#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ৫
।
।
রাত ৩:৪৫,,
“নির” বলে চিৎকার করে নিলয় ঘুম থেকে উঠে পরে। নিলয়ের চিৎকারে আরশির ও ঘুম ভেঙ্গে যায়।
নিলয় বিকেলে অফিস শেষে আরশিকে নিতে ওর কাকুর বাসায় যায়। তো নিলি আর ওর মামনি বিকেলে ওদের আসতে দেন নি। বলেছেন ডিনার করে একেবারে রাতে যাবে। নিলির মা জানেন নিলয়কে রাতে এই বাসায় রাখতে পারবেন না। তাই আর আটকাননি। রাতে নিলয় আর আরশি ডিনার করে ১০টায় বাসায় ফেরে। বাসায় এসেই নিলয় ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পরে। আরশি ও কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পরে। আর মাঝরাতে হঠাৎ নিলয় চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পরে। আরশি তারাতারি বিছানা থেকে নেমে। নিলয় এর কাছে যায়। নিলয় ঘামছে।
আরশি:কি হয়েছে মি.চৌধুরি আপনি এভাবে চিৎকার দিয়ে উঠলেন কেনো?
নিলয় অসহায়ের মতো আরশির দিকে তাকায়। তারপর চারপাশ। নিলয় বুঝতে পারে ও স্বপ্ন দেখেছে।
আরশি:কি হলো বলুন? আর নির কে? নির বলেই তো চিৎকার করেছিলেন।
নিলয়:নির? আমি কখন নির বললাম। আমি তো নিলি বলেছি। তুমি ভুল শুনেছো।
আরশি:কি? আমি ভুল শুনেছি।
নিলয় মাথা নিচু করে বললো,”হুম।”
আরশি:তো আপনি চিৎকার দিয়ে উঠলেন কেনো?
নিলয়:একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি।
আরশি:কি দেখেছেন?
নিলয়:ও কিছু না। বাদ দাও।
আরশি:আচ্ছা। তাহলে আপনি শুয়ে পরুন।
নিলয়:তুমি গিয়ে শুয়ে পরো। আমি একটু আসছি।
আরশি:কোথায় যাবেন?
নিলয়:সব কি তোমায় বলতে হবে। বলছি তো আসছি। তুমি শুয়ে পরো। আর একদম আমার পিছু পিছু আসবে।
কথাটা বলেই নিলয় দরজা লাগিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আরশি কিছুক্ষণ দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে,”আজব তো। কোথায় যাচ্ছে বললে কি হতো। আর পিছনে যেথে ও বারন করে দিলো। আচ্ছা আমি কি সত্যিই ভুল শুনেছিলাম।”
এসব ভাবতে ভাবতে আরশি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো।
পরেরদিন খুব ভোরেই আরশির ঘুম ভেঙ্গে যায়। আরশি ফোন হাতে নিয়ে টাইম দেখে ৫:৫৫। আরশি সোফায় তাকিয়ে দেখে সোফা ফাকা।
আরশি:একি মি.চৌধুরি কোথায়?
আরশি রুম থেকে বেরিয়ে পরে। উপর থেকেই নিচে তাকিয়ে দেখে মেইন দরজা বন্ধ। আর একজন সার্ভেন্ট শুধু ঘুম থেকে উঠেছেন। আর ড্রয়িংরুম ঝাড়ু দিচ্ছেন। আরশি উপর থেকেই বললো,”এই যে শুনুন।”
আরশির কথা শুনে উনি উপরে থাকালেন আর বললেন,”জি ম্যাম বলুন।”
আরশি:আপনাদের স্যার কি বাইরে কোথাও গেছেন?”
সার্ভেন্ট:না ম্যাম। আজ তো স্যার জগিং করতে এখনো বের হন নি। নিচে ও এখনো আসেন নি।
আরশি:ওহ। আচ্ছা।
আরশি আবার রুমে চলে গেলো। গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো। আবার রুম থেকে বের হলো। নিলয়কে খোজার জন্য। আরশি নিলয়কে খুজতে খুজতে সেই বন্ধ রুমের কাছে চলে এলো।
আরশি:আরে এই রুম তো থালা দেওয়া নেই এখন।
আরশি গিয়ে দরজাটা হালকা ধাক্কা দিলো। তারপর বুঝতে পারলো দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।
আরশি:তারমানে কি মি.চৌধুরি ভেতরে। রাতে ও এখানে এসেছিলেন। কিন্তু কেনো? এই রুমে কি এমন আছে। উনি বার বার এখানে আসেন কেনো? আর কাউকে ভেতরে ডুকতে ও দেন না। আমাকে দেখতেই হবে কি আছে ভেতরে।
আরশি দরজা ধাক্কাচ্ছে আর বলছে,”মি.চৌধুরি দরজা খুলুন। সকাল হয়ে গেছে।”
আরশির ডাকেই নিলয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কাল রাতে এই রুমে এসেই ঘুমিয়ে পরেছিলো। নিলয় বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে আরশি ভেতরে কি আছে তা দেখার আগেই নিলয় আবার দরজা বন্ধ করে দেয়। আর থালা দিয়ে দেয়। তারপর নিজের রুমে চলে যায়। নিলয় গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেয়। আজ আর জগিং করতে যায় নি। লেইট হয়ে গেছে। ৭টা বাজে। অন্যদিন এই টাইমে বাসায় আসতো। আরশি নিচে চলে যায় ব্রেকফাস্ট রেডি করার জন্য। নিলয় রুমে বসেই অফিসের কিছু কাজ করছে।
সেই কখন থেকে তৃনা নিলিকে ফোন দিচ্ছে। কিন্তু ওর উঠার কোনো খবরই নেই। তৃনা বিরক্তি হয়ে নিলির মাকে ফোন দিলো। নিলির মা ফোন রিসিভ করে বললেন,”হ্যা তৃনা বলো।”
তৃনা:আন্টি সেই কখন থেকে নিলিকে ফোন দিচ্ছি। ও ফোন ধরছে না। আপনি প্লিজ ওকে একটু ডেকে দিবেন। আর্জেন্ট।
নিলির মা:আচ্ছা। তুমি ৫মি. অপেক্ষা করো। আমি ওকে ডেকে তুলে দিচ্ছি।
তৃনা:আচ্ছা আন্টি থ্যাংক ইউ।
নিলির মা নিলির রুমে গেলেন। আর মুখে একটু পানি চিটিয়ে দিলেন। নিলি আস্তে আস্তে চোখ খুললো।
নিলির মা:তৃনা ফোন দিয়েছিলো। তর সাথে কথা বলবে। জলদি ওকে ফোন দে।
নিলি:ওর ও কোনো কাজ নেই। সকাল সকাল ওর দরকার শুরু হয়ে যায়।
নিলি তৃনাকে কল বেক করলো।
নিলি:বল এত। সকাল কেনো ফোন দিয়েছিস।
তৃনা:এটা এত সকাল? ৯টা বাজে।
নিলি:আমি আরো পরে ঘুম থেকে উঠি। কি জন্য ফোন দিয়েছিস সেটা বল।
তৃনা:রাহুল ফোন দিয়েছিলো। জলদি আমাদের ভার্সিটিতে যেথে বলেছে। তুই তো ক্লাস শুরু হওয়ার অনেক পরে যাস।
নিলি:কেনো?
তৃনা:জানি না। বলেছে গেলে বলবে। তুই জলদি রেডি হয়ে চলে আয়।
নিলি:ধ্যাত। আচ্ছা আসছি।
তৃনার ফোন কেটে নিলি ফ্রেস হতে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে আসে।
নিলির বাবা:আজ এত সকাল উঠে নিচে এলি যে!
নিলি:😑তৃনা ফোন দিয়ে জলদি ভার্সিটিতে যেথে বলেছে। তাই।
নিলির বাবা:আগেই বুঝেছি। নিজ থেকে উঠার পাত্রি তুই নস।
নিলি:বাবা! মা তারাতারি ব্রেকফাস্ট দাও। নয়ত না খেয়েই চলে যাবো।
নিলির মা:দিচ্ছি। একদিন জলদি উঠে মেয়ের তেজ দেখো।
নিলি:😐
২মি. পর উনি ব্রেকফাস্ট নিয়ে এসে ওদের দেন। নিলি ব্রেকফাস্ট করে ভার্সিটিতে চলে যায়। গিয়ে দেখে তৃনা চলে এসেছে। আর রাহুল এর সাথে কথা বলছে।
নিলি:হাই গাইজ। কি ব্যাপার রাহুল। জলদি আসতে বললি কেনো?
রাহুল:ভার্সিটি থেকে সবাই মিলে পিকনিকে যাবে। তরা কি যাবি।
নিলি:এটা কখন হলো🤨
রাহুল:আজই আমি জানতে পেরেছি। আমাদের সিনিয়র ভাইরা নাকি এটার এরেইজমেন্ট করেছে। আর প্রিন্সিপল স্যারের কাছ থেকে পারমিশন নিয়েছে।
তৃনা:কোন ইয়ার।
রিত্তিক:৪র্থ বর্ষ।
নিলি:(তীব্রদের বেচ।) আমি যাবো না।
রাহুল:😮কেনো?
নিলি:এমনিতেই ইচ্ছে নেই।
তৃনা:কি হয়েছে?
নিলি:কিছু হয় নি। কিছুক্ষণ পর ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। চল ক্লাসে।
রিত্তিক:আমি বুঝতে পেরেছি কেনো ও যাবে না।
তৃনা:কেনো?
রিত্তিক:তীব্রভাইয়াদের বেচ এই পিকনিকের এরেইন্জমেন্ট করছে তাই।
নিলি:কি পালতু কথা বলছিস।
রাহুল:একদম পালতু না।রিত্তিক ঠিকই বলেছে।
নিলি:তর মুন্ডু বলেছে। আমি যাই ক্লাসে। তদের ইচ্ছে হলে আয়। নয়ত এখানেই বসে থাক।
এটা বলেই নিলি ক্লাসের দিকে চলে যায়।
তৃনা:আমি ওকে রাজি করানোর চেষ্টা করবো।
রাহুল:তাহলে তদের নাম লিখে আসি।
তৃনা:কবে যাবো সেটা বললি না তো।
রিত্তিক:আর ৪দিন পর।
তৃনা:ওহ। আচ্ছা। নাম এখন লিখিস না। আমি আগে নিলির সাথে কথা বলে নেই। ও যা ঘাড় তেরা যদি রাজি না হয়।
রাহুল:আচ্ছা চল আগে ক্লাসে।
তৃনা রাহুল রিত্তিক ক্লাসে চলে যায়। নিলি একা বসে আছে। তৃনা গিয়ে ওর পাশে বসলো।
তৃনা:প্লিজ রাজি হয়ে যা না। অনেকদিন হলো। ঘুরতে যাই না।
নিলি:তর ইচ্ছা থাকলে তুই যা। আমি একদম যাবো না।
তৃনা:তীব্রভাইয়ার জন্য এখন তুই একটু মজা ও কি করবি না।
নিলি:আমি কখন বললাম উনার জন্য যাচ্ছি না।
তৃনা:সব বলতে হয় না। আমরা বুঝি।
নিলি:বুঝে উদ্ধার করেছো আমাকে।
তৃনা:প্লিজ চল না। আমার জন্য। তুই না গেলে আমি কিভাবে যাবো বল। তকে ছাড়া তো আমার ভালো লাগবে না।
নিলি:যতই পাম দিস। আমি গলবো না। আর রাজিও হবো না।
তৃনা:😒সত্যি বলছি।
নিলি:মন দিয়ে ক্লাস কর। স্যার এসে গেছেন।
তৃনা:তুই রাজি না হলে আমি মন দিয়ে ক্লাস করবো না।
নিলি:এতে ক্ষতিটা তর হবে। আমার না।
তৃনা:তকে ও ক্লাস করতে দেবো না।
নিলি:আমি স্যারকে বলে দেবো।
তৃনা:প্লিজ দোস্ত রাজি হয়ে যা না। তর কাছে আমি কখনো কিছু চেয়েছি? আজ প্রথম চাইছি। আমায় ফিরিয়ে দিবি?
নিলি:ইমশনাল ব্লেকমেইল। বাট কোনো কাজ হবে না।
তৃনা:তুই এমন কেনো? একবার যা না বলিস তা নাই থাকে। হ্যা আর হয় না।
নিলি:আমি এক মুখে ২রকম কথা বলতে পছন্দ করি না।
তৃনা:হুহ।
তৃনা মন খারাপ করে ক্লাসে মনযোগ দেয়। নিলি বুঝতে পেরেছে তৃনা রাগ করেছে। কিন্তু এখন এসবে ধ্যান দিলো না। এখন তৃনার রাগ ভাঙ্গাতে হলে পিকনিকে যেথে রাজি হতে হবে। বাট নিলি চায় না যেথে।
ক্লাস শেষে তৃনা একা একাই রুম থেকে বেরিয়ে আসে। আর বাইরে বসার জায়গা আছে সেখানে গিয়ে বসে। রাহুল আর রিত্তিক ও তৃনার সাথে গিয়ে বসে। নিলি ও তৃনার কাছে আসছিলো তখনি তানভীর চলে আসে নিলির সামনে।
নিলি:ভাইয়া কিছু বলবেন?
তানভীর:পিকনিকের কথা তো তুমি শুনেছো?
নিলি:জি ভাইয়া।
তানভীর:তা তোমাদের বেচ এর কে কে যাবে।
নিলি:আমি সিউর জানি না।
তানভীর:জানো না মানে। তুমি যাবে না।
নিলি:না।
তানভীর:কেনো?
নিলি:এমনি। ইচ্ছে করছে না। আর কে কে যাবে সেটা জেনে আমি আপনাকে জানাবো।
নিলি আর কিছু না শুনে তৃনার কাছে চলে আসে। তীব্র তানভীরকে পাটিয়ে ছিলো নিলি যাবে কিনা সেটা জানতে। তানভীর এবার সব জেনে তীব্রর কাছে গেলো।
নিলি:কি রে বাসায় যাবি না। এখানে বসে আছিস কেনো?
তৃনা:তুই যা বাসায় আমি পরে যাবো।
নিলি:পরে যাবি মানে। কখনো কি আমি একা বাসায় গিয়েছি। আজ একা কেনো যাবো। আর তুই এখন এখানে কি করবি?
তৃনা:কেনো একা যেথে পারবি না। আমাকে তো একা পিকনিকে চলে যেথে বলছিস। আর তুই সামান্য একা বাসায় যেথে পারছিস না।
নিলি গিয়ে তৃনার পাশে বসলো। তারপর বললো,”আমি জানি আমাকে ছাড়া তুই যাবি না তাই বলেছিলাম। কিছুদিন পর ভাইয়াকে বলে সিলেট যাওয়ার ব্যাবস্থা আমি করবো। এখন প্লিজ এই জেদটা বাদ দে।”
রাহুল:তখন তো আমরা থাকবো না। তুই আমাদের সবাইকে ছাড়া ইনজয় করবি।
নিলি:তরা এখন ইনজয় কর। তরা যা না। তদের তো কোনো প্রবলেম নেই।
রিত্তিক:তদের ছাড়া আমাদের যেথে ইচ্ছে করছে না।
নিলি:এখন একটু খারাপ লাগবে। সেখানে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে।
তৃনা:তারপরো তুই রাজি হবি না।
নিলি:না। এখন চল তো বাসায় খুব খিদে পেয়েছে।
তৃনার হাত ধরে টেনে দার করিয়ে দিলো নিলি।
তানভীরের কাছ থেকে সব শুনে তীব্রর খুব রাগ উঠতেছে। এত প্লেন করলো। সব ফ্রেন্ডদের রাজি করালো সব এরেইজমেন্ট করলো। আর এখন যার জন্য এসব করেছে সেই বলছে যাবে না। রাগ তো উঠবেই।
তীব্র:ওকে তো যেথেই হবে।
তানভীর:কিভাবে রাজি করাবি।
তীব্র:সেটা আমার উপর ছেড়ে দে এখন চল।
তৃনা আর নিলি গেইট এর কাছাকাছি আসতেই তীব্র সামনে চলে আসে। নিলি রাগি লুকে তীব্রর দিকে তাকায়।
নিলি:আপনি এইভাবে সামনে আসলেন কেনো?
তীব্র:তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।
নিলি:বলুন।
তীব্র:একা বলবো।
নিলি:যা বলার এখানে বলুন। নয়ত এখান থেকে ফুটুন।
তীব্র তৃনাকে ইশারা করে একটু নিলিকে রাজি করাতে বললো তৃনা ও বুঝতে পেরে নিলিকে বললো,”কথাই তো বলবে। চলে যা না।”
নিলি:তর ইচ্ছা থাকলে তুই যা। আমাকে একদম এসব বলতে আসবি না।
তৃনা:আরে বাবা কথা তো বলবে তর সাথে আমি যাবো কেনো।(কানের কাছে মুখ নিয়ে।) কথা না বলা পর্যন্ত আমাদের যেথে দিবে না। এর থেকে জলদি কথা বলে চলে আয়। প্লিজ।
নিলি বিরক্তি নিয়ে বললো,”ওকে চলুন। বাট ৫মি থাকতে পারবো।”
তীব্র মুচকি হেসে বললো,”ওকে এতেই হবে।”
একটা ফাকা জায়গায় নিলিকে নিয়ে আসে তীব্র। এখানে সচরাচর কেউ আসে না।
নিলি:বলুন কি বলবেন।
তীব্র:আমাকে কবে থেকে ভালোবাসো।
নিলি:😮উয়াট? এসব কি বলছেন আপনি?
তীব্র:ঠিকই তো বলছি। এটা আমাকে বলতে পারছো না কেনো সেটা ও জানি। তুমি চাও না কোনো রিলেশনে যেথে। তোমার আমাকে বিশ্বাস করতে একটু প্রবলেম হচ্ছে। যদি আমি তোমায় ধোকা দেই সেই ভয়ে। রাইট।
নিলি:আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এসব কি উল্টো পাল্টা কথা বলছেন।
তীব্র:আমি তো ঠিকই বললাম। তার প্রমান তো আজই পেলাম। তুমি আমায় ভালোবাসো?
নিলি:কিইইই? কিসের প্রমান পেয়েছেন?
তীব্র:এই যে পিকনিকে যেথে বারণ করে দিয়েছো। আমি যাবো বলেই তো যাবে না। আমাকে যত তোমার সামনে দেখতে তত আমার প্রতি উইক হবে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে কষ্ট হবে।
নিলি:আপনি যে পাগল হয়েছেন সেটা কি সবাই জানে।
তীব্র:আমি জানতাম তুমি এটা বলবে। সত্যি কথা বলেছি তো তাই। আচ্ছা বুঝেছি। তোমার পিকনিকে যেথে হবে না। শুধু এটা বলো কবে থেকে ভালোবাসো।
নিলি:জাস্ট সাট আপ। আমি একদমই আপনাকে ভালোবাসি না।
তীব্র:মুখে যাই বলো। তা আমি বিশ্বাস করবো না। কজ আমার কাছে প্রুফ আছে।
নিলি:কি?
তীব্র:এই যে পিকনিকে যাচ্ছো না। কারন আমি থাকবো অলটাইম তোমার সাথে আর তুমি নিজেকে আমার থেকে দুরে রাখতে পারবে না। ভালোবাসার মানুষকে বেশিক্ষণ নিজের থেকে দুরে রাখা যায় না।
নিলি:অনেকক্ষণ ধরে আপনি আজে বাজে কথা বলছেন। আর আমি শুনে যাচ্ছি😡।
তীব্র:এটা আজে বাজে কথা নয়। রিয়েল। নয়ত একটা রিজন দেখাও পিকনিকে না যাওয়ার
নিলি:যাওয়া না যাওয়া আমার ইচ্ছের উপর ডিপেন্ড করে। এখন আমার ইচ্ছে করছে না তাই……
তীব্র:এটা বলে তোমার ফ্রেন্ডদের বোকা বানাতে পারবে। আমাকে না। আমি জানি তুমি আমার থেকে দুরে থাকার জন্যই যাচ্ছো না। কজ তুমি কাউকে বুঝতে দিতে চাও না। তুমি ও আমার ভালোবাসো।
নিলি রাগ কন্ট্রোল করে দাতে দাত চেপে বললো,”আর একটা বাজে কথা বললে এখানেই আপনার মাথা ফাটিয়ে দেবো।”
তীব্র:দাও। তবুও সত্যিটা স্বীকার করো।
নিলি:আমি পিকনিকে গেলে কি এটা প্রমান হবে আমি আপনাকে ভালোবাসি না?
তীব্র:(এইতো লাইনে এসেছো।) হুম।
নিলি:ওকে আমি যাবো। এবার হয়েছে? আর কখনো যদি আপনার মুখে এইসব পালতু কথা শুনি। আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
তীব্র:ওকে।
নিলি রেগে হনহন করে তৃনার কাছে চলে যায়। তীব্র নিলির যাওয়া দেখে হাসছে। নিলি তৃনার কাছে গিয়ে রাগি ফেইস নিয়েই বললো,”আমি যাবো পিকনিকে।”
তৃনা:সত্যিইইই? বাট তুই এত রেগে আছিস কেনো?
নিলি:যাবো বললাম তো😡 এত কথা বলিস কেনো? এবার চল।
তৃনা:ওকে আমি রাহুলকে বলবো আমাদের নাম ও লিখতে।
নিলি সামনে চলে যায়। আর তৃনা পিছনে তাকিয়ে দেখে তীব্র মুচকি মুচকি হাসছে। তৃনার আর বুঝতে বাকি নেই তীব্রই কিছু করেছে। তৃনা ইশারা দিয়েই তীব্রকে থ্যাংকস জানালো।
।
।
চলবে?