Unending love Part-01

0
4349

#Unending_love♥️
লেখা- পূজা
পর্ব- ১

অনেকক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছে তিয়া বর্নকে কিন্তু বর্ন ফোন ধরছে না। অনেকবার দেওয়ার পর ফোন রিসিভ করলো,,
—- তোমাকে না কতোবার বললাম আমায় ফোন দিবে না। শুনতে পাও না। কেনো ফোন দিয়েছো।
—- এভাবে বলছো কেনো। তোমার সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছিলো। তাই…..
—- আমার খুব ঘুম পেয়েছে। আর অনেক রাত ও হয়েছে তুমিও ঘুমিয়ে পরো।
—- আর একটু কথা বলো না। এমন করছো কেনো।
—- তো কি করবো তুমি বলো। তুমি জানো তোমার সাথে কথা বলার পর নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। আর না তুমি পারো। সেই তো কথা বলার পর কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাও না। তো কেনো ফোন করো বলোতো।
—- কি করবো আমি। পাগল হয়ে যাই। নিশ্বাস আটকে যায়। নিজেকে ধরে রাখতে পারি না। তাই তো ফোন করি।
—- প্লিজ তিয়া এরকম আর করো না। বুঝার চেষ্টা করো।
—- কি বুঝবো। আমি পারবো না তোমার সাথে কথা না বলে থাকতে তোমাকে না দেখে থাকতে। প্লিজ এতোটা নিষ্টুর হয়োনা।
—- তুমি কি মনে করো ভালো শুধু তুমি একাই ভেসেছো আমি বাসি নি। কিন্তু কি করবো বলো তুমি আমার ভাগ্য নেই। তাই এটা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
—- আমি ও অনেক চেষ্টা করেছি তোমার নাম্বার ছবি সব ডিলিট করে ফেলেছি। তবুও ভুলতে পারছি না। বার বার ইচ্ছে করে তোমায় ফোন দিতে একটু দেখতে একটু কথা বলতে।
—- আমি জানি তিয়া। সব বুঝি। বাট আমাদের কিছুই করার নেই। এটাই মেনে নিতে হবে।
—- আমি আর পারছি না। আমাদের বাবারা আমাদের কষ্টটা কেনো দেখে না। কেনো বুঝে না আমাদের।
—- প্লিজ কান্না বন্ধ করো। তুমি জানো আমি তোমার কান্না সহ্য করতে পারি না। এই কারনেই বলি ফোন না দিতে। কথা বললে আরো বেশি কষ্ট পাবে।
—- কাল দেখা করতে পারবে। অনেকদিন ধরে তোমায় দেখি না। আমি জানি তুমি লুকিয়ে আমায় দেখে যাও। সামনে আসো না।
—- তুমি কি করে বুঝলে।
—- তুমি আশে পাশে থাকলেই আমি বুঝতে পারি। তখন নিজেকে আরো পাগল পাগল লাগে।
বর্ন আর কিছু বললো না। কি বলবে। ও তো থাকতে পারে না। না দেখে। তাই সুযোগ পেলেই লুকিয়ে একটু দেখে আসে। বর্নর চুপ থাকা দেখে তিয়া আবার বললো,,
—- একটা গান শুনাবে। অনেকদিন হলো তুমি গান শুনাও না।
—- ফোনে?
—- হুম। প্লিজ।
—- কাল দেখা হলে শুনাবো।
—- তুমি আসবে।
—- হুম।
—- কোথায় দেখা করবো।
—- তুমি আমার অফিসের সামনে চলে এসো বিকেল 4টায়। তারপর ঠিক করা যাবে কোথায় যাবো।
—- ওকে।
—- এখন ঘুমাও।
—- ওকে। গুড নাইট।
—- গুড নাইট।
ফোন রেখেই তিয়ার আবার কান্না চলে এলো। তবে এই কান্না কষ্টের না আনন্দের। আজ দুমাস পর দেখবে তিয়া বর্নকে। চোখ দুটু তো সবসময় বর্নকেই খোজে দেখার জন্য। বর্নর সাথে দেখা করার একসাইটমেন্ট এ ঘুম উদাও হয়ে গেছে।
পরেরদিন চারটার আগেই চলে গেলো তিয়া বর্নর অফিসের সামনে। চারটা দশে বর্ন বেরলো। বর্নকে দেখেই তিয়ার চোখে জল চলে এলো। মনে হচ্ছে অনেক বছর ধরে দেখে না। বর্ন সামনে আসতেই গিয়ে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। বর্ন বলল,,
—- কি করছো কি মানুষ দেখছে তো।
—- দেখোক। তাতে আমার কি।
—- এখান থেকে চলো আগে। আমি গাড়ি নিয়ে আসছি।
—- আচ্ছা।
বর্ন গাড়ি নিয়ে এলো। তিয়া গাড়িতে উঠলো। তিয়া বললো,,
—- এমন জায়গায় নিয়ে চলো যেখানে কেউ নেই।
—- তুমি কতো সময় থাকতে পারবে।
—- আটটা পর্যন্ত। তারপর বাসায় না ফিরলে আমাকে আবার খুজা শুরু করে দেবে।
—- ওকে।
বর্ন লেক এর পাশে একটা নদীর ধারে নিয়ে গেলো। গাড়ি থেকে নেমে দুজনি নদীর পাশে বসলো। তিয়ার ইচ্ছে করলো বর্নর কোলে মাথা রাখতে বাট তা করতে পারলো না। কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ থাকার পর তিয়া বললো,,
—- তোমার আমাকে গান শুনানোর কথা। মনে আছে।
—- হুম। কি গান শুনবে বলো।
—- তোমার পছন্দের একটাই গাও।
বর্ন গান গাওয়া শুরু করলো,,

“”তুমি আসবে বলেই বসন্ত এসে ফিরিয়েছে চৌকাট,,
তুমি আসবে বলেই শিশিরে শিশিরে ভরে গেছে মাটঘাট””।[২]
“”মনের জানালা খোলেছে পাল্লা আলো মন একাখার,,
যেনো হাজারো স্বপ্ন ভুলে অযত্ন রামধনু পারাপার””।[২]
“তুমি আসবে বলেই,,
“”তুমি আসবে বলেই করিখাট গুনে বাদল বেলার ঘুম,,
তুমি আসবে বলেই হঠাৎ আনন্দে দুপুরটা নির্ঝুম””।[২]
“”তবুও ভাবনা মেলেছে পাকনা সংশয় এ হাওয়ায়,,
বৃষ্টি ধারায় ঝাপসা তারায় সুখের শান্তনায়””[২]
“তুমি আসবে বলেই,,,,,,,,,,,”
(আমার ফেবারিট গান😊)

গান গাওয়ার সময় বর্ন নদীর দিখে তাকিয়ে ছিলো আর তিয়া বর্নর দিকে। বর্ন জানে তিয়া ওর দিকেই তাকিয়ে তাকবে তাই ও তাকায় নি। গান শেষ করে দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ থাকলো নিরবতা ভেঙ্গে তিয়া বললো।
—- আগে থেকে অনেক শুকিয়ে গেছো।
—- তুমি নিজেকে দেখো। চোখের নিচে কালি কেনো। খাওয়া-দাওয়া ঘুম ঠিক মতো করো না। ঘুমাও না রাতে?
তিয়া চুপ থাকে। অনেক কান্না পাচ্ছে। কেনো বর্ন ওকে এসব জিজ্ঞেস করছে। বর্ন জানে না ওর কথা ভেবেই রাতে ঘুম হয় না। খাবার গলা দিয়ে নামে না। ও যে থাকতে পারে না বর্নকে ছাড়া। তিয়ার চুপ থাকা দেখে বর্ন আবার জিজ্ঞেস করলো,
—- খেয়ে এসেছো।
কি বলবে এখন। যদি খেয়ে আসে নি বলে তাহলে অনেক বকা খেতে হবে। বর্নর সাথে দেখা করার একসাইটমেন্ট এ খাওয়ার কথাই ভুলে গেছে।
—- আমি খেয়ে এসেছি।
—- হুহ। তা বুঝতেই পারছি। চলো।
—- কোথায় যাবো আর একটু থাকি না।
বর্ন আর কিছু না বলে তিয়াকে কোলে তুলে নিলো। তিয়া বর্নর দিকে তাকিয়ে রইলো। কতোদিন পর বর্নর কোলে উঠেছে। ও ওর মাথাটা বর্নর বুকে রাখলো হার্টবিট শুনার জন্য। কতোদিন পর শুনবে। বনর হার্টবিট সেই আগের মতোই ফাস্ট চলছে।
তিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে বর্ন গাড়ি একটা রেষ্টুরেন্ট এ নিয়ে গেলো। এটা দেখে তিয়া জিজ্ঞেস করলো,
—- এখানে কেনো নিয়ে এসেছো। আমি তো বললাম খেয়ে এসেছি।
—- আমার খিদা লেগেছে। আমি খাওয়ার জন্য আসছি।
—- ও।
—- হেটে যাবে না। আবার কোলে নিতে হবে।
—- নাও।
—- সত্যি নিয়ে নেবো। আমার কিন্তু একদমই লজ্জা নেই। তা তুমি জানো।
তিয়া তারাতারি নেমে গেলো গাড়ি থেকে। সত্যি যদি কোলে তুলে নেয় এতো মানুষের সামনে। তিয়ার ধরপরিয়ে নামা দেখে বর্ন হেসে দিলো। তিয়া বললো,,
—- চলো।
বর্ন বিরিয়ানি অর্ডার করলো। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার বিরিয়ানি দিয়ে গেলো। বর্ন খাওয়া শুরু করলো কিন্তু তিয়া না খেয়ে বর্নর দিকে তাকিয়ে আছে। তা দেখে বর্ন বললো,
—- কি হলো। আমাকে দেখলে পেট ভরবে না। খাও।
—- তোমাকে দেখলেই আমার পেট ভরে যায়।
—- তুমি খাবে কিনা বলো।
—- তুমি খাইয়ে দাও।
বর্ন আর কথা বারালো না। নিজের খাওয়া বাদ দিয়ে তিয়াকে খাওয়াতে শুরু করলো। আর তিয়া বর্নর দিকে তাকিয়ে আছে। খাওয়া শেষে বিল মিটিয়ে বেরিয়ে এলো বাইরে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সারে ছয়টা বাজে।
—- এখন কি করবে। বাসায় পৌছে দেবো??
—- আটটার আগে আমি কোনোভাবেই বাসায় যাবো না। আর তোমাকে ও যেথে দেবো না।
—- তো এখন কি করবে।
—- অন্য কোথাও নিয়ে চলো।
তিয়ার কথা মতো বর্ন গাড়ি নিয়ে গেলো একটা পার্কে। এই সময় পার্কে মানুষ খুব কম থাকে। আর এখান থেকে তিয়ার বাসাও বেশি দুরে নয়। তাই এখানে নিয়ে আসলো। গাড়ি থেকে নেমে তারা একটা ব্রেঞ্চে বসলো। তিয়া বর্নর হাত ধরে বললো,
—- ছেলেরা অনেক স্ট্রং থাকতে পারে যেকোনো কষ্ট সহ্য করতে পারে তাইনা।
—- মানে?
—- তুমি নিজের কষ্টটা যেভাবে লুকিয়ে রাখো। নিজেকে স্ট্রং রাখো তা আমি পারি না তাই তো বার বার ফোন দেই তোমার বারন সত্তেও। কিন্তু তুমি,, কেনো এমন করো।
—- তিয়া আমি বাইরে থেকে যতই স্ট্রং থাকি না কেনো ভেতরে,,,,
তুমি তোমার বাবা মাকে ছেড়ে চলে আসতে পারবে।
—- পারলে তো অনেক আগেই চলে আসতাম। তুমি জানো তা আমি পারবো না। তারা আমায় জন্ম দিয়েছেন। এভাবে ছেড়ে চলে আসবো কি করে। আমরা আরো বুঝাবার চেষ্টা করবো। কিন্তু প্লিজ তুমি কথা বলা বন্ধ করো না।
—- কথা বলে কি হবে। ফিউচার নিয়ে ভেবেছো। আমার বাবা বা তোমার বাবা কেউ কোনোদিনো ও মনে হয় না আমাদের একসাথে মেনে নেবেন। কম চেষ্টা তো করি নি। আর কি চেষ্টা করবো। তারা তাদের শত্রুতা নিয়ে বসে আছেন। আজ হোক বা কাল তোমার ও বিয়ে হবে আমারো বিয়ে হবে। হয়তো অন্য কারো সাথে। আমি চাই না বিয়ে করতে। কিন্তু বাবা মা ওদের জন্যই করতেই হবে আমি একমাত্র ছেলে তাদের। তখন সব কিছু মেনে নিতে অনেক কষ্ট হবে। তাই আমি অনেক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের কথা বলা দেখা করা বদ্ধ।
বর্নর বিয়ের কথা শুনেই তিয়ার চোখে জল ভরে গেলো। বর্ন এতক্ষণ অন্যদিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলছিলো। তিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে ও কাদছে। তা দেখে বর্ন বললো,,
—- এই পাগলি কাদছো কেনো।
তিয়াকে জরিয়ে ধরলো বর্ন। তিয়ার চোখের জল যে সহ্য করতে পারে না। বর্নকে জরিয়ে ধরে কেদেই চলেছে। বর্ন বললো,,
—- কি হলো। এমন ভাবে কাদছো যেনো আমি মরে গিয়েছি।
—- চুপ! একদম আজে বাজে কথা বলবে না। তোমাকে আমি অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারবো না। প্লিজ বিয়ের কথা বলো না। আমি মরে গেলে যাকে….
তিয়ার মুখে হাত দিয়ে,,
—- এখন তুমি কি বলছো। আমি বললে আজে বাজে আর তুমি বললে।
—- কি করবো বলো। যখনি ভাবি তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে আমার ধম বন্ধ হয়ে আসে। প্লিজ এমনটা করো না।
—- করবো না। আমার ইচ্ছে থাকলে তো অনেক আগেই করে ফেলতাম। এখন কান্না বন্ধ করো। আর চলো বাসায়।
—- না যাবো না। আমি আজ এখানেই তোমার কাছে থাকবো।
—- তোমার বাবা ভাই এসে আমাকে বলবে আমি তাদের মেয়েকে তুলে নিয়ে এসেছি। জেলে দেবে আমাকে।
—- আমার জন্য জেলে যেথে পারবে না।
—- অবশ্যই পারবো। তুমি বললে জাহান্নামেও যেথে পারবো। কিন্তু এখন এখান থেকে উঠা উচিৎ।
—- ভালো লাগছে না। এখানে থাকতেই ভালো লাখছে।
—-তোমার যাওয়ার টাইম ও হয়ে গেছে তো। পরে সবাই খোজতে বের হয়ে যাবে।
—- তোমার সাথে থাকতে সময় কখন চলে যায় বুঝতেই পারি না।
—- তাই। এখন চলো।
—- ওকে। তবে হেটে আমাকে বাসায় পৌছে দিতে হবে।
—- গাড়ি?
—- পরে এসে নিয়ে যাবে।
—- আচ্ছা চলো।
তিয়া বর্নর বা হাত জরিয়ে ধরে ঘাড়ে মাথা রেখে হাটছে আর কথা বলছে। হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখে তুষার রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে। তা দেখে তিয়া বর্নর হাত ছেড়ে দিয়ে বলল,
—- ভাইয়া!! এখন কি করবো। এখন তো ও বাবাকে বানিয়ে বানিয়ে আরো কতো কিছু বলবে।
—- বলুক। তুমি নিশ্চিন্তে যাও। ভয় পেয়ো না। বাসায় কি হয় তা ফোনে জানিয়ো।
—- আচ্ছা। তুমি ও সাবধানে যাবে।
তিয়া আস্তে আস্তে হেটে চলে যায়। তুষার ও বর্নর দিকে একবার রাগি চোখে তাকিয়ে তিয়ার পেছন পেছন বাসায় ডুকে গেলো। বর্ন টেনশনে পরে যায়। মনে মনে ভাবে,,, আমার জন্য আবার ওকে কথা শুনতে হবে। এজন্যই দেখা করতে কথা বলতে বারণ করি কিন্তু আমার কথা শুনলে তো। আমারো তো ইচ্ছে করে ওর সাথে কথা বলতে সারাক্ষণ এই বুকে আগলে রাখতে। কিন্তু আমি নিরুপায়। পারবো না ওকে আমার কাছে রাখতে।
তিয়া বাসায় ডুকেই রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ও জানে এখন তুষার ওর বাবার কান ভাঙ্গাবে। আর ওর বাবা ওর কাছে আসবে। যা ভাবছে তাই হলো। তিয়া শুনতে পাচ্ছে ওর বাবা বলছে,,,
—- এই ছোট লোকের বাচ্ছার কাছে তুই আবার গিয়েছিস। তকে ভুলিয়ে আবার নিয়ে গেছে তাইনা। ওকে আমি ছারবো না। ওর সাহস কি করে হয় আমার মেয়ের দিকে আবার হাত বারানো। ওই হাত আমি কেটে ফেলবো। আরো নানা কথা বলে বর্ন আর ওর বাবাকে গালাগাল করছেন তিয়ার বাবা। এসব শুনে তিয়ার কান্না চলে এসো। নিজেকে মারতে ইচ্ছে করছে। বর্নর তো এখানে কোনো দোষ নেই, ওই তো দেখা করার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলো। তাহলে কেনো বর্নকে এতো কথা বলছেন। তিয়া মনে মনে ভাবলো,,
আগের দিনগুলাই অনেক ভালো ছিলো। কেনো এতো জলদি সেই দিনগুলা চলে গেলো। কতো ভালোই তো ছিলো বর্ন আর ওর ভালোবাসা নিয়ে। কেনো এতো জলদি বর্নর থেকে ওকে দুরে সরিয়ে দেওয়া হলো।
তিয়া সেই দিনের কথা ভাবতে লাগলো। ওদের দেখা হওয়া কথা বলা।
তখন বর্ন আর তিয়া আলাদা পাড়ায় থাকতো এখনো থাকে। বাসার দুরত্বটা অনেক। তিয়া বনানী আর বর্ন গুলশান। তখন ওরা কখনো সরাসরি কথা বলে নি। নামটাও জানতো না একে অপরের। শুধু মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখা হতো। কখনো ভালোভাবে তাকাতো না পর্যন্ত একে অপরের দিকে। বর্ন মেয়েদের সাথে কথা বলতে তেমন পছন্দ ও করতো না। সাজেক গিয়েই ওদের প্রথম কথা বলা ভালো লাগা তারপর আস্তে আস্তে ভালোবাসা। তিয়া কখনো ভাবতেও পারে নি কাউকে সে এতোটা ভালোবেসে ফেলবে। আর কেউ ওকে এতোটা ভালোবাসবে। আর ও এটা ও ভাবতে পারে নি যেই মানুষটার সাথে সারাজীবন থাকার স্বপ্ন দেখেছে তার থেকে এতো জলদি দুরে সরে যেথে হবে। বর্ন ফোন দিচ্ছে কি হয়েছে বাসায় তা জানার জন্য। কিন্তু সেদিকে তিয়ার হুশ নেই। ও কাদছে আর অতিতে ডুব দিয়েছে।।।

চলবে??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে