মনে মনে ভাবতে লাগলো, “আজ অনেকদিন পর একটা আশার আলো দেখতে পারছি। থ্যাংক ইউ মা। একবার জানি ওদের মাঝে কি হয়েছিলো। সব জানলে এর সমাধান করার কোনো রাস্তা বের করতে পারবো। তারপর আমি ও আমার বর্নকে পেয়ে যাবো। সত্যিই পাবো তো?”
এসব ভেবে তিয়া ফ্রেস হয়ে খেয়ে নিলো। তারপর একটু ঘুমিয়ে নিলো। সন্ধ্যায় তিয়ার ঘুম ভাঙ্গলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে। বর্নকে ফোন দিলো। একবার রিং হতেই বর্ন ফোন রিসিভ করলো। তিয়া বললো,
—- তোমার সাথে আমার খুব ইমপর্টেন্ট কথা আছে।
—- হুহ বলো।
—- আমার বাবা আর তোমার বাবার মাঝে কি হয়েছে এটা জানার চেষ্টা করো। যদি এটা জানতে পারি তাহলে এর একটা সমাধান করতে পারবো। ওদের মাঝের রাগটা কমাতে পারি।
—- আমি বাবার সাথে কথা বলেছিলাম। বাট বাবা এই বিষয়ে কিছু বলতে চান না।
—- কেনো?
—- আমি জানি না। বাদ দাও এসব। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। আর কাল দেখা করার জন্য তোমার বাবা আমার বাবাকে অনেক কথা শুনিয়েছেন। এখন তো বাবা আমার উপর রাগ করে কথা বলাই বন্ধ করে দিছেন।
—- কিই? তাহলে কি আর আমাদের দেখা হবে না।
তিয়ার ফুফিয়ে কান্নার আওয়াজ বর্নর কান পর্যন্ত আসছে। বর্ন কি করবে, না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। একদিকে বাবা অন্যদিকে তিয়া। দুজনকেই নিজের থেকে বেশি ভালোবাসে।
—- আরেএ দেখা করবো না কখন বললাম। তুমি কান্না বন্ধ করো। যখনই সময় পাবো দেখা করবো।
—- প্রমিস।
—- হুম।
—- না বলো।
—- প্রমিস।
—- ওকে। আর শুনো। তুমি আর একটু চেষ্টা করে দেখো জানতে পারো কিনা। আর নয়তো তাদের কমন কোনো ফ্রেন্ডকে খুজে বের করতে হবে।
—- হুম। আমি চেষ্টা করে দেখবো। তুমি চিন্তা করো না। আর এখন পরতে বসো। সামনে ফাইনাল এক্সাম।
—- ওকে। বাই।
—- বাই।
বর্ন ফোন কেটে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলো। মাথায় অনেক ব্যাথা। অফিসের টেনশন বাসার টেনশন সব মিলিয়ে বর্নর অবস্থা খুব খারাপ। বর্ন ফোন দিলো আয়ানকে। আয়ান সাথে সাথেই ফোন রিসিভ করলো। আর বললো,
—- যাক। ভুলিস নি তাহলে আমাকে।
—- তকে কি ভুলতে পারি। তুই তো জানিস আমি কিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
—- হুম জানি।
—- আজ একটু দেখা করতে পারবি। আমার অবস্থা খুব খারাপ। তুই ছাড়া আর কে আছে যার সাথে এসব সেয়ার করবো।
—- তুই এখনই চলে আয়।
—- আমি গাড়ি নিয়ে তর বাসার সামনে আসছি।
—- ওকে।
বর্ন ফোন কেটে ফ্রেস হয়ে নিলো। রেডি হয়ে চলে গেলো আয়ানের বাসার সামনে। গিয়ে আয়ানকে ফোন দিলো। ফোন দেওয়ার পরই আয়ান বাইরে বের হলো।
গাড়িতে উঠলো। বর্ন গাড়িটা একটা নির্ঝন জায়গায় নিয়ে গেলো। সামনে একটা পুকুর পাড়। দুজন নিচে বসলো। আয়ান বললো,
—- এবার বল কি হয়েছে আবার।
বর্ন আজ তিয়ার সাথে যা যা কথা হয়েছে সব বললো।
তা শুনে আয়ান আবার বললো,
—- তিয়া একদম ঠিক বলেছে। এটাই লাস্ট চান্স। এটা কাজে লাগা।
—- বাট বাবা তো কিছুই বলতে চান না।
—- তর বাবা আর তিয়ার বাবার কোনো কমন ফ্রেন্ডকেই খুজে বের কর।
—- আচ্ছা তর বাবা এই বিষয়ে কি কিছু জানেন। উনার তো বাবার সাথে খুব ভালো রিলেশন।
—- তা তো জানি না।
—- আজ একটু কথা বলে দেখবি।
—- ওকে। আমি বাসায় গিয়েই বাবার সাথে কথা বলবো। কিছু জানতে পারলে তকে বললো।
—- থ্যাংকস।
—- তুই আমাকে থ্যাংকস বলছিস।
বর্ন উঠে আয়ানকে জরিয়ে ধরলো।
—- তুই তো আমার ভাই এর থেকে ও বড়। আমার সব প্রবলেম এ আমার সাথে থাকিস। তকে আর থ্যাংকস দিয়ে ছোট করবো না।
—- ওকে। এখন চল। মনে তো হচ্ছে কিছু খাস নি। খেয়ে নিবি।
—- খিদে নেই।
—- চুপচাপ চল।
আয়ান বর্নকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট এর গেলো। গিয়ে বর্নকে কিছু খাইয়ে দিলো। তারপর বর্ন আয়ানকে ওর বাসায় ড্রপ করে নিয়ে বাসায় চলে গেলো। গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো।
এদিকে তিয়া বই নিয়ে বসলে ও ওর মাথায় শুধু বর্নর কথা ঘুরছে। হঠাৎ ওর চোখ গেলো টেবিলের উপর রাখা নুপুর এর দিকে। তিয়া উঠে গিয়ে নুপুরটা আনলো আর পায়ে পরলো। এটা বর্নর দেওয়া প্রথম উপহার।
তখন সবে তাদের রিলেশন শুরু। প্রথম প্রথম তিয়া বর্নর সাথে কথা বলতে বর্নর দিকে তাকাতে খুব লজ্জা পেতো।
সেদিন ছিলো শুক্রবার। তিয়া বর্নর সাথে বেরিয়েছে। বর্ন কোথায় যেনো ওকে নিয়ে যাবে।
—- কোথায় নিয়ে যাবে বলো না।
—- আরে বাবা। বললাম তো সারপ্রাইজ। বললে কি আর সারপ্রাইজ থাকবে।
—- তবুও।
—- আর একটু এসে গেছি। চোখ বন্ধ করো।
—- চোখ বন্ধ করলে হাটবো কি করে।
—- আমি আছি না।
বর্ন এক হাত দিয়ে তিয়ার চোখ বন্ধ করে। অন্য হাত দিয়ে তিয়ার হাত ধরে সামনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে বর্ন ওর হাত ছেড়ে দেয়। তিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
—- ওয়াও মেলা।
—- হুম। চলো। আজ তোমার যা পছন্দ সব কিনে দেবো। আর বলো কি খাবে।
তিয়া আরেকটু সামনে এগিয়ে যায়। বর্নকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে দেখায় হাওয়াই মিটাই খাবো। বর্ন একটা হাওয়াই মিটাই কিনে আনে।
—- একি একটা আনলে কেনো। আমি কিন্তু তোমায় দেবো না।
—- আমায় রেখে খেতে পারবে।
—- এটা ঠিক না। আমি এটা কাউকে ভাগ দেই না।
—- কেউ আর আমি কি এক।
—- না। ওকে আসো। তবে একটু দেবো।
—- এটা লাগবে অন্য একটা মিষ্টি দিলেই হবে।
—- কি?
—- বলবো।
—- বলো।
বর্ন তিয়ার কাছে এগিয়ে যায়। গিয়ে তিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,
—- এটার থেকে ও মিষ্টি তো তোমার ঠোটের ছোয়া এটা দিলেই আমার হয়ে যাবে।
তিয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে। বর্ন আবার বলে,
—- কি হলো দিবে না।
—- ধুর তুমি না। চলো তো।
—- পাওনা কিন্তু রয়ে গেলো।
—- তুমি আসবে?
—- চলো।
তিয়া হাওয়াই মিটাই খাচ্ছে আর বর্ন তিয়াকে দেখছে। হঠাৎ তিয়া চিল্লিয়ে বললো,
—- কি সুন্দর নুপুর।
—- কোথায়। আর কেউ এভাবে চিল্লায়।
—- সরি। এই দেখো সামনে।
—- চলো।
তারপর বর্ন নুপুর টা কিনে নিজের কাছে রাখে।
—- একি তোমার কাছে রাখছো কেনো। এটা তো আমার জন্য কিনছো।
—- হুম। যাওয়ার সময় পরিয়ে দিবো আমি নিজের হাতে।
—- তাহলে এখনি চলো।
—- আর একটু ঘুরি।
—- না না। অনেক ঘুরছি। চলো।
—- ওকে।
তিয়ার কথায় বর্ন মেলা থেকে বেরিয়ে সামনে গেলো। একটা গাছের গুড়িতে তিয়া বসে পরলো।
—- এবার পরিয়ে দাও।
বর্ন তিয়ার পাশে বসে নুপুরটা পরিয়ে দিলো। নুপুর পরিয়ে তিয়ার পায়ে একটা কিস করলো। সাথে সাথে তিয়া কেপে উপলো।
এসব ভাবছে আর তিয়া কাদছে। নুপুরের দিকে তাকিয়ে আছে।
এরকম আরো কতো শত স্মৃতি রয়েছে। সব অতিত। অতিতটাই খুব সুন্দর ছিলো। এসব ভাবতে ভাবতে একসময় তিয়া ঘুমিয়ে পরে। রাত সারে দশটা তিয়া মা এসে তিয়াকে ডাকেন খাওয়ার জন্য।
তিয়া উঠে ড্রাইনিং টেবিলে যায়। চেয়ারে বসতেই তুষার বলে,
—- বাবা আমার দেখা খুব ভালো একটা ছেলে আছে। তিয়া ওর খুব পছন্দ। ছেলে মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে জব করে। খুব ভালো বেতন পায়।
তিয়ার বাবা একবার তিয়ার দিকে তাকালেন। তিয়া তুষারের কথা শুনে মাথা নিচু করে কাদছে। তিনি বললেন,
—- ছেলেটাকে আসতে বল।
তিয়া আর এখানে তাকলো না। দৌড়ে চলে গেলো রুমে।
।
চলবে?🙄