Love_at_1st_sight
Part: 1
writer-Jubaida Sobti♥
আসিফ, শাউন,বিজয়,নেহা,ফাবিহা,এবং রাহুল ভার্সিটির সিনিয়র। জুনিয়রদের রেগিং করতে তারা ওস্তাদ।
কলেজের প্রথম দিন স্নেহার, 1st day at college,
সামনে যেতেই দেখলাম কিছু জুনিয়রদের দার করিয়ে রেগিং করছে।
স্নেহা : (মনে মনে) বাপরে এইযে আবার নতুন মসিবত ? সিনিয়রদের রেগিং।
আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে পাশদিয়ে কেটে পড়লাম কিছুই বললো না। কিন্তু তাদের মাঝ থেকে একটা ছেলে স্নেহাকে ফলো করেছে।তা স্নেহা বুঝতে পারলো তবে ছেলেটি কিছু করলোই না। যাক বাবা নিজে বাচলে বাপের নাম হাহা।
ক্লাসে ডুকলাম নতুন নতুন কিছু বান্ধবী হলো, শায়লা,মার্জান, জারিফা।
মিস বলেছে যাওয়ার সময় নোটিস ভোর্ড দেখে যেতে কলেজের একটা প্রোগ্রাম হবে যে যেটাই অংশগ্রহন করবে ঐটা বেছেনিতে।
ক্লাস শেষে সবাই একইসাথে বের হলাম।
সামনে ঐ যে বদমাইশ পোলা গুলি। কি যে করি।
বিজয় : এই যে গার্লস গ্রুপ দাঁড়ান আপনারা।
আমরা সবাই দাঁড়িয়ে পড়লাম।
বিজয় : সিনিয়রদের দেখে ও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছো আমরা কি কিছু বুঝিনা। তোমাদের মতো অনেক গ্রুপ দেখেছি বুঝেছো মামুনিরা।
তাদের মধ্যে ঐ ছেলেটি ও আছে। যে কিনা বার বার তাকাচ্ছিল। শুধু চেয়েই যাচ্ছে বাকিদের মতো কিছুই বলছে না।
ও হে সিনিয়ররা আমাদের অর্ডার করেছে কাল তাড়াতাড়ি আসতে হবে।কাল আমাদের রেগিং হবে যাকে যেটা বলে ঐটাই করতে হবে।
এটাই নাকি এই কলেজের নিয়ম।
চলে আসলাম বাসায়।যা হবে কাল দেখা যাবে। মা জিজ্ঞেস করছিল প্রথমদিন কেমন কাটলো।ভালো ভালোই বললাম। অনেক ক্লান্ত হয়ে পরেছি এসে একটা ঘুমদিলাম। উঠে দেখি বাবা আর মা বসে গল্প করছে।
স্নেহা : মা খেতে দাওতো খিদে পেয়েছে।
মা: তুই ঘুমাই পরছিস তাই আর ডাকিনি।
বাবা ও জিজ্ঞেস করলো প্রথমদিন কেমন গেলো। বাবাকে ও মায়ের মতো বুঝিয়ে দিলাম নয়তো আবার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিবে।
এতোসুন্দর একটা সপ্ন দেখছিলাম হঠাৎ মায়ের ডাক।
মা : স্নেহা কি হলো কলেজ যাবিনা আজ এতো দেরি করছিস যে।
একলাফে উঠে কিসের উপর তাড়াতাড়ি রেডি হলাম এমনিতে আজ তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা।
গিয়ে পৌছালাম।
শায়লা, মার্জান, জারিফা সবাই দাঁড়িয়ে আছে,,,,এবং আরো অনেকেই আছে ক্লাসের।আমি গিয়ে তাড়াতাড়ি শায়লার পিছনে দাঁড়ালাম।শায়লা : কি হলো স্নেহা তুই এতো লেইট করলি যে।
স্নেহা : ব্যাস হয়ে গেলো ?
শায়লা : কি যে করিস জানিস না আজ তাড়াতাড়ি আসার কথা ছিলো।
স্নেহা : আচ্ছা রেগিং এ কি কি করতে হয়?
শায়লা : ওরা যা বলবে তা করতে হবে। যেমন ধর কলেজের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম স্যারকে প্রপোজ করতে বলবে। না হয় ডান্স করতে বলবে আর না হয়, ওদের পার্সোনাল কাজ আমাদের দিয়ে করিয়ে নিবে এই টাইপ্সের কিছু।।
শায়লাকে ডাকদিলো হঠাৎ, তার নাম জিজ্ঞেস করলো।
সবাইকে তাদের স্যার ডাকতে বললো। সবার সামনে বড় করে স্যালুট করতে বললো শায়লাকে শায়লা বাধ্য হয়ে করলো, ?
তারপর আমাকে ডাকদিলো।
আসিফ : এইদিকে দাঁড়ান সামনে এসে।
ভয়ে বুক কাপছিল।
হঠাৎ আসিফকে সরিয়ে ঐ ছেলেটি সামনে এসে দাঁড়ালো।
আসিফ : ওহ রাহুল! তুই নিবি নাকি ওর রেগিং।
রাহুল : হুম ও আমার Assignment করবে আজ থেকে।
আসিফ : কিন্তু এটাতো সিম্পল?
রাহুল : আরে বেটা লিখতে লিখতে আমার হাত ব্যথা হয়ে গেছে চাশমিশ টাইপ্সের আছে করে দিবে।?
স্নেহা : (মনে মনে) কি বদমাইশ নিজের Assignment নিজে না করে আমার দিয়ে করাবে তার বাপের চাকর নাকি আমি।?
রাহুল : এই যে চাশমিশ নাম কি আপনার।।?
স্নেহা : জি! স্নেহা।?
বিজয় : স্যার ডাকবা আমদের সবসময় বুঝলা।
স্নেহা : জি! স্যার ?..
ক্লাসের দিকে রওনাদিলাম।
শায়লা : বাহ বাহ বাহ! যা করার আমাদের করতে হলো আর তোর জন্য রাহুল ছেলেটা কতো সিম্পল কাজ দিলো।
স্নেহা : এটাকে তুই সিম্পল কাজ বলছিস।?
মার্জান : না হয়তো কি। এটা অনেক সিম্পল। যা বেইজ্জত আমাদের হতে হইসে। by the way ঐ ছেলেটা প্রথমদিন থেকেই স্নেহার দিকে বার বার তাকাচ্ছিলো কিন্তু। কি জানি কি মতলব। হি-হি?
স্নেহা : দূর চুপ করবি। এমনিতে টেনশনে আছি।?
ক্লাস করে সবাই বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সবাই গল্প করেই নামছি।পানির অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই বেগ থেকে বোতল বের করে পানি খাচ্ছিলাম হেটে হেটে হঠাৎ শিরির থেকে নেমে মোর ফিরতেই ধাক্ষা একটা খেলাম আর হাত থেকে পানির বোতলটা পরে সব পানি পরে গেলো। যার সাথে ধাক্ষা খেলাম তার শার্টটা ও ভিজে গেলো।
এ কি কান্ড ?
স্নেহা : সরি স্যার, আসলে খুব পানির পিপাসা পেয়েছিল। তাই খেয়াল করিনি।তাড়াতাড়ি বেগ থেকে বের করে একটা টিসু দিলাম।
টিসুটা না নিয়ে একটা টেডি স্মাইল দিয়ে চলে গেলো।
জারিফা : ওয়াও he is so cool.. ?
স্নেহা : চলতো এইখান থেকে যতক্ষন এইখানে থাকবো বিপদ সংকেত দেখা দিতে থাকবে।
মার্জান : এটা বিপদ সংকেত না। অন্যকিছুর সংকেত।?
জারিফা : ঐ রেগিংকারকদের মধ্যে সবচেয়ে হ্যান্ডসাম হট এন্ড সুইট কিন্তু এইটাই ?
স্নেহা : কোনটা? ?
জারিফা : যেটার সাথে ধাক্ষা খেলি রাহুল!?
স্নেহা : হয়েছে অনেক এবার যাবি?
চলে আসলাম বাসায়। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে টিভি দেখতে বসলাম, হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উটলো Unknown number.
স্নেহা : হ্যালো!
Unknown : no response ?
স্নেহা : কি হলো কথা না বললে ফোন দিয়েছেন কেনো??
ফোন কেটে দিলো। টুট টুট…
(চলবে)