Unending_love Part-04

0
1866

#Unending_love♥️
লেখা- পূজা
পর্ব- ৪

তিয়ার মা অনেকক্ষণ ধরে দরজা দাক্কাছেন আর ডাকছেন। তিয়ার মার ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দরজা খুলে দেয়।
—- কি হয়েছে?
—- তুই কি বলতো। কাল রাতে ও খেলি না। আর আজ ও আটটা বেজে গেছে ঘুম থেকে উঠছিস না। ভার্সিটিতে যাবি না। কিছুদিন পর ফাইনাল এক্সাম। এসব ভুলে যা মা। পরায় মনোযোগ দে।
—- আচ্ছা।
তিয়ার মা চলে গেলেন তিয়া গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো। এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখে বর্নর অনেক কল আর মেসেজ। কাল অতিত ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলো। খেয়ালই নেই। তারাতারি বর্নকে ফোন দিলো। একবার রিং হতেই বর্ন ফোন রিসিভ করলো,,
—- কাল রাতে কোথায় ছিলে। কতবার কল মেসেজ দিছি।
—- সরি। ঘুমিয়ে গেছিলাম।
—- আমার ঘুম হারাম করে তুমি তো শান্তিতে ঘুমাবেই।
—- 😞আগের কথা গুলোই ভাবছিলাম। তাই খেয়াল করি নি।
—- কি ভাবছিলে।
—- তোমার সাথে দেখা হওয়া কথা বলা। আগে যদি জানতাম এসব হবে তাহলে…….
—- বাদ দাও। এসব। আজ তো কলেজ আছে। যাও। আমার ও অফিসে যেথে হবে।
—- ওকে।
তিয়া ফোন কেটে বর্নর মেসেজ দেখলো।
চারটা পর্যন্ত মেসেজ দিছে। তারমানে সারারাত ঘুমায় নি। এতো ভালোবাসে আমায়।
তিয়া মেসেজ দেখে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে গেলো। সায়রা তিয়ার কাছে এলো।
—- কাল এলি না কেনো?
—- বর্নর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এজন্য আসতে ইচ্ছে করে নি।
—- তকে কি বললো বুঝতে পারছি না। এতো ভালোবাসো দুজন দুজনকে বাট এক হতে পারছো না। এরকম ভালোবাসার মানুষ খুব কম পাওয়া যায়।
—- ঠিক বলেছিস। বাট মানুষটা আমার ভাগ্যে নেই।
—- সাজেক থেকে ফিরে কি পাগলামীটাই না করেছিলি বর্নর সাথে দেখা করার জন্য। এসবের জন্য তর পড়াশুনা ও অনেক পিছিয়ে গিয়েছিলো।
—- হুম। ফোন এর প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট ছিলো না। বাট ওর সাথে কথা বলার জন্যই প্রথম ফোন কিনি। আর আয়ানভাইয়ার কাছ থেকে নাম্বার নেই। এসব না করলেই হয়তো ভালো হতো।
—- হুম। এখন চল ক্লাসে।
—- হুম।
ওইদিন তিয়া বাসায় ফিরে ও বর্নকে ভুলতে পারে নি। ওর ক্যামেরায় বর্ন আর ওর একসাথে একটা ছবি ছিলো। আয়ান তুলেছিল ঝর্নার কাছে যখন ওরা দুজন ছিলো। ওই ছবিটা সবসময় দেখতো আর ভাবতো। পড়াশুনায় মন বসতো না। কিছু মাস পর থেকে শুরু হয় এইসএসসি এক্সাম। এক্সাম শেষে তিয়াকে ওর বাবা একটা ফোন দেন। ও ফেইচবুক আইডি খুলে। বর্নর নাম লিখে সার্চ করে পায় নি। একদিন ও কোচিং এ যাচ্ছিলো রাস্তায় আয়ানকে পায়,,
—- ভাইয়া কেমন আছেন?
—- তিয়া যে। ভালো। তুমি?
—- আমি ভালো আছি। ভাইয়া আমাকে একটা হেল্প করবেন।
—- কি?
—- আপনার ফ্রেন্ড এর নাম্বারটা দিবেন।
—- বর্ন?
—- হুম।
—- কেনো?
—- প্লিজ ভাইয়া প্রশ্ন করবেন না।
—- ওকে। এই নাও নাম্বার। তোমার নাম্বারটাও দাও।
—- ওকে।
তিয়া বর্নর নাম্বার পেয়ে ওদিন আর কোচিং এ গেলো না। বাসায় চলে এলো।
এদিকে আয়ান বর্নকে ফোন দেয়,,
—- হ্যা বল।
—- আজ তিয়ার সাথে দেখা হয়েছিলো।
—- কিইই? এতোদিন পর।
—- হুম।।জানিস আজ কি হয়েছে।
—- 😒না বললে জানবো কি করে।
—- তাও ঠিক। তিয়া তর নাম্বার নিয়েছে।
—- কিইইই?
—- আমার কান গেলো। উপপপপ।
—- তুই সত্যি বলছিস।
—- মিথ্যে কেনো বলবো। আমি ও ওর নাম্বার রাখছি।
—- রিয়েলি। নাম্বারটা সেন্ড কর।
—- ট্রিট দিতে হবে।
—- সব পাবি। নাম্বার দে।
—- ওকে।

তিয়া বর্নকে ফোন দিবে কিনা ভাবছে। একবার ডায়েল করছে তো রিং হওয়ার আগেই কেটে দিচ্ছে। ফোন দিয়ে কি বলবে তাই ভাবছে। হঠাৎ দেখে। বর্নর নাম্বার থেকেই কল আসছে। সাথে সাথে ফোন রিসিভ করে।
—- হ্যালো তিয়া?
—- হুম।
—- আয়ান বললো তুমি নাকি আমার নাম্বার নিয়েছো। কেনো?
তিয়া কি বলবে খুজে পাচ্ছে না।
—- আপনাকে থ্যাংকস বলার জন্য।
—- এতো মাস পর।
—- তখন আমার ফোন ছিলো না। কিছুদিন হলো বাবা দিয়েছেন।
—- ওহ। আর কিছু না।
তিয়া কিছু বলতে চেয়ে ও বলতে পারছে না।
—- কাল একবার দেখা করতে পারবে। একটা কথা বলার ছিলো।
—- কখন।
—- তোমার যখন টাইম হবে।
—- ওকে তাহলে কাল বিকেল তিনটে। তখন আমার কোচিং থাকে।
—- কোচিং বাদ দিয়ে আসবে।
—- হুম।
—- এটা ঠিক না।
—- একদিন এ কিছু হবে না।
—- ওকে। তো কাল আমি তোমার কোচিং এর সামনে আসবো।
—- ওকে।
—- হুম। বাই।
বর্ন ফোন কেটে দেয়। আর ভাবে কালই তিয়াকে প্রপোস করবে হ্যা বললে বলবে নাহলে বাদ। ছ্যাচরামি একদম করবে না। বাসায় এসে বর্নর মাথায় ও সবসময় তিয়ার কথা ঘুরতো। ঘুমিয়ে গেলে ও স্বপ্নে তিয়াকে দেখতো। কখনো এমন হয়নি। বাট নিজেকে কন্ট্রলে রেখেছে। ভালোবাসলে ও গিয়ে কখনো ডিস্ট্রাব করে নি। আজ তিয়া নিজ থেকে নাম্বার না নিলে কখনো ও ফোন ও দিতো না। তিয়ার কথায়ই বুঝা গেছে তিয়ার মনে ও বর্নর জন্য কিছু আছে।
পরেরদিন বর্ন গিয়ে দেখে তিয়া ওর জন্য দারিয়ে আছে। সাথে সায়রা ও আছে।
—- হাই ভাইয়া। ও একা থাকতে ভয় পাচ্ছিলো তাই আমাকে ও সাথে রাখছে। এখন তো ভাইয়া এসেছেন আমি যাই।
—- ওকে।
—- চলো। কোথায় যাবে।
—- আপনি জানেন।
—- আসো।
বর্ন পাশের একটা পুকুরে নিয়ে যায় আশে পাশে কোনো মানুষ নেই।
—- তোমাকে কিছু বলার আছে।
—- বলেন।
—- আমি সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে পছন্দ করি। আমি আশা করছি তুমি ও উওরটা সোজাভাবেই দেবে।
—- কিসের😮?
—- আই লাভ ইউ।
তিয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না। মনে মনে অনেক খুশি হয়েছে। এতো ক্ষণ মনে হচ্ছে এই কথাটা শুনারই অপেক্ষায় ছিলো। লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রাখছে।
তিয়া লজ্জা মাখা হাসি দেখেই বর্ন ওর উওর পেয়ে গেলো। সাথে সাথে গিয়ে তিয়াকে জরিয়ে ধরলো তিয়া পুরো বরফ হয়ে গেছে।
—- আমি আমার উওর পেয়ে গেছি।
তিয়া হাত পা কাপছে। এই প্রথম কোনো ছেলের ছোয়া পেলো। বর্ন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তিয়াকে ছেড়ে দেয়।
—- কুল। এতো ভয় পেলে চলবে। আমি তোমার মুখ থেকে উওরটা শুনতে চাই।
—- সব কিছু মুখ দিয়ে বলতে হয় না।( মাথা নিচু করে)
—- 😊তাই। তাহলে কি দিয়ে বলতে হয়।
—- বুঝে নিতে হয়।
—- আমি তো বুঝে নিয়েছিই।
—- তাহলে আর জিজ্ঞেস করছেন কেনো।
—- ওকে। নো প্রবলেম। এখান বাসায় যাও। বাসায় গিয়ে ফোন দেবো আমি।
—- আচ্ছা।
তিয়া চুপচাপ চলে আসে। বর্নর আজ নিজেকে অনেক হালকা লাগছে। মনের কথা বলতে পেরেছে আর ওর মতো তিয়া ও ওকে ভালোবাসে। বর্ন চলে যায় আয়ানের বাসায়। আয়ান বর্নকে খুশি দেখে বললো,
—- কি ব্যাপার এতো খুশি কেনো?
—- জানিস তিয়া ও আমায় ভালোবাসে।
—- কি? রিয়েলি। এটা তো গুড নিউজ। এবার ট্রিট দে।
—- তুই এটা ছাড়া আর কিছু বুঝিস না😐।
—- না।
—- ওকে। দেবো। এখন আমি যাই।
—- সন্ধ্যায় দেখা করিস।
—- হুম।
বর্ন বাসায় ফিরে যায়। নিজের রুমে গিয়ে তিয়াকে ফোন করলো। তিয়া ফোন ধরার পর।
—- কি করছো?
—- এইতো বাসায় আসলাম। আপনি?
—- আপনি করে বলছো কেনো। তুমি করে বলো।
—- হঠাৎ তুমি করে বলবো কি করে। আস্তে আস্তে।
—- ওকে। তা এতো লেইট হলো কেনো আসতে।
—- বাকি ক্লাস করে এসেছি। একটুই লেইট হয়ে ছিলো।
—- ওহ। ওকে। তো ফ্রেস হয়ে খাও।
—- ওকে। একটু পর ফোন দিচ্ছি।
—- ওকে।
এভাবেই চলতো তাদের কথা। মাঝে মাঝে তিয়া কোচিং ফাকি দিয়ে বর্নর সাথে দেখা ও করতো। তারপর তিয়া পাবলিক ভার্সিটিতে পরিক্ষা দেয়। চান্স পায় নি। তিয়ার বাবার ইচ্ছে ছিলো। সিলেট সাস্ট এ পরিক্ষা দেওয়ার। সেখানে পরানোর। তিয়া পরিক্ষা দেয় নি। কারন যদি চান্স পায় তাহলে ওকে বর্নর থেকে দুরে যেথে হবে। চাইলেই আর আগের মতো দেখা করতে পারবে না।
তারপর তিয়ার বাবা বাধ্য হয়ে ন্যাশনাল ভার্সিটিতেই ভর্তি করান। বর্ন আর তিয়ার কলেজ পাশাপাশি থাকায় ওদের অনেক সুবিধা হয়। যেকোনো টাইম এ ওরা দেখা করতে পারতো। প্রায় তিন বছর ওরা প্রেম করে। দুজন দুজনকে পাগলের মতো ভালোবাসতো। কোনো ভুল বুঝাবুঝি তাদের মাঝে ছিলো না। বর্ন ওর মা বাবার একমাত্র ছেলে হওয়ার কারনে বর্ন ওর মা বাবার সাথে অনেক ফ্রি ছিলো। ওর মনের কথা ওর মা বাবাকে সবসময় বলতো। তাই তিয়ার কথা ও উনাদের বলে। বর্নর বাবা জানতা না তিয়া কার মেয়ে। তাই তিনি তিয়াকে মেনে নেন বর্নর কথা ভেবে। তিনি ভেবেছিলেন তার ছেলে যখন পছন্দ করেছে
তো ভুল কাউকে অবশ্যই পছন্দ করে নি। তিয়া বর্নর বাসায় অনেক বার গিয়েছে বর্নই নিয়ে গিয়েছে। তিয়াকে বর্নর মা অনেক ভালোবাসেন। একদিন বর্ন আর তিয়া তিয়ার বাসার পাশের একটা পুকুর পাড়ে বসেছিলো। তিয়ার কোলে বর্নর মাথা। ওরা গল্প করছিলো আর বর্ন দুষ্টুমি করছিলো। তিয়াকে সুরসুরি দিচ্ছিলো আর তিয়া শুধু হাসছিলো। এদিক দিয়ে তুষার যাচ্ছিলো। কারো হাসির শব্দ শুনে ও দারিয়ে যায়। সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে তারই বোন একটা ছেলের সাথে ওর তখন খুব রাগ হয়। বাট তখন কিছু বলে না। চুপচাপ বাসায় ফিরে যায় আর ওর বাবাকে সব বলে। তিয়া ঘন্টাকানেক পরে বাসায় ফিরে। এসে দেখে ওর বাবা আর ভাই ড্রয়িংরুমে মুখ গম্ভির করে বসে আছেন। তিয়াকে আসতে দেখে তুষার এগিয়ে যায় আর তিয়াকে বলে,,
—- ছেলেটা কে।
তুষারের কথা শুনে তিয়া ভয় পেয়ে যায়। আমতা আমতা করে বলে,
—- মানে।
তুষার এবার চিৎকার করে বললো,
—- আমি দেখেছি আজ তকে পুকুর পারে কোনো ছেলের সাথে।
তুষারের চিৎকার শুনে তিয়া কেপে উঠে আর তিয়ার বাবা সোফা থেকে উঠে তিয়ার কাছে এগিয়ে যান আর তিয়ার মাথায় হাত রেখে বলেন,
—- ছেলেটাকে আমাদের বাসায় আসতে বল।
তিয়া খুশি হয়ে বললো,,
—- সত্যি বাবা। তুমি রাজি।
—- হ্যারে মা। আমার মেয়ের খুশিই আমার খুশি।
তুষার অবাক হয়ে বললো,
—- এটা কি বলছো তুমি।
—- ঠিকই বলছি। তুমি ও কিন্তু প্রেম করেই বিয়ে করেছো এটা ভুলে যেও না।
তুষার চুপ হয়ে যায়। তিয়া গিয়ে ওর বাবাকে জরিয়ে ধরে বলে।
—- থ্যাংক ইউ বাবা।
—- ওদের কালই আসতে বল।
—- ওকে।
তিয়া খুশি হয়ে ওর রুমে যায় আর বর্নকে ফোন দেয়। বর্ন ফোন রিসিভ করে বলে,
—- কি ব্যাপার আমার পাখিটা কি আমার আদর মিস করছে। এখনিই দেখা করলাম আর এখনি ফোন।
—- তোমার বাজে কথা বন্ধ করো। একটা গুড নিউজ আছে।
—- কি?
—- বাবা আমাদের বিষয়ে জেনে গেছেন আর বাবা রাজি। বাবা বলেছে তোমাকে দেখা করতে তোমার বাবা মাকে নিয়ে।
—- সত্যি।
—- হুম।
—- কবে?
—- তুমি যেদিন বলবে।
—- ওকে। আমি বাসায় গিয়ে মা বাবার সাথে কথা বলে জানাচ্ছি।
—- জলদি জানাবে কিন্তু।
—- বাব্বা। তোমার তো দেখছি আমার বউ হওয়ার জন্য তর সইছে না।
—- ধুর তুমি ও না। যাও তো বাসায়। আমি ফোন রাখছি।
তিয়া ফোন রেখে দেয় বর্ন তিয়া লজ্জা পেয়েছে দেখে মুচকি হাসে। বর্ন ওর কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে যায় আর তার বাবা মাকে সব বলে। উনারা ও দেখা করতে রাজি হন। কারন ছেলে ভালো চাকরি করে আর বয়স ও হয়েছে বিয়ের। পরশুদির বর্নর অফিস বন্ধ তাই ওদিনই দেখা করার ডেইট ফিক্সড করা হয়। বর্ন তিয়াকে ও সব জানিয়ে দেয়। তিয়া ওর মা বাবাকে সব জানায়। পরশুদিন দুপুর বেলা বর্ন ওর মা বাবাকে নিয়ে দেখা করতে যায়। তিয়ার বাবা রুমে এখনো আসেন নি। বর্ন আর ওর মা বাবা ড্রয়িংরুমে বসে আছেন। তিয়াকে ওর ভাবি শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছেন। আজ প্রথম তিয়া শাড়ি পরবে তা ও বর্ন বলেছে তাই। তিয়ার বাবা আসতে অসতে বললেন,
—- সরি লেইট হয়ে…..
আর বলতে পারেন নি বর্নর বাবাকে দেখে উনার মুখ লাল হয়ে গেলো রাগে। আর চিৎকার করে বললেন,,
—- তুই এখানে কি করছিস।
বর্নর বাবা ও চিৎকার করে বললেন;
—- তাহলে তুই তিয়ার বাবা। বর্ন আমি এই মেয়েকে মানি না।
তিয়া ওর বাবার চিৎকার শুনে চলে এসেছিলো বর্নর বাবার কথা শুনে ওর চোখ ভরে যায় জলে। বর্নর নিচ থেকে মাটি সরে যায়। উনাদের কথা শুনে। বর্ন শুধু মনে মনে এটাই বলছে,
“প্লিজ গড তিয়াকে আমার থেকে দুরে সরিয়ে দিও না যাই হয়ে যাক”
তিয়ার বাবা আবার বললেন,
—- তার মানে তুই বর্নর বাবা। আমি ও এই ছেলেকে মানবো না। বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে।
তিয়ার মা তিয়ার চোখের জল দেখে তিয়ার বাবার কাছে এগিয়ে গেলেন আর বললেন,
—- প্লিজ তুমি একটু শান্ত হউ। এমনটা করো না। নিজের মেয়ের খুশি টা তো দেখো।
বর্নর মা ও বর্নর বাবাকে বললেন;
—- তুমি এভাবে কথা বলছো কেনো। বর্নর দিকে তাকিয়ে দেখো। ছেলেটার কথা ভেবে অন্তত পুরোনো শত্রুতা ভুলে যাও।
বর্নর বাবা আবার চিৎকার করে বললেন;
—- ভুলার প্রশ্নই উঠে না। ও আমার বন্ধুত্বকে অপমান করেছে। ওকে আমি কখনোই মাপ করবো না।
তিয়ার বাবা ও চিৎকার করে বললেন,
—- তুই কি ভেবেছিস তকে মাপ করবো। তুই আমার বন্ধুত্বের মর্যাদা রাকিস নি। এখনি বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে।
বর্নর বাবা বর্ন আর ওর মার হাত ধরে টানতে টানতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বর্ন যাওয়ার আগে করুনভাবে তিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো। তিয়া বুক পেটে কান্না আসছিলো শুধু একটা কথাই ওর মাথায় আসছিলো। বর্নকে হারিয়ে ফেলেনিতো। এদিকে বর্নর মাথায় ও এটাই চলছে। বর্ন কি করবে বুঝতে পারছে না। তবে এটা খুব ভালো করে বুঝে নিয়েছে। ওদের বাবা ওদেরকে এক সাথে কখনোই মানবেন না।

চলবে?🙄

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে