#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৭
।
।
সকালে আরশির ঘুম ভাঙ্গে কারো গরম নিঃশ্বাসে। আরশি তাকিয়ে দেখে ওর বা হাত জরিয়ে ধরে গলার কাছে মুখ নিয়ে নিলয় ঘুমিয়ে আছে। মুহূর্তের মধ্যেই আরশির মুখে হাসি ফুটে উঠে। ও মুখটা নিচু করে নিলয়ের কপালে একটা চুমু দেয়। দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৫:৪০ বাজে। নিলয় কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যাবে। আরশি আবার চোখ বন্ধ করে নেয়।
৬টা বাজতেই নিলয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর আরশিকে জরিয়ে ধরেছে দেখে সাথে সাথে আরশির হাত ছেড়ে দেয়। ঘুম থেকে উঠে আরশির শরিরে ভালো করে কাথা দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে এসে জগিং করতে বেরিয়ে পরে। অন্য সার্ভেন্টরা ঘুম থেকে উঠে ঘড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে দেয়। আরশি একা উঠতে পারবে না। তাই এমনি শুয়ে থাকে।
১ঘন্টা পর নিলয় বাসায় আসে। রুমে গিয়ে দেখে আরশি তাকিয়ে আছে। একা উঠতে পারতেছে না। নিলয় আরশিকে উঠাতে হেল্প করে। তারপর আস্তে হাটিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। আরশি মনে মনে ভাবে,”পুরো আনরোমান্টিক হাজভেন্ড। কোথায় কোলে করে নিয়ে যাবে তা না….পুড়া কপাল আমার।”
ডান হাত ছাড়া থাকা যে কত কষ্টের সেটা আরশি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। পা ভাঙ্গলেও মনে হয় এত প্রবলেম ফেইস করতে হতো না। বা হাত দিয়ে খুব কষ্টে ব্রাশ করে। নিলয় তো আরশিকে ওয়াশরুমে রেখেই চলে আসে। আরশি সাহস করে বলতে পারে নি ব্রাশ করিয়ে দিন।
সকালে ব্রেকফাস্ট করে নিলয় ড্রয়িংরুমে বসে কাজ করে আর আরশি রুমে। এখনো একা ভালো করে হাটতে পারে না। ১১:৩০এ নিলি এই বাসায় আসে।
নিলয়কে ড্রয়িংরুমে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করে,”বউমনি কোথায়?”
নিলয়ঃরুমে।
নিলিঃবউমনিকে রুমে একা রেখে এখানে বসে আছিস কেনো? যদি কোনো প্রবলেম এ পরে।
নিলয়ঃতুই গিয়ে দেখ। আমি এই কাজটা শেষ করে আসছি।
নিলিঃওকে।
নিলয় কিছু ফাইল দেখে তনয় আংকেলকে কল দেয়। উনি আন্টির সাথে কথা বলেছেন কিনা জানার জন্য। নিলয় এসব নিয়ে লেইট করতে চায় না। যত লেইট করবে বিষয়টা আরো কমপ্লিকেটেড হতে পারে। যেহেতু তীব্রর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
আংকেল এর সাথে কথা বলে নিলয় উপরে যায় গিয়ে দেখে নিলি আর আরশি হেসে হেসে গল্প করছে। নিলয় গিয়ে সোফায় বসলো।
নিলিঃভাইয়া বাবা বলেছে প্রতিদিন বউমনিকে নিয়ে একবার ডাক্তারের কাছে যেথে। চেকাপ করিয়ে আনতে।
নিলয়ঃতার প্রয়োজন নেই। ডক্টর এসে চেকাপ করে যাবে।
নিলিঃতাহলে ঠিক আছে।
আরশি মন খারাপ করে বললো,”ইশশ! আমার ইচ্ছে ছিলো একদিন সবাই মিলে ঘুরতে যাবো। অনেকদিন ধরে ঘুরা হয় না। এখন কবে আমার হাত ঠিক হবে আর কবে যে ইচ্ছেটা পূরণ হবে।”
নিলয় আড়চোখে আরশির দিকে তাকালো আর মনে মনে ভাবলো,”এই মেয়েটা এত স্ট্রং হলো কবে? এত বড় এক্সিডেন্ট হয়েছে। এই কিছুদিনে ওর লাইফে এত কিছু হয়ে গেলো তবুও একদম ভেঙ্গে পরে নি।”
নিলিঃডোন্ট ওরি বউমনি। খুব জলদি তুমি সুস্থ হয়ে যাবো। তারপর আমরা সবাই মিলে বেরাতে যাবো।
আরশিঃ😔হুম।
নিলয়ঃনিলি তুই যখন এখানে আছিস আরশিকে একটু ফ্রেস করিয়ে দে তো। ড্রেস চেন্জ করিয়ে দিস। আমি নিচে আছি। ও একা তো পারবে না।
নিলিঃতুই না বউমনির হাজভেন্ড তুই-ই তো করিয়ে দিতে পারিস।
নিলয়ঃএকদম বেশি কথা বলবি না। যা বলছি তাই কর।
নিলয় রুম থেকে বেরিয়ে যায়। নিলি আরশিকে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। তারপর ফ্রেস করিয়ে দেয়। রুমে এনে বসিয়ে নিলি আরশিকে বললো,”বউমনি একটা জিনিস জানো?”
আরশিঃকি?
নিলিঃভাইয়া তোমাকে কত্ত ভালোবাসে। তোমার এক্সিডেন্ট এর কথা শুনে তো প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিলো। তোমার কিছু হলে ভাইয়াকে সিওর বাচানো যেতো না। নিরভাইয়াকে ভুলে প্লিজ ভাইয়ার সাথে হ্যাপিলি সংসার করো। আমার ভাইকে একটু ভালোবাসা দিও। ওকে ছেড়ে কখনো চলে যেও না।
আরশি মুচকি হেসে বললো,”নীরবকে পাই নি সেটা আমার দুর্ভাগ্য। বাট নিলয়কে পেয়েছি সেটা তার থেকেও বেশি সৌভাগ্য। নীরবকে আমি ভুলতে চাই না কারন ওকে ভুলার জন্য ভালোবাসি নি। বাট নিলয়কে ভালোবেসে বাকি জীবনটা ওর সাথে ভালোভাবে কাটাতে চাই। তুমি চিন্তা করো না। তোমার ভাইকে আমি এই জন্মে তো কখনো ছেড়ে যাবো না। যাই হয়ে যাক।”
নিলি আরশিকে হালকা জরিয়ে ধরে বললো,”থ্যাংক ইউ বউমনি। আর শুনো ভাইয়া কিন্তু মনের কথা কারো সাথে কখনো শেয়ার করে না। ও একটু চাপা স্বভাবের। আমার সাথে ও কখনো করে না। বাট আমি তো ওর মনের সব কথা বুঝতে পারি তাই আমার কাছ থেকে সবসময় সবকিছু লুকাতে পারে না। ও নিজ থেকে কখনো তোমার কাছে ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসবে না স্বামীর অধিকার নিয়ে যাবে না। তোমাকেই সব কিছু করতে হবে।”
আরশি নিলির গাল হালকা টেনে বললো,”তুমি তো দেখছি খুব পেকে গেছো।”
নিলিঃ😁অনেক আগে থেকেই এসব জানি আমি।
আরশিঃপ্রেম করো?
নিলি অবাক হয়ে আরশির দিকে তাকিয়ে বললো,”তুমি কি করে বুঝলে।”
আরশিঃতারমানে আমার কথা ঠিক।
নিলি মাথা নিচু করে শুধু মুচকি হাসলো। আরশি বা হাত দিয়ে নিলির মুখ উপরে তুলে বললো,”ছেলেটা কে?”
নিলিঃএক ভার্সিটিতেই পরি। ৩বছরের সিনিওর। নাম তীব্র।
আরশিঃতোমার ভাইয়া জানে?
নিলিঃকালই জেনেছে।
আরশিঃগুড। যাই করো। লুকিয়ে কিছু করবে না। বুঝেছো।
নিলিঃহুম।
নিলি বাসায় আছে তাই নিলয় একটু অফিসে গিয়েছিলো।দুপুরের পর আবার বাসায় চলে আসে। আর নিলয় আরশি নিলি একসাথে লাঞ্চ করে। নিলির রিকুয়েষ্ট এর নিলয় আরশিকে নিয়ে ছাদে যায় তাও কোলে করে। সারাক্ষণ রুমে বসে থাকতে কার ভালো লাগে। ছাদে গিয়ে নিলি নিলয় নীরব আর ওর ছোট বেলার গল্প বলে। আরশি ও মন দিয়ে শুনে।
বিকেলে নিলি বাসায় চলে যেথে চেয়েছিলো। নিলয় আটকিয়ে দেয়। নিলি চলে গেলে আবার আরশি একা হয়ে যাবে। নিলির সাথে গল্প করেই আরশির সময় কেটে যাবে। আর নিলয়ের নিলির সাথে ও অনেক কথা ছিলো।
রাতে নিলয় আরশিকে খাবার আর মেডিসিন খাইয়ে ঘুম পারিয়ে নিলির রুমে যায়। নিলি তখন তীব্রর সাথে কথা বল ছিলো। নিলয়কে দেখে নিলি ফোন কেটে দেয়। নিলয় গিয়ে বিছানায় বসে। নিলি ও পাশে বসে।
নিলয়ঃতকে খুব ইমর্টেন্ট কিছু কথা বলবো এখন। মন দিয়ে শুনবি।
নিলিঃওকে।
নিলয়ঃতুই তীব্রকে বলবি কোনো ধরনের পাগলামি না করতে। ওর মায়ের সাথে রাগারাগি না করতে। উনি তদের বিয়েতে রাজি না হলেও। আর কোনো ধরনের উল্টো পাল্টা কাজ তরা করবি না।
নিলিঃভাইয়া চিন্তা করিস না। আমি ওকে বলে দিয়েছি আন্টির আশির্বাদ না নিয়ে আমি ওকে বিয়ে করবো না। আর কোনো উল্টো পাল্টা কাজ ও করবো না।
নিলয়ঃআমি তর থেকে এটাই এক্সপেক্ট করেছি। আমি দুদিন পর গিয়ে একবার আন্টির সাথে কথা বলবো। আংকেল কথা বলেছিলেন। বাট আন্টি রাজি হচ্ছিলেন না দেখে তীব্র আন্টির সাথে রুড বিহেভ করে। আমি চাই না আমার বোনের জন্য কোনো ফ্যামিলিতে অশান্তি হোক। তুই তীব্রকে বুঝাবি। উনি ওর মা।
নিলিঃওকে ভাইয়া। ও আর ওর মায়ের সাথে রুড বিহেভ করবে না। আর যদি আমার জন্য করেও তাহলে আমি ওকে ছেড়ে দেবো। যে মাকে রেসপেক্ট করতে পারে না সে অন্য মেয়েকে কি ভালোবাসবে? ওর মধ্যে আমি তদের রুপ দেখেছিলাম তাই আমি ওকে ভালোবেসেছি। আর তরা কখনো বড়দের ডিসরেসপেক্ট করিস না। ওকে ও করতে দেবো না।
নিলয়ঃওকে। আর তুই বুঝালেই ও বুঝবে। তীব্র খুব ভালো ছেলে। ওর হাতে তকে তুলে দিতে পারলে আমি ও নিশ্চিন্ত হবো। আন্টির সাথে কথা বলে সব ফাইনাল করেই মামনি আর কাকুর সাথে কথা বলবো।
নিলিঃওকে।
নিলয়ঃএবার তুই ঘুমিয়ে পর। গুড নাইট।
নিলিঃগুড নাইট।
নিলয় লাইট অফ করে ওর রুমে চলে যায়। আরশি ঘুমায় নি তাকিয়ে আছে।
নিলয়ঃএখনো ঘুমাও নি কেনো?
আরশিঃআপনার জন্য।
নিলয়ঃআমি কি করেছি?
আরশিঃখুব ঠান্ডা লাগছে।
নিলয়ঃআমি আরো কাথা আনে দিচ্ছি।
আরশিঃলাগবে না।
নিলয় ভ্রুকুচকে বললো,”এখনি তো বললে ঠান্ডা লাগছে। আবার বলছো লাগবে না।”
আরশিঃআপনি আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমালেই ঠান্ডা চলে যাবে।
নিলয়ঃকিইইই?
আরশিঃ🤨শুনতে পান নি? কানে প্রবলেম?
নিলয় গিয়ে আরশির পাশে বসলো আরশির কপালে হাত দিলো। আরশি বিরক্ত হয়ে বললো,”কি করছেন এসব?”
নিলয়ঃদেখছিলাম জ্বর এসেছে কিনা।
আরশিঃজ্বর আসতে যাবে কেনো?
নিলয়ঃতোমার কথা শুনে ভেবেছি হয়ত এসেছে।
আরশিঃশুনুন একদম উল্টো পাল্টা কথা বলবেন না। আপনি আমার হাজভেন্ড। আপনি আমাকে জরিয়ে ধরতেই পারেন। বাকি জীবন আপনার সাথেই আমার কাটাতে হবে তাহলে কেনো দুরে দুরে থাকবো? হ্যাপি কাপল হয়ে থাকবো বুঝেছেন? সব ভুলে নতুন করে সব শুরু করবো।
নিলয় হা হয়ে তাকিয়ে আছে আরশির দিকে। আরশি আবার বললো,”এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেনো?”
নিলয়ঃআচ্ছা এখন ঘুমিয়ে পরো। এসব নিয়ে পরে ভাবা যাবে।
আরশিঃওকে। এখন আমি আপনাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাতে চাই।
নিলয়ঃহাতে ব্যাথা পাবে তো।
আরশিঃযাতে ব্যাথা না পাই সেরকম ভাবে আমায় রাখেন।
নিলয়ঃওকে।
নিলয় ভালোভাবে আরশির মাথা ওর বুকের উপর রাখে। আর ডান হাতটা সাইডে একটা বালিশ রেখে বালিশের উপর রাখে। নিলয় ভাবে নি আরশি এত জলদি সব কিছু মেনে নেবে। নিলয়ের খুব ইচ্ছে করছে আরশিকে মন ভরে দেখতে একটু আদর করতে। এখন তা সম্ভব নয় তাই আরশিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জগিং করতে বের হলো। ঘন্টাখানের পর বাসায় এসে আরশিকে ঘুম থেকে তুলে ফ্রেশ করিয়ে দিলো। আজ নিলয় নিজেই ব্রাশ করিয়ে দিয়েছে। বিছানায় বসিয়ে হাত মাসাজ করে দিলো। ব্রেকফাস্ট খাইয়ে মেডিসিন ও খাইয়ে দিলো। নিলি ৯:৩০এ ঘুম থেকে উঠলো তাও তীব্রর কলের আওয়াজে। উঠে ফ্রেস হয়ে খেয়ে নিলো। আজ তীব্র দেখা করতে বলেছে।
নিলি রেডি হয়ে নিলয়ের রুমে আসে। নিলয় সোফায় বসে কাজ করছিলো। আরশি বিছানায় বসে ছিলো।
নিলিঃভাইয়া আমি এখন চলে যাবো।
নিলয়ঃওকে। কাল মামনিকে নিয়ে সকালে চলে আসিস। আমাকে একটু বাইরে যেথে হবে।
নিলিঃবাট কাল তো ফ্রাইডে।
নিলয়ঃআই নোউ। ফ্রাইডে বলেই একটা কাজ আছে।
নিলিঃওকে।
নিলি আরশির কাছে গিয়ে আরশিকে জরিয়ে ধরে বললো,”আসি বউমনি। নিজের খেয়াল রেখো। আর ভালো না লাগলেই ফোন দেবে।”
আরশিঃওকে। সাবধানে যেও।
নিলি চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ডক্টর এসে আরশির মাথার আর হাতের ব্যান্ডেজ চেন্জ করে দেয়। আর মেডিসিন ও দিয়ে যায়।
নিলি একটা কফিশপে এ তীব্রর সামনে বসে আছে। তীব্রকে দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে।
নিলিঃকি হয়েছে?
তীব্রঃকিছু না।
নিলিঃএকটা কথা বলবো?
তীব্রঃবলো।
নিলিঃআপনি আমার জন্য আন্টির সাথে একদম রুড বিহেভ করবেন না। উনি আপনার মা। আপনার খারাপ চাইবেন না। আর জানেন তো কাপল উপর ওয়ালা আগে থেকেই ঠিক করে রাখেন। আমার ভাগ্যে যদি আপনি থেকে থাকেন তাহলে আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি প্রথম থেকেই আপনার প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করতাম। আর আমার বিশ্বাস আমি ভুল কাউকে ভালোবাসি নি। আমার থেকে আপনি কখনো আলাদা হবেন না। সবসময় প্লিজ মাথাটা ঠান্ডা রাখবেন। রাগবেন না।
তীব্র নিচের দিকে তাকিয়ে কফি খেতে খেতে চুপচাপ নিলির কথা শুনছিলো। তীব্র মাথা তুলে উপরে তাকাতেই নিলির পেছনে একটা কাপলের দিকে চোখ আটকে যায়।
তীব্র নিলির হাত ধরে টেনে তুলে। নিলি অবাক হয়ে বললো,”কি হয়েছে?”
তীব্র নিলির ঠোটে হাত দিয়ে বললো,”হুশশশ কথা বলবে না। চলো আমার সাথে।”
তীব্র নিলিকে নিয়ে বাইরে চলে আসে। ওর বাইকের কাছে নিলিকে রেখে আবার ভেতরে চলে যায়। পুরো ২০মি পর তীব্র বাইরে এসে বাইক স্টার্ট দেয় আর নিলিকে ও বাইকে বসতে বলে। নিলি কিছুই বুঝতে পারলো না। তীব্র কি করছে। নিলি কিছু না বলে বাইকে উঠে বসলো।
নিলিঃআপনি আমাকে বাইরে রেখে আবার ভেতরে গেলেন কেনো?
তীব্রঃবিল দিতে।
নিলিঃহঠাৎ আমাকে এভাবে টেনে আনলেন কেনো?
তীব্রঃএখন তোমার সাথে একা সময় কাটাতে ইচ্ছে করছিলো। কফিশপে অনেক লোকজন ছিলো তাই সেখান থেকে নিয়ে এসেছি।
নিলিঃসেটা আমাকে বললেই হতো টেনে আনার কি ছিলো।
তীব্রঃওহো। এত কথা বলো কেনো? চুপচাপ আমাকে জরিয়ে ধরে বসে থাকো। ভালো লাগছে।
তীব্র নিলিকে নিয়ে একটা কলেজের সামনে যায়। নিলি অবাক হয়ে বললো,”এখানে আনলেন কেনো?”
তীব্রঃওয়েট।
তীব্র ফোন দিয়ে কাউকে গেইটের বাইরে আসতে বললো। তার ২০মি পর খুব সুন্দর একটা মেয়ে দৌড়িয়ে এদিকে আসে। নিলি হা করে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকে। অনেকটা তীব্রর মতোই দেখতে।
মেয়েটি এসেই নিলিকে জরিয়ে ধরে বললো,”বউমনিইইইই কেমন আছো?”
নিলি একবার মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছে তো একবার তীব্রর দিকে। মেয়েটি আবার বললো,”আমাকে চিনতে পারছো না। রাইট? আমি তৃষি তোমার একটা মাত্র ননদ। আর ওর ছোট বোন।”
নিলিঃউনি তো বলেন নি উনার বোন ও আছে।
তীব্রঃতুমি তো জিজ্ঞেস ও করো নি। তৃষু তোমাকে দেখতে চেয়েছিলো তাই নিয়ে এলাম।
তৃষিঃবলেছিলাম ব্রেকটাইমে নিয়ে আসার জন্য। কিছুক্ষনের মধ্যে আমার সেকেন্ড ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।
তীব্রঃদেখে নিয়েছিস তো। এবার যা ক্লাসে। দেখার আরো টাইম পাবি।
তৃষিঃ😐আসি বউমনি। বাই। টাইম নেই হাতে।
তৃষি আবার চলে যায়। তীব্র নিলির কাছে এসে বললো,”কেমন লেগেছে আমার বোনকে?”
নিলিঃদারুন। এত কিউট মেয়ে আমি আগে কখনো দেখি নি।
তীব্র একটু ভাব নিয়ে বললো,”ভাই এত হ্যান্ডসাম বোন তো কিউট হবেই।”
নিলিঃ😏
।
।
চলবে?😔