#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৫
।
।
ওরা পান্তুমাই গ্রাম এ এসে জাস্ট পৌছেছে তখনি নিলির ফোনে ওর মায়ের কল আছে। নিলি ফোন রিসিভ করতেই ওর মা কাদতে কাদতে বললেন,”আরশির এক্সিডেন্ট হয়েছে।”
নিলি অবাক হয়ে বললো,”এসব কি বলছো মা?”
নিলির মাঃঠিকই বলছি। এখন আমরা হসপিটাল এ।
নিলিঃমানে? এসব কখন কীভাবে হলো?
নিলির মাঃজানি না। হঠাৎ নিলয় ফোন দিয়ে বলে আরশি এক্সিডেন্ট করেছে। আমি আর তর বাবা তখনি চলে আসি।
নিলিঃভাইয়া কি করছে।
নিলির মাঃএখানেই আছে। নিলয়কে সামলানো যাচ্ছে না। যাবে কিভাবে প্রথমে মা বাবা তারপর নিরব আর এখন…..জানি না আরশির কি অবস্থা। ডাক্তার ওটিতে নিয়ে গেছেন।
নিলির হাত থেকে টাস করে ফোন পরে যায়। তৃনা নিলির কাছেই ছিলো নিচ থেকে ফোন তুলে জিজ্ঞেস করলো,”কি হয়েছে নিলি? তুই এভাবে কাদছিস কেনো?”
নিলিঃবউমনির এক্সিডেন্ট হয়েছে। আমাকে এক্ষনি যেথে হবে।
তৃনাঃকিইইই? কিভাবে হয়েছে?
নিলিঃজানি না। তুই প্লিজ তীব্রকে ডেকে নিয়ে আয়।
তৃনাঃতুই দারা এখানে।
তীব্ররা একটু সামনে ছিলো তৃনা তীব্রর সামনে গিয়ে বললো,”ভাইয়া আপনি একটু আসুন নিলি ডাকছে।”
তানভীরঃকি হয়েছে?
তৃনাঃআগে আসুন।
তানভীর আকাশ আর তীব্র আসে। নিলি গাড়ির কাছে দারিয়েই কাদছে।
তীব্রঃকি হয়েছে?
নিলিঃবউমনির এক্সিডেন্ট হয়েছে। আমি ঢাকা যাবো।
আকাশঃকি? এক্সিডেন্ট?
তীব্রঃকীভাবে কখন হয়েছে?
নিলিঃজানি না কিছু। আমি শুধু ঢাকা যেথে চাই।
তানভীরঃও তো একা যেথে পারবে না।
তীব্রঃআমি নিয়ে যাবো।
নিলিঃনা। আপনি থাকুন। আমি একা যেথে পারবো।
তীব্রঃচুপ। বেশি কথা বলবে না। আমি যাচ্ছি। তরা এদিকটা দেখিস।
তৃনাঃনিলি ঢাকা গিয়ে ফোন দিস।
নিলিঃওকে।
তীব্র নিলিকে নিয়ে এখান থেকে সোজা ঢাকা যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়।
আরশির মাথায় শুধু একটু বেশি ব্যাথা পেয়েছে আর হাত ভেঙ্গেছে। এতটা ও সিরিয়াস কিছু না। তারপরো নিলয়কে সামলানো যাচ্ছে না। ও ওটির সামনে গিয়ে বারবার দরজা খুলার কথা বলছে। আগের ২বার ওটির ভেতর থেকে ওর মা বাবা আর ভাই এর লাশ নিয়ে এসেছিলো। এবারও যদি হয়। সেই ভয়ে ও আরশিকে ওটিতে নিতেই রাজি হচ্ছিলো না। ওর কাকু আর কিছু ওয়ার্ডবয় জোর করে নিলয়কে আটকিয়ে রাখে। নিলয়কে যখন প্রথম একটা লোক আরশির ফোন দিয়ে বললো একটা মেয়ের এক্সিডেন্টের কথা নিলয় মিটিং রুম থেকে পাগলের মতো বেরিয়ে এসেছিলো। এক্সিডেন্ট এর কথা শুনলেই নিলয়কে কেউ আর সামলাতে পারে না।
প্রায় ২ঘন্টা পর ওটির দরজা খুলে ডক্টর বের হন। নিলয় দৌড়িয়ে ডক্টরের কাছে গেলো।
ডক্টরঃডোন্ট ওরি মি.চৌধুরি মিসেস চৌধুরি ঠিক আছেন। ২৪ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে। মাথায় আর ডান হাতে শুধু একটু আঘাত পেয়েছেন।
নিলয়ঃআমি আরশির সাথে দেখা করবো।
ডক্টরঃওয়েট করুন। উনাকে কেবিনে শিফট করছি।
নিলয় এখানেই দারিয়ে আছে। আরশিকে ওটি থেকে বের করা হয়। নিলয় তাকিয়ে থাকে ওদিকে। মাথায় আর ডানহাতে বেন্ডেজ করা। আরশিকে কেবিনে নেওয়া হয়। নিলয় বসে পরে চেয়ারে। নিজেকে দোষ দিচ্ছে। আজ আরশিকে রেখে না এলে এসব কিছুই হতো না।
বিকেল ৩:৩০
তীব্র নিলিকে নিয়ে হসপিটাল আসে। রুম নাম্বার জেনে তীব্র নিলিকে উপরে নিয়ে যায়। নিলয় মাথা নিচু করে আরশির রুমের বাইরেই বসে ছিলো। নিলি দৌড়িয়ে নিলয়ের কাছে এসে হাটু ভাজ করে নিলয়ের সামনে বসে।
নিলিঃভাইয়া।
নিলয় মুখ তুলে নিলির দিকে তাকিয়ে আবাক হয়ে বললো,”তুই?”
নিলিঃমা ফোন করে বললো বউমনি এক্সিডেন্ট করেছে তাই আর সেখানে থাকতে পারি নি। চলে এসেছি।
নিলয়ঃএকা এসেছিস?
নিলিঃনা। উনি নিয়ে এসেছেন।
নিলয় সাইডে তাকিয়ে তীব্রকে দেখলো। তীব্র একটু দুরে দারিয়ে আছে। নিলয় নিলির দিকে তাকিয়ে বললো,”তর না আসলে ও হতো। এত সিরিয়াস কিছু হয় নি।”
নিলিঃবাট তুই পাগলামি তো খুব ভালোই করেছিস।
নিলয়ঃভয় পেয়ে গেছিলাম।
নিলিঃআমি জানি। তাই আমি আর থাকতে পারি নি। বউমনি এখন কেমন আছে?
নিলয়ঃআউট অব ডেন্জার। এই রুমে আছে।
নিলিঃদেখা করতে পারবো?
নিলয়ঃএখনো জ্ঞান ফেরে নি।
নিলিঃনিজের চোখ মুখ এর কি অবস্থা করেছিস। কেদেছিলি নাকি?
নিলয় কিছু বললো না। নিলি আবার বললো,”আমি জানি কেদেছিলি। বউমনির সাথে দেখা করেছিস?”
নিলয়ঃনা। এভাবে ওকে দেখতে পারবো না। সুস্থ হোক।
নিলি অবাক হয়ে বললো,”এত ভালোবাসিস? বউমনি জানে উনার বর যে উনাকে চোখে হারায়।”
নিলয়ঃএসব কিছু না। নীর ওর দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে। তা পালন করারই চেষ্টা করছি। আমি থাকতে ওর কোনো ক্ষতি হতে দেবো না।
নিলিঃশুন ভাইয়া। আমি এখন যতেষ্ট বড় হয়েছি। কোনটা দায়িত্ব আর কোনটা ভালোবাসা সেটা খুব ভালোভাবেই চিনি। তাই আমাকে এসব শিখাতে আসিস না।
নিলয়ঃআমি তো ভুলেই গেছিলাম তুই পুরো পেকে গেছিস।
নিলিঃ😐
নিলির মা এসে নিলিকে দেখে অবাক হয়ে বললেন,”তুই কখন এলি। আর তর না আরো ৪দিন পর আসার কথা ছিলো।”
নিলিঃতুমি আর সেখানে থাকতে দিলে কোথায়? যেভাবে বললে নিলয়কে সামলানো যাচ্ছে না। আমি কি পরিমান ভয় পেয়েছিলাম জানো। তাই সেখানে এক মুহূর্ত ও থাকতে পারি নি।
নিলির মাঃআমাদের কাছ থেকে ফোন দিয়ে জেনে নিলি না কেনো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক কিনা।
নিলিঃবাদ দাও এসব। এত কিছু মাথায় ছিলো না। আমার এত ঘুরার শক নেই। আমার তোমাদের কাছে থাকলেই হলো।
নিলির মা আর কিছু না বলে আরশির রুমে গেলেন। নিলয় আগের মতোই মাথা নিচু করে বসে আছে। নিলি তীব্রর সামনে গিয়ে দারালো।
নিলিঃসরি আমার জন্য আপনার প্লেন বেস্তে গেলো।
তীব্রঃকোনো ব্যাপার না। এসব জায়গা এর আগেও আমি দেখেছি। তো বউমনি এখন কেমন আছে?
নিলিঃভালো আছে। বাট জ্ঞান ফেরে নি। এত জার্নি করলেন। এবার আপনি বাইরে গিয়ে কিছু খেয়ে নিন।
তীব্রঃআর তুমি?
নিলিঃআমি ভাইয়ার কাছে আছি।
তীব্রঃতুমি ও খাবে চলো।
নিলিঃআমার খিদে নেই। আপনি যান। আমার খিদে পেলে আপনাকে বলবো।
তীব্রঃআমার ও খিদে নেই।
নিলিঃ😐চলুন।
নিলি তীব্রর সাথে হসপিটালের কাছেই একটা রেস্টুরেন্টে গেলো। আর হালকা কিছু খেয়ে নিলো।
নিলয় এখনো একি জায়গায় বসে আছে। আর ভাবছে এক্সিডেন্টটা হলো কিভাবে। আরশির তো ঐ রাস্তায় আসার কথা ছিলো না। ওর বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো। তাহলে ওদিকে কীভাবে গেলো। এসব আরশির কাছ থেকেই জানতে পারবে। তার জন্য কাল পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে। নিলির মা এসে নিলয়ের পাশে বসলেন।
নিলির মাঃবউমাকে গিয়ে দেখবি না? একদম ঠিক আছে। চিন্তা করিস না।
নিলয়ঃআমার সাথেই কেনো বার বার এমন হয় বলতে পারো। আজ যদি আরশির কিছু হয়ে যেতো আমি বাচতে পারতাম না মামনি।
নিলির মাঃকিছু হয়নি তো আরশির। তর ভালোবাসা আরশিকে আবার তর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।
নিলয়ঃনা মামনি। আমার কাছে আর আমি ওকে রাখবো না। আমার কাছে ও সেইফ না। ইভেন কেউ সেইফ না। আমার কাছে কাউকে রাখবো না। তোমাদের মতো ওকে ও দুরে থাকতে হবে।
নিলির মাঃএসব কি বলছিস তুই?
নিলয়ঃএকদম ঠিক বলছি। আংকেলকে এখন ফোন দিয়ে জানিয়েছি সব। উনি আসবেন কিছুক্ষণ এর মধ্যে। তারপর আরশির জ্ঞান ফিরলে ওকে আংকেল এর সাথে পাটিয়ে দেবো।
নিলির মাঃযা বলছিস ভেবে বলছিস তো।
নিলয়ঃহ্যা মামনি।
নিলির মাঃতুই থাকতে পারবি তো আরশিকে ছাড়া?
নিলয়ঃপারবো।
নিলির মা আর কিছু বললেন না। উনি বুঝতে পারছেন নিলয়ের মনের অবস্থা। বেশিদিন তো হয়নি বিয়ের। এর মধ্যেই এসব। নিলয় মানতে পারছে না।
কিছুক্ষণ পর আরশির বাবা চলে এলেন। উনি পাগলের মতো নিলয়ের সামনে এসে বললেন,”কোথায় আমার আরু?”
নিলি উনাকে আরশির রুমে নিয়ে যায়। আরশির বাবা আরশিকে এভাবে দেখে কেদে দেন। আরশির মাথার কাছে বসেন। নিলি সাইডে দারিয়ে থাকে। মাথায় হাত ভুলিয়ে দিতে দিতে বলেন,”কেনো এভাবে রাস্তার মাঝখানে গেলি। আজ যদি তর কিছু হয়ে যেতো আমি বাচতাম কি নিয়ে? তুই তো আমার সব।”
রাত হয়ে গেছে। নিলয় নিলির মা বাবা আরশির বাবা নিলি সবাই বাইরে দারিয়ে আছে। কিছুক্ষণ আগে নিলি তীব্রকে বাসায় পাটিয়ে দিয়েছে। তীব্র এতক্ষণ এখানেই ছিলো। এখন ওর বাসায় যাওয়াই উচিৎ।
হঠাৎ নিলয় বললো,”মামনি কাকু তোমরা নিলিকে নিয়ে বাসাও যাও। আর আংকেল আপনিও যান। কাল সকালে এসে না হয় আরশিকে নিয়ে যাবেন।”
নিলির বাবাঃনিয়ে যাবেন মানে?
নিলয়ঃআরশিকে আর আমার কাছে রাখবো না কাকু। ও আমার কাছে সেইফ না। কাল ওর সেন্স ফিরলে চলে যাবে। আর এখন তোমরা সবাই বাসায় যাও।
নিলির বাবাঃমানে? এসব কি……
নিলির বাবা আর কিছু বলার আগেই নিলির মা বললেন,”তোমাকে আমি পরে সব বুঝিয়ে বলবো।”
আরশির বাবাঃনিলয়…..
নিলয়ঃআংকেল আপনি জানেন আমি কেনো এসব করছি। তাই প্লিজ কিছু বলবেন না। এখন যান বাসায় আমি ওর কাছে আছি।
নিলিঃমা বাবা তোমরা চলে যাও। আমি আছি ভাইয়ার কাছে।
নিলয়ঃতুই এখানে থেকে কি করবি? তুই ও যা।
নিলিঃযাবো না। বলে লাভ নেই। বাবা যাও।
নিলিকে রেখেই ওর বাবা মা বাসায় চলে যান। আরশির বাবা ও আরশিকে একবার দেখে চলে যান। নিলি আরশির কেবিনে আর একটা বেডে শুয়ে পরে। নিলয় বাইরেই বসে থাকে চোখে ঘুম নেই। শুধু ভাবছে আজ আরশির কিছু হলে ও কি নিয়ে বাচতো? আরশিকে কিছুতেই ওর কাছে রাখতে পারবে না আর। ওর কাছে যেই থাকবে তার সাথেই এমনটা হবে ভাবছে নিলয়।
সকালে একটা নার্স এর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে নিলয়ের। অনেক বেলা হয়ে গেছে। সারা রাত ঘুমায় নি শুধু এসবই ভাবছে ভোরের দিকে ঘুমিয়েছে তাই উঠতে লেইট হয়ে গেছে। নিলয় বসা থেকে উঠেই গ্লাসের ফাকে আরশিকে একবার দেখে নিলো। নিলি এখনো ঘুমিয়ে আছে। নিলয় হসপিটাল এর ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিলো। তারপর বাইরে গেলো নিলির জন্য খাবার আনতে। এর মধ্যে নিলির ঘুম ভেঙ্গে যায়। নিলি ফ্রেস হয়ে এসে আরশির পাশে বসে। একজন নার্স এসে সব দেখে যায়। নিলয় খাবার নিয়ে রুমে ডুকবে তখনি নিলি দেখে আরশির চোখ আস্তে আস্তে খুলছে।
নিলিঃভাইয়া বউমনির জ্ঞান ফিরছে।
নিলয় নিলির কথায় আরশির দিকে তাকায়। তারপর খাবার রেখে ডক্টর আনতে চলে যায়। ডক্টর আসার আগেই আরশির পুরোপুরি চোখ খুলে ফেলে। ডান হাত নারতে পারছে না। মাথায় ও প্রচন্ড ব্যাথা।
ডক্টরঃমিসেস চৌধুরি এখন কেমন ফিল হচ্ছে।
আরশিঃহাত নারতে পারছি না। মাথা ব্যাথা করছে।
ডক্টরঃএখন একটু হাত নারাতে প্রবলেম হবেই। বাট আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
ডক্টর সব চেক করে চলে যায়। নিলয় দরজার কাছেই দারিয়ে আছে। আর আরশি নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। নিলি নিলয়কে ভেতরে পাটিয়ে ও বাইরে চলে যায়। নিলয় গিয়ে আরশির পাশে চেয়ারে বসে।
আরশিঃআপনার চোখ মুখের এই অবস্থা কেনো? রাতে ঘুমান নি।
নিলয়ঃঘুমিয়েছি। তুমি ওদিকে কেনো গিয়েছিলে বাসার রাস্তা তো উল্টো দিকে?
আরশিঃআপনার অফিসে যাওয়ার জন্য।
নিলয় একটু রেগে বললো,”আমাকে ফোন করে বললে কি হতো। গাড়ি পাটাতাম না?”
আরশিঃমনে ছিলো না।
নিলয়ঃতোমার তো কিছুই মনে থাকে না। মাঝ রাস্তায় কীভাবে গেলে?
আরশির মনে পরে কেউ ওকে ধাক্কা দিয়েছিলো। কিন্তু কে তার মুখ দেখে নি। আরশি আস্তে করে বললো,”আমি নিজের ইচ্ছেই যাই নি। মনে হলো কেউ ধাক্কা দিয়েছে।”
নিলয়ঃউয়াটটটট? কে ধাক্কা দিয়েছে?
আরশিঃদেখি নি।
নিলয় আর কিছু বললো না। দাতে দাত চেপে আরশির দিকে তাকিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে চলে গেলো। আরশি নিলয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
নিলি বাইরে যেথেই তীব্রকে দেখতে পেলো। এত সকাল তীব্র এখানে কেনো ভাবছে নিলি। তীব্রর সামনে যেথেই ও নিলিকে টেনে বাইরে নিয়ে এলো। বাইরে যেথেই দেখে নিলির বাবা মা আসছেন। তীব্র নিলিকে আড়ালে নিয়ে গেলো। উনারা ভেতরে ডুকতেই তীব্র বাইক নিয়ে নিলির পাশে এলো।
তীব্রঃউঠো।
নিলিঃকোথায় যাবো।
তীব্রঃগেলেই দেখতে পারবে।
নিলি বাইকে উঠলো। তীব্র নিলিকে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলো।
নিলির মা বাবা আরশির সাথে দেখা করলেন। তার কিছুক্ষণ পরই আরশির বাবা ও চলে এলেন। আরশি মোটামোটি সুস্থ। শুধু হাতে আর মাথা একটু ব্যাথা। নিলয় ডক্টরকে বলে ডিসচার্জ পেপার রেডি করিয়ে নিয়েছে। আজই আরশিকে ওর বাবার বাসায় পাটাতে চায়। আর কে আরশিকে ধাক্কা দিয়েছে তা তো নিলয় বের করবেই।
।
।
চলবে?