My_Mafia_Boss পর্ব-১০

0
5357

My_Mafia_Boss পর্ব-১০
Writer:Tabassum Riana

মামার সাথে ঘরে ফিরে আসতেই মামী কোথা থেকে যেন দৌড়ে এলেন।করে আসলি আবার সব ধ্বংস করতে?মুখ ভেংচি দিয়ে বললেন আনিলা বেগম।

কি হলো আনিলা তুমিই তো বললা ওকে নিয়ে আসতে।এমন করছো কেন?আফজাল সাহেব চেঁচিয়ে উঠলেন।

এহহ এতো আদিক্ষেতা দেখাতে হবেনা।যাও ভিতরে আফজাল সাহেবকে ধমক দিয়ে বললেন আনিলা বেগম।

চল মা রুহীর হাত ধরে ভিতরে চলে গেলেন আফজাল সাহেব।

রুহী রুমে এসে জামা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।কিছুক্ষন পর দরজায় নক করছে কেউ।কে??রুহী বলে উঠে।

ঐ জমিদারনী দরজা খোল (আনিলা বেগম)।

রুহী দরজা খুলতেই তিন বালতি কাপড় ওর সামনে সামনে রাখলেন আনিলা বেগম।

কাপড় গুলো ধুয়ে দিস(আনিলা বেগম)

জি মামী।রুহী দরজা বন্ধ করে কাপড় ধুতে শুরু করে।
এভাবে চারটা বেজে যায়। কাপড় ধুয়ে রুহী চোখ খুলতে পারছিলো না মাথা ব্যাথায়। উঠে দাড়িয়ে দুই বালতির কাপড় প্রথমে নেড়ে পরের বালতির কাপড় গুলো নেড়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল রুহী।

রোয়েন রুহীকে একনজর দেখার জন্য উতলা হয়ে গেছে।তাই দেরি না করে এতিম খানায় চলে এলো রোয়েন।মিস জেনিফারের রুমে ঢুকলো ও।

স্যার আপনি? মিস জেনিফার উঠে দাঁড়ালো।

হুম।রুহী আছে?.

না স্যার।

না মানে কই গেল ও?

ওর মামার বাসায় চলে গেল স্কুল থেকে ফিরে।।।

ওহ।অপেক্ষা না করে আফজাল সাহেবের বাসার দিকে রওনা হয় রোয়েন।

কলিংবেলের শব্দ পেয়ে আনিলা বেগম দরজা খুলে দিলো।আরে আপনি আসুন আসুন হেসে রোয়েন কে ভিতরে ঢুকালো আনিলা বেগম।

আফজাল সাহেব বেরিয়ে এলেন রোয়েন সাহেব আপনি?ভালো আছেন?

হুম।রুহী কই?

ওর রুমে(আফজাল সাহেব)

ওহ।রোয়েন রুহীর রুমে এসে পেলো না রুহীকে।খাটে বসে পড়লো রোয়েন।ফোন বের করে মেসেজ চেক করছিলো ঠিক সেই মুহুর্তে একটি মিষ্টি গন্ধ রোয়েন।পাশে তাকাতেই রুহীকে দেখতে পায় রোয়েন।চোখ সরাতে পারেনা রোয়েন।চুল মুছতে মুছতে ওয়াশরুম থেকে বের হলো রুহী।

রুহী এখন ও রোয়েন কে খেয়াল করেনি।আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল মুছতে মুছতে পিছনে রোয়েন কে দেখতে পেল রুহী।রোয়েন ওর দিকে এগিয়ে আসছে। রুহী চোখ বড় করে রোয়েন দেখছে। কখন এলেন ওনি?

রোয়েন রুহীর কোমড় জড়িয়ে রুহীর চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলো।রুহীর কাঁধে আলতো ভাবে ভালবাসার পরশ বুলাতে বুলাতে রুহীর পেটে একটি হাত রাখলো ও।রুহী কে সামনে ঘুরিয়ে নিলো।রুহীর জ্বলজ্বলে চোখ রোয়েন কে সামনে আগাতে বাঁধা দিলো। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলল এখন চারটা বাজে গোসলের মানে কি রুহী?

এইতো একটু ঘুমোচ্ছিলাম তো।মাথা নিচে নামিয়ে নেয় রুহী।

বারন্দায় ভিজা কাপড় শুকানো দেখে রোয়েনের বুঝতে দেরি হলো না কেন ও দেরিতে গোসল করেছে?লাঞ্চ করেছো?

মাথা নিচু করে না সূচক ভাবে ঝাঁকায় রুহী।

যাও রেডি হয়ে নাও।

কেন রুহী অবাক হয়ে রোয়েনের দিকে তাকায়।

রেয়েন চোখ বড় করে রুহীর দিকে তাকায়।

হচ্ছি। বাহিরে যেয়ে বসুন।

হুম।পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি দেখতে চাই তোমায়।রোয়েন বেরিয়ে গেল।

রুহী কালো একটি স্যালোয়ার কামিজ পরে নিলো।কপালে কালো টিপ লাগিয়ে চোখের নিচে কাজল লাগায়। রোয়েনের স্পর্শ রুহীর অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি করেছে। চুল আছড়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে রুম থেকে বেরিয়ে এলো রুহী। চলুন (আস্তে করে রোয়েন কে বলল)।

রুহীর ডাক শুনে রোয়েন ওর দিকে তাকায়।ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে রুহীর দিকে।

রোয়েনের চোখ দেখে রুহী চোখ নিচে নামিয়ে নেয়।মনে মনে আল্লাহর নাম নিতে থাকে রুহী।

রোয়েন উঠে রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায়।রুহীর পিছনে হাত নিয়ে ক্লিপটা খুলে রুহীর সামনে আনে রোয়েন।

রুহী ক্লিপটি নিতে গেলে রোয়েন এক হাত দিয়ে ক্লিপটিকে মুচড়ে ভেঙ্গে দিলো।রুহীর চোখের সামনে ক্লিপের ভাঙ্গা অংশ পড়ে যায়।

রোয়েন রুহীর একেবারে কাছে চলে আসে।এই চুল গুলোকে বাঁধার চেষ্টা করবেনা আজকের পর থেকে ফিসফিসিয়ে বলল রোয়েন।

রুহী দাঁড়িয়ে থাকে মাথা নিচু করে।

রুহীর হাত খুব জোরে ধরে বাহিরে চলে আসে রোয়েন।
গাড়ির সামনে এসে রুহীর হাত ছেড়ে দেয় রোয়েন।গাড়ির দরজা খুলে দেয় রুহীর সামনে।।

রুহী চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে।

রেয়েন ও ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ে।গাড়ি চালাতে শুরু করে।গাড়িটি মার্কেটের সামনে থামায় রোয়েন।বেরিয়ে রুহীর পাশের দরজা খুলে দিলো ও।বের হ (রাগী গলায়)।রুহী বেরিয়ে আসতেই রোয়েন খুব জোরে দরজা লাগিয়ে রুহীর হাত ধরে ভিতরে চলে যায়।

হাত বারবার ছাড়াতে চেষ্টা করছে রুহী।ভীষন ব্যাথা পাচ্ছে ও।

নড়াচড়া দেখে রোয়েন পিছনে ঘুরলো।এমন করছো কেন? ধমক দিয়ে বলে উঠলো রোয়েন।

ব্যাথা পাচ্ছি নিচের দিকে তাকিয়ে বলল রুহী।

হাত একটু ঢিলা করে রোয়েন তবে ছাড়েনা।আজ রুহীকে স্যালোয়ার কামিজ শাড়ী গাউন আর বেশকিছু গয়না কিনে দিয়েছে রোয়েন।শপিং সেড়ে একটা খাপয়ার দোকানে ঢুকলো ওরা।কি খাবে? রুহীকে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।

রুহী নিচে তাকিয়ে আছে।খুব লজ্জা করছে ওর।তবে ভীষন খিদে ও পেয়েছে।

রোয়েন এক প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানীর অর্ডার দিলো। রুহীকে একটি চেয়ারে বসালো।নিজে ও বসে একটি কফির অর্ডার করলো।

একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো।

তোমাকে বিয়ে করছি কেন এই তো?

রুহী মাথা নিচে নামালো।(কেমন করে বুঝে ফেললেন ওনি?)

এসব প্রশ্ন করার চেষ্টা ও করবেনা।কারন উত্তর দেয়ার ইচ্ছা আমার নাই।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে