@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৮)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে তাড়াতাড়ি পাঠাও।(আমি)
.
কি কপাল আমার জোর করে বিয়ে করতে হলো আবার এখন লুকানোর অপরাধে থাপ্পড় খেলাম।
.
–এই নে তোর খাবার।খেয়ে নেয় তাড়াতাড়ি। (নীরব)
.
–তোর মুখে ওটা কি ডুকিয়েছিস রে। (আমি)
.
–না ওটা কিছু না তুই খেয়ে নেয়।(নীরব)
.
–শালা হারামি আমার ভাগের ডিমটা মেরে দিলি। (আমি)
.
–মারছি বেশ করছি এখন যদি আরেকটু দেরি আস্তে আস্তে করে তোর পুরো প্লেটের সব শেষ হয়ে যাবে শুধু ভাত পড়ে থাকবে।(নীরব)
.
–তুই আমার সামনে থেকে যা রাক্ষস। (আমি)
.
আমি শান্তিতে খেতেও পারবো না মনে হয় যে অবস্থা শুরু করছে।
.
–এই পিমু কি এদিকে আসেন তো একটু।(আমি)
.
–কি হয়ে বলেল ভাইয়া।(রাকিবের gf)
.
–হাতে ওটা কি?(আমি)
.
–প্লেট। (পিমু)
.
–আরে বাবা সেটা তো আমিও দেখতে পাচ্ছি। কি নিয়ে যাচ্ছেন সেটা জানতে চাইছি।(আমি)
.
–খাবার নিয়ে যাচ্ছি নূরী ভাবীর জন্য।হ্যাপি।(পিমু)
.
–প্লেট টা নিচে নামান তো একটু।(আমি)
.
–এটা কিন্তু আপনি ঠিক করেন নাই ভাইয়া।বেচারি দুপুরে খেতে পারেনি আর এখন আপনি মাংস, ডিম সব নিয়ে নিলেন মাছটা ছাড়া।(পিমু)
.
–আপনাকে এত টেনশন করতে হবে না। ও এমনিতে ছোটখাটো একটা হাতির বাচ্ছা মাংস আর ডিম যত খাবে ততবেশি মোটা হবে।(আমি)
.
আহহহহহুহুহুহুম খাওয়া হয়েছে হেব্বি। এবার একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারলে বাঁচি।
.
–বস শেরওয়ানীটা পড়ে নে। (জাহেদ)
.
–কেনো। (আমি)
.
–বাঁসর ঘরে ডুকবা শেরওয়ানী পড়বা না তা কি করে হয়।(নীরব)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে পড়ে নিচ্ছি। (আমি)
.
বাইরে বা অন্য রুমে যাওয়া যাবে না আব্বু আম্মু দুজনে মিলে পিটাবে তাই বাধ্য হয়ে নূরীর রুমে যাচ্ছি কারন ওখানে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
.
–নে ভাই চল আমি রেডি।(আমি)
.
–বসের দেখি আর দেরি সহ্য হচ্ছে না। (জাহেদ)
.
–না বেটা সহ্য হচ্ছে না তোদের সাথে বকবক করে যদি সারারাত কাটিয়ে দিই তাহলে বাঁসর রাতে বিড়াল মারবো কি করে।(আমি)
.
–আচ্ছা চল তোরে বাঁসর ঘরে ডুকিয়ে দিয়ে ওদের আবার বাড়ীতে ছেড়ে দিতে হবে। (নীরব)
.
রুমের সামনে গিয়ে দেখি বন্ধুদের gf গুলোর সাথে দুপুরের সেই মেয়েটি আছে তাদের সাথে আরো কয়েকটা সুন্দরি ললনা দাড়িয়ে আছে।
.
–ভাইয়া ১০ হাজার টাকা বের করেন না হলে রুমে ডুকতে দিবো না।(ললনা একটা)
.
–এক টাকাও দিবো না।(আমি)
.
–তাহলে আপনার আর বাঁসর করা হলো না।(ওরা)
.
–এই বেবি চল তুমি না বলছিলা নূরীর সতীন হতেও রাজী আমার জন্য, তাহলে দেরি করছো কেনো চল নূরী কে বাদ দিয়ে তোমার সাথে বাঁসর করি।(আমি)
.
–আদর ভাইয়া কি সব উল্টাপাল্টা বলছেন রুমে গেলে তারপর বুঝবেন কত ধানে কত চাল।(পিমু)
.
–এই নাও তোমাদের
টাকা। এবার ওকে ছেড়ে দাও।(অসীম)
.
–মাএ ৫ হাজার।(পিমু)
.
–অনেক দিয়েছি আর না এবার রুমের চাবি খুলে দাও আর বাড়ীর দিকে রওনা হও।(জাহেদ)
.
হারামি বন্ধুরা সবাই আমারে রুমে ডুকিয়ে দিয়ে চলে গেলো।রুমের চারদিকে লুকানোর মতো একটা জায়গা খুজতেছি আমি জানি আমাকে মার খেতে হবে।হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম আমার পা ছুয়ে নূরী সালাম করছে।
.
–উঠো মা উঠো।বেঁচে থাকো স্বামী সন্তান নিয়ে।(আমি)
.
–কি কইলি তুই।(কলার চেপে ধরে, নূরী)
.
–কি আর বলবো সালাম করছো তাই তোমার জন্য দোয়া করলাম।(আমি)
.
–তাই বলে মা বলবি।(নূরী)
.
–লক্ষি মেয়ে বরের সাথে কেউ তুই তোকারি করতে নেই।(আমি)
.
–পাম দিস না।তুই কি ভাবছিস পাম দিয়ে তুই বেঁচে যাবি আজকে দুপুর থেকে যা যা করছিস সবকিছুর শাস্তি তোরে পেতে হবে বান্দর।(নূরী)
.
–মারামারি করে কি লাভ হবে সোনা তার থেকে বেশি ভালো হবে যদি আমরা বাঁসর রাতের টি-20 ম্যাচটা খেলা শুরু করি কি বলো তুমি।(আমি)
.
–তোর টি-20 ম্যাচ পরে হবে আগে তোরে শাস্তি পেতে হবে তারপর ম্যাচ। (নূরী)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে আমি রাজি।(আমি)
.
–এত তাড়াতাড়ি রাজি হয়ে যাবি আমি তা কল্পনাতেও ভাবিনি।যে ছেলে বিয়েতে রাজি হচ্ছিলো না সে এত তাড়াতাড়ি রাজি হয়ে গেলো। (নূরী)
.
–রাজি না কি আর কোন উপায় আছে বল।এখন যদি রাজি না হতাম তাহলে তো শাস্তি শেষ হতে রাত পেরিয়ে যাবে টি-20 খেলা আর হবে না।(আমি)
.
–হয়েছে এবার আমাকে প্রপোজ কর। (নূরী)
.
–পারবো না।(আমি)
.
–আমি বলছি তুই আমাকে প্রপোজ করবি।(নূরী)
.
–বললাম না তোরে আমি প্রপোজ করতে পারবো না। (আমি)
.
–কেনো পারবি না।(নূরী)
.
–পারবো না কেনো সেটা আমি জানি না। (আমি)
.
–শুধু একবার হাটু গেড়ে বসে বল তুই আমাকে ভালোবাসিস।(নূরী)
.
–পারবো না বলতে।কালকে রাতে ঘুমাতে পারিনি। আমি ঘুমাবো তুই আমাকে ডিস্টার্ব করবি না।(আমি)
.
–তুই ম্যাচ খেলবি না।(নূরী)
.
–তোর ম্যাচের গুষ্টি কিলাই খেলবো না ম্যাচ।(আমি)
.
কালকে রাতে না ঘুমানোর কারনে বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে ঘুম চলে আসলো।
জানি না কতক্ষণ ঘুমিয়েছি।
ফোঁপানোর শ্বদে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উঠে দেখি নূরী বিছানায় মাথা দিয়ে ফ্লোরে বসে আছে।
এখনো কাপড় চেন্স করে নাই।
.
–নূরী কি হয়েছে কাঁদছিস কেনো।(আমি)
.
–তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিস না আদর।(নূরী)
.
–বেশি কথা বলিশ তুই।এখনো ফ্রেশ না হয়ে বসে বসে কাঁদছিস কেনো।(আমি)
.
–কি করবো তুইতো আমাকে ভালোবাসিস না।(নূরী)
.
–যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর তোর সব কথা শুনবো।(আমি)
.
–এই বান্দর পোলা আমাকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বলে তুই ঘুমাচ্ছিস।(নূরী)
.
–খুব ঘুম পাচ্ছে বক বক না করে তুইও ঘুমা।(আমি)
.
–ঘুমাবো তবে কিছু শর্ত আছে।(নূরী)
.
–কি শর্ত বলে শুয়ে পড়।(আমি)
.
–শর্ত শুনে তা পালন করার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে তারপর ঘুমাবি।(নূরী)
.
–প্যাঁচাল কম করে শর্তগুলো ফটাফট বল।(আমি)
.
— শর্ত (১) আমাকে ভালোবাসতে হবে।(নূরী)
.
–তোরে ভালোবাসার কি আছে ভালোবাসলেও তুই আমার ভালো না বাসলেও তুই আমার।(আমি)
.
–চুপ আমি তোর হবো না তো অন্য কারো হবো নাকি।শর্ত (২)আমাকে তোর বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দিতে হবে।(নূরী)
.
–তোর মতো ছোটখাটো একটা হাতির বাচ্ছা যদি আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাস তাহলে তো আমি মরে যাবো।
আচ্ছা রাজি।(আমি)
.
.
.
চলবে