sanam teri kasam part 7

0
2602

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৭)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun(কাল্পনিক লেখক)
.
–না রে ভাই পাম দিচ্ছি না। সত্যি বলছি তোদের মানাবে বেশ।(জাহেদ)
.
–অনেক হয়েছে বক বক বন্ধ কর আর শেরওয়ানীটা পড়ে নেয়।(নীরব)
.
–ভাই এবার চল দেরি হয়ে যাচ্ছে।(অসীম)
.
অবশেষে আমি কাজী সাহেবের সামনে বসে আছি। আমার পাশে বসে আছে আমার জানে দুশমন নূরী।
.
–দুলাভাই শেরওয়ানীটা কিন্তু দারুণ। আপনাকে নীল শেরওয়ানী তে রাজকুমারের মতো লাগছে।(তাহারে আমি চিনি না তাই নামটাও জানি না)
.
–এমা তাই।(আমি)
.
–সত্যি বলছি। ইচ্ছে করছে নূরীর জায়গায় আমি বসি আর আপনার বউ হয়ে যাই।(অচেনা মেয়েটি)
.
–তাহলে তো ভালোই হতো। কিন্তু আপনার ভাগ্য খারাপ। (আমি)
.
–শালী তো আদা ঘরওয়ালী আমাকেও নূরীর সাথে নিয়ে চলুন আপনার করে।(মাইরাল্লা মাইয়া কয় কি)
.
–তাহলে তো আপনি নূরীর সতীন হয়ে যাবেন।(আমি)
.
–তাতে কি আমি আপনার জন্য সতীনের সাথে থাকতেও রাজী।(মেয়েটি)
.
মাইয়ার কথার উওর না দিয়ে আমি সোজা কাজী বেটার দিকে তাকালাম।বেটা দেখি অালাপ সারছে। একদিকে আমার হালুয়া টাইট হয়ে যাচ্ছে। আমি শিওর যে বাঁসর রাতে বউয়ের হাতে মাইর একটাও নিচে পড়বে না সবকটা আমার পিঠে পড়বে।এখন যদি নূরীর দিকে তাকাই আমারে চোঁখ দিয়ে গিলে খাবে।
.
কাজী বেটা অবশেষে বিয়ে পড়ানো শেষ করলো।
মেয়ে বিদায়ের প্রস্তুতি শুরু করছে সবাই।আমার মাথায় কিছুতেই ডুকতেছে না যে মাইয়া তো এ বাড়ীতে ছিলো এখনও থাকবে পরর্বতীতেও থাকবে তাহলে মেয়ে বিদায়ের জন্য সবাই এত প্রস্তুতি নিচ্ছে কেনো।
.
–ওই নীরব এদিকে আয়।(আমি)
.
–কি হয়েছে। (নীরব)
.
–কোথায় যাচ্ছিস আমাকে রেখে। (আমি)
.
–দোস্ত ম্যাডামেরা আসছে তোদের বাঁসর সাজাতে।(নীরব)
.
–ওদের কাউকে দেখলাম না যে।ওরা আসেনি কেনো?(আমি)
.
–ওরা ঠিকই আসছে তুই দেখিস নাই। এসে আবার চলে গিয়েছে এখন তোদের বাঁসর সাজাতে যাচ্ছে।(নীরব)
.
–ওরা তো এখানে থাকবে কোথায় যাচ্ছে।(আমি)
.
–তোর শ্বশুর বাড়ী তো ওরা চিনে না তাই ওদের নিয়ে যাচ্ছি।ওখানে তোদের বাঁসর হবে।এখন যারা চলে যাবে তারা কালকে বৌ ভাতে ওখানে যাবে আর যারা থাকবে তারা সবাই তোদের পিছন পিছন যাবে।(নীরব)
.
এটা কি হলো এতদিন জানতাম বিয়ে পর মেয়েরা আসে ছেলের বাড়ীতে আর আমার ভেলায় তার উল্টো আমাকে যেতে হচ্ছে মেয়ের বাড়ীতে আমারে কেউ এক গ্লাস পানি দাও ডুইবা মরি।
.
–আদর বাবা আজ থেকে আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিলাম।আমার মেয়ের ভালো মন্দের সব দায়িত্ব আজ থেকে তোমার।(শ্বশুর)
.
–আরে বেয়াই আমার ছেলেকে আপনার মেয়ের হাতে তুলে দিবো আজকে।নূরী মা আজ থেকে এই লেজ ছাড়া বান্দরটার সব দায়িত্ব তোর উপর।তুই জানিস বান্দর কে কি করে মানুষ করবি। সুখে থাকিস তোরা।(আব্বু)
.

আব্বুটার জন্য শান্তি নাই।পরিবারের সবাই আমার বিরুদ্ধে।আব্বু যে এ মাইয়াটারে আমার দায়িত্ব দিছে এ মাইয়া তো আমারে এক দিনে মেরে ফেলবে।
আমি শুধু ভাবতেছি কি করে পারলো আব্বু আমাকে জমের মুখে ছেড়ে দিতে।
.
আমি এখন ফুল দিতে সাজানো কারটাতে বসে আছি।ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত তাই না।বিয়ে করতে আসছি হেঁটে আর এখন বউ নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে ফিরছি গাড়ী করে হায় রে কপাল।যদি কপালের লেখাটা মুছে নিজের হাতে লিখতে পারতাম তাহলে নিশ্চই আমাকে এসব সহ্য করতে হতো না।
.
শ্বশুর বাড়িতে বউ নিয়ে এসে থুক্কু শ্বশুর বাড়ীতে বউ আমারে নিয়ে আসছে।বাড়ীতে ডুকার সাথে সাথে বন্ধুরা এবং ওদের gf গুলো বের হয়ে আর আমার সামনে থেকে আমার বউটারে নিয়ে চলে গেলো।আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।নূরীরদের বাড়ীতে আগেও অনেক বার আসছি তবে এখানেও আমার জন্য রুম একটা বরাদ্দ আছে।আমি আসলে ওই রুমটাতে থাকি। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখি সবাই হাজির এখানে।
.
— কি রে বেটা বিয়ে করে সবাই বউ নিয়ে বাড়ীতে যায় আর তুই কিনা শ্বশুর বাড়ীতে আসছিস।হাহাহাহা।(আব্বু)
.
–বিটকেলের মতো দাঁত বের করে হেসো না সবকিছু তোমার জন্য হয়েছে।(আমি)
.
–আরে বাপ আমি কিছু করি নাই এসব কিছুর পিছনে আছে নূরীর হাত।নূরীর কথাতেই এসব হয়েছে। (আব্বু)
.
–তাহলে এখানে দাড়িয়ে না থেকে যাও গিয়ে নূরীর গুনগান কর। যতসব ভাল্লাগে না।(আমি)
.
–আরে কোথায় যাচ্ছিস। (আম্মু)
.
–জাহান্নামে যাচ্ছি যাবা,গাড়ী নিয়ে আসবো।(আমি)
.
–জাহান্নামে যাচ্ছিস যা, তবে কিছুক্ষণ পর ফিরে আসিস।(আম্মু)
.
দূর দূর ঘেন্না ধরে গেলো জীবনের প্রতি। ইচ্ছে করছে কিছুদিনের জন্য জঙ্গলে চলে যাই মঙ্গল করতে তবে একটা সমস্যা আছে আমি যাবো মঙ্গল করতে কিন্তু কেউ যদি আমারে খেয়ে নিজের ভুড়ি ভোজ করে নেয় তখন আমার সদ্য বিয়ে করা বউয়ের কি হবে তারথেকে বড় প্রশ্ন বাংলাদেশ জাতীয় দলের লেগস্পিনারের অভাব কে পূরণ করবে।
এসব চিন্তা ভাবনা করতে করতে অনেকটা দূর চলে এসেছি মোবাইলটাও নিয়ে আসি নাই এদিকে রাত হয়ে গেলো তবে চাঁদের আলোয় হাটতে দারুন লাগছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর শ্বশুর বাড়ীতে প্রবেশ করলাম। কথা শুনে যা মনে হচ্ছে সবাই আমাকে খুজতেছে।আমিও এই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য আস্তে করে সবার চোঁখ ফাকি দিয়ে ছাদে চলে গেলাম আর সুযোগ বুঝে লুকিয়ে পড়লাম।
বুঝো ঠেলা।
অনেক্ষন লুকিয়ে ছিলাম জব্বর ক্ষিদেও পেয়েছে আর লুকিয়ে না থেকে বের হয়ে নিচে নেমে পড়লাম।এখনো দেখছি আমাকে খুজতেছে সবাই আমার আর কি নো টেনশন আমি তো কোথাও যাইনি বাড়ীতে আছি কেউ না খুজে পেলে আমার কি।
বসে বসে টিভি দেখছি আর মিষ্টি খাচ্ছি।
একটু পরে মামাতো ভাই শিবলু দেখতে পেলো আর আব্বু কে গিয়ে বলে দিলো।
.
–এই তুই কোথায় ছিলি এতক্ষন।(আব্বু)
.
–আমিতো ছাদে ছিলাম তোমরা দেখতে না পেলে আমার কি?(আমি)
.
–ঠাসসসস,বেয়াদব পোলা।আমরা এতক্ষন খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে গেছি আর তুই বলছিস ছাদে ছিলি তাহলে আমরা খুজে পাইনি কেনো।(আব্বু)
.
–আমি যখন ছাদে যাচ্ছি তোমরা তখন ছাদ থেকে নিচে নেমে গিয়েছো তাই দেখতে পাওনি।আর হাঁ খুব ক্ষিদে লাগছে খেতে দাও আর থাপ্পড় খেতে পারবো না বলে দিলাম।(আমি)
.
–১১ টা বেজে গেছে এখনো কেউ খায়নি তোর জন্য সবাই খাবে তুই এখানে বসে থাক আমি খাবার পাঠাচ্ছি। (আম্মু)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে তাড়াতাড়ি পাঠাও। (আমি)
.
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে