My_Mafia_Boss_Husband Part: 6
Mafia_Boss_Season2
Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী প্যাকেটটাকে বুকের সাথে জাপটে ধরে আছে।এই একটা মানুষ যে ওর খেয়াল রাখে,ভালো ভাবে কথা বলে।ভাবতে থাকে রুহী।ওর চোখের কোনে অশ্রু কনা জমে আছে।বুক চিরে বড় একটা নিশ্বাস বেরিয়ে আসে।রোয়েন রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।রুহীর চোখের কোনে জমে থাকা অশ্রু গুলো চোখ এড়ালো না রোয়েনের।হয়েছেটা কি ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।রোয়েনের ডাকে রুহী তাকালো। না কিছু হয়নি মুচকি হেসে বলল রুহী।বুক থেকে প্যাকেটটা সরিয়ে হাতে নিলো রুহী।চলো দিয়ে আসি তোমায় রুহীর হাত ধরে বলল রোয়েন।না আজ তো কলেজ নেই তাই আপনাকে আসতে হবেনা। বলে পিছনে ফিরে যেতে লাগলো রুহী।রোয়েন রুহীর হাত টেনে নিজের বুকের ওপর ফেললো।বাসায় নিয়ে যাবো তোমায়। রাগী গলায় বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,লাগবেনা আমি চলে যাবো। রুহী বলে উঠলো।এতো কথা বলো না আমি তোমাকে নিয়ে যাবো বুঝলে?ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।ও ওকে রুহী মাথা নিচু করে বলল।হুহ রোয়েন গায়ের শার্ট রুহীর সামনে খুলে নিলো।রুহী চোখ বন্ধ করে পিছনে ফিরলো।ছি ছি কি করছেন? রুহী চোখ বন্ধ করে বলতে লাগলো।রোয়েন মুচকি হেসে কালো আরেকটি শার্ট গায়ে জড়িয়ে নিলো।রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো রোয়েন। এভাবে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি যাবে ও। রাগী গলায় বলল রোয়েন।রুহী চোখ থেকে হাত সরালো।মুখ শক্ত করে বলল কথায় কথায় ধমকাবেননা ওকে?কিনে নেন নাই আপনি আমাকে।বলেই মুখ ভেংচি দিলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন মুচকি হেসে রুহীর গালটা একটু টেনে দিলো।তারপর রুহীর হাত ধরে রুম থেকে বেরিয়ে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।গাড়ি একটা দোকানের সামনে আসতেই রুহী চিৎকার করে উঠলো। রাখেন রাখেন।রোয়েন খুব জোরে ব্রেক করলো।
রুহীর দিকে নাক ফুলিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকালো রোয়েন।কি হয়েছেটা কি?বাজারে থাকো তুমি?চিৎকার করে বলল রোয়েন।না বাসায় যাওয়া যাবেনা। বাবা দেখলে সমস্যা হবে। বলে উঠলো রুহী।ওকে।বলে সামনে তাকালো রোয়েন। রুহী দরজা খুলে বের হতে নিবে ঠিক তখনই ওর হাত টেনে ধরে নিজের দিকে এনে ওর গালে চুমু খায় রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে ২বার ঢোক গিলল।রোয়েন বাঁকা হেসে বলল যাও।রুহী দ্রুত গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লো।সোজা হাঁটতে লাগলো।পিছনে একবার ও তাকালো না রুহী।লুচু মাফিয়া একটা হুহ সামনের ছোট চুলটাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে হেঁটে ঘরের দিকে চলে গেলো রুহী। রোয়েন মায়াবতী নাম রেখেছে রুহীর।মায়ায় জড়িয়ে পড়েছে অপরিচিতার।রোয়েন বাঁকা হেসে রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,কলিংবেল বাজতেই আনিলা বেগম দরজা খুলে দিলেন।কই ছিলেন আপনি এতো দিন?ধমক দিয়ে বললেন আনিলা বেগম।ঘরে আসতেই এমনটা আশা করেনি রুহী।যেখানে ইচ্ছা সেখানে আপনার কি?বলেই আনিলা বেগমকে পাস করে ভিতরে চলে গেল রুহী।রুহীর দিকে তাকিয়ে ফুঁসতে লাগলেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,,,বিকেল,,,,,,,,,,,
রোয়েনের দেয়া কালো গাউনটাকে গায়ে জড়িয়ে নিলো রুহী।চুলগুলো স্প্রিং করে পিঠের ওপর ছড়িয়ে দিলো।ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক লাগিয়ে নিলো।চোখে অল্প একটু কাজল দিলো।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছে রুহী।আজ অদ্ভুত লাগছে নিজেকে।মুচকি হাসলো রুহী।রোয়েন কি পছন্দ করবে ওকে?ভাবতে লাগলো রুহী।ছিহ কি ভাবছি? সে কেন পছন্দ করবে?কে সে?রুহী হাতে ছোট্ট পার্স টাকে নিয়ে নিচে নেমে এলো।আনাম রুহীর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।এই মেয়ে আজ এতো সাজলো কেন?হয়েছে কি এর?ভাবছে আনাম।নিচে নেমে আনামের দিকে একনজর তাকিয়ে বেরিয়ে গেলো রুহী।আনাম রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।রুহী ক্লাবে এসে কিছুক্ষন বসলো।স্যাম্পেইনের অর্ডার করে দিলো।ওয়েটার টেবিলের ওপর একটা বোতল আর একটা গ্লাস দিয়ে চলে গেলো।রুহী গ্লাসে অল্প একটু স্যম্পেইন ঢেলে এক ঢোকে খেয়ে নিলো।কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে এলো।আজকাল ওয়াইন সিগারেট কিছুই ভালো লাগেনা ওর।লুচু মাফিয়াটার সাথে থাকতে ভালোই লাগে।স্মোক ওয়াইন যেমন নেশা ছিলো এখন মাফিয়াটাই কেমন যেন নেশায় পরিনত হয়ে গেছে।রোয়েন গেস্টদের সাথে কথা বার্তা বলছে।কাঁচের গ্লাসের টুংটাং শব্দ আসছে চারিদিক থেকে।কথা বলতে বলতে দরজার দিকে চোখ পড়ে রোয়েনের।মুখে শয়তানি মার্কা হাসি ফুটে উঠে।দরজার দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।
ওয়েলকাম মিঃ আজমল খান।
থ্যাংকস মিঃ রোয়েন আহমেদ।ইনভাইট করার জন্য ধন্যবাদ।বলে উঠলেন আজমল খান।
ওকে।আপনার এতো বড় লসের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। বাঁকা হাসলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,আজমল খান হাত মুঠ করলেন।রোয়েনের কাছে একটু এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললেন আমি চাইলে তোকে এখনই সবার সামনে গেড়ে দিতে পারি মাটিতে।
,,,,,,,,,,,,,,,হোয়ট আ ফানি জোক।ভিতরে আসুন হাসা হাসি হতেই থাকবে।পরিবার সহ এসেছেন এঞ্জয় করুন।হায় মিসেস আনিলা।
,,,,,,,,,,,,আনিলা বেগম রোয়েনের দিকে মুখে ভেংচি দিয়ে ভিতরে চলে গেলো।
রোয়েন পিছনে ফিরে গেস্ট দের সাথে কথা বলতে লাগলো।হাতঘড়িটাকে বারবার চেক করছে রোয়েন।মেয়েটা এখনো এলোনা কেন?
,,,,,,,,,,,,হঠাৎ পাশে থাকা শামীম সামনে তাকিয়ে বলে উঠলো ওয়াও।ম্যামকে যা লাগছেনা স্যার।রোয়েন পিছনে ফিরে রুহীকে দেখতে পেলো।ধীর পায়ে হেঁটে আসছে রুহী।উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখলো রোয়েন।এত্ত সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে।গাউনটা যেন ওর জন্যই বানানো।পলকহীন ভাবে রুহীকে দেখছে রোয়েন।রুহী হেঁটে হেঁটে সামনে এগুতেই পাশ থেকে ওর হাত টেনে কেউ একজন এক অন্ধকার রুমে দেয়ালের সাথে জাপটে ধরলো।রুহী চোখ বন্ধ করেছিলো।ধীরে ধীরে চোখ খুলল। রোয়েন বাঁকা হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।আপনি!!!! এভাবে ধরে আছেন কেন?ছাড়ুন রাগী গলায় বলল রুহী।রুহীর ঠোঁটে হাত রাখলো রোয়েন শশশশশশ।রুহী চুপ করে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।রুহীর দিকে ভালোমতো তাকিয়ে দেখে নিলো রোয়েন।গর্জিয়াস লুক বাঁকা হেসে বলল রোয়েন।রুহীর গাল দুটো লাল হয়ে গেলো।রোয়েন রুহীর বেশ কাছে এগিয়ে এলো।মাথা নিচু করে রুহীর গলায় ঠোঁট বুলালো রোয়েন।রুহীর পুরো শরীর কাঁপছে।মুখ উঠিয়ে রুহীর গালে ঠোঁট ছোঁয়ালো।রুহী চোখ বন্ধ করে আছে।গাল থেকে সরে এসে রুহীর কপালে চুমু খেয়ে ঠোঁটের কাছে এগোলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের নাকে কামড় বসিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন নাকে হাত দিয়ে রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।রুহী বেরিয়ে এসে দাঁড়ায় এক কোনায়।ওর বুক ধুকপুক করছে।
হায় আজমল খান মাফিয়া রাহিন আজমল খানের দিকে হাত বাড়ালো।আজমল খান কিছু না বলে মুচকি হাসলো।যে এতোবড় লস করিয়েছে তার পার্টিতে এলেন?স্ট্রেঞ্জ।শয়তানি হাসি দিলো রাহিন।এসব কথা শুনানোর জন্য এসেছো? দাঁতে দাঁত চেপে বলল আজমল খান।এবসোলিউটলি নট আজমল খান।আম ফিলিং সরি ফর ইউ কিছুটা অসহায় ভাবে তাকিয়ে বলল রাহিন।আমার ওপর এতো দরদ!!! কারনটা কি?ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্ন করলো আজমল খান। তোমার যা লস হয়েছে আমি সাহায্য করতে পারি ফিজিকালি আর ফিনেনশিয়ালি ও?বলে উঠলো রাহিন।কারন টা কি মিঃরাহিন চৌধুরী।ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো আজমল খান।কারন টা বেশিই কিছুই না তোমার মেয়ে না ঐটা রুহীর দিকে ইশারা করে বলল রাহিন।ইয়েস কিন্তু কি হয়েছে রাহিনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো আজমল খান।
,,,,,,,,,,,ভেরি সিম্পল আই নিড হার।এ্যাজ বেড মেট।(রাহিন)
,,,,,,,,,,,,,,,বিয়ে করবানা?অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,কতো মেয়ের সাথে ইন্টিমেট হয়েছি সবাইকে কি বিয়ে করেছি?শয়তানি হাসি দিয়ে বলল রাহিন।
,,,,,,,,,,,,,,ওকে। বাট আরো একটা বছর ওয়েট করতে হবে।ওর এখনো ১৮ বছর হয়নি।বলে উঠলেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,,,বিয়ে তো করছিনা। ভ্রু কুঁচকালো রাহিন।
,,,,,,,,,,,,,তবে বিয়ে দেখাতে চাই।কারন চাইনা চমার মুখে জুতা পড়ুক।দাঁতে দাঁত চেপে বললেন আজমল খান।
রুহী দাঁড়িয়ে আছে।হঠাৎ পুরো হলের লাইট চলে গেলো।শুধু ওর ওপর সাদা একটা লাইট এসে পড়লো।রুহীর হাত কেউ নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো।রোয়েন রুহীর কোমড় জড়িয়ে ধরে রেখেছে নিজের সাথে।রুহীর হাত জোড়া ধীরে ধীরে গলার দুপাশে চলে গেলো।bahon ki darmiya গানটা বাজছে।রোয়েন রুহীকে গানের তালে তালে দুলাচ্ছে
Baahon ke darmiyaan do pyaar mil rahe hain
Baahon ke darmiyaan do pyaar mil rahe hain
Jaane kya bole mann dole sunke badan
Dhadkan bani zubaan
Baahon ke darmiyaan do pyaar mil rahe hain
Jaane kya bole mann dole sunke badan
Dhadkan bani zubaan
Baahon ke darmiyaan
Khulte badn hote labhon ki ye ankahi
Khulte badn hote labhon ki ye ankahi
Mujhse keh rahi hai ki badhne de bekhudi
Mil yoon ki daud jaayein nas nas mein bijliyaan
Baahon ke darmiyaan do pyaar mil rahe hain
Jaane kya bole mann dole sunke badan……..
রোয়েন রুহীর বেশ কাছে এসে গেছে।রুহীর বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। রুহী ধীরে ধীরে রোয়েনের কাঁধে মাথা রাখলো।আনিলা বেগম হা হয়ে নাচ দেখছেন।এভাবে নাচছে এই মেয়ে রোয়েনের সাথে যেন একে অপরকে…….. যাই হোক আমার কি?নাচ শেষ হতেই রুহী রোয়েনকে ছেড়ে চলে গেলো।কেমন অনুভূতি এটা?বুকে হাোত চেপে আছে রুহী।ওয়াশ রুমে এসে হাত মুখে পানির ঝাপটা দিতে লাগলো।হঠাৎ কোমড়ে কারোর হাতের ছোঁয়া পেল রুহী।পিছনে ফিরে রাহিনকে দেখতে পেল ও।কে আপনি?এখানে এসেছেন কেন?ছাড়ুন আমাকে।রাহিন রুহীর কোমড় খুব শক্ত করে ধরে নিজের কাছে আনলো। সো গর্জিয়া লেডি শয়তানি হাসি দিয়ে বওলল রাহিন।আমি আপনাকে চিনি না বলে চলে যেতে নিলে রুহীর পিঠের কাপড় ছিড়ে যায়।রুহী দৌড়ে বেরিয়ে এলো।কি করবে এখন ও?হঠাৎ কারোর বুকের সাথে ধাক্কা লাগে রুহীর উপরে তাকিয়ে দেখে রোয়েন।রোয়েন রুহীর পিঠের দিকে তাকিয়ে নিজের কোট রুহীর পিঠের ওপর রাখলো।মুখ শক্ত করে আছে রোয়েন।আসো চেঞ্জ করো।রুহীর হাত ধরে বলল রোয়েন।
ওয়াশরুম থেকে বের হতে নিয়ে রাহিন খেয়াল করলো দরজা লাগানো।বাহিরে খুব জোরে গান বাজছে।হ্যালো কেউ খুলে দাও দরজাটা।প্লিজ কেউ আছে?চিৎকার করতে লাগলো রাহিন।
রুহী স্লিভ লেস হাতা ওয়ালা আরো একটি কালো গাউন পরে রোয়েনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। রুহীর হাত ধরে রোয়েন ওকে কাছে টেনে নিলো।চলো আমার সাথে ফিসফিস করে বলল রোয়েন।রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের সাথে বেরিয়ে গেলো।রোয়েন রুহীকে নিয়ে ছাদে চলে এলো। ছাদে একটা শোকেজে অনেক ধরনের ড্রিংক সাজানো।রোয়েন একটা বোতল বের করে রুহীর সামনে এসে বসলো।দুটো গ্লাসে দুজনের জন্য ওয়াইন ঢাললো রোয়েন।রুহীর দিকে একটা গ্লাস ধরলো।রুহী মুচকি হেসে গ্লাসটা হাতে নিলো।রোয়েন নিজের গ্লাস এগিয়ে দিলো রুহীর দিকে চিয়ার্স করবানা?
অবশ্যই রুহী নিজের গ্লাস টাকে আলতো করে ছোয়ালো রোয়েনের গ্লাসের সাথে।চিয়ার্স দুজনে বলে উঠলো।
চলবে