@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৩)
.
লেখক : Abdullah Al Ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
–তুই কথাই বলিস না, তোর শরম থাকা উচিৎ মেয়েদের হাতে মার খেয়ে এসেছিস।(নূরী)
.
–এই চুপ থাক।বক বক করবি নাক ফাটিয়ে ফেলবো মেরে।(আমি)
.
–হক কথা বললেই দোষ।(নূরী)
.
–তোর হক কথার গুষ্টি কিলাই। আমার সামনে থেকে যা।(আমি)
.
–যাচ্ছি যাচ্ছি তুই রুমে যা,আমি মলম নিয়ে আসছি।(নূরী)
.
–তুই কিন্তু এবার মাথা গরম করে দিচ্ছিস।আমার এমন অবস্তা এখনো হয়নি যে ওদের মার খেয়ে মলম লাগাতে হবে।(আমি)
.
–যা তো, তোর ক্ষমতা কতটুকু জানা হয়ে গেছে।(নূরী)
.
এই মাইয়ার কি মনে হয় ওদের মার খেয়ে আমাকে মলম লাগাতে হবে।
ওর কি মনে হয় আমি ওদের কিছুই করতে পারতাম না।মেয়ে বলে কিছু বলি নাই নাহলে ওদের মেরে লুকিয়ে ফেলা আমার বা হাতের খেল।
.
–কিরে তুই নাকি মেয়েদের হাতে মার খেয়ে এসেছিস।(ইমন)
.
–কে বলছে তোরে এসব।(আমি)
.
–আরে বলছে কেউ একজন তুই নাকি মার খেয়ে বর্তা হয়ে বাড়িতে এসেছিস।(ইমন)
.
–এই নূরীর বাইচ্ছা নূরী।এদিকে আয় বলছি।(আমি)
.
–কি হয়েছে ষাঁড়ের মতো চিল্লাস কেনো।(নূরী)
.
–তুই আমাদের নেতা কে কি বলছিস।(আমি)
.
–কই আমি তো কিছু বলিনি।এই ইমন তোরে আমি কিছু বলছি নাকি।(নূরী)
.
–আরে ভাই হবু ভাবি কিছু বলে নাই। আমাকে তোর বন্ধু নীরব বলছে।(ইমন)
.
–জানোয়ার গুলোকে তো আজকে শেষ করে ফেলবো। ওদের জন্য আমাকে আজ মেয়েদের হাতে মার খেতে হয়েছে আবার সবাইকে বলে বেড়ানো হচ্ছে। (আমি)
.
–আরে আরে কি করছিস রামতা (ক্রিস)নিয়ে কোথায় যাচ্ছি।(নূরী)
.
–আরে ভাবি ওকে আটকাও না হলে আজকে কেউ বাঁচবে না।(ইমন)
.
–আমি চেষ্টা করছি তুই ওদের ফোন দিয়ে বল ফালিয়ে যেতে।(নূরী)
.
–ঠিক আছে তাই করছি।আগের মতো খেপেছে আজকে হাতের কাছে ফেলে নির্ঘাত তাদের মূত্যু।(ইমন)
.
যখন ক্রিসটা নিয়ে যাচ্ছিলাম তখনি আব্বু দেখে ফেলে গাড়ি থেকে।কোন অলুক্ষনে সময়ে আব্বু বের হয়েছে।
.
–এই দাড়া বলছি দাড়া।(আব্বু)
.
–কি বলবা বল।(আমি)
.
–কাকে মারতে যাচ্ছিস। (আব্বু)
.
–কাউকে না।এমনি একটু মজা করার জন্য বের হয়েছি।(আমি)
.
–ঠাসসস, তুই আমার কাছে মিথ্যা বলছিস। আমি জানি তুই কাদের মারতে যাচ্ছিস।শুন ওরা তোর বন্ধু ওদের সাথে এক সাথে পড়া লেখা খেলাধুলা করছিস।আজকে ওরা তোর সাথে মজা করছে বলে ওদের মারতে যাচ্ছিস।(আব্বু)
.
–ওরা কি করছে তুমি জানো। (আমি)
.
–আমি সব জানি কি হয়েছে।ওরা তোর বন্ধু একদিন মজা করবে একদিন বুকে টেনে নিবে।তাছাড়া বাইরের কাউকে তো বলে নাই কিছু তোরে রাগানোর জন্য আমাদের বলছে।এসব ঠিক না বাড়িতে চল।(আব্বু)
.
–আমি তো এটা নিয়ে একটু মজা করতে যাচ্ছিলাম।(আমি)
.
–বুঝলাম মজা করতে যাচ্ছিস।হঠাৎ করে যদি ওরা কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলতো তাহলে তো ঝামেলা হয়ে যেতো তখন কি করতি।তাছাড়া ওরা তোর বন্ধু ওরা তোকে বুঝবে আর যারা তোরে ক্রিস হাতে দেখছে তাদের চোঁখে তো তুই খারাপ হয়ে গেছিস । (আব্বু)
.
— ভুল হয়ে গেছে আর এমনটা হবে না।স্যরি। (আমি)
.
–চল বাড়িতে চল।রাতে নাকি তোদের খেলা আছে খেয়ে ঘুমাবি তাহলে ভালো কিছু করতে পারবি। (আব্বু)
.
বাড়িতে গিয়ে বান্দরের মতো লাফাতে লাফাতে ছাদে উঠে দেখি নূরী আমার গোলাপ গাছগুলোর পাতা কাঁটছে। চুপি চুপি গিয়ে চুলের মুঠি ধরে তুললাম।
.
–আহহহহ, ছাড়। কেউ এমন করে হবু বউয়ের সাথে।(নূরী)
.
–কিসের হবু।কার হবু। কেমন হবু।(আমি)
.
–হবু মানে যে কিছুদিন পর তোর বা তোর পরিবারের কেউ হবে।(নূরী)
.
–সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু বউ মানে কি?(আমি)
.
–না বুঝলে মুড়ি খা গিয়ে। (নূরী)
.
–নিজেই যেহেতু জানিস না তাহলে আবার বউ হতে চাস কেনো।(আমি)
.
–বউ কারে কয় সেটা কিছুদিন পর বুঝতে পারবি।(নূরী)
.
–পারলে এখন বুঝিয়ে যা।(আমি)
.
–আগে বিয়েটা হয়ে যাক তারপর বুঝাবো।(নূরী)
.
–পাগল নাকি তোরে আমি বিয়ে করবো ভাবলি কি করে।(আমি)
.
–তোরে ভাবতে তো কেউ বলে নাই। বিয়ের পর ভাবিস।(নূরী)
.
–দেখা যাবে।(আমি)
.
–ওই ছেলেটি কি পালিয়েছে।(নূরী)
.
–আবার কার দিকে নজর দিলি তোর নজর তো খুব খারাপ।(আমি)
.
–বাজে বকিস না তো।ওইদিন যে বললি একটা ছেলে পালাবে ও কি পালিয়েছে। (নূরী)
.
–না না ও এখনো পালায়নি পালাবে কিছুদিনের মধ্যে।(আমি)
.
–তুই যে বললি ও সেদিনই পালিয়ে যাবে।(নূরী)
.
–খুব তাড়াতাড়ি পালাবে এটা তুই শিউর থাক।(আমি)
.
— বুঝতে পারছি কে পালাবে?কবে পালাবে?কেনো পালাবে?(নূরী)
.
–গুড।এবার সামনে থেকে যা।(আমি)
.
চলবে