My_Mafia_Boss_Husband Part:3
Mafia_Boss_Season2
Writer:Tabassum Riana
ক্লাবে খুব জোরে গান চলছে।ছেলে মেয়েরা নাচছে।রুহী ও জোরে গান গাইছে আর সবার সাথে তাল মিলিয়ে নাচছে।রোয়েন ড্রিংকের মাঝে রুহীকে দেখছে।কেমন যেন নেশা কাজ করছে অজানা মেয়েটার প্রতি।ওকে চাইই রোয়েনের।যেকোন মূল্যেই।কথা গুলো ভেবেই শেষ চুমুক দিয়ে গ্লাসটাকে টেবিলের ওপর জোরে রাখলো।রুহীর সাথে একটা ছেলে ও এসে নাচতে শুরু করেছে।ছেলেটা একটু বেশিই ঘেঁষার চেষ্টা করছে।রুহী মুচকি হেসে বলল I,m Tired।টেবিলে এসে বসে একটা ড্রিংক এর অর্ডার করে টেবিলে নখ দিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ি দিচ্ছে।রুহীর গেঞ্জি টা একটু বেশিই ছোট হয়ে গেছে যার কারনে পেটের একটু অংশ দেখা যাচ্ছে।রোয়েন রাগে ফুঁসছে। মেয়ের কি কোন খেয়াল নেই?শামীম রফিক এদিকে আয় জোরে ডাকলো রোয়েন।শামীম রফিক দুজন দৌড়ে এলো জি স্যার।রুহীর দিকে ইশারা করলো রোয়েন।আই নিড হার।ওকে বল আমার সাথে বাসায় যেতে।ওকে স্যার চল রফিক। শামীম বলে উঠলো।হ চল চল। রফিক আর শামীম রুহীর দিকে এগোলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রুহীর সামনে একটা ওয়াইন বোতল, গ্লাস আর কিছু বরফ রেখে চলে গেলো ওয়েটার।রুহী গ্লাসে ওয়াইন ঢেলে চুমুক দিতেই দুইজন লোককে দেখতে পেলো।ভেটকাচ্ছে লোক গুলো।রুহী চোখ বড় বড় করে ভালোমতো দেখার ট্রাই করলো।কি চাই?মাতাল ভয়েসে প্রশ্ন করলো রুহী।আমাদের স্যার আপনার সাথে একরাত কাঁটাইতে চায়।রফিক আর শামীম হেসে বলল। হোয়াট??রুহী চোখ ছোট ছোট করলো।আমাদের টাইগার গ্রুপের লিডার রোয়েন স্যার আপনার সাথে রাত কাঁটাতে চায়।অনেক সাউন্ড হচ্ছে একটু বাহিরে আসুন আপনারা আমার সাথে। রুহী টেবিল ছেড়ে উঠতে উঠতে বলল।জি ম্যাডাম। রফিক আর শামীম রুহীর পিছু নিতে নিতে বাহিরে এলো।রুহী জ্যাকেটের হাতা উঠাতে উঠাতে বলল কি বলছিলেন? বলছিলাম টাইগার গ্রুপ লিডার আপনার সাথে রাত কাঁটাতে চায় হে হে হে।লোক গুলো হেসে উঠলো।রুহী হাত মুঠ করে দুজন কে ঘুষি মারলো।এরপর লাথি থাপড় সব মেরে ভিতরে চলে এলো।কতবড় সাহস ওদের।রাত কাঁটাতে হবে তাদের লিডারের সাথে।ব্যাটা লুচ্চা হারামি।কথা গুলো বলে রাগে গজগজ করছে রুহী।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
স্যার আমাদের মাইরা ফেলছে দুজন ফুঁপাতে ফুঁপাতে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো। দুজনের চোখ নাক লাল হয়ে আছে।এ অবস্থা ক্যান তোদের? রাগী গলায় জিজ্ঞেস করে উঠলো।স্যার ঐ ম্যাডাম যে মারটাইনা দিলো আহ কি ব্যাথা।দুজনে কাতরিয়ে উঠলো।রোয়েন ওয়াইনের গ্লাসে এক চুমুক দিয়ে বাঁকা হাসি দিলো তাহলে I definitely need her বলে শেষ চুমুক দিয়ে উঠে দাঁড়ালো রোয়েন।রুহী ওয়াইন গিলেই যাচ্ছে এক গ্লাসের পর এক গ্লাস।রোয়েন রুহীর সামনে এসে বসলো।গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে রোয়েনের দিকে চোখ পড়লো রুহীর।কি চাই?গ্লাসে ঠোঁট লাগাতে লাগাতে প্রশ্ন করলো রুহী।তোমাকে চাই বলেই বাঁকা হাসলো রোয়েন।বিষম খেল রুহী।ওয়াইন দিয়ে জামা ভিজে গেলো ওর।Ohh Shit উঠে দাঁড়ালো রুহী।রোয়েনের দিকে না তাকিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগোলো রুহী।কল ছেড়ে জামা ধুচ্ছে রুহী।পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো উত্তর না দেয়াটা ভদ্রতার মধ্যে পড়েনা দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রোয়েনের কথা শুনে পিছনে ফিরলো রুহী।What nonsense পিছু পিছু ওয়াশরুমে ও চলে এলেন।রাগী গলায় বলে উঠলো রুহী।শুধু ওয়াশরুম কেন বেডরুমে ও যেতে পারি।বলেই আবার ও সেই বাঁকা হাসি দিলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,What Rubbish!!Are you mad?রাগী গলায় বলে উঠলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,Iam serious.I need you for the night.বলেই রুহীর কাছে এগিয়ে এলো রোয়েন।রুহী পিছালো।সরে দাঁড়ান। জোরে বলে উঠলো রুহী। আমি চাই তোমাকে আজ রাতের জন্য।যদি চাও প্রত্যেক রাতই তোমার সাথে কাঁটাবো।বলেই বাঁকা হাসলো রোয়েন।রুহীর বুকের ভিতর কেমন যেন করছে।তবু ও সামলে নিলো নিজেকে। পতিতা পল্লি যান।ভদ্র ঘরের মেয়েরা আপনার জন্য না।বলেই চলে যাচ্ছিলো রুহী।রোয়েন রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো। দরকার পড়লে যেতাম।তবে তোমাকেই চাই।আর যেটা চাই সেটা কিভাবে আদায় করে নিতে হয় তা আমার জানা আছে বলেই রুহীর দিকে ঠোঁট এগোলো রোয়েন।রুহী মাথা বাঁকা করলো।রোয়েন চোখ বন্ধ করে রাগ কন্ট্রোল করলো।রুহীর হাত চেঁপে ধরলো রোয়েন।আসো আমার সাথে।দরজার দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।রুহী আসছেনা দেখে পিছনে ফিরলো রোয়েন।কি বললাম শুনছোনা চলো। রাগী গলায় বলল রোয়েন।কি মনে করেছেন? রাগী গলায় বলে যে কেউ আপনার সাথে যেতে পারে বিছানায়।বাট রুহী না ওকে?বলে হাত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছিলো রুহী।You have to come বলেই রুহীর হাত টেনে ধরতেই রুহী পিছনে ফিরে চড় বসাতে যাবে তখনই রোয়েন ওর হাত মুচড়ে পিছনে ঘুরিয়ে দিলো রুহীকে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,একবার যদি ছুটতে পারিনা শেষ করে ফেলবো আপনাকে।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রুহী।রুহীর অনেক কাছে চলে এলো রোয়েন তোমার মাঝেই তো শেষ হতে চাই বলে রুহীর হাত জোড়া এক হাতে ধরে জ্যাকে্টের কলার সরিয়ে কাঁধে চুমো খেলো রোয়েন।রুহী হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।বুক ধুকপুক করছে ওর।রোয়েনের নিশ্বাস কাঁধে এসে পড়ছে।রুহী নড়তেই পারছেনা।রোয়েন আরেক বার চুমো দিতে গেলেই রুহী নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলো।লাফালাফি দেখে রোয়েনের ভীষন রাগ লাগলো।রুহীর কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল I don’t like disturbance in romance.রুহী থেমে গেলো।রোয়েনের কথা গুলো এভাবে থামাচ্ছে কেন ওকে?হাত আলগা হতেই রুহী সামনে ফিরতেই রোয়েন ওকে দেয়ালে চেপে ধরলো You have to come দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।আ আম……….রোয়েনের কাঁধে ঢলে পড়লো রুহী।জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।রুহীর মুখের দিকে একটু তাকালো রোয়েন।তারপর রুহীর মুখের ওপর ফুঁ দিয়ে চুল গুলো সরালো রোয়েন।গোলাপি ঠোঁট চোখা নাক, বড় চোখের পাপড়ি।সব মিলিয়েই অনিন্দ্য সৌন্দর্য।ভাবতে থাকে রোয়েন।রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।রুহীর মুখের দিকে তাকালো।কেমন অদ্ভুত নেশার মতো কাজ করছে চেহারাটা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহীকে কোলে নিয়েই ক্লাব থেকে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।গাড়ির দিকে এগোলো রোয়েন।ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটে বসিয়ে দিলো রুহীকে।মুখের ওপরের চুল গুলো সরিয়ে দিলো রোয়েন।ড্রাইভিং সিটে বসে রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন।রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো রোয়েন।বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালো রোয়েন।গাড়ি থেকে বেরিয়ে রুহীকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকলো।কাজের লোকেরা অবাক চোখে রুহী আর রোয়েনকে দেখছে।কারন রোয়েনের ঘরে মেয়ে এসেছে কিন্তু এভাবে আসেনি আগে।রোয়েন সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো।রুহীকে রুমে এনে খাটে শুইয়ে দিয়ে ওর জ্যাকেট খুলে নিলো।ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।নাইটড্রেসের ফিতা আটকাতে আটকাতে রুহীর পাশে এসে শুয়ে পড়ে রোয়েন।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবায় রোয়েন।রুহীর কাঁধে গলায় ঠোঁট বুলাতে রুহীর পেটের ওপর হাত রাখে রোয়েন।কেন জানি রুহীর নেশা ধরানো ঘ্রান খুব মাতাল করছে রোয়েনকে।বেশখানিক্ষন রুহীর গলায় চুমো খেয়ে মুখ উঠায় রোয়েন।জানালার পর্দা গুলো বাতাসের কারনে বারবার উড়াউড়ি করছে।যার কারনে বাহিরের হালকা আলো রুহীর মুখের ওপর পড়ছে।রোয়েন আরেকটু ওপরে উঠে এসে রুহীর গালে হাত রাখে।রুহী রোয়েনের হাতের তালুতে গাল ঘষছে যেন এ উষ্ণতা ওর ভালো লাগছে।রোয়েন রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে ওর ঠোঁটের দিকে এগোয়।পরক্ষনেই রুহীর দিকে চোখ পড়ে রোয়েনের। কি মায়াবী মুখ।ওকে দেখে সারারাত কাঁটিয়ে দেয়া যাবে।রুহীর গায়ে কম্বল টেনে দিলো রোয়েন।রুহীকে পলকহীনভাবে দেখছে রোয়েন।মায়াবতী মনে হচ্ছে অপরিচিত মেয়েটাকে।ঘোর লাগা কাজ করছে রোয়েনের। এভাবে সারারাত যদি একে এভাবে দেখে কাঁটাতে পারতো?মেয়েটাকে চাই ওর সারারাত সারাদিন প্রত্যেকটা সময় ওর পাশে চাই,ওর ডান পাশে চাই,ওর হাতটা চাই,সব দুঃখ গুলো ভুলে যেতে ওকে চাই।ভাবতে থাকে রোয়েন।রুহীর গালে ঠোঁট বুলিয়ে ওকে বুকে টেনে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে রোয়েন।
পরদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে রোয়েনের।রুহীর দিকে একপলক তাকিয়ে নাইটড্রেস খুলে জানালার সামনে এসে দাঁড়ায়।জানালার পর্দা ছড়িয়ে দিয়ে খাটের দিকে তাকালো রোয়েন।খাটের মাঝে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকা মেয়েটিকে স্নিগ্ধ আলোয় আরো মায়াময় লাগছে।কি মায়াবী চেহারা,কি নিষ্পাপ মুখ।ধীর পায়ে খাটের দিকে আগালো রোয়েন।খাটে বসে মেয়েটির দিকে ঝুঁকলো ও।সাদা গেন্জী আর থ্রিকোয়াটার একটি প্যান্ট পরে আছে মেয়েটি।কালার করা চুল গুলো কপালে পড়ে আছে।আঙ্গুল দিয়ে সরিয়ে মেয়েটির কপালে চুমু দিলো রোয়েন।খানিকটা কেঁপে উঠেছে ও।মেয়েটির সাথে আজ রাত কাঁটানোর কথা কিন্তু চেয়ে ও পারছেনা রোয়েন।নিষ্পাপ মুখটা যে ওকে থামিয়ে দিয়েছে। এভাবে হাজার রাত কাঁটিয়ে দিলেও দেখার শেষ হবেনা।
চলবে