Shadow_in_love Part-9

0
1977

#Shadow_in_love

Part-9

#ফাবিহা_নওশীন

??
আরহান বারবার আয়েশাকে ফোন করে যাচ্ছে কিন্তু আয়েশা ফোন তুলছে না।আরহান কিছুটা চিন্তিত হলো।আয়েশা কখনোই ফোন রিসিভ করতে এতো দেরি করে না।এদিকে বাড়ি থেকেও বের হতে দিবেনা কেউ।কিন্তু আরহানের অস্থির লাগছে।যতক্ষণ না আয়েশার সাথে কথা হবে ওর শান্তি নেই।
তাই আরহান লুকিয়ে ম্যাজিকের সাহায্য নিয়ে আয়েশার বাড়িতে গেলো।প্রতিবারের মতো আরহান আয়েশার বারান্দা দিয়ে উঠে গেলো।বারান্দার দরজার লক খোলে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই আরহান আয়েশাকে দেখলো।ওর মুখ থমথমে।আরহান আয়েশার কাছে গিয়ে দাড়ালো।আরহান কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়েশা কঠিন গলায় বললো,
——আপনি??

আরহান আয়েশার কথায় অবাক হয়ে বললো,
——হ্যা আমি।আমি কি আসতে পারিনা?তুমি ফোন রিসিভ করছোনা কেন?

আয়েশা বিরক্তি ফুটিয়ে বললো,
—–কেন রিসিভ করবো?

—–আয়েশা তুমি এভাবে বলছো কেন?

—–কিভাবে বলবো?আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিবেন না?যখন তখন ফোন করবেন,,আমার,বেডরুমে ঢুকে যাবেন।প্লিজ এবার একটু রক্ষে দিন।

—–আয়েশা কি হয়ে গেছে তোমার?এভাবে কথা বলছো কেন?আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।আমি তোমার সাথে,,

—–ওয়েট ওয়েট…কিসের ভালোবাসা?আমি আপনাকে ভালোবাসি না।আমি ইফাতকে বিয়ে করতে যাচ্ছি আর ভালো আপনাকে বাসবো?

আরহান চিতকার করে বললো,
—–আয়শু!!
তাহলে সেদিন ওসব কি ছিলো?তুমি বলোনি আমাকে ভালোবাসো?

—–হ্যা বলেছিলাম।সব নাটক ছিলো।আপনি যাতে আমাকে কোথাও নিয়ে না যান,বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন তাই নাটক করেছিলাম।আমি আপনাকে ভালোবাসি না।শুনতে পেরেছেন?

আরহান আয়েশার কথা বিশ্বাস করতে পারছেনা।
—–না!!তুমি মিথ্যা বলছো।

—–নাহ এটাই সত্যি।একটা জ্বিনকে আমি ভালোবাসতে পারিনা।

আরহান হুট করে রেগে গেলো।ও হিংস্র রুপ ধারন করছে।আয়েশা এতোক্ষণ জোর গলায় কথা বলতে পারলেও এখন আর ওর মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না।আরহান ওর দিকে এগুতে লাগলো আয়েশা ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে।হটাৎ আরহান থেমে গেলো।
তারপর চোয়াল শক্ত করে বললো,
—–তোমাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে।আর খুব শীঘ্রই।

আরহান চলে গেলো।আরহান যেতেই আয়েশা ধপ করে বসে পড়ল মেঝেতে।তারপর অঝোর ধারায় কাদতে লাগলো।
“আমাকে ক্ষমা করো আরহান।আ’ম সরি।”

ইফাত বাকা হেসে পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো।তারপর আয়েশার বরাবর বসে বললো,
—–ওয়েল ডান আয়েশা।

আয়েশা ইফাতের দিকে আকুতি ভরা দৃষ্টি দিয়ে বললো,
—–আমি আপনার কথা মতো সব করেছি আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন প্লিজ।

ইফাত চোখ মুখ শক্ত করে বললো,
—–এতো সহজে তো তোমার বাবাকে পাবেনা।এর জন্য তোমাকে আমার সব কথা মেনে চলতে হবে।আর হ্যা আরহান,,তুমি কি জানো ওর লাইফও রিক্সে আছে?আর সেই রিক্সের কারণ আমি।ও তো দুদিনের জ্বিন।মানুষরুপি জ্বিন।মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছে।ওর শুধু ওর মায়ের শক্তি আছে।বাবা তো মানুষ।আর আমি একজন শক্তিশালী জ্বিন।ওকে মারা আমার এক চুটকির ব্যাপার।

—–নাহ!!(আতংকিত হয়ে)
ও আপনার কি ক্ষতি করেছে?

—–ও আমার অনেক বড় ক্ষতি করেছে।ও আমার অধিকারে ভাগ বসাতে চাচ্ছে।আমার রাজত্বে আমি একাই রাজ করবো আর কেউ থাকবেনা।আমি ওকে তিলে তিলে মারবো।প্রথমে তোমাকে কেড়ে নেবো।ওকে দূর্বল করে দেবো।তারপর ওকে মেরে দেবো।(মনে মনে)
তোমাকে সেটা জানতে হবেনা।তুমি যদি নিজের বাবা আর আরহানকে বাচাতে চাও তবে তোমাকে আমার বিয়ে করতে হবে।

ইফাতের কথা শুনে আয়েশা অবাক হয়ে গেলো।
—–বিয়ে!! নাহ!!কখনোই না।

—–ঠিক আছে তবে দেখো।
ইফাত ম্যাজিক করে আয়েশাকে দেখাচ্ছে ওর বাবাকে কিভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে।

আয়েশা চিতকার করে বললো,
—–থামো।আমি বিয়েতে রাজি।আমার বাবাকে ছেড়ে দেও।

ইফাত বাকা হেসে বললো,
—–দ্যাটস লাইক এ গুড গার্ল।

ইফাত আয়েশাকে নিয়ে যাচ্ছে ওর আস্তানায়।আয়েশা কেদেই যাচ্ছে।

.

একটা বড় কক্ষে আয়েশা আয়েনার সামনে বউ সেজে বসে আছে।ওকে ওর বাবাকে দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।ইফাত বলেছে বিয়ে হলেই ওর বাবাকে দেখতে পাবে নয়তো নয়।আয়েশা নির্বাক অশ্রুপাত করছে।
আর আরহান বলে বিরবির করছে।
হটাৎ মনে হচ্ছে কেউ পর্দার আড়াল থেকে কেউ ওকে দেখছে।আয়েশা পর্দার দিয়ে তাকাতেই পর্দা নড়ে উঠছে।কেউ নেই।আয়েশা ছুটে গিয়ে জানালার পর্দা সরালো কিন্তু কেউ নেই।বাইরে অন্ধকার।বাতাসে পর্দা উড়ছে।আয়েশা হতাশ হয়ে ফিরে এলো।হটাৎ আয়েশার মনে হচ্ছে চারদিকে অদৃশ্য দেয়াল।ও পা বাড়িয়ে দরজার সামনে যেতে পারছেনা।বাড়ি খাচ্ছে। ডানে-বামে,পেছনে সব জায়গায় একি অবস্থা।ও ভাবছে ইফাত ওকে বন্ধি করে রেখেছে।তাই চুপ করে মেঝেতে বসে পড়ল।

আয়েশা অনেকক্ষণ যাবত মেঝেতে বসে বসে কাদছে।৩ঘন্টা ধরে বসে আছে কেউ আসেনি সেখানে।আয়েশা অনেকবার চিতকার করে ডেকেছে।কিন্তু কারো সাড়াশব্দ পায়নি।
হটাৎ বিকট আওয়াজে দরজা খোলে গেলো।আয়েশা চোখ তুলে সেদিকে তাকাতেই শকড।আরহান রক্তলাল চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আয়েশা উঠে ওর কাছে যেতে নিলেই অদৃশ্য দেয়ালে ধাক্কা খেলো।আরহান ম্যাজিক করে আয়েশাকে মুক্ত করে দিলো।আয়েশা আরহানের কাছে ছুটে এলো।আরহান আয়েশাকে সরিয়ে দিলো।
আয়েশা বুঝতে পারছে আরহান অভিমান করে আছে।
আরহান শুধু মুখ ফুটে বললো,চলো।

আয়েশা কাদতে কাদতে বললো,
—–আরহান আ’ম সরি।আমি নিরুপায় ছিলাম।বাবা ওর কব্জায় ছিলো।কি করার ছিলো আমার?প্লিজ।

আয়েশা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।আরহান আয়েশাকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো।আয়েশা আরহানের শার্ট খামচে ধরে কাদছে।
—–আমার বাবাকে ও আটকে রেখেছে।

—–উনি সেফ আছে।গাড়িতে বসে আছে।চলো।

—–আর ইফাত??

——ওকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছি।(দাতে দাত চেপে)

আয়েশা বিদায়ের কথা শুনে চুপ করে গেলো।

~ফ্ল্যাশব্যাক~
আরহান যখন রেগে আয়েশার দিকে এগুচ্ছিলো তখন পর্দায় কারো ছায়া দেখতে পায়।আরহান থমকে যায়।আর বুঝতে পারে এখানে কিছু একটা চলছে আর সেটা জানতে হলে ওকে এখান থেকে চলে যেতে হবে।আরহান তাই চলে যায়।
আরহান নিচে গিয়ে ম্যাজিক করে ওর টিয়া পাখি টুইংকেলকে আয়েশার ঘরে পাঠায়।টুইংকেলের চোখে আরহান সব ঘটনা দেখতে পায় আর সবটা বুঝে।আরহান তারপর আয়েশা আর ইফাতের পেছনে টুইংকেলকে দিয়ে দেয় ওরা কোথায় যাচ্ছে সেটা জানার জন্য।

আরহান সেই হজুরের কাছে যায় যিনি ওকে সাবধানে থাকতে বলেছে।ওনাকে গিয়ে সব ঘটনা খোলে বলেন।উনি সব শুনে বলেন,
“ও খুব শক্তিশালী জ্বিন আর ওর শত্রুতা তোমার সাথে।তুমি খালি হাতে ওকে মোকাবিলা করতে পারবেনা।এতে হিতে বিপরীত হবে সবাই বিপদে পড়বে।তোমাকে কৌশলে সব করতে হবে।তুমি ছদ্মবেশে সেখানে প্রবেশ করবে।”

আরহানকে এক বোতল পানি দিয়ে বললো,
—–গোলাপজল আছে এতে।ওখানে যারা থাকবে তাদের উপর এই পানি ছিটিয়ে দিবে।বিয়ের আগে এসব রীতি পালন করা হবে।ওরা এই পানির প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়বে।
আর এই নেও এই ছুরি ইফাত বেশি বাড়াবাড়ি করলে এটা দ্বারা আঘাত করবে।ও মারা যাবে।

আরহান তারপর অন্যরুপ নিয়ে ওই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে।প্রথমে আয়েশার রুমে গিয়ে ওর সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। তারপর শুরু হয় ওদের সাথে লড়াই।ইফাতের সাথে আরহান পেরে উঠছিলোনা তাই ওকে ছুরি দিয়ে আঘাত করায় মারা যায়।

বর্তমানে আরহানের বাড়িতে।
আরহানের মা আয়েশাকে দেখে ছুটে আসেন।
—–আরহান তুই আমার বউমাকে নিয়ে এসেছিস?বেশ করেছিস।

—–মম আয়শুর বাবা(আয়েশার বাবাকে দেখিয়ে)
উনারা কিছুদিন এখানে থাকবে।একজন ওদের পেছনে বাজেভাবে পড়েছে তাই রিক্স নিতে পারছিলাম না।তাই এখানে নিয়ে এসেছি।

—–ভালো করেছিস।এটা তো উনার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি।উনার যতদিন ইচ্ছে থাকবে।আসুন ভাই।বসুন।

—–মম,,আমরা বিয়ে করিনি।বাই এনি চান্স তুমি এটা….

—–তোরা বিয়ে করিস নি?(মুখ কালো করে)

—–তোমাদের না জানিয়ে কিভাবে আমি বিয়ে করতে পারি।

—–কিন্তু আয়েশা যে বউ সাজে…

—–বললাম না একজন পেছনে পড়েছে।আমি সব পরে বলছি।আগে আংকেল আর আয়শুকে রুম দেখিয়ে দেও।রেস্ট নিক।

—-আচ্ছা আচ্ছা।
আয়েশা সবাইকে সালাম করলো।তারপর ওদের রুম দেখিয়ে দিলো।

রাতের বেলায় সবাই মিলে গল্প করছিলো।আয়েশার বাবা নিজের রুমে চলে গেলেন।সারাদিন যা ধকল গেছে অনেক টায়ার্ড তিনি।
আরহানের মা চায় খুব শীঘ্রই ওদের বিয়ে হয়ে যাক।সামনের সপ্তাহেই ওদের বিয়ে দিবেন বলে ঠিক করেছেন।তখন বেল বেজে উঠলো।একজন সার্ভেন্ট দরজা খোলে দিতেই এক মহিলা ভেতরে ঢুকলো।
মহিলাকে দেখে আরহানের বাবা আর দাদি চমকে গেলো।আরহানেরও চেনা চেনা মনে হচ্ছে।
আরহানের বাবা বললো,
—–শবনম!!!

আরহানের মম চমকে গেলো।পাশাপাশি খুব ভয় পেয়ে গেলেন।উনি আরহানের হাত চেপে ধরলেন।আরহান অবাক হয়ে শবনমকে দেখছে।ওর স্বপ্নে দেখা সেই মানুষ ইনি।

শবনম আরহানের দিকে এগিয়ে এসে বললো,
—–মাকে ছাড়াই বিয়ে করে নিচ্ছো?

আরহানের চোখে পানি টলমল করছে।সাথে লাল হয়ে আছে।
—–আপনি আমার মা নন।

—–চাইলেই অস্বীকার করতে পারবে?আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি।

—–জন্ম দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা কিন্তু আমি আপনাকে মা হিসেবে স্বীকার করিনা।জন্ম দিলেই মা হওয়া যায়না।যে মা তার দুধের বাচ্চাকে ফেলে চলে যায় তার মা হওয়ার কোনো অধিকার নেই।
আর আপনি এখানে কেন এসেছেন?

—–আরহান তুমি একজন জ্বিন হয়ে একজন সাধারণ মানুষকে কিভাবে বিয়ে করতে পারো?তোমার স্থান জ্বিন পুরীতে।তুমি এই বিয়ে কিছুতেই করতে পারোনা।
তারপর আয়েশার দিকে দৃষ্টি দিলো।আয়েশা ভয়ে কুকড়ে যাচ্ছে।আরহান আয়েশার হাত ধরে টেনে সামনে এনে বললো,
—–আমি জ্বিন নাকি মানুষ সেটা বড় কথা না।আমি ওকে ভালোবাসি এটাই বড় কথা।আর আমি ওকেই বিয়ে করবো।ও আমার শিরায় উপশিরায় বহমান।কেউ ওকে আমার থেকে আলাদা করতে পারবেনা।আমি সব জ্বালিয়ে দেবো,ধ্বংস করে ফেলবো যদি কেউ আমাদের আলাদা করতে চায়।সেটা আপনি হলেও।

—–আরহান পাগলামি করছো।ইফাতকে তুমি মেরে ফেলেছো।এখন আমাদের বংশের একমাত্র উত্তরাধিকারী তুমি।তোমার জন্য সিংহাসন অপেক্ষা করছে।

—–আরহানের সিংহাসন আরহানের পরিবার।আরহানের অর্জন তার মম,পাপা,দাদি আর আয়শু।আমার আর কাউকে চাইনা কিছু চাইনা।প্লিজ আমাদেরকে আমাদের মতো থাকতে দিন নয়তো এই আরহান সবকিছু ভস্ম করে দেবে।আমি কি করবো আপনি ভাবতেও পারবেন না।

—–আমি তোমার মা।

আরহান নিজের মমকে দেখিয়ে বললো,
—-এই যে আমার মা।আপনি আমার কেউনা।জোর করে সম্পর্ক করা যায়না।

শবনম আরহানের মমের দিকে চেয়ে রাগে গজগজ করছে।তারপর বললো,
—–তুই আমার ছেলেকে নিজের বশে নিয়ে নিয়েছিস না? আমি চলে যাচ্ছি তবে আবারো আসবো।আমি ওকে নিয়ে যাবো।

তারপর অদৃশ্য হয়ে গেলো।

আরহানের মম আরহানের হাত চেপে ধরে কাদছে।
—–মম ডোন্ট ক্রাই।কাদছো কেন?উনি কিছুই করতে পারবেনা।ভয় পেওনা।

.
.

আরহানের অস্থির অস্থির লাগছে।শবনম যে আবারো কিছু করবে বুঝতে পারছে।আর শবনমের চোখ এখন ওর মম আর আয়েশার দিকে সেটাও বুঝতে পারছে।শবনম যে ওদের বিয়েতেও বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করবে সেটাও জানে।
আয়েশা আরহানের কাধে হাত রাখলো।আরহান আয়েশাকে এতো রাতে বাইরে দেখে চমকে গেলো।
—–তুই এই অন্ধকারে এখানে? তোমার ভয় লাগছেনা।

—–যখন আস্ত ভূত আমার বর হতে যাচ্ছে সেখানে আমার এইসব ভয় পাওয়া মানায়?

এতকিছুর মধ্যেও আয়েশার কথা শুনে আরহানের হাসি পাচ্ছে।আরহান আয়েশাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
—–চিন্তা করোনা।বিয়েটা যেকোনো মূল্যে হবে।

চলবে……
Fabiha Nowshin

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে