#Shadow_in_love
Part-11
#ফাবিহা_নওশীন
আরহান বেডে শুয়ে আছে।ডাক্তার ওকে দেখছে।এখনো জ্ঞান ফিরেনি।হাতে,কপালে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।আয়েশা পাশে দাড়িয়ে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছে নীরবে।
আরহানের অবস্থা দেখে আয়েশা সবাইকে ডেকে আনে।আরহানের অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হয়।
ডাক্তার আরহানের পাপার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বললো,
—–চিন্তার কোনো কারণ নেই।মেডিসিন লিখে দিচ্ছি।তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।জ্ঞান ফিরবে কিছুক্ষণের মধ্যে।
আরহানের পাপা ডাক্তারকে এগিয়ে দিতে গেলো।আরহানের মম আরহানের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আরহান পিটপিট করে চোখ মেললো।আরহানের মমসহ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
—–আরহান বাবা তুই ঠিক আছিস?
আরহান উঠে বসে কপালে হাত দিয়ে বললো,
—–হ্যা ঠিক আছি।তোমরা সবাই ঠিক আছো?তোমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি তো?
—–না আমাদের কিছু হয়নি।সবাই ঠিক আছি।
আরহান বিচলিত হয়ে বললো,
—–আর আয়শু? ও তো আমার সাথে ছিলো।আয়শু কোথায়?
আয়েশা সামনে এগিয়ে এসে বললো,
—–আমি ঠিক আছি।আপনার সাথে কি হয়েছিলো? হটাৎ কি হয়েছিলো?
আরহানের মমও জিজ্ঞেস করলো,
—–হ্যা আরহান বল কি হয়েছিলো?
আরহান মনে করার চেষ্টা করে বললো,
—-জানিনা হটাৎ করে কি হয়ে গিয়েছিলো? মনে হচ্ছিলো কেউ আমাকে কন্ট্রোল করছিলো।আমার কিছুই মনে নেই।
আরহানের মম চিন্তিত ভংগীতে আরহানের দিকে চেয়ে রইলো।তারপর বললো,
—–ঠিক আছে।এখন এসব নিয়ে ভাবতে হবেনা।রেস্ট নে।
আয়েশা তুমি ফ্রেশ হয়ে নেও।ব্রেকফাস্ট সাজাচ্ছি।
আয়েশা মাথা নাড়িয়ে বললো,জ্বি।
সবাই রুম ত্যাগ করতেই আয়েশা দৌড়ে আরহানের কাছে গিয়ে বসে কাদতে লাগলো।
—–আমি কত ভয় পেয়েছিলাম জানেন?এসব কেন হচ্ছে? কি হচ্ছে?
আরহান আয়েশার কাধে হাত রেখে বললো,
—–আ’ম সরি আয়শু।আমার জন্য এসব হচ্ছে।আমার জন্য তোমার জীবনের সুন্দর একটা রাত বিভৎস ভাবে কাটলো।
—–আপনি কি বলছেন?আপনার এই অবস্থা আর আপনি কিসব বলছেন?আমার কাছে আপনার চেয়ে বেশী আর কিছু নয়।
—–আচ্ছা ঠিক আছে।দেখো আমি সুস্থ।কান্না থামাও।যাও ফ্রেশ হয়ে নেও।দেখো কি অবস্থা করেছো চেহারার?
আয়েশা ফ্রেশ হয়ে এলো।দুজনে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলো।
আরহানের পরিবারের সবাই বেশ চিন্তিত।এসব শবনম করছে কিন্তু কেন করছে বুঝতে পারছেনা।আরহানের উপর কেন এটাক করছে?
আয়েশার মন খারাপ।মন খারাপের চেয়ে চিন্তাটা বেশি।ভেবেছিলো সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু কিছুই ঠিক হচ্ছে না বরং দিন দিন সব বিগড়ে যাচ্ছে।আরহান খেয়াল করছে আয়েশা উদাস হয়ে আছে।আনমনে কিছু ভেবে চলেছে।আরহান পা টিপে টিপে আয়েশার কাছে গিয়ে কাধে হাত রাখতেই আয়েশা চমকে গেলো।
আরহানকে দেখে বললো,ভয় পেয়ে গেছি।এভাবে কেউ হুট করে উদয় হয়?
আরহান ফিক করে হেসে দিলো।তারপর বললো,
—–বাহ!! তুমি না সেদিন বললে যার বর আস্ত ভূত তার কি ভয় পাওয়া মানায়?তাহলে আজ?
—–ইয়ে মানে কালকের ঘটনার পর ভয় পেয়ে গেছি।
আরহান পেছনে থেকে জড়িয়ে ধরে আয়েশার কাধে থুতনি রেখে বললো,
——তা আমার পরী কি নিয়ে এতো চিন্তিত?
আয়েশা নাক ফুলিয়ে বললো,
—–আমি পরী নই।আমি মানুষ।আমাকে পরী কেন বলেন আমার কি ডানা আছে?
আরহান আয়েশাকে ছেড়ে দিয়ে দুষ্ট হাসি দিয়ে বললো,
—–তাহলে ডানা বানিয়ে দেই।
আয়েশা আরহানের কথা শুনে ছিটকে সরে বললো,
——নায়ায়ায়ায়ায়ায়া।প্লিজ না।আপনি আমার ডানা বানাবেন না।প্লিজ না।তাহলে আমি খুব কাদবো।প্লিজ প্লিজ।
আরহান কিছুক্ষণ হেসে বললো,
—–ওকে ওকে।তবে স্মাইল করো।
আয়েশা আরহানের কথা মতো হালকা করে হাসলো।আরহান আয়েশাকে জড়িয়ে ধরে বললো,ভালোবাসি।
আয়েশা প্রতিউত্তরে মুচকি হেসে বললো,
—-আই লাভ ইউ টু মাই ডেয়ার হাসব্যান্ড।
—–কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেনা তো?
—–কখনো না।
ডিনার শেষে আয়েশা আরহানকে ওষুধ দেওয়ার জন্য রুমে যায়।আরহান জানালার গ্রিল ধরে বাইরে চেয়ে আছে।বাইরে প্রচন্ড বাতাস বইছে।পর্দাগুলো উড়ছে।আয়েশা আরহানের পেছনে দাড়িয়ে আরহানকে ডাকলো।আরহান পেছনে ঘুরে দাড়ালো।আরহানকে দেখে আয়েশা কয়েক পা পিছিয়ে গেলো।আরহানের চোখগুলো লাল হয়ে গেছে।মুখটা কেমন হয়ে আছে।ওকে দেখে ভয়ংকর লাগছে।মনে হচ্ছে এখুনি চোখের অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে দিবে।
আয়েশা ভয়ে কাচুমাচু করে বললো,
—–আরহান কি হয়েছে তোমার?
আরহান আয়েশার দিকে এগুচ্ছে।আয়েশা আস্তে আস্তে পিছিয়ে যাচ্ছে।ওর কেমন ভয় লাগছে।
—–আরহান…
হটাৎ করে আরহান আয়েশার গলা চেপে ধরলো।আয়েশা নিজেকে ছাড়ানো আপ্রাণ চেষ্টা করছে।আয়েশা কথা বলতে পারছেনা।আরহান ধীরে ধীরে ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে।আয়েশার দম বন্ধ হয়ে আসছে।সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে।নিজের হাত দিয়ে আরহানের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।
আরহান অদ্ভুত শব্দ করে আয়েশাকে ছুড়ে মারে।আয়েশা টেবিলের উপরে গিয়ে পড়ে।টেবিলের উপরের জিনিসপত্র মেঝেতে পড়ে বিকট শব্দ হলো।
আয়েশা গলায় হাত দিয়ে কাশতে লাগলো।আর কিছুক্ষণ এমন থাকলে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতো।আয়েশা উঠে বসতে পারছেনা।
আয়েশা মাথা ঘুরিয়ে আরহানের দিকে চেয়ে বললো,
—–আরহান এমন করছো কেন?আমি আয়েশা।তোমার কি হয়েছে?
আরহান আয়েশার দিকে আবারো এগিয়ে এসে ওকে তুলে দাড় করিয়ে গাল চেপে ধরে বললো,
—–তুই কে সেটা আমি ভালো করে জানি।তুই আমার পথের কাটা।তোকে না সরাতে পারলে আমার পথ ক্লিয়ার হবেনা।
আয়েশা কিছুই বুঝতে পারছেনা আরহান কি বলতে চাইছে।
আরহান আয়েশার গাল আরো জোরে চেপে ধরে মাথার চুলের মুঠি হাত দিয়ে চেপে ধরে।
জিনিসপত্র পড়ার শব্দে সবাই আরহানের রুমে ছুটে আসে।আয়েশা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।সবাই এই দৃশ্য দেখে হতবাক।
সবাই দৌড়ে এসে আরহানের কাছ থেকে আয়েশাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু আরহানের শক্তির সাথে পেরে উঠতে পারছেনা।
দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর আরহানের কাছ থেকে আয়েশাকে ছাড়াতে পারলো।আয়েশাকে আরহানের মম দূরে সরিয়ে দিয়ে বললো,
—–আরহান পাগল হয়েছিস?
মেয়েটাকে মারবি নাকি?
আরহান উত্তর না দিয়ে আয়েশার দিকে এগিয়ে গেলো।আরহানকে কেউ থামাতে পারছেনা।সবাই বুঝতে পারলো আরহান নিজের মধ্যে নেই।
আরহানের মম আয়েশাকে বললো,আয়েশা চলে যাও।ও ঠিক নেই।
আয়েশা যেতে না চাইকে ওকে জোর করে পাঠানো হলো।
আরহানের মম তাড়াতাড়ি করে সেই হুজুরের পড়া পানি নিয়ে ছিড়িয়ে দিলো আরহানকে।আরহান জ্ঞান হারালো।আরহানের পাপা আরহানকে বিছানায় শুইয়ে দিলো।
আয়েশার কপালের কোনায় কেটে গেছে।আরহানের মম সেখানে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।তারপর আয়েশাকে বললো,
——আজ আর তোমাকে ওর রুমে থাকতে হবেনা।অন্য রুমে থাকো।দেখি আগামীকাল কি করা যায়।ও কেন এসব করছে কিছুই বুঝতে পারছিনা।
আয়েশা শায় দিলো।ও নিজেও বুঝতে পারছেনা আরহান কেন এমন করছে।তবে আরহান যে নিজের মাঝে ছিলোনা বুঝতে পারছে।
~মাঝরাত~
আয়েশা স্বপ্ন দেখছে।দুটো ভয়ংকর বিশ্রী হাত ওর গলা চেপে ধরেছে কিন্তু ও কথা বলতে পারছেনা।নিজেকে ছাড়াতেও পারছেনা।ওর প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।আয়েশা দুহাত ছাড়িয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।একটা বিভৎস কন্ঠুস্বর জোরে জোরে হাসছে।কি বিশ্রী সে হাসি গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে আয়েশার।হাসিটা থামিয়ে বললো,
—–চলে যা চলে যা নয়তো মরবি তুই মরবি।সময় থাকতে চলে যা।
আয়েশার ঘুম ভেঙে গেলো।ও ঘেমে গেছে।বুক ধরপর করছে।সারা শরীর কাপছে।জোরে চিতকার করতে চাইছে কিন্তু পারছেনা।গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না।গলা শুকিয়ে গেছে।
আয়েশা বেশ ভয় পেয়ে গেছে।তাড়াতাড়ি চাদর মুড়ি দিয়ে গুটি-শুটি মেরে শুয়ে আছে।আর স্বপ্নের কথা গুলো ভাবতে লাগলো।
এর মানে কি?কি হতে পারে?কেন এই স্বপ্ন দেখলাম?
এসব ভাবতে ভাবতে আয়েশা ঘুমিয়ে গেছে।
সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলো।এরি মধ্যে আরহান এলো।আরহানকে দেখে গতরাতের কথা মনে পড়লো।
আরহান আয়েশাকে দেখে বিচলিত হয়ে বললো,
—–আয়শু তোমার কপালে ব্যান্ডেজ কেন?কি হয়েছে?
আরহানের কথা শুনে উপস্থিত সবাই বেশ অবাক।
আরহানের মম বললো,
—–তোর কি কিছুই মনে নেই?
—–কি মনে থাকবে?কি হয়েছে?
—–তুই নিজেই ওর এই অবস্থা করেছিস।প্রায় মেরে ফেলছিলি তুই।
আরহান চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে অবিশ্বাসের সাথে বললো,
—–কি বলছো মম?আমি? আমি আয়েশাকে আঘাত করেছি?ইম্পসিবল।
—–এটাই হয়েছে।গলা চেপে ধরেছিলি।
—–এটা হতে পারেনা।আমি আয়শুকে আঘাত করার কথা ভাবতেও পারিনা
——সেটাই তো বুঝতে পারছিনা।হজুরকে আসতে বলেছি।উনার কাছ থেকেই জানা যাবে কি হচ্ছে এসব আশা করি।
.
আরহান আয়েশার হাত ধরে বললো,
—–আয়শু আ’ম সরি।আমি কিছু জেনে বুঝে কিছু করিনি।ট্রাস্ট মি।আমি তোমাকে আঘাত করার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা।উই নো হাও মাচ আই লাভ ইউ।(আকুতিভরা কন্ঠে)
আয়েশা আরহানকে আশ্বস্ত করে বললো,
—–আমি জানি।আপনি নিজের মধ্যে নিজেই ছিলেন না।
হজুর সবকিছু শুনে আয়েশাকে দেখতে চাইলো।আয়েশা মাথায় ঘোমটা টেনে হুজুরকে সালাম করে আরহানের মায়ের পাশে বসল।আয়েশাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে গম্ভীর ভাবে বললো,
—–নাম কি তোমার মা?
—–আয়েশা নূর।
—–মাশাল্লাহ খুব সুন্দর নাম।তুমি এখন যাও।
আয়েশা শাশুড়ীর দিকে একবার চেয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
হজুর সবার উদ্দেশ্যে বললো,
—–ওর লাইফ রিক্সে আছে।ও মানুষ হলেও সাধারণ মানুষ নয় আর এজন্যই আরহান ওর প্রতি এতটা আসক্ত।ওর ভিতরের শক্তি আরহানকে জ্বিন থেকে মানুষে পরিণত করতে পারে।আর এই জন্য ওকে বারবার আঘাত করা হচ্ছে তাও আরহানের দ্বারা।আরহানের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।ওদের স্বামী স্ত্রীর পরিত্র সম্পর্ক আরহানের জ্বিন জীবনের অন্তরায়।
তাই বারবার আয়েশার উপর এটাক আসছে।ওকে সাবধানে থাকতে বলবেন।
আরহান আর আরহানের মম,পাপা,দাদি সবাই আয়েশার মধ্যে একটা আশা দেখতে পারছে।আয়েশাই আরহানকে মানুষ রুপে পরিণত করতে পারে।
আরহান আয়েশাকে সবটা জানালে আয়েশা করুন স্বরে বললো,
—–এমন কিছু হলে আপনার ম্যাজিক চলে যাবে।
—–আয়শু আমি ম্যাজিক চাইনা।আমি সুস্থভাবে তোমাদের নিয়ে আর দশটা মানুষের মতো বাচতে চাই।আর কিছুনা।
—–আপনার ম্যাজিক চলে গেলে আপনার খারাপ লাগবেনা।
—–না।আমি নরমাল ভাবে বাচতে চাই।কিছুদিন আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।তুমি যথাসম্ভব আমার থেকে দূরে থাকবে।যদি আমার মাঝে পরিবর্তন দেখতে পাও তাহলে দ্রুত চলে যাবে।তোমার কিছু হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা।
গভীর রাত আরহান এঞ্জেলের সাথে গল্প করে বের হচ্ছে।বাড়িতে ঢুকার জন্য পা বাড়াতেই ছাদের দিকে।একজনকে আনমনে হাটতে দেখছে ছাদের রেলিঙ ঘেষে।মেয়েটা আয়েশা সেটা আরহানের বুঝতে বাকি নেই।
“আয়েশা এত রাতে ছাদে কি করছে?”
আরহান দৌড়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ছাদে চলে গেলো।আয়েশা ছাদের রেলিঙ এর উপর উঠছে।আরহানের পিলে চমকে উঠলো।
আরহান দৌড়ে গিয়ে আয়েশাকে ধরে ফেললো।
—–আয়শু এটা কি করছিলে?পড়ে গেলে কি হতো ভেবেছো?
আয়েশা কথা বলছেনা।চোখের পলকও ফেলছেনা।আরহান বারবার ঝাকাচ্ছে।আয়েশা জ্ঞান হারালো।আরহান আয়েশাকে রুমে এনে শুইয়ে দিলো।বাড়ির সবাইকে সবটা জানালো।
আরহান আয়েশাকে নিজের রুমে ডেকে পাঠিয়েছে।
আরহান গম্ভীর ভাবে বললো,
—–আয়শু আমি একটা ডিসিশন নিয়েছি।
—–কি? (কৌতুহল নিয়ে)
—–আমরা আর একসাথে থাকছিনা।তুমি আজ তোমার বাড়িতে চলে যাবে।
আয়েশার কন্ঠস্বর আটকে যাচ্ছে।কোনো কথা বলতে পারছেনা।
চলবে….
Fabiha Nowshin