psycho_is_back?
part_22
#apis_indica❤
দেড় বছর পর,,,
বন্দুক তাক করে রেখেছে ইউসুফ কুহুর মাথার উপর।।মুখে তার ভয়ানক হাসি।।কুহুর সামনে চেয়ারের উপর এক পা রেখে কুহুর মাথা বরাবর বন্দুক ধরে রেখেছে,,বন্দুকের টিগারে তার এক আঙ্গুল।।যা দেখে বার বার কেঁপে উঠছে কুহু।।
কুহু ইউসুফের সকমনে হাটু গেরে বসে,,আর তার দু হাত পিছনে শক্ত করে বাঁধা।।মুখে তার কসটেপ দেয়া।।সে কিছু বলতে পারছেনা।।শুধু চোখ দিয়ে বন্যা বয়ে যাচ্ছে।।
—–কেমন আছো বেবী??বলে বাঁকা হাসলো ইউসুফ।।
আমি শুধু উম উম করে যাচ্ছি।।হটাৎ করে ইউসুফকে দেখে আমার ভয়ে আত্না বের হয়ে যাচ্ছে।।
—-উপস! তুমি কথা কিভাবে বলবে?? আমি তো তোমার মুখ বন্ধ করে রেখেছি।।এক মিনিট খুলে দিচ্ছি।।
বলে জোড়ে টান মারলো কসটেপ।।যার জন্য ব্যথায় আপনা আপনি বের হয়ে গেল মুখ থেকে আহ্ শব্দ টি।।
—–ভাইয়া প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন!!মুখ খুলতেই বলে উঠলাম।।
তিনি সাথে সাথে আমার গাল চেপে ধরলেন।।আর বলতে লাগলেন,,
—–ছেড়ে দিব?? হুম!! দিবো ছেড়ে তার আগে আমার হিসাব-নিকাশটা করে নেই।।এই দেড় বছরের প্রতিটি মুহুর্তের, প্রতিটি সেকেন্ডের, প্রতিটি ঘন্টার,, প্রতিটি দিনের, প্রতিটি মাসের,,প্রতিটি বছরের হিসাব নিয়েই তাররপর তোকে ছাড়বো।।
খুব শক না তোর পালাবার,, আমাকে ছেড়ে যাবার।। আজ সব শক আমি তো মিটাবো।।বলেই তিনি আমার গাল চেপে ওঠালেন।। এবং তার বরাবর দাড় করালেন।।
—-বাহ্ তুইতো আগে থেকে অনেক সুন্দর হয়েছিস।।ভাল বডি বানিয়েছিস।।ছোট ছোট কাপড় পরতে শুরু করেছিস।। সব মিলিয়ে তোকে সেই হট লাগচ্ছেরে।।বলে ঠোঁট কামড়ে ধরলো তার নিজের।।
তারপর আবার বলল,,
—-মনে হচ্ছে আজই তোর মাঝে ডুব দেই বলে।।অট্টহাসি দিতে লাগলো।।আমার ভয়ে যে মুখ দিয়ে কথাই বেড় হচ্ছেনা।।তার উপর তার এমন কথা কান লাল হয়ে যাচ্ছে আমার।।
তখনি তিনি আমার সামনে এসে হিসহিসিয়ে বলতে লাগেন,,,
—–ভয় করছে হুম?? বলে তিনি তার বাম হাত দিয়ে আমার পিছনের চুলের মুঠি ধরে টান দিলেন জোড়ে।।
আমি সইতে না পরে বলতে লাগি কাঁদতে কাঁদতে,,
—- ভাইয়া ভাইয়া প্লিজ,, আমার লাগচ্ছে।।
তিনি এবার আরো জোড়ে ধরে বলতে লাগেন,
—–বাবুইপাখি আমিতো লাগার জন্যই ধরেছি।।তোকে আদর করবো বলে তো ধরি নি?? বলেছিলাম না।।আমাকে ছেড়ে কখনো যাস না। তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।।বলেছিলাম না।।
—-ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করে দেন।।
—-ক্ষমা আমার ডিকশনারিতে নেই।।যেটা আছে সেটা শাস্তি।।তুই জানিস তোকে কতটা খুঁজেছি! পাগলা কুত্তা হয়ে গেছিলাম তোর জন্য।।আমার ফিলিংসের কোনো দাম নেই না?? চিৎকার করে বলতে লাগেন তিনি।।
তার এমন চিৎকারে চোখ বন্ধ করে নেই শক্ত করে।।
তিনি আবার বলতে লাগেন,,
—-বলেছিলাম বার বার এমন কিছু করিস না যে আমার আসল রূপ টা তোকে দেখানো লাগে।।বলেই তিনি আমাকে কষে চড় মারলেন।।
আর আমি ছিটকে নিচে পড়ে গেলাম।।তাতেও যেন তার রাগ কমছে না তিনি টেবিলের উপর উপর থেকে একটি লাঠি নিয়ে আমার সামনে বসে পরলেন।।আর আমাকে টেনে তুলে বিচানায় ফেলে দিলেন।।
তারপর আমার পা ধরে টান মেরে তার সামনে তুললেন।। আমি বুঝতে পারছি না ভাইয়া কি করতে চাইছেন।।তখনি তিনি আমার পায়ের তালাতে
জোরে জোরে বাড়ি দিতে লাগলেন বেত দিয়ে।।
আমি পা সরাতে চাইছি কিন্তু পারছি না।।
ব্যথায় চিৎকার করে যাচ্ছি এতে যেন ভাইয়া আরো জোড়ে দিতে লাগলেন।।আমি পা সরানোর জন্য মুচড়া মুচড়ি করছি।।হাত টা বাঁধা তার জন্য কিছু করতেও পারছিন।।আমার চিৎকার এই ঘরে চার দেয়ালের মাঝে হাড়িয়ে যাচ্ছে।।
—-খু্ব শখ না তোর পালাবার আমার থেকে।।সব শখ মেটাবো এবার।। এসেব বলে তিনি আরো জোড়ে মারতে লাগলেন।।
আমি জোড়ে চিৎকার করে বলে যাচ্চি,,
—-ভাইয়া আমাকে ছেড়ে দিন।। আমি আর কখনো এমন করবো না।। ভাইয়া..!!
মনে হয় না আমার কথা গুলো তার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে।। এভাবে কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে ছেড়ে দেন।।আর বেত ফালিয়ে আমার সামনে আসেন।।আমি শুধু চোখের জল ফালছি।।ব্যথায় মুখ দিয়ে কোনো শব্দ যেন বের হচ্ছেনা।। তখন ইউসুফ আমার গালে আলতো করে স্লাইড করতে করতে বললেন,,
—–বাবুইপাখি কষ্ট হচ্ছে খুব তাইনা।।আমারো যে হয়ে ছিল।।খুব কষ্ট হয়েছেল ঠিক এ জায়গায়(বুকের বা পাশে দিকে আঙ্গুল দিয়ে)।
আমি অনেক কষ্ট বলতে চেষ্টা করলাম,,
—-ভাইয়া আমাকে আর মেরো না।। আমি আর করবো না এমন কখনো।।আমকে ছেড়ে দেও।।
তিনি শুধু আমার কথা শুনে হাসলেন।।তার এই হাসির মাঝে কোনো মায়া দয়া নেই।।তার এই মুখে হিংস্রতা ফুঁটে উঠেছে।। তিনি বলতে লাগলেন,,
—-তোকে এতো তাড়াতাড়ি তো ছাড়ছি না।।তোর শাস্তি এখন মাত্র শুরু।।হিসহিসেয় বলে উঠে গেলেন।।
আর কাউকে কল করে বললেন,,
—-হুম।। গরম করেছিসতো??
—-
—-গুড যব।।নিয়ে আয় ভিতরে।।
বলে ফোন কেটে দিলেন।।
আর তিনি আমার কাছে এসে বলতে লাগলেন,,
—-বলেছিলাম আমাকে সাইকো রূপে দ্বিতীয়বার দেখাবো না।। বাট তুইতো কাঁঠালের আঠা।। তোকে ভালো করার জন্য আমাকে সাইকো হতেই হচ্ছে।। নাউ #psycho_is_back.. ?
সাইকোর কথা শুনে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল।।তখনি কেউ দড়জায় নক করে।।আর ইউসুফ সেখানে যায়।।আর হাত বাড়িয়ে কিছু নিয়ে এসে টেবিলের উপর রাখে।।সামনের জিনিসটি দেখে নিজে শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করে বললাম,,,
—–নাহহহহহ।।।
________________________
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।। আর 2,3 পর্বের শেষ করে দিব।। বুঝতে পারছি আপনাদের ভালো লাগছে না আর স্টোরিটা।। যাই হোক ধন্যবাদ।। ?