pyar_tho_hona_hi_tha Part-18

0
2190

#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৮


তীব্রর মা বাবা আর নিলয় ড্রয়িংরুমে বসে আছে। আর তীব্র তৃষি একটু দুরে দারিয়ে আছে। তীব্রর মা নিলয়কে খুব পছন্দ করেন। আগেও অনেকবার নিলয়ের সাথে উনার দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। নিলয়ের শান্ত স্বভাবই উনার খুব পছন্দের। বাট আজ উনি গম্ভির ভাবে বসে আছেন। নিলয়ের আসাটা উনার ভালো লাগে নি।

তীব্রর বাবাঃতারা নিলয় কেনো এসেছে সেটা নিশ্চই বুঝতে পারছো?

তীব্রর মাঃহুম।

তীব্রর বাবাঃতাহলে কিছু বলছো না কেনো?

তীব্রর মাঃকি বলবো? নেহার সাথে তীব্রর বিয়ের ডেইট ফিক্সড হয়ে গেছে। সেটা নিশ্চই তুমি ভুলে যাও নি।

নিলয়ঃআন্টি আমি আপনাকে জোর করতে একদমই আসি নি। আপনি তীব্রর মা। ওর খারাপ আপনি কখনোই চাইবেন না। ওর জন্য যা পার্ফেক্ট তাই আপনি করবেন। বাট এটাও দেখা ইমপর্টেন্ট তীব্র কিসে খুশি হবে সুখি হবে। ওর লাইফের সব ডিসিশন আপনি নিয়েছেন। কখনো খারাপ ডিসিশন নেন নি। বাট এটা ওর হোল লাইফের প্রশ্ন। এটাতে ওর ওপিনিউন নেওয়াটা উচিৎ। আই মিন ও কি চায় না চায়।

তীব্রর মাঃআমি বুঝতে পারছি তুমি কি বলতে চাইছো। ও তোমার বোনকে ভালোবাসে বলেছে তাই তুমি এখানে এসেছো।

নিলয়ঃহ্যা! এটা ঠিক আমি আমার বোনের জন্যই এখানে এসেছি। বাট আমার বোনের জায়গায় অন্য কেউ হলেও আমি সেইম কথা গুলো বলতাম। আন্টি যে বিয়ে করবে যার সাথে সারাজীবন থাকবে তার ওপিনিউন নেওয়াটা কি ইমপর্টেন্ট নয়। মা বাবা সন্তানের ভালো করতে গিয়ে অনেক সময় সব থেকে বড় ক্ষতিটা করে ফেলে।

তীব্রর মাঃআমি কখনো কাউকে কথা দিয়ে সেটা ভাঙ্গি নি। নেহা খুব ভালো মেয়ে। আর তনয় ও তো তোমার বেষ্টফ্রেন্ড এর মেয়ে। নিজের বেষ্টফ্রেন্ডকে দেওয়া কথা তুমি কীভাবে ভুলতে পারো। নেহার সাথে তীব্রর বিয়ে হলেও কখনো অসুখি হবে না তীব্র। তুমি সেটা জানো।

তীব্রর বাবাঃতারা আমি কিছুই ভুলি নি। আমি শুধু আমার ছেলের কথা এখন ভাবছি অন্য কিছু না। তীব্র যার কাছে থাকলে সুখি হবে আমি তাকেই আমার ছেলের জন্য সিলেক্ট করবো। তীব্র তো নেহাকে চায় না। আমার ছেলের জন্য বেষ্টফ্রেন্ড এর সাথে সব রিলেশন শেষ হলেও কোনো প্রবলেম নেই। কারন এখন আমার কাছে আমার ছেলে সব থেকে বেশি ইমপর্টেন্ট।

তীব্র ওদের সামনে এসে বললো,”আমি একটা কথা বলবো?”

তীব্রর বাবাঃকি?

তীব্র ওর ফোন বের করে কিছু পিকচার দেখিয়ে বললো,”এই দেখো মা তোমার ভালো মেয়ের ক্যারেক্টার।”

তীব্রর মা তীব্রর হাত থেকে ফোন নিয়ে হা করে পিকচার গুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন। একটা ছবিতে নেহা একটা ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছে। অন্য একটা ছবিতে নেহা ছেলেটার হাত ধরে আছে। আর শেষ ছবিতে নেহা দারিয়ে ছেলেটিকে জরিয়ে ধরে আছে।

তীব্রর মাঃএসব কি?

তীব্রঃকাল আমি একটা কপিশপে ওদের একসাথে দেখি। তাই ছবি তুলে রেখে দেই। তোমাকে মুখে বললে তো তুমি বিশ্বাস করবে না তাই এগুলো প্রুফ হিসেবে তুলি। এরপরো বলবে নেহা ভালো মেয়ে। যেখানে নিলি কখনো কোনো ছেলের হাত পর্যন্ত টাচ করতে লাইক করে না সেখানে নেহা একটা ছেলেকে কীভাবে জরিয়ে ধরে আছে?নিলি ওর ছেলে ফ্রেন্ডদের থেকেও ডিসটেন্স রেখে চলে। শুধু আমার সাথেই ও এত ক্লজ হয়েছে। ওর এই বিহেভ গুলোর জন্যই আমার ওকে এত ভালো লাগে। নেহা কীরকম ড্রেস পরে তুমি দেখো? পরপুরুষের সামনে এত ছোট ছোট ড্রেস পরে যায়। ওকে আমার কোনোদিক দিয়েই ভালো লাগে না। ওকে আমি খুব ভালো ফ্রেন্ড ভাবতাম। বাট এখন সেটা ও ভাবতে ইচ্ছে করছে না। আমি তোমার কোনো কথা কখনো অমান্য করি নি। বাট এটা আমি কখনোই মানতে পারবো না। আমি নেহাকে বিয়ে করতে পারবো না। আর আমি আমার ক্যারিয়ার না গড়ে কখনো বিয়ে ও করবো না। প্রয়োজনে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।

তীব্রর মাঃতীব্র!

তীব্রর বাবাঃএবার তুমি দেখো কি করবে? আমি তীব্রর সাথে আছি।

তীব্রর মাঃআমি নেহা আর ওর বাবার সাথে কথা বলতে চাই।

তীব্রঃমা যাই করো। নো প্রবলেম। বাট অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার কথা একদম ভাববে না। আই কান্ট।

তীব্রর মা নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,”তুমি আমার সবসময়ই পছন্দের একজন মানুষ। তনয় যখন প্রথম তোমার কথা বলে আমি দুটানায় পরে গিয়েছিলাম। কারন আমি চাইতাম নেহা এই বাড়ির বউ হয়ে আসুক। তাই আমি তোমার বোনের বিষয়টা মেনে নিতে পারছিলাম না। আমি জানতাম না নেহা এরকম মেয়ে। জানলে কখনোই আমার একমাত্র ছেলের জন্য ওকে সিলেক্ট করতাম না। এবার আমার ছেলে যা চাইবে তাই হবে। আমি একবার নিলির সাথে কথা বলতে চাই।”

তৃষি এইকথা শুনেই চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,”ইয়েএএএ ভাইয়া মা রাজি হয়ে গেছে। এবার পার্টি চাই।”

তীব্র শুধু হাসলো। নিলয় ও হেসে বললো,”অফ ফোর্স আন্টি। আমি মামনি কাকু উনাদের সাথে এটা নিয়ে কথা বলে আপনাদের জানাচ্ছি। একদিন না হয় বাসায় গিয়ে দেখে আসবেন।”

তীব্রর বাবাঃওকে নিলয়। তুমি বাসায় গিয়ে কথা বলে নাও।

তীব্র আর তৃষি রুমে গিয়ে দুভাই বোন উড়াধুরা ডান্স বক্স বাজিয়ে। আজকে তানভীর আকাশ ওদের ঢাকায় বেক করার কথা। তীব্র ওদের ফোন দিয়ে এসব জানিয়ে দেয়। আর জলদি আসার জন্য বলে।

সব শেষে তীব্র নিলিকে ফোন দিলো। নিলি তখন আরশির কাছে বসে গল্প করছিলো। ফোন নিয়ে বারান্দায় গিয়ে কল রিসিভ করে। তীব্রর কথা শুনে খুশিতে ওর চোখে জল চলে আসে। এত জলদি ওর মা রাজি হয়ে যাবেন ভাবে নি নিলি।

নিলয় ওর কাকু আর মামনিকে তীব্রর বিষয়ে সব কিছু বলে। সব শুনে ওর কাকু বললেন,”তর উপর আমার সম্পর্ন বিশ্বাস আছে। তুই আমাদের থেকেও নিলির জন্য বেশি ভাবিস। তাই আমি আর এসব নিয়ে কোনো কথা বলবো না। তুই যা ভালো মনে করিস তাই কর।”

নিলয়ঃতাহলে পরের সপ্তাহেই তনয় আংকেল আর আন্টিকে আসতে বলি। ফ্রাইডে ছাড়া তো আংকেল আসতে পারবে না।

নিলয়ের কাকুঃওকে।

নিলয় ওর কাকুর সাথে কথা বলে রুমে যায়। আরশি বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে। নিলয় গিয়ে আরশির পাশে বসলো। আরশির ডান হাতটা আলতো করে ওর হাতের উপর রাখলো তারপর ব্যান্ডেজ খুলে মাসাজ করে দিলো। হাত অনেকটা ফুলে গিয়েছিলো। এখন আগে থেকে অনেকটা কম।

নতুন করে বেন্ডেজ করে দিতে দিতে আরশিকে তীব্র আর নিলির সব কথা খুলে বললো নিলয়।

আরশি খানিকটা রেগে বললো,”এসব আমাকে আগে বলেন নি কেনো? আমি তো শুধু জানতাম নিলি তীব্র ভাইয়াকে ভালোবাসে।”

নিলয় ভ্রুকুচকে আরশির দিকে তাকিয়ে বললো,”ভাইয়া?”

আরশিঃহুহ। উনি আমার ১বছরের সিনিউর না।

নিলয়ঃনীর ঠিকই বলতো। তুমি আসলেই পিচ্ছি।

আরশিঃকিইইই?😡আমি পিচ্ছি? আমার বিয়ে হয়ে গেছে ভুলে যাবেন না।

নিলয়ঃবিয়ে হলেই বড় হয়ে গেলো নাকি।

আরশিঃআমি একদমই পিচ্ছি না। বরং আপনি বুড়ো।

নিলয়ঃআমাকে তোমার কোন দিন দিয়ে বুড়ো মনে হয়। এখনও এই লুকের জন্য মেয়েরা দিওয়ানা।

আরশিঃ😐একদম আজে বাজে কথা বলবেন না। মেয়েদের চয়েজ খারাপ। নয়ত হাফ বুড়ো ছেলের উপর কেউ ক্রাশ খায়।

নিলয়ঃসাপ আপ। আমার অনলি 29ইয়ারস।

আরশিঃ😮আমার ২১। আমি ঠিক ধরেছিলাম। আমাকে একটা বুড়ো জামাইর কাছে বিয়ে দিয়েছে বাপি😭হায় হায়।

নিলয়ঃ😡জাস্ট সাপ আপ। একদম বাজে কথা বলবে না। 29এটা কোনো বয়স হলো।

আরশিঃহুহ হাফ বুড়ো😒।

নিলয়ঃহুম। বুড়ো বলেই আমার দিকে বারবার তাকিয়ে থাকো।

আরশি অবাক হয়ে বললো,”কিইই? কে তাকিয়ে থাকে?”

নিলয়ঃআমার বউ।

আরশিঃ😒আমি মোটেও তাকিয়ে থাকি না।

নিলয়ঃহুম দেখি তো। আমার নজর থেকে কিছুই পালিয়ে যেথে পারে না।

আরশিঃ😐

পরেরদিন,,
তীব্র ভার্সিটিতে যায় সবার সাথে দেখা করার জন্য। ভার্সিটিতে গিয়েই পার্কিং এ তানভীর আকাশ আর অনিককে দেখতে পায়। বাইকে হেলান দিয়ে গল্প করতেছে। তীব্র ও ওদের কাছে গেলো।

তীব্রকে দেখেই আকাশ বললো,”এসে গেছে আমাদের হিরো। ৪দিনের ভেতরই বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো নিলির সাথে। এবার ট্রিট দে।”

তীব্রঃতরা আমাকে ট্রিট দিবি। এগুলো তো এমনি এমনি হয় নি। এসব করতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে।

তানভীরঃমানে। কি করেছিস?

তীব্রঃঅনেক কিছুই। আশফি রায়জাদাকে তো তরা চিনিসই।

অনিকঃচিনবো না। ফেমাস সিংগার। আর উনার সাথেই তো তুই কাজ করিস। উনার সাথেই অনেক কন্সার্ট এ গিয়ে গানও গেয়েছিলি।

তীব্রঃআশফিভাইয়ার সাথে তো আমার খুব ভালো রিলেশনই। উনার পিএ ও আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড। ওর কাছ থেকে হেল্প নিতে হয়েছে।

আকাশঃগৌরব তকে কি হেল্প করেছে।

তীব্রঃনেহাকে ফাসাতে।

তানভীরঃমানে?

তীব্রঃযেদিন শুনি মা নেহার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে ওদিনই বুঝে গিয়েছিলাম এই বিয়ে আমি এত সহজে ভাঙ্গতে পারবো না আর নিলিকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করাও পসিবল না। বিয়েটা আটকাতে কিছু করতে হবে। নেহাকে অন্য কারো প্রতি এডিকটেড করতে হবে। আর আমার মা সেকেন্ড হেন্ড মেয়েকে একদম পছন্দ করেন না। তাও মায়ের একমাত্র ছেলের জন্য তো নয়ই। গৌরবের হেল্প নেই। গৌরব যেহেতু ফেমাস সিংগার আশফি রায়জাদার পিএ সেহেতু গৌরবকে প্রায় সবাই চেনে অনেক মেয়েই ক্লোজ হতে চায়। আর গৌরব দেখতেও অনেক হ্যান্ডসাম। গৌরবের নেহাকে পটাতে জাস্ট ৫দিন লেগেছিলো। আর ওদের ফাস্ট ডেটিং এর ছবি তুলে মাকে দেখিয়ে দেই। মা তো এসব দেখেই খুব রেগে যায়। তারপরো মাকে ইমোশনাল ব্লেকমেইল করেছি।

আকাশঃতুই তো খুব ডেন্জারেস। এত কিছু করলি আমাদের জানালিও না।

তীব্রঃআরো অনেক কিছুই করেছি।

তানভীরঃআরো? কি?

তীব্রঃসিলেট থেকে ঢাকা আসার পরেরদিন বাবার অফিসে ফোন দিয়েছিলাম বাবার সাথে কথা বলার জন্য। বাট ফোন দিয়ে জানতে পারি বাবা নিলয়ভাইয়ার সাথে কোনো কিছু নিয়ে ডিসকাস করছেন তাই কথা বলতে পারবেন না। তখনি মাথায় অন্য একটা প্লেন আসে। নিলয়ভাইয়ার সাথে নিজ থেকে গিয়ে কথা বলতে খুব ভয় করছিলো যদি রাজি না হন। তাই তখনি নিলিকে নিয়ে বাবার অফিসে চলে যাই। বাবার সামনে ভাইয়া না করতে পারবে না। সেখানে ওদের সাথে মিট করে বাবা আর ভাইয়াকে নিলি আর আমার বিষয়ে সব বলে দেই।

অনিকঃআর কি কি করেছিস?

তীব্রঃনিলিকে পাওয়ার জন্য,, প্রথমে ওর কাছাকাছি গিয়েছি। ও আমার প্রতি উইক তা আমি আগেই জানতাম আরো উইক করেছি। তারপর নেহাকে বিয়ে করার কথা বলে ওকে আমার আরো কাছাকাছি আনার চেষ্টা করেছি। তারপর ওর থেকে দুরে যাওয়ার ভয় দেখিয়েছি। ইট মিনস ওর সাথে আর কখনো কথা বলবো না আর কখনো ওর সামনে ও যাবো না। কজ ওকে যত দেখবো ওর প্রতি আরো উইক হবো। আর যার সাথে আমার বিয়ে হবে তাকে ভালোবাসতে পারবো না। এটা ওর প্রতি অন্যায় করা হবে না।

আকাশঃএই কারনেই মেয়েটা বলেছে তকে ভালোবাসে যাতে তুই ওর থেকে দুরে চলে না যাস?

তীব্রঃএকজাক্টলি। ওকে পাওয়ার আর কোনো ওয়ে ছিলো না। আর আমার হাতে টাইম ও বেশি ছিলো না। তাই এগুলো করতে হয়েছে।

তানভীরঃভেরি গুড। আর আমদের এগুলো একবারো বললি ও না।

তীব্রঃতরা তো খুব বিজি ছিলি। এই ট্রিপটা নিয়ে। তাই তদের আর কোনো প্রবলেমে ফেলতে চাই নি। আর আমি সব মেনেজ তো করেই নিয়েছি।

আকাশঃশুন, যত বিজিই থাকি না কেনো তর প্রবলেমে আমাদের অলটাইম পাবি। ফ্রেন্ড কিসের জন্য যদি ফ্রেন্ডের প্রবলেমে তার পাশে দারাতে না পারি।

তীব্রঃআই নো ইয়ার তদের আমার পাশে সবসময় পাবো। যে কাজগুলো আমার দ্বারা হয় না সেগুলোতে তদের হেল্প নেই তো।

তানভীরঃএখন সব ঠিক তো? নেহা আর কোনো প্রবলেম ক্রিয়েট করবে না তো।

তীব্রঃসেই চান্স দিলে তো। গৌরব নেহাকে কিস করেছিলো তার ভিডিও গৌরব করে রেখেছে। এখন কোনো গুলমাল করলে ভিডিও দেখালেই মা রেগে বম হয়ে যাবে।

আকাশঃ😂গৌরব ফ্রিতে মজা নিয়ে নিলো।

তীব্রঃ😁এটা কোনো বিষয় না। গৌরব যেমন নেহা তেমনই। নয়ত ৫দিনের পরিচয়ে গৌরবকে ও ওর এত কাছে আসতে দিতো না।

অনিকঃতা ঠিক বলেছিস।

আকাশঃআচ্ছা এবার ভেতরে চল।

তীব্রঃহুম চল। আর কিছুক্ষণ পর আমার সাথে আমার বাসায় যাবি। অনেক কিছু প্লেন করার আছে।

তানভীরঃওকে।

ভার্সিটিতে অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়ে ২টার দিকে তীব্র ওদের নিয়ে ওর বাসায় যায়। কলিংবেল বাজাতেই তৃষি এসে দরজা খুলে দেয়।

তৃষিকে দেখেই আকাশ বললো,”কি রে পিচ্ছি কেমন আছিস?”

তৃষি প্রথমে আকাশকে দেখে খুশি হলেও আকাশের কথা শুনে মন খারাপ করে বললো,”ভালো।”

তানভীরঃআমাদের ভেতরে ডুকতে দিবি না।

তৃষি সরে দারালো। ওরা ভেতরে ডুকলো। আকাশ পেছনে ঘুরে তৃষিকে একটা চোখ টিপ দিলো। তৃষি তো হা করে তাকিয়ে আছে। বুঝতে পারলো না। আকাশ এটা কি করলো।

তৃষি দরজা লাগিয়ে ভেতরে ডুকলো। তীব্র ওদের ওর রুমে নিয়ে গেলো আর সার্ভেন্টকে ওদের জন্য খাবার আনতে বললো। তৃষি ওদের জন্য ঠান্ডা শরবত নিয়ে উপরে গেলো।

আকাশ এগুলো দেখেই বললো,”এই ঠান্ডার মধ্যে ঠান্ডা জিনিস খাইয়ে তুই আমাদের মারতে চাস।”

তৃষিঃতোমরা বাইরে থেকে এসেছো তাই ভেবেছি হয়ত গরম লাগছে।

আকাশঃতুই ভাবছিস বলেই কি এটা সত্যি হয়ে গেলো।

তৃষিঃউপপপ ভাইয়া তুমি এমন কেনো? আমার সব কথা এত পেচাও কেনো? আমি কি করেছি?

আকাশঃ🤨তুই আমাকে এত প্রশ্ন করছিস কেনো?

তীব্রঃআকাশ তুই ওর পিছনে লাগছিস কেনো? তৃষু যা তো তুই।

তৃষি চলে যেথেই আকাশ বললো,”তর বোনের পিছনে লাগতে আমার খুব ভালো লাগে।”

তীব্রঃতর মনে কি চলছে সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তুই একদম তৃষুকে জোর করবি না। ও এখনো ছোট। আর টাইম আসলে বাসায় প্রপোজাল পাটিয়ে দিবি। হয়ে যাবে।

আকাশঃতর মত শালা যেনো সব ঘড়ে ঘড়ে থাকে।

তীব্রঃএসব বাজে কথা বাদ দে। যে কাজে এসেছিস সেটা কর।


চলবে?🙄

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে