psycho_is_back part_2

0
3671

psycho_is_back
part_2
#apis_indica( সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি)

—-কি করছিস ছাদে তুই?

—-হাওয়া খাচ্ছি!হালকা হেসে বললাম।।

—-কেন ঘরে ফ্যান নেই হওয়া খাওয়ার জন্য??নাকি নষ্ট হয়েগেছে??দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠলো ইউসুফ।।

—-আছে তো ভাইয়া আমি ঠান্ডা হাওয়া খাওয়ার জন্য আসচ্ছি।।আমতা আমতা করে বলতে লাগলাম।।

এবার উনি দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগেন,,
—-ঘরে কি এসি নষ্ট হয়ে গেছে??

এবার ভয় লাগতে লাগলো আমার,আসচ্ছি পর থেকে আমার পিছে লেগে আছে।।আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,,
—-আছে তো ভাইয়া।।আমি প্রাকৃতিক হওয়া খাইতে আসচ্ছিলাম আর কি।।এদিক ওদিক তাকিয়ে বলতে লাগলাম।।কারণ এই খাটাশ বেটা আমার দিক অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে।।এদিকে রিতিমতো আমার কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।।

আমার কথা শুনে রাগী কন্ঠে উনি বললেন,,
—-দাঁড়া খাওয়াচ্ছি তোর হাওয়া!! বলে এদিক ওদিক কিজানি খুঁজতে লাগলেন!

আমি উঁকি দিয়ে দেখতেই আমার চোখ কপালে উনি লাঠি হাতে নিয়ে আসচ্ছেন।।আমি আর এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে দৌড়ে রুমে চলে গেলাম।। দরজা লাগিয়ে দিলাম।। আল্লাহ বাঁচাইছে নাহলে আমার কপালে শনি ছিল।। বুঝি না এই বেটার কটা তার ছিড়া মাথার আল্লাহ গো আল্লাহ।।সেদিন প্রথম তাকে দেখার পর আমি ক্রাশের উর ক্রাশ খাইছিলাম।।কথায় বলে না ক্রাশ মানে বাশ শেই অবস্থা।।সেদিন যখন আমি নিচে বসে ছিলাম।। তখন আন্টিমা আসেন আর বলেন,,

—আম্মু কিছু মনে করো না ইউসুফ রাগ কন্টোল করতে পারে না।। তাই এটা ওটা ছুড়াছুড়ি করে।।
আমি হেসে মাথা নাড়ালাম।।

তখনি নানু মা চলে আসলেন।।আমরা নানা রকমের কথা বলছি।।তখনি একটি ছেলে এসে নানুমা সালাম করে কথা বলতে লাগে।।
ছেলেটিকে দেখে এক দফা ক্রাশ খেয়ে বসি।।তিনি নানুমার সাথে কথা বলে যাচ্ছেন আর আমি এদিকে তাকে গিলে খাচ্ছি।।সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করছিল উনার ঠোঁটের উপর লাল তিল।। তার সাথে উনার চোখ কি বলবো,,বিড়ালের চোখের মনির মতো উনার চোখের মনি।।আমি পুরা ফিদা হয়ে যাচ্ছি।।তখনি তার সাথে আমার চোখাচোখি হয়ে যায়।।আর উনি হেসে দেন।।আর আমাকে উদ্দেশ করে বলতে লাগেন,,

—-দাদু এইটা কুহু না?

—-হে রে দাদু ভাই।।এবার ইন্টার দিল।।

—-বাহ ভালই বড় হয়ে গেছিস।।এখনতো বিয়ে দিতে হবে তোকে।।রহস্যময় হাসি দিয়ে।।

আমি উনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।।এইটা কেমন কথা।।উনি আমাকে আজ প্রথম দেখলেন।।আর ভাল মন্দ না জিগাসা করে সোজা আমার বিয়ের কথা নিয়ে বসলেন।।এই লোকের নির্ঘাত সমস্যা আছে মাথায়।। আমি কিছু বললাম না মাথা নত করে রাখলাম।।
তার সাথে কথা বলার মুড নাই হুহ।।

এদিকে ইউসুফ যখন নিচে নামছিল।।তখনি একটি পিচ্চি মেয়েকে দেখে চোখ আটকে যায় সেখানে।বুকের বাপাশে ধক ধক শব্দ করতে লাগলো।।নিজেকে সামলে নিচে এসে তার দাদুর সাথে কথা বলতে লাগে।। আর আড়চোখে বার বার মেয়েটিকে দেখতে লাগে।।মেয়েটি যে তার দিকেই তাকিয়ে আছে বুঝতেই পারছে।।

সেদিনের মতো দিনটি শেষ হয়ে যায়।।

সকালে,,?
—-ঠাসস ঠাসস ঠাসস
বাহিরে গুলির আওয়াজে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসি।।
ছোট থেকেই জোরে কোন আওয়াজ হলে আমি সহ্য করতে পারিনা।। দৌড়ে নিচে গিয়ে দেখি।।ইউসুফ ভাইয়া হওয়ায় ফায়ারিং করছেন।।আর তার সামনে কতো গুলো কালো পোশাক পরিহিত লোক দাড়িয়ে আছে।।তাদের মাঝে কিছু লেডিস ও আছে।।সব কটাকে বিদেশি মনে হচ্ছে।।আমি সেদিকে যেতে নিতেই আন্টি মা এসে আমাকে বাঁধা দেন আর বলতে লাগেন,,
—-আম্মু ওদিক যাস না ভাইয়া কাজ করছে।।
আমি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,,,
—-আন্টিমা ভাইয়া গুলি কেন করছেন??
আন্টি কিছু না বলে বলতে লাগেন,,
—-যাও আম্মু রেডি হয়ে নেও।।আমরা আজ ঘুড়তে যাবো।।
আমি বুঝতে পারলাম আন্টিমা আমাকে বলতে ইচ্ছুক না।।তাই আর কিছু জিগাসা করলাম না।।

?
রেডি হয়ে বসে আছি।।
আন্টি মার আর্জেন্ট কাজ পরে যাওয়া তিনি বাহিরে চলে গেলেন।।আর বলে গেলেন ভাইয়া নিয়ে যাবে।।ভাইয়া রেডি হচ্ছেন তাই বসে আছি।।নানুমাও নাকি যাবেন না।।বাট আমার ঘুড়ার খুব শখ।।ভাইয়াও নিচে নেমে আসেন।।তাকে দেখে আজকেউ আবার ক্রাশ খাইলাম।।এতো পুরাই কিউটের ডিব্বা।।ডিব্বা বললে ভুল হবে পুরাই ক্রাশের বালতি।।হিহি।।ব্লেক শার্ট ব্লু জিন্স আর চোখে সান গ্লাস।।চুল গুলো পাভ করে উপরে তোলা।।সব মিলিয়ে কিলার লুকিং।।আমি হা করে তাকিয়ে আছি।। আর উনি আমার সামনে এসে বলতে লাগলেন,,
—-হা করে আছিস কেন? চল।।
কথাটা শুনে অন্য দিকে তাকালাম।।লোকটি এমন কেন বুঝি না।।২ দিনের পরিচয় এমন করে কথা বলে যেন সে আমার কত জম্মের পরিচিত।।

বেড়িয়ে পরলাম ঘুরতে আজ তিনি আমাকে অনেক জায়গায় ঘুড়ালেন।।ঘুড়া শেষে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে আসলাম।। উনি আমাকে বসতে বলে ওয়াশরুমে গেলেন।।আমি এদিকে সেলফি তুলছি।।২ দিন জাবৎ ফেসবুকে পিক আপলোড করি না।। তাই পিক তুলছি।।তখনি পরিচত একটি কন্ঠ শুনে সামনে তাকাই।।
—-কিরে কড়কড়ি??তুই এখানে?
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি এহসান ভাইয়া,,
—-ভাইয়া তুমি এখানে! বলে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম।।
—-হুম এখানে আমরা ফার্মগেট শিফট করেছি আজ ১ মাস হলো।।তুই একা নাকি?
—-না ভাইয়া আমি ইউসুফ ভাইয়ার সাথে আসচ্চি।।
—-ওহো! তখনি ভাইয়ার ফোন বেজে উঠে,
—আচ্ছা থাক তাহলে পরে কল করবো কাজ পরেগেছে যেতে হচ্ছে।।ওকে বায়।।বলে আবার আমাকে হালকা জড়িয়ে ধরে চলে গেলেন।।
তখনি আসে ইউসুফ ভাইয়া আসেন আমার হাত ধরে টানতে টানতে রেস্টুরেন্ট থেকে নিচে নেমে আসলেন।।আমি তাকে জিগাসা করেই যাচ্ছি,,
—-কি হইছে ভাইয়া।। এমন করছেন কেন?? হাত ছাড়ুন!হাতে ব্যাথা পাচ্ছি।।
কিন্তু উনি যেন কোনো কথা কানে নিচ্ছেন না আমার।।আমাকে ধাক্কাদিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলেন।।আর নিজেও পাশে বসে ড্রাইভ করতে লাগলেন।।তাও ফুল স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগলেন।। এদিকে ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।।কি হচ্ছে উনি এমন কেন করছেন কিছু বুঝতে পারছি না।।আর জিগাসা করলেও কিছু বলছে না।।

চলবে,
(ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।আর আমি না চাইতেও অনেক ভুল হয়ে যায় লিখায়।।আমার ফোনে কিবোর্ড টা ভালো না একটা চাপলে আরেকটা আসে তাই ভুল হয় অনেক তার জন্য আমি সরি।। আর কিছু কথা।।আমার নাম সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি।।apis_indica..এইটা আমার ছদ্মনাম।। দয়া করে আর আমার নাম নিয়ে মন্তব্য না করে আমার স্টোরি সম্পর্ক কিছু বলুন।।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে