#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা-পূজা
পর্ব-১৯&শেষ
।
।
এক সপ্তাহ পর,,
আজ তীব্রর ফ্যামিলি নিলির বাসায় যাবে। নিলিকে দেখতে আর ওর ফ্যামিলির সাথে কথা বলতে। আরশির মাথার ক্ষত সেরে গেলেও হাতের ব্যাথা এখনো কমে নি। রিহান হাত ভাঙ্গার মতোই ধাক্কা দিয়েছিলো। হাতের হাড়ে গিয়ে সোজা লেগেছে। তবে আগে থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ। আরশিকে নিলয় রেডি করিয়ে দিচ্ছে নিলির বাসায় যাওয়ার জন্য।
আরশিঃশুনুন।
নিলয়ঃবলো।
আরশিঃরিহানকে এবার ছেড়ে দিন।
নিলয় অবাক হয়ে আরশির দিকে তাকালো। আরশি আবার বললো,”কাল ভার্সিটি যাওয়ার পর সবাই বলছিলো রিহানকে নাকি অনেকদিন ধরে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি প্রথমেই বুঝেছিলাম আপনিই কিছু করেছেন। অনেক শাস্ত্রী পেয়েছে এবার ছেড়ে দিন।”
নিলয়ঃও তোমার এত বড় ক্ষতি করেছে। তারপরো এই কথা বলছো?
আরশিঃহুম। ও ওর বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। আদরে বড় হয়েছে। শাসন করে নি কেউ তাই বিগড়ে গেছে। আর পুলিশ চারিদিকে রিহানকে খুজছে। আপনি পরে ফেসে যাবেন। আমি চাই না আপনাকে হারাতে।
নিলয়ঃভয় পেও না। আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আর কেউ রিহানকেও খুজে পাবে না।
আরশিঃযাই হোক। আপনি রিহানকে ছেড়ে দিন। অনেক শাস্ত্রী পেয়েছে।
নিলয়ঃওকে। তুমি চাইছো যখন ছেড়ে দেবো। এবার চলো।
নিলয় আরশিকে নিয়ে বেরিয়ে পরে। আধ ঘন্টা পর ওরা পৌছে যায় ওদের বাসায়। আরশি চলে যায় নিলির রুমে। নিলি শাড়ি নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
আরশিঃনিলি!
নিলিঃওহ! বউমনি তুমি এসেছো। দেখো না মা শাড়ি দিয়ে গেছে পড়ার জন্য। তুমি মাকে প্লিজ বলো আমি ড্রেস পরবো। ভাইয়ার বিয়ের দিন শাড়ি পরেছিলাম। ২বার আছার খেয়েছি। তোমার বাসায় গিয়ে আবার শাড়ি চেন্জ করে ড্রেস পরি। আমার দ্বারা এসব হবে না।
আরশিঃকিছু হবে না। আমি আছি না। আমি বলে দিচ্ছি তুমি শাড়ি পরো। আমার হাতে এখনো ব্যাথা। আমি পরিয়ে দিতে পারবো না।
নিলিঃ😔আমি ড্রেস পরবো। আমাকে শাড়িতে একদম বিশ্রী লাগে।
আরশিঃশাড়িতে সব মেয়েকেই সুন্দর লাগে নিলি। তুমি পরো। তীব্রভাইয়া হা করে তাকিয়ে থাকবে। দেখো!
নিলিঃ😑ওকে।
আরশি দেখিয়ে দেয় আর নিলি নিজেই শাড়ি পরে। এতে পরা ও হলো আর শিখা ও হলো। শাড়ি পরে হালকা সেজে নেয়।
দুপুরে তীব্র ওর মা বাবা তৃষি আর ওর কয়েকটা ফ্রেন্ড আসে। নিলয় ওর কাকু আর আরশির বাবা ওদের সাথে ড্রয়িংরুমে বসেন। তীব্রর মা নিলির বাবার সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলেন। তীব্রর পড়াশুনা শেষ হলেই বিয়ে। তার আগে নয়।
তৃষি এসেই নিলির রুমে চলে যায়। নিলি আরশির সাথে বসে গল্প করছিলো। দরজার কাছে এসেই বললো,”বউমনি?”
নিলিঃতৃষি!
আরশিঃও কে?
নিলিঃতীব্রর ছোট বোন।
আরশিঃওয়াও সো কিউট। ভেতরে এসো।
তৃষি গিয়ে আরশির পাশে বসলো। তৃষি বললো,”বউমনি তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ভাইয়া তো পাগল হয়ে যাবে।”
নিলিঃ🙈থ্যাংকস।
নিলির মা এসে বললেন,”আরশি নিলিকে নিয়ে নিচে এসো।”
আরশিঃওকে মামনি। নিয়ে আসছি।
নিলির মা যেথেই আরশি আর তৃষি নিলিকে নিয়ে নিচে নামে। নিলি মাথা নিচু করে আছে। তীব্র নিলিকে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে। তীব্রর মায়ের ও নিলিকে দেখে ভালো লাগে। তৃষি নিলিকে নিয়ে ওর মায়ের পাশে বসায়।
তীব্রর বাবাঃবলেছিলাম না তোমাকে নিলি দেখতে খুব মিষ্টি। তীব্রর পছন্দ আছে। আমি তো প্রথম দেখাতেই ওকে তীব্রর বউ হিসেবে ভেবে নিয়েছিলাম।
তীব্রর মাঃহুম।(নিলির দিকে তাকিয়ে)আমি আজই ইনগেইজমেন্ট করে যেথে চাই। বিয়ে তীব্রর পড়াশুনা শেষ করেই হবে।
তীব্রর বাবাঃআপনাদের কোনো অবজেকশন আছে?
নিলির বাবাঃনা। আপনারা যা ভালো মনে করেন।
এদিনই তীব্র আর নিলির ইনগেইজমেন্ট হয়ে যায়। তারপর তানভীর আকাশ অনিক ওরা তীব্র আর নিলিকে নিয়ে উপরে যায়। নিচে বড়রা কথা বলেন। তৃষি ও সাথে যায়। তীব্র আর নিলিকে একা রুমে কথা বলতে দিয়ে তানভীর আকাশ অনিক বাইরে চলে আসে। আকাশ তৃষি নিয়ে ছাদে চলে যায়।
তৃষিঃউপপ! ভাইয়া হাত ছারো। লাগছে। এভাবে টেনে আনলে কেনো?
আকাশ হাত ছেড়ে দিয়ে বলে,”কোথায় লেগেছে দেখি?”
যে জায়গায় শক্ত করে ধরেছিলো সেখানে আকাশ ওর ঠোট ছোয়ায়। তৃষি তো কারেন্ট এর শক খায়। হাত টান দিয়ে নিয়ে নেয়।
আকাশঃব্যাথা কমেছে?
তৃষি মাথা নিচু করে বললো,”হুম।”
আকাশঃআজ তকে খুব সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে…..
তৃষি মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকালো। আকাশ তৃষির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,”এই পিচ্ছি মেয়েটাকে মন ভরে আদর করতে😘।”
তৃষি চোখ বড় বড় করে আকাশের দিকে তাকালো। আকাশ এবার ডিরেক্ট বললো,”আই লাভ ইউ।”
তৃষি তো আকাশ থেকে পরলো মনে হয়। ও কানে ঠিক শুনছে না ভুল শুনছে বুঝতে পারছে না। ড্যাবড্যাব করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
আকাশঃচল।
আকাশ তৃষির হাত ধরে টেনে আবার নিচে নিয়ে আসলো। তৃষি এখনো একটা ঘুরের মধ্যে আছে।
এদিকে নিলি মাথা নিচু করে রুমের মধ্যে দারিয়ে আছে। আর তীব্র বসে বসে নিলিকে দেখছে। রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।
তীব্রঃআমার তো তোমাকে এখনই বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে। এত কিউট লাগছে……
নিলিঃপ্লিজ চুপ করুন। আমি এমনিতেই শাড়ি নিয়ে প্রবলেমে আছি।
তীব্রঃকি হয়েছে?
নিলিঃপ্লিজ আপনি এই রুম থেকে বের হন।
তীব্রঃআগে বলো কি হয়েছে?
নিলিঃআমি শাড়ি চেন্জ করবো।
তীব্রঃকেনো?
নিলি মাথা নিচু করে বললো,”খুলে গেছে।”
তীব্রঃ😂একটা শাড়িও সামলাতে পারো না।
নিলিঃবেশি কথা না বলে রুম থেকে বের হন।
তীব্র আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে গেলো। নিলি শাড়ি ঠিক করে নিলো। এখন ড্রেস পরলে ওর মায়ের হাতে বকা খেতে হবে।
তীব্রর মা বাবা সব ফাইনাল করে। লাঞ্চ করে সন্ধ্যায় বাসায় যায়। তীব্র যাওয়ার আগে একবার নিলির সাথে দেখা করে যায়।
তীব্র আর নিলি ওদের পড়াশুনা আর টুকটাক প্রেম এসব নিয়েই ওদের দিন চলে যায়।
আরশির পড়াশুনা আর নিলয়ের অফিস এসব নিয়েই ওরা আছে। আরশি আর নিলয়ের রিলেশন আস্তে আস্তে নরমাল হচ্ছে। নিলয় আরশিকে ভালোবাসতে চায় না হারানোর ভয়ে। বাট আরশি ভালোবাসতে বাধ্য করছে। নিলয় আরশিকে ভার্সিটিতে পৌছে দেয়। শত কাজ থাকলে ও ভার্সিটির টাইম শেষ হওয়ার আগেই গেইট এ এসে হাজির হয়। আরশিকে একা রাস্তা পাড়াপাড় করতে দেয় না।
৫বছর পর,,
নিলিকে নিয়ে তীব্র হসপিটালে আসে। নিলির ডেলিবারি পেইন উঠেছে। প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছে নিলি আর তীব্রর। কাল তৃষি আর আকাশের বিয়ে। নিলি টুকটাক কাজ করছিলো হঠাৎ ব্যাথা শুরু হয়। তাই তীব্র কাউকে কিছু না বলে নিজেই নিয়ে চলে আসে হসপিটালে। এখানে এসে নিলয়কে ফোন দিয়ে জানায়। কারন তীব্রর খুব ভয় করছিলো। নিলির কিছু হলে ও বাচতে পারবে না। নিলিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তীব্র ওটির সামনে দারিয়ে আছে আর ভয়ে কাপছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই নিলয় আরশি আর ওদের ছেলে অর্নিলকে(বয়স দুই বছর) নিয়ে হসপিটালে আসে। অর্নিল নিলয়ের কোলে ছিলো। নিলয় অর্নিলকে আরশির কোলে দিয়ে তীব্রর কাছে গেলো।
নিলয়ঃতীব্র নিলির কিছু হবে না। ডোন্ট ওরি। ভয় পাচ্ছো কেনো?
তীব্রঃওরা একনো বের হচ্ছে না ভাইয়া।
নিলয়ঃএকটু ওয়েট করো। বাড়ির সবাইকে জানিয়েছো?
তীব্রঃনা। কেউ দেখেও নি। সবাই বিজি ছিলো।
নিলয়ঃএকনি ফোন দিয়ে ইনফরম করো। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ওরা নিশ্চই খুব টেনশনে আছে।
আরশিঃউনি ঠিকই বলছেন। তুমি ফোন দাও ভাইয়া।
তীব্রঃভাইয়া প্লিজ আপনি ফোন দিয়ে জানিয়ে দিন। আমি কথা বলতে এখন পারবো না।
নিলয় তীব্রর ফ্যামিলিকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয় আর ওর কাকু আর মামনিকে ও ফোন দিয়ে জানায়। কিছুক্ষণ পর একটা বাচ্ছার কান্নার আওয়াজ শুনা যায়। আর ওটির লাইট অফ হয়ে যায়। তীব্রর তো জান যায় যায় অবস্থা। একটা নার্স তোয়ালি দিয়ে পেছিয়ে একটা ফুটফুটে মেয়েকে নিয়ে আসে।
তীব্র মেয়েটির দিকে না তাকিয়েই নার্সকে কাপা কাপা গলায় বললো,”আমার উয়াইফ?”
নার্সঃউনি ঠিক আছেন। কিছুক্ষণ পর কেবিনে শিফট করা হবে।
এবার তীব্র স্বস্তির নি:শ্বাস পেলে ওর মেয়ের দিকে তাকায় আর হাত বারিয়ে দেয় কোলে নেওয়ার জন্য। নার্স বাচ্ছাটা তীব্রর কোলে দিয়ে যায়। আরশি অর্নিলকে নিলয়ের কোলে দিয়ে তীব্রর কাছে যায়। দেখতে অনেক কিউট হয়েছে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই নিলির মা বাবা তীব্রর বাবা মা আর তৃষি চলে আসে। নিলির মা তীব্রর কাছে এসে বললেন,”কোথায় আমার নাতনি।”
তীব্র আঙ্গুল দিয়ে দেখালো নিলির কাছে। একে একে সবাই গিয়ে বেবি আর নিলির সাথে দেখা করে আসলো।
বাইরে এসে তীব্রকে ওর বাবা বললেন,”কাল তো তৃষির বিয়ে। এখন কি করবো?”
তীব্রঃবিয়ে কালই হবে। তোমরা তৃষিকে নিয়ে বাসায় যাও। আমি এখানে নিলির পাশে আছি। কাল সকালে নিলিকে নিয়ে বাসায় চলে যাবো।
তীব্রর বাবাঃএটা কি করে হয়। তোমরা বাসায় থাকবে না। আর গায়ে হলুদ হবে।
তীব্রঃআমরা নেই তো কি হয়েছে? বাকি সবাই তো আছে। কিছু হবে না। আজই নিলিকে বাসায় নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। নয়ত নিয়ে চলে যেথাম।
তীব্রর বাবাঃতোমার বোন তো মানবে না।
তীব্রঃআমি তৃষুকে বুঝিয়ে বলবো। তোমরা যাও।
তীব্রর বাবাঃএই জন্যই বলেছিলাম বিয়েটা কিছুদিন পর হোক।
তীব্রঃডেইট তো আরো ৩দিন পরের ছিলো। কিন্তু এত জলদি পেইন উঠবে ভাবি নি। আচ্ছা এসব বাদ দাও। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এবার সবাইকে নিয়ে বাসায় যাও। রাত ৮টা বাজে। পরে লেইট হয়ে যাবে। আমি নিলি আর বেবির খেয়াল রাখবো।
তীব্র সবাইকে বুঝিয়ে বাসায় পাটিয়ে দিলো। নিলির মা থাকতে চেয়েছিলেন। তীব্র উনাকেও জোর করে পাটিয়ে দেয়। তারপর তীব্র ওর মেয়ে আর নিলির কাছে গেলো। নিলি তীব্রকে দেখে মুচকি হেসে বললো,”দেখো, আমাদের মেয়ে একদম তোমার মত হয়েছে।”
তীব্রঃউহু। তোমার মত কিউট হয়েছে।
নিলিঃআচ্ছা দুজনের মতোই হয়েছে। বাট নাম কি রাখবে?
তীব্র ওর মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করে বললো,”পরি।”
নিলিঃখুব সুন্দর নাম।
তীব্রঃআই নোউ। আমার মেয়েটা পরির চেয়ে কম নয়।
তীব্র নিলি আর পরির কপালে একটা চুমু দিলো। আর নিলির সাইডে পরিকে শুইয়ে রাখলো। আর মন ভরে পরি আর নিলিকে দেখছে।
নিলয় আর আরশিও অর্নিলকে নিয়ে ওদের বাসায় চলে যায়। অর্নিল খুব কাদছিলো। আরশি অর্নিলকে একটু খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাখে। তারপর বারান্দায় নিলয়ের কাছে যায়। নিলয় আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছিলো।
আরশি নিলয়কে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বললো,”কি ভাবছেন?”
নিলয় আকাশের দিকে তাকিয়েই বললো,”নীর…..”
নিলয় আর কিছু বলার আগেই আরশি সামনে এসে নিলয়ের মুখ চেপে ধরে বললো,”এনাফ। আর কতবার বলবো আপনি কোনো ভুল করেন নি। নীরবকে প্লিজ আর আমাদের মাঝে আনবেন না। অর্নিল বড় হচ্ছে। একটু তো ওর কথা চিন্তা করুন। ও যদি একবার শুনে ওর বাবা ওর মায়ের কাছাকাছি আসাটাকে ভুল ভেবেছে ওকে ভুল করে পৃথিবীতে এনেছে ও কতটা কষ্ট পাবে।”
নিলয় কিছু বললো না। আরশি আবার বললো,”আপনি আমার ছোয়ে বলুন তো আপনি আমায় ভালোবাসেন না?”
নিলয় করুনভাবে আরশির দিকে তাকালো। আরশি রেগে এখান থেকে চলে যাবে তখনি নিলয় বললো,”ভালো না বাসলে কি তোমার এত কাছাকাছি যেতাম। আমার মেয়েদের প্রতি কোনো নেশা নেই আরশি। শুধু তুমি ছাড়া।”
আরশিঃতাহলে কেনো সবসময় নীরবকে আমাদের মাঝে টেনে আনেন। আর কখনো আনবেন না। প্রমিস করুন(হাত এগিয়ে দিয়ে)
নিলয় আরশির হাত টেনে কাছে এনে বললো,”প্রমিস।”
নিলয় একটা চেয়ারে বসলো। আরশিকে ওর কোলে বসিয়ে বুকের সাথে জরিয়ে ধরে রাখলো। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো,”নীর তর ভালোবাসাকে আমিও খুব ভালোবাসি। আজ ৩বছর ধরে শুধু এটাই মনে হয়েছে আমি কোনো অন্যায় করিনি তো তর সাথে। তুই বিশ্বাস করে আমার কাছে আরশির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলো। আর আমি সেই দায়িত্ব পালন করতে করতে কিনা আমিই ওকে ভালোবেসে ফেললাম। ভুল হলেও মাপ করে দিস। আরশি আর অর্নিল আমার লাভ আর হার্ট। ওদেরকে আর কোনো কষ্ট দিতে চাই না। তাই আজ থেকে তর কথা ভাবা বাদ দিয়ে দেবো। আই এম সরি ভাই। ভালো থাকিস।”
❤❤❤❤সমাপ্ত❤❤❤❤