The unlimited love Part-06 Season 02

0
2908

#The_unlimited_love💖
#Season_2
#Part_6
#Writer_Nusrat

আদনান ভাইয়াকে কষ্ট দিয়ে আমার নিজেরও ভালো লাগছেনা৷ আচ্ছা আমি কি কোনো ভুল করলাম ভাইয়ার কথা না শুনে৷ ভাইয়ার কথাটা শুনা উচিত ছিলো৷ কিন্তু আমিই বা কী করবো?ভাইয়া আমার সাথে সেদিন যা করেছিলো সেটাই বা কী করে ভুলে যাই আমি৷আমি কি একবার ভাইয়ার সাথে কথা বলবো৷ হুম বলবো কথা আমি””পাশে তাকাতেই দেখলাম আয়েশা বসে বসে পরছে৷

“কী রে আয়শু এখুনি পড়তে বসেছিস যে৷??

“রাত হয়ে গেছে তাই পড়তে বসেছি৷ ভাইয়া বলেছে ভালো করে পড়তে৷

“আচ্ছা আয়শু আদনান ভাইয়াকে দেখেছিস??

“হ্যা ভাইয়া তো একটু আগেই চলে গেছে৷

“কিহ ভাইয়া চলে গেছে৷ কোন সময়??

“তুমি যখন ঘুমিয়ে ছিলে তখন চলে গেছে ভাইয়া৷আচ্ছা সামু আপু তুমি কি ভাইয়াকে বকেছো??

“কেন আমি কেন বকতে যাবো আজব৷

“আসলে ভাইয়াকে তোমার সাথে কথা বলে ছাঁদ থেকে চলে আসার পর খুব কাঁদতে দেখেছি৷ জানো আপু ভাইয়া মাকে ধরে খুব কেঁদেছে৷

আয়েশার কথা শুনে আমার মন খারাপ হয়ে গেলো৷ আসলেই ভাইয়ার কথাটা একটু শুনা উচিত ছিলো৷

ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম আমি৷ সবার মুখই যেমন গম্বীর হয়ে আছে৷ মামনী তো কেঁদে কেটে চোখই ফুলিয়ে ফেলছে৷

দু’দিন পর,,,,,,,,

ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বসে আছে আদনান৷ আর সামান্তা কী করে সেটা দেখছে৷ কাছ থেকে দেখতে না পারুক দূর থেকেতো দেখতে পারবে৷ (আদনান রকির আগেই সারা বাড়িতে ক্যামেরা ফিট করেছিলো৷ সামান্তার রুমেও)

সামান্তা ভার্সিটিতে যাবে৷ যেমনি আদনান দেখলো সামান্তা দরজা বন্ধ করছে ওমনি আদনানও ল্যাপটপ বন্ধ করে দিলো৷ সে এখন জানে সামান্তা ড্রেস চেঞ্জ করবে৷

আদনান ল্যাপটপ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো৷

“সামু আমি তোকে ভালোবাসি৷ তবুও আমি কোনোদিন তোর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাইনি৷ আর না তাকাবো৷ কিন্তু রকি তো তোকে প্রতিনিয়ত শকুনের দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে৷তবুও সে তোর কাছে ভালো হয়ে গেলো আর আমি খারাপ৷ আসলেই দুনিয়াতে কারও ভালো চাইতে নেই৷

♣️♣️♣️♣️

ছাঁদে দাড়িঁয়ে আছি৷ আদনান ভাইয়াকে ছাড়া কিছুই ভালো লাগছেনা আমার৷ কেমন যেন শুন্য শুন্য অনুভব হচ্ছে৷ বাড়িতেও যেনো কারও মুখে হাসি নেই৷ খুব মিস করছি ভাইয়াকে৷ বাতাসে বার বার আমার ছেড়ে দেওয়া চুলগুলো উড়ছে৷ আমি বাঁধার চেষ্টা করছি তবুও খোলে যাচ্ছে৷ শেষে আমি না পেরে চুলগুলো ছেড়েই দিলাম৷ হঠাৎ মনে পরলো সেদিনের কথা৷

,,,,,,,,,,,,,

আমি ছাঁদে চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে দাড়িঁয়ে ছিলাম৷ ভাইয়া একটা গাছ থেকে কাঠগোলাপ এনে আমার পাশে দাড়িঁয়ে আমার চুলে গেতে তারপর চুলগুলো কানের পিটে গুজতে গুজতে বলছিলেন,,,

“জানিস সামু তোকে ছেড়ে দেওয়া চুলে কতটা মোহনীয় লাগে৷ আই উইশ তোর এমন কাছ থেকে চুল দেখা যেনো আমার ভাগ্যেই থেকে থাকে৷ ”

আমি সেদিন কিছু বলিনি শুধু হাসছিলাম৷

ভাইয়া আমার হাসি দেখে বলেছিলেন,,এই একদম হাসবিনা৷ তোর হাসি আমায় পাগল করে দেয়৷

চোখ থেকে এক ফোটা জল গরিয়ে পরলো আমার৷ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস৷ আজ আমি কোথায় আর ভাইয়া কোথায় দু’জন দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি৷ আচ্ছা ভাইয়া এখন কী করছে? ভালো আছেতো?আরে আমি কেনো এসব ভাবছি৷ আমিতো নিজেই চাইছিলাম ভাইয়া যাতে আমার থেকে দূরে থাকে৷

মুঠো ফোনের আওয়াজে ভাবনা কাটলো আমার৷ ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলাম আননোন নাম্বার থেকে কল৷ আশ্চর্য কে এটা?নাম্বার দেখেতো বাংলাদেশের মনে হচ্ছেনা৷ কোন দেশের সেটা ওতো জানিনা৷ ফোনটা রিসিভ করলাম আমি৷

“হ্যালো কে বলছেন??

কেউ রেসপন্স করছেনা৷ শুধু তার শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে৷ হ্যালো কথা বলছেননা কেনো কে আপনি??নো রেসপন্স৷ কেরে ভাই আপনি কল দিছেন অথচ কথা বলছেননা৷ ধ্যাত বকাটে ছেলে কোথাকার৷ খট করে কলটা কেটে দিলাম আমি৷

কী বেজাল রে বাবা কল দেয় কিন্তু কথা বলেনা৷ এসব ভাবনার মাঝে আবার ফোন বেজে উঠলো৷ আমি না দেখেই কলটা রিসিভ করলাম৷ আচ্চা কেলানি দিবো বেটাকে৷

“এই কে আপনি৷ ফোন দিয়ে ইরিট্যাট করছেন কেনো৷ আর ফোন দিবেননা৷ আমায়৷

“আরে আরে এতো হাইপার হচ্ছো কেনো৷ আমি রকি বলছি৷

“কীহ আপনি রকি?? কিন্তু আমার নাম্বার কোথ থেকে পেলেন৷

“তোমার নাম্বার কালেক্ট করা আমার জন্য কোনো ব্যাপারই না বুঝলে জানেমন৷

উনার মুখ থেকে জানেমন ডাকটা শুনে কেমন ঘিনঘিনে ফিল হচ্ছে আমার৷

“তা কেমন আছো৷

“জ,,,,জী ভালো আছি৷ আর কেনো ফোন করেছেন৷

“আমাকে জিজ্ঞেস করবেনা আমি কেমন আছি?সেটা জিজ্ঞেস না করে বলছো কেনো ফোন করেছি৷ ইট্স নট ফেয়ার বেবি৷

“দেখুন আমি জানি আপনি ভালো আছেন৷ আর ভলো আছেন বলেইতো ফোন করেছেন৷

“আরেহ্ বাহ এতো ভাবো তুমি আমায় নিয়ে৷ আমি ভালো আছি কী না মন্দ আছি সেটাও জানো দেখছি গুড৷

“মোটেও আমি আপনাকে নিয়ে ভাবিনা৷ আর কেনোই বা ভাববো বলুনতো৷

“হুম তা কাকে নিয়ে ভাবো যে তোমায় ঠকিয়েছি তাকে নিয়ে৷ আমি বলেছিলাম না আদনান তোমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাবে৷ মিলে গেলো তো আমার কথা৷”

“হইসে রাখছি আমি৷ ”

আচ্ছা রকি এতো শিওর হয়ে কী করে বলেছিলো সেদিন যে ভাইয়া আমাদের ছেড়ে চলে যাবে৷ ও বলার দুদিন পরেইতো ভাইয়া চলে গেলো৷রকি বলছে ভাইয়া ভালো না আর ভাইয়া বলছে রকি ভালো না৷ কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা৷ কাকে বিশ্বাস করবো আর কাকেই বা অবিশ্বাস করবো৷ তবে আমার মন বলছে আদনান ভাইয়াকে বিশ্বাস করা উচিত৷ আদনান তো আমার ভাই+ভালোবাসা৷ আর রকি তো আমার কেউ নয়৷ আবারো ফোনটা বেজে উঠলো৷ নিলয় ফোন করেছে৷ উফফ আজকে আমায় কেউ শান্তি দিবেনা৷

“হ্যা নিলয় বল৷”

“সামু তুই আমায় যে ছেলের সম্পর্কে জানতে বলেছিলি সেই ছেলে একদম ভালো নয় ইয়ার৷ কয়েকদিন পর পর মেয়ে পাল্টায় আর এটাই নাকি তার প্রধান কাজ৷ তারমধ্যে ডেট তো আছেই৷

চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে