psycho_is_back?
season_2part_14(রহস্য খোলার পর্ব)
#apis_indica
নিজেকে আয়নায় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখায় ব্যস্ত বারিশ।।আজও চুলের নিচে কিছুটা কাটা দাগ রয়ে গেছে।।যা সাত বছর আগের ওই অ্যাক্সিডেন্টের চিন্হ।।অথচ কি আশ্চর্যের বিষয় ঘটনার কোনো কিছু মনে নেই তার…!! না আছে সাতটা বছরের আগের কোনো কথাই তার মনে নেই..!!
যা মনে আছে সব যেন কেমন ধোয়াশা।। যখনি ৭ বছর আগের কথা মনে পরে…সাথে সাথে মাথা চাপ পরে জ্ঞান হারায় বারিশ..!! কি হয়েছিল সাত বছর আগে কিছু মনে করতে পারে না আর। তাই ডাক্তার তাকে বারণ করে দেয় মাথা পেশার না দিতে..!!তাই আর কখনো তার অতীত সম্পর্কে ঘাটা হয়ে উঠেনি..!! সে যখন সুস্থ হয়েছিল, তখন শুধু তার দাদু বলেছিল তুমি আমার নাতি।।সে থেকেই তার পরিচয় এটাই সে বারিশ রেহমান।।কিন্তু তাতে যেন সে অসন্তুষ্ট, নিজের এই পরিচিতি নিয়ে বরাবরি সন্দিহান।।
বারিশের যখন এক্সিডেন্ট কারণ জানতে চায় দাদুর কাছে তিনি বলেছিলেন,
—তুমি ছিল অন্ধকার রাজ্যের রাজা, বা মাফিয়া।।যার জন্য বিরোধী দলের লোকেরা তোমায় মারা প্লেনিং করে তোমার গাড়ির ব্রেক ফেল করিয়ে ছিল।।সেদিনের পর থেকেই সে সেই পথেই চলে যাচ্ছে।।
বারিশ এবার খাটের কাছছে যায়।।
যেখানে গুটিশুটু মেরে শুয়ে আছে তার কুহু..!!
কি মায়া এই বাচ্চা মেয়েটির মুখে..!!সেদিন একজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিল বারিশ রেস্টুরেন্টে সেখােই দেখে ছিল প্রথম কুহুকে..!! সাথে সাথে বুকের বাম পাশটা ধুকপুক ধুকপুক করতে শুরু করে।।কুহুর মায়াময় মুখ খানা দেখে মনে হচ্ছিল তাকে জনম জনম ধরে চিনে…!!চেয়েছিল প্রতিটা মুহুর্ত…!!
কুহুকে সেদিন ওয়াশরুমে দেখে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিল বারিশ…!! তাই না চাইতেও কুহুর খুব কাছে চলে যায় সে…!! ভালবাসার পরশ এঁকে দেয় তার গলায়…!!
সেদিনের পর থেকে কুহুকে সম্পর্কে খোঁজ করতে থাকে সে…!!সব কিছু তখন ধোয়াশা হয়ে উঠে বারিশের কাছে যখন সে জানতে পারে কুহুর পরিবারের কথা…,,কারণ কুহু নিজেও সব সত্য থেকে অবগত নেই..!!বারিশ তখন জান্তে পারে,, কুহুর বড়মামা তার সম্পত্তির লোভে তার মা -বাবাকে খুন করে ওকে এতিম করে দেয়।।যখন কুহুর এসব তার ছোট মাথা জানতে পারে, তখন তাদের ও মেরে ফেলেন তিনি এমন কি নিজের মাকেউ…!!
কিন্তু কুহুর ইউসুফ ভাইয়ের তেমন খবর নিতে পারেনি বারিশ,যতটুকু যেনেছে ইউসুফের কার এক্সিডেন্ট হয়,,কিন্তু তার লাশটা আজও পাওয়া যায়নি…!!কুহুকেউ তার মামা উতপাত খুঁজতো মারার জন্য…কারণ কুহু ২২ বছর পরতেই কুহুর সব সম্পত্তি কুহু পেয়ে যাবে।।এর আগে কুহুর বিয়ে হলে কুহুর বরের নামে হয়ে যাবে…!!কুহুর ২২ বছর হতে আর দু দিন বাকি…!! কুহুকে বাঁচানো টাই যেন বারিশের কাছে সর্বপ্রথম কাজ।।কারণ মানুষা আর যাই করুক সত্যি কারের ভালবাসাকে হারাতে চায়না।।
তাইতো সেদিন মিটিংয়ের বাহানায় এই খান নিয়ে আসে আর জোড় করে বিয়ে করে নেয়।।কারণ বারিশ ভাল করে যানে কুহুর মনে তার ইউসুফ ভাইয়াই বিচরন করে।।যেখানে সে চাইলেও নিজের জন্য জায়গা করতে পারবে না…!! তা বারিশ ভালই বুঝতে পেরেছে এ কদিনে, কারণ যতবার সে রাতের বেলায কুহুর কাছে গিয়েছে বেচারা কুহু বারিশের ছোঁয়ায় ইউসুফ ভেবে ডুকুরে উঠে কেঁদেছে।।প্রথম রাগ লাগতো বারিশের কাছে, এটাই স্বাভাবিক ভালবাসার মানুষটির মুখে কখনোই অন্য কারো নাম শুনতে পারে না কেউ, তখন মনে পুরো দুনিয়া উল্টে পাল্টে দিতে…!!
যখন যেনে ছিল ইউসুফ নামের লোকটি নিখোঁজ তখন বারিশ খুশি হয়ে ছিল খুব..!! আবার কুহুর যখন ইউসুফ ভেবে আকরে ধরতো ঘুমের মাঝে তখন বারিশের মনে হত সব সুখ এখানেই কুহুর বুকে…!!এই একটি জায়গায় যেন এসে তাকে ইউসুফ হয়ে যেতে…!!
কুহুর ঘুমুন্ত চেহারা দেখে এসব ভেবে ছোট শ্বাস ছাড়লো বারিশ, তখন চোখ গেল কুহুর পায়ের কাছে,, কুহুর পায়ের কাপড় হাঁটু অব্দি উঠে গেছে, কুহুর পায়ে একটি লাল তীল, যা বারিশকে এই মুহুর্তে খুব বাজে ভাবে মাতাল করে দিচ্ছে,, শুকনো ঢুক গিললো বারিশ,, মনের অজানতেই কুহুর পায়ের কাছে বসে পরে সে,,বাম হাত দিয়ে স্লাইড করতেই সেখানে কেঁপে উঠে কুহু ঘুমের মাঝে।।
বারিশের এখন সব বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে, মাথায় শুধু একটি কথা বলে যাচ্ছে,,
—–কুহু তো তোর! কুহুর সব তোর! কুহুর মন তোর, কুহু প্রতিটা অঙ্গ তোর, এমন কি পায়ের সেই তিলটিও তোর,, কারণ কুহু তোর অর্ধাঙ্গিনী…!!
বারিশ তাই করলো তার নরম গোলাপি ঠোঁট ধারা সুন্দর তিলটিতে চুমু খেতে লাগলো,,প্রথমে ধীরে খেলেও তার গতি বেগ বেড়ে গেল ।। বারিশ এবার গভীর চুমু দিতে লাগলো।।বারিশের কাছে মনে হচ্ছে সে নেশা গ্রস্ত, এই মুহুর্তে যদি এই তিলটিতে স্পর্শ করতে না পারলে তার জীবন ব্যর্থ…!! বারিশের মনে হচ্ছে এটি কোনো সুস্বাদু খাবার।।
বারিশের চুমু এক সময় কামরে পরিনিত হয়।।ঘুমান্ত কুহু চিৎকার করে উঠে বসে, তার পায়ের কাছে বারিশকে দেখে ঘাবড়ে যায় সে,, তখন বারিশ পাগলের মত চুমু, কামড় দিয়েই যাচ্ছে…!! কুহুর এমন পরিস্থিতিতে কেঁপে উঠছে বার বার।।মনের মাঝে আলাদা অনুভুতি দোলা দিচ্ছে,, সহ্য করার ক্ষমতা যেন নেই তার সাথে সাথে ঝাটকা মেরে পা সরিয়ে কিছুটা চিল্লিয়ে বলে উঠে,,,
—–কি করছবন আপনি?. ছাড়ুন…!!
কুহুর এভাবে পা সরিয়ে ফেলায় রাগ উঠে যায় বারিশের…!! রাগে নাক মুখ লাল করে চেয়ে থেকে বের হয়ে যায় বারিশ।।কুহু হতভম্ব হয়ে গেল,,আর ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলো বারিশের যাওয়ার দিক…..!!
চলবে,,