#MEANINGLESS_LIFE_PARTNER (অর্থহীন জীবন সঙ্গী)
পর্ব:শেষ
#লেখিকা_Arshi_khan
(FULL FILLED OUR LIFE:আমাদের জীবন পরিপূর্ণ)
চলেই যাবে যখন,পিছু আর ডাকবোনা
স্মৃতিগুলোই থাকুক বরং আমার ভালোবাসার সান্তনা।আমরা অপেক্ষায় থাকব প্রিয়।(রুতবা আয়ান এর হাত ধরেই)
রুত পাখি প্লিজ এমন ভাবো বলোনা। আমার যে তোমার ও ছোট্ট বাবুই কে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবেই দম বন্ধ হয়ে আসছে।আমি সত্যি বুঝতে পারিনাই যে এসেই তোমার প্রতি আমার মনে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।আর বিয়ের জন্য উতলা হয়ে উঠব।তাহলে আমি ভিসা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতাম না।এখন ভিসা যখন নিয়ে এসেছি তাই ফেরা বাধ্যতামূলক ।তাই আমি যাচ্ছি। তবে আমি কথা দিচ্ছি আমার বাবুই ভুমিতে পদার্পণ করার পূর্বেই আমি আবার ফিরে আসব।প্লিজ রুত যাওয়ার পারমিশন দাও আর কান্না থামাও নাহলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারব না।(আয়ান রুতবার মাথায় হাত রেখেই)
আচ্ছা ভাল ভাবে যাও। গিয়ে কল কর নিজের খেয়াল রেখ। খুব বেশিই মিস করব। (রুতবা কান্না থামিয়ে)
এরপর আমি বাড়ির সবার থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্য রওনা হলাম। পরিবারের সবাই কে ছেড়ে দূরে যাওয়ার মতো কষ্ট এ দুনিয়া তে আর নেই।আর প্রবাসীদের থেকে এ দুঃখ আর কে বাই বুঝবে।নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে রেখেছিলাম আমার রুত পাখির থেকে।কত্তটা কষ্ট পেয়েছে আমার রুত।ওর এই সময় সব চেয়ে বেশি দরকার আমাকেই।অথচ ওকে একা ফেলে আমি দূর দেশে চলে যাচ্ছি। প্লেনে চড়ে বসার কিছুক্ষণ পরেই প্লেন টেকঅফ করল।ছয় ঘন্টার মধ্যেই আমি আমার গন্তব্য স্থান এর পৌঁছে গেলাম। যাওয়ার পর কোন রকম ফ্রেস হয়ে বাড়িতে কল করলাম। আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলার পর আমার রুত পাখিকে কল করলাম। সে কল ধরে অনেকক্ষন ফুফিয়ে কান্না করল।বুকটা চিড়ে আমার ও যে কান্না আসছে।কিন্ত পুরুষ দের যে কান্না করা নিষেধ।আমিও কিছুক্ষণ এ নিজেকে সামলে আমার রুত এর উদ্দেশ্য বলে উঠলাম।
অপেক্ষা হল শুদ্ধ ভালোবাসার একটি চিহ্ন।
সবাই ভালোবাসি বলতে পারে ।
কিন্ত সবাই অপেক্ষা করে,
সেই ভালোবাসার প্রমাণ করতে পারে না।
(হুমায়ূন
আহমেদ)
রুত পাখি মিস ইউ।(আয়ান)
হুম। (কান্না করে রুতবা)
আমার ছোট্ট পাখির কি খবর?(আয়ান খুশি মনে)
জানি না।(রাগি সুরে রুতবা)
কি জানে আমার পাখিটা?(আয়ান মজা করে)
আয়ান কে ভালোবাসতে আর তাকে খুব করে মিস করতে জানে।(রুতবা)
প্লিজ কয়েকটা মাস অপেক্ষা কর আমি ফিরে আসব। (আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)
অপেক্ষা জিনিস টা বড় এই বেদনার আয়ান। সাতটা বছর অপেক্ষার পর তোমার ভালোবাসার সাগরে ভাসতে চেয়েছিলাম। কিন্ত তুমি টাকার সাগরে ভাসার জন্য আমাদের ছেড়ে গেলে।আবার ও নিজের কথাই রাখলে।তোমার কাছে যেহেতু টাকাই সব।ঠিক আছে তুমি আরো টাকা কামাও আর আমাকে নানান ইমোশনাল কবিতা শুনিয়ে ভুলিয়ে রাখ।(রুতবা চোখ মুছে)
রুত প্লিজ এমন ভাবে বলো না।আমি আমাদের ভবিষ্যত এর কথা ভেবেই এখানে এসেছি।(আয়ান করুন কন্ঠে)
আমার যে তোমাকে এখন খুব বেশিই প্রয়োজন। তুমি এখানে থেকে কাজ করলেও ও আমরা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতাম।কিন্ত না তোমার এখন আমাদের কে হাই লাইফ স্টাইল এ লিড করানোর ইচ্ছার কারণে আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজন এর সময় এই তুমি পাশে থাকতে পারবেনা।কেন আয়ান আমাকে একবার জিজ্ঞেস করে টিকিট কাটা যেতনা।(রুতবা রাগি সুরে)
ওহে রুত পাখি রাগটা একটু শান্ত কর।এখানে এসে না খেয়েই তোমাকে কল করা।আমার কথা তো একটা বার ভাবতে। আমি তো আর নিজের শখ পূরণ করতে এখানে আসিনাই।অনেক তো বলছ দেশে থেকে কিছু করলেও সংসার চলত।কিন্ত যখন আমি কাজ না করতে পেরে বেকার ঘুরতাম তোমার মোটেও তা ভাল লাগতো না।হ্যা আমি বেবির কথা জানলে হয়তো টিকিট এখন কাটতাম না।তবে কি জানো প্রবাসে কেউ শখের বশে থাকেনা।এখানে খেটে যেই টাকা পাই তার এক গুন ওতো বাংলাদেশে পাওয়া মুশকিল তাহলে এখানে কষ্ট করে তোমাদের সুখে রাখার কথা ভাবা আমার কাছে অন্যায় নয়।যাইহোক কষ্ট দিতে চাইনি রুত। কষ্ট দিলে মাফ করো তোমার সন্তান এর পিতাকে।যে নিজের সংসার এর ভ্ররন পোষন এর জন্য তাকে আর তার মাকে একলা রেখেই প্রবাসে চলে এসেছে।এখন রাখছি রুত পাখি।পরে কল দিব। আই লাভ ইউ।
বলেই কল কেটে দিলাম। ভালোবাসি বলে কিছু বলিনা।কিন্ত ওর তো বোঝা উচিত ছিল আমি ওদের জন্য এই প্রবাসে এসেছি।(আয়ান হতাশ হয়ে)
আটমাস পর
দীর্ঘ আটমাস এর দূরত্বের পর দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।
রুত পাখি আমার আয়াত পাখির কি খবর?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)
সে খুব দুষ্ট হয়েছে এখনি ফুটবল খেলে।আমি ভেবে পাইনা তার জন্মের পর সেযে কি করবে?(কপাল ধরে বসে)
পাখি ক্ষমা করেছ নাকি এখন ও রেগে আছ?(আয়ান হতাশ কন্ঠে)
ভেবে দেখলাম বুঝলে শুধু শুধু রাগ করে থেকে কি হবে।আর তাছাড়া আমার আয়ান আমার আর আমার ছোট্ট আয়াত বেবির জন্য এইতো এত্ত দূরে কষ্টে আছে।আর তাছাড়া
ভালোবাসা মানে তার পাশে শুয়ে তার আদরে থাকা নয়
ভালোবাসার মানে তার থেকে দূরে থেকেও তার আত্মাকে স্পর্শ করা।
আর তাই তোমার থেকে দুরে থেকে তোমার আত্মার সাথে জড়িয়ে আছি।তবে তুমি কথা দিয়েছিলে আমাদের আয়াত বাবুই ভুমিতে পদার্পণ করার পূর্বেই তুমি এখানে থাকবে।কথাটা মাথায় রেখ।(রুতবা আয়ান এর উদ্দেশ্য )
জ্বি মহারানী।আমি আমার রাজকন্যার পদার্পণ এর পূর্বেই তার কাছে থাকব।(আয়ান)
আচ্ছা তাহলে ঘুমাও কালকে কথা হবে।লাভ ইউ। (রুতবা মুচকি হেসে)
আল্লাহ হাফেজ। আই লাভ ইউ টু রুত পাখি।আর হ্যা তুমি ও জলদি ঘুমিয়ে পড়।
কল কেটে ঘুমিয়ে পড়লাম। আরো পনেরদিন পরে রুত এর ডেইট।তাই আমি দুইদিন পর এই রওনা দিব।কিছুদিন ওকে ও পেমপার করতে পারব।ওকে এখন ও জানাইনি ফেরার কথা।সারপ্রাইজ দিব তাই।
দুইদিন পর আমি চললাম বাংলাদেশের উদ্দেশ্য। দেশে ফিরে ঢাকার থেকে গ্রামে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম রুত সিরির থেকে পরে গেছে আর তাই ওকে ষোল ঘর হসপিটাল নিয়ে গেছে।আমি কিছুক্ষণ শকড হয়ে বসেই ছিলাম।তারপর সেই অবস্থাতেই দৌড়ে গাড়িতে উঠে ষোল ঘর সদর হসপিটাল এ পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম কনডিশন সিরিয়াস হওয়ার কারণে ওকে ঢাকা হসপিটাল পাঠানো হয়েছে। আমি আবার গাড়ি নিয়ে ঢাকা হসপিটাল এর সাইটে রওনা হলাম আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে লাগলাম। আর যাইহোক আমি আমার রুতকে চাই।ওকে ছাড়া নিজেকে কল্পনা করাও যেন ধোঁয়াশা। তাই প্রে করতে করতেই ঢাকা হসপিটাল এসে পৌঁছালাম।অনেক খুঁজে আব্বুর আর আমেনার দেখা পেলাম। আম্মুর এখানে আসতে আসতে শরীর খারাপ হয়ে গেছে।তাই সে পাশের কেভিন এ আছে।ক্যানোলা লাগানো হয়েছে। অপারেশন থিয়েটার এর সামনে আমাকে দেখে আব্বু যেন অবাক হয়ে গেল।আমেনা এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।আমার ও বুক ফেটে চিৎকার করে কান্না আসছে তবে আমি যে পুরুষ মানুষ ভুললে চলবেনা।কিন্ত কেন জানি আমার সমাজের তথাকথিত কথাটাকে একদম প্রাধান্য দিতে মন চাইল না।আমি সেখানে বসে চিৎকার করে কান্না করতে লাগলাম।
আমেনা এই আমেনা আমার রুত এর কি হয়েছে। ডাক্তারদের বল আমার কারো দরকার নেই রুত হলেই চলবে।আমার বাচ্চা বউ টার যে এখন ও অনেক অনেক ভালোবাসার দরকার ।ওদের বল আমার রুতকে আমাকে ফিরিয়ে দিতে।(আয়ান বসে কান্না করে)
রুত ভাবি ঠিক আছে ভাইয়া। ওকে ক্যাবিন এ দেওয়া হয়েছে । তবে তোমাদের বেবির!(কান্না করে আমেনা)
কোথায় আমার রুত?ওকে আমি দেখতে চাই। (আয়ান দাড়িয়ে)
ও ঘুমাচ্ছে। ওকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। তবে সিরির থেকে পরার কারনে বেবির একটা সাইট এ সমস্যা হয়েছে।আর তাই ওর অপারেশন করানো হচ্ছে। (আমেনা আয়ান এর হাত ধরেই)
আমার নবাগত সন্তান কে আমি আল্লাহর ভরসাতে ঠিক ফিরে পাব।কিন্ত আমি রুতকে দেখতে চাই এখনি।আমার বিশ্বাস হচ্ছে না ওকে না দেখা অবধি।
আমেনা আমাকে যেই ক্যাবিন এ রুত ও আম্মু আছে সেখানে নিয়ে গেল। আমি আম্মুর মাথায় হাত রাখতেই আম্মু আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেল।আর কান্না করতে লাগল। আমি এর পর রুত এর পাশে বসে ওর কপালে হাত রাখলাম। ওর হাতে একি সাথে স্যালাইন ও রক্ত চলছে।আমি আস্তে করে ওর কপালে চুম্বন করলাম। আল্লাহ আমার প্রার্থনা শুনেছে।আমাকে সে নিরাশ করেনি।(আয়ান রুতবার দিকে তাকিয়েই)
দুইবছর পর
দেখুন ডাক্তার আমার মেয়ে যেমন এই হোক তাতেও সে আমার মেয়েই থাকবে।আর তার সব দোষ ত্রুটি ও আমরাই দেখব।যেহেতু সামান্য জ্বর আপনি দেখে ঔষধ দিয়ে দিন।ও কেমন তা বারবার বলার দরকার নেই।(আয়ান রেগে ডাক্তার এর উদ্দেশ্য)
ও প্রতিবন্ধী তাই ওকে স্পেশাল কেয়ার দিতে বলা কি ভূল। এত্ত রেগে যাওয়ার কি আছে?(ডাক্তার ভাব নিয়ে)
নেহাত আপনি মেয়ে মানুষ। নাহলে বারবার আমার মেয়েকে স্পেশাল কিড বলার জন্য আপনাকে মেরে দিতাম।যত্তসব ফালতু মানুষ।
বলেই উঠে চলে আসলাম। মেয়েটার জ্বর হয়েছে রাতে।সারারাত আমার রুত পাখি মেয়ের পেছনে খাটাখাটনি করেছে।এতে ওর শরীর একটু অসুস্থ হয়ে গেছে।ঐ ঘটনার কারণে ওকে স্ট্রেস নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।আমার মেয়ে মাসাআল্লাহ অনেক সুন্দর, অনেক ভদ্র আর আল্লাহর রহমতে একটু অন্যরকম। সে আর সব বাচ্চাদের মত হাটা এখন ও শিখেনাই।কারণ তার পা টায় জন্মের সময় ভেঙ্গে গেছিল।ডাক্তার ওর ব্রেন ওপারেশন করেছিল।ওর ব্রেন থেকে পেটের ভেতরে একটা ছোট পাইপ দেওয়া আছে।আর পা এখন ও স্টাবেল হতে সময় লাগবে।তাই বলে কি আমি আমার আয়াত পাখির প্রতি রুড হব।ও যেমনি হোক ও আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার ।আমার আর আমার ছোট্ট রুত পাখির ছোট আয়াত পাখি ও।আমি আমার সোনা মনিকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরতেই আম্মু ওকে কোলে নিয়ে তাদের রুমে চলে গেল ।আমার আয়াত এর প্রতি আমার ফেমেলির সবাই খুব সহনশীল। ওর প্রতি সবার ভালোবাসা নিখুঁত ও সার্থহীন।
ওকে ভালোবাসার জন্য সবাই যখন বিচলিত হয়ে উঠে আমার রুত পাখি তখন চোখের পানি লুকানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠে।এখন ও নিজেকে দোষি ভাবে সেইজন্য। আল্লাহ চাইছে তাই হয়তো এমন হয়েছে। এটা নিয়ে কষ্ট পাওয়ার তো কিছু নেই ।আমি উপরে চলে আসলাম। এসে দেখি রুত ঘুমিয়ে আছে।আমি তাই শাওয়ার নিতে গেলাম। শাওয়ার ছাড়া বাইরের থেকে বেডে বসলেও হাজার খানা ঝাড়ি শুনতে হয়।মেয়ে আমার তখন বেজায় খুশি মনে হাসতে থাকে।কারণ ও চলতে না পারলেও সব কিছুই বুঝে।অল্প বুলি ফুটেছে মুখে।যখন বা বা বলে মনটা জুড়িয়ে যায়।শাওয়ার নেওয়ার পর এসে আমার রুত পাখির পাশে শুয়ে পড়লাম। জাস্ট হাতটা পেটের উপর রেখেছি অমনি ওর ঘুম শেষ।উঠেই মেয়েকে খোঁজ করতে শুরু করল।
আছে তো আয়াত ওর দাদির কাছে।এদিকে যে আমার মনটা তোমাকে একটু আদর করার জন্য কেমন কেমন করছে তার খবর রেখেছ?(আয়ান রুতবার হাত ধরেই)
মেয়েটার জ্বর কত্ত হল,ডাক্তার কি বলল,ওকে ঔষধ কি কি দিল,নিচে রেখে আসলে খাবে কখন?(রুতবা অশান্ত কন্ঠে)
আরে মেরি দাদি থামেন থামেন।এত্ত প্রশ্নের তো কোন কারণ দেখছিনা।আমার মেয়েটার যত্ন নেওয়ার অনেক মানুষ আছে। আমার দিকে ও একটু নজর দাও রুত পাখি?(আয়ান হতাশ কন্ঠে)
এই যে মশাই এত্ত এটেনশন ক্রিয়েট করতে চাও কেন?জানতো ভালোবাসি।তাও ঢং করে ভালোবাসা লুফে নেওয়ার ধান্দা খোঁজ কেন?(আয়ান এর বুকে হাত দিয়ে রুতবা)
ভালোবাসা গুলো সর্বদাই বিলিন করে দিতে হয়।এভাবে লুকিয়ে রাখলে ঝং ধরবে তো।(আয়ান মুচকি হেসে)
আসছে।ও শোন বিকালে ঘুরতে যাব নিয়ে যাবে আমাদের?(রুতবা মুচকি হেসে)
তা আবার জিজ্ঞেস করা লাগে?অবশ্যই নিব।(রুতবার কোমরে হাত রেখে আয়ান)
কাজ করে কুল পাওনা।আসছে জিজ্ঞেস করা লাগে বলতে?(রুতবা মুখ ভেংচি কেটে)
আলুর ফলন ভাল হলে পরে ধানের ফলন শুরু হবে।একটু কাজের চাপ তো থাকবেই।(আয়ান রুতবার মাথায় হাত রেখেই)
হুম বিক্রমপুইরা আলু।(রুতবা মুচকি হেসে)
হুম
আমি তোমার আলু ভাজা।
তুমি আমার ডাল।
তোমার আমার
ভালো বাসা।
চিংড়ি মাছের ঝাল।(আয়ান হেসে)
আচ্ছা কবি মশাই আপনি থাকেন আমি কাজে যাই।(রুতবা)
দুপুর এর খাবার খাওয়ার পর আমি রুত আর আয়াত পদ্মার পাড়ে ঘুরতে গেলাম। অনেক দিন পর ফেমেলির সাথে একটু সময় কাটালাম। বেশ ফুরফুরে লাগছে আজকে।ভালোবাসার মানুষটির হাতে হাত রেখে কোলে ভালোবাসার চিহ্ন বহন করার মধ্যেই যে শান্তি তা পৃথিবীর সকল ধন সম্পদ দিয়ে কেনাও অসম্ভব ।পরিশেষে একটা কথাই বলব লাইফ এ কখন কি মিরাকল হয় বলা মুশকিল। তবে তাকে পজিটিভ ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।এতে লাইফ হবে সুন্দর। যেমন ছোট্ট আট বছরের মেয়েটাকে বিয়ে করে মনে হয়েছিল ওর মতো #MEANINGLESS_LIFE_PARTNER আর হতেই পারেনা। কিন্ত বর্তমান এ ওর থেকে ভালো জীবন সঙ্গী পাব বলে মনে হয়না।সবার দোয়া ও ভালোবাসার পর একটা কথাই বলব।
ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে
কাউকে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারা,
যদি তুমি কাউকে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে না পারো
তাহলে সে ভালোবাসা সত্যি কারের নয়।(আয়ান)
****************(সমাপ্ত)*****************