Love_at_1st_sight??? Part : 3

0
8297

Love_at_1st_sight???
Part : 3

writer-Jubaida Sobti
শায়লা : থাক তুই বাদ দে। তোর বোঝার বয়স হয়নি।?
এরপর continue প্রেক্টিস শুরু হলো।লাঞ্চ টাইম ব্রেক এখন তারপর আবার continue শুরু হবে।
শায়লা : চল লাঞ্চ করে আসি।
স্নেহা : খিদে নেই আমার তুই খেয়ে আয়
শায়লা : তুই আর মানুষ হবি না।আচ্ছা আমি যায় আমার আবার একটা ফোন করতে হবে বাসায়।
সবাই চলে গেলো স্নেহা একা বসে বসে কি করবে সে নিজে নিজে প্রেক্টিস করছে।
হঠাৎ রাহুল রুম ক্রস করে যাওয়ার সময় দেখে স্নেহা নিজে নিজে ডান্স করছে।
রাহুল অনেক্ষন দাঁড়িয়ে তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার ডান্স দেখছিলো…?
রাহুল : খুব ভালো ডান্স পারো দেখি। হেল্পার না হয়ে ডান্সে পার্টিসিপেট করলেই পারতে।
স্নেহা রাহুলকে দেখে হঠাৎ চমকে গেলো।রাহুল স্নেহার কাছে এসে তার মাথার ঝুটি টা খুলে দিলো, স্নেহার চুল গুলো বিলিয়ে পড়লো ?
রাহুল : Now looking beautiful ?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকালো। হঠাৎ পিছন থেকে ডাক দিলো রাহুল বলে।
রাহুল : yes?
নেহা : লাঞ্চ টাইম রাহুল! so hurry up…
রাহুল : yeah sure.
রাহুল যেতে যেতে নেহা কে বলছে,
রাহুল : নেহা r u jealous?
নেহা : What rubbish… আমি jealous করবো ঐ চাম্বুশ আন্টিকে??
রাহুল নেহাকে আর কোনো জবাব না দিয়ে একটা তেডি স্মাইল দিয়ে চলে যায়।
নেহা : তোর এই তেডি স্মাইল্টানা মেয়েদের আরো পাগল করে দেয় ?
আজ বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেলো দুপুরে ও কিছু খায়নি স্নেহা।
জারিফা : দেখেছিস স্নেহা ভাগ্য শুধু তোকে ওর কাছে টেনে নিচ্ছে নিশ্চয় তোদের মধ্যে কোনো কানেকশন আছে?
স্নেহা : কি বলিস এসব, ওর সাথে আমার মোটে ও যায় না। ওর পছন্দ আমার মতো মেয়ে হতেই পারে না,
শায়লা : হবে না কেনো তুই কি সুন্দরে কম নাকি,
স্নেহা : আরে দেখিসনি নেহা মেম অনিতো কতো সুন্দর জিন্স পরে টপ্স পরে স্টাইলিশ ও তবুও স্যার ওনাকে রিজেক্ট করেছে আর আমিতো কথায় আসে না।
মার্জান : রাখবি তোর স্যার মেম, ডাকা নাম ধরে বল।?
মার্জান এর কথা শুনে শায়লা জারিফা স্নেহা তিনজনি হেসে উঠে।??
স্নেহা : আচ্ছা বাদ দে এসব কথা প্লিজ। আমার অনেক খিদে পেয়েছে চল ফুচকা খায়।?
জারিফা : ওয়াও superb idea,
সবাই মিলে ফুচকা খায় ঠিক ঐসময় নেহা এসে দাঁড়ায় পিছন দিয়ে।
নেহা : এইযে, মিস. চাম্বুস….
সবাই ফিরে তাকালো কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেনা নেহা কাকে ডাকছে।নেহার সাথে তার আরো ফ্রেন্ডরা ও আছে। সবগুলো নেহার মতো শয়তান।
নেহা : চশমা তোমাকেই বলছি, এদিকে এসো।?
স্নেহা : জি!?
নেহা : বাদরের গলায় মুক্তার মালা পরাতে যেওনা বুঝলে। আর হে কাল থেকে তোমার ডান্স প্রেক্টিসে আসার দরকার নেই। it’s my order…
এই বলে নেহা চলে যায়।
মার্জান কিছু বলতে চায় কিন্তু শায়লা তার হাত ধরে ফেলে।
ঐসময় রাস্তাদিয়ে রাহুলের গাড়ি যাচ্ছিলো রাহুল ফুসকার গাড়ির দিকে তার গাড়িটা একটু থামালো। স্নেহারদিকে একপলক চেয়ে আবার গাড়ি টান দেই।
মার্জান : তুই পাগল নাকি এদের এভাবে না বলে বলে ছেড়ে দিয়েছি তাই আমাদের যা ইচ্ছে তাই বলে।
শায়লা : পাগল আমি না পাগল তুই হয়েছিস এরা আমাদের সিনিয়র এদের একটা গ্যাংগ আছে তারা অনেক কিছু করতে পারে। তাই বলছি সব কথার উত্তর দিতে যাস না।
মার্জান : ধ্যাত ?? খা তোরা যায় আমি।
স্নেহা : আরে মার্জান দাড়া কই যাচ্ছিস।
মার্জান : আমি বাসায় যাই। খাবো না তোরা খা।?
মার্জান না খাওয়াতে আর কেউ খেলো না সবাই যার যার বাসায় চলে গেলো।
বাসায় আসে স্নেহা আজ অনেক টায়ার্ড।
মা : আজ এতো লেইট হলো যে,?
কতো চিন্তা করছিলাম তোর জন্য।
স্নেহা : মা বললাম না কলেজে একটা প্রোগ্রাম আছে ঐটার প্রেক্টিস ছিলো।আর মাঝে মাঝে এমন লেইট হবে তুমি চিন্তা করিও না।
ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে একটু শুই, হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠে।
সেই unknown ?
রাশুকে গিয়ে মোবাইটা দিয়ে আসলাম
রাশু গেমস খেলছে কল আসলে বার বার আমার কাছে নিয়ে আসছে।
আজ একদম রিসিভ করে ফেলে রাখলাম অনেক্ষন।?
কিছুক্ষন পর নিজ থেকে কেটে
আবার কল দিলো। কেটে দিলাম,
আবার কিছুক্ষন পর আবার কল দিলো রিসিভ করলাম,
হ্যালো কে, বলার পরপর সে নিজ থেকে কেটে দিলো।
আজিব তো এতোক্ষন নিজ থেকে কল করছে আমি কেটে দিচ্ছিলাম যখন রিসিভ করে হ্যালো বলি সেই নিজে কেটে দিলো।
শুধু কন্ঠ শুনতে ফোন দেই বুঝি আমাকে।
দাড়া শোনাচ্ছি তোকে কন্ঠ।?
এই বলে স্নেহা তার ভাই রাশুকে গিয়ে ফোনটা দিলো।
বললো এই নাম্বার টায় ফোন দে যদি রিসিভ করে তাহলে তুই একটু মোটা সুরে বলবি এইখানে আর ফোন দিবেন না এটা আমার নাম্বার।
রাশু ফোন দিলো রিসিভ করেছে কিন্তু কোনো কথা বলছে না।
আর রাশুতো তো অনেক দুষ্টু
রাশু : কি হলো ছেলের কন্ঠ শুনে আওয়াজ চলে গিয়েছে নাকি।?
নাকি বোবা আপনি কথা বলতে জানেন না। ?
আচ্ছা আমি আপনাকে একটা গান শোনায়।
আই এম এ ডিস্কো ডান্সার টেট টেট টেনেট তুই হলি মোবাইলের ক্যান্সার।?
রাশুর গান শুনে স্নেহা হাসতে হাসতে মাটিতে বসে গেলো…??
রাশু : (মোবাইলের ওপাশেরজন ও হেসে দিলো) এই যে ক্যান্সার হাসি যখন বের হলো এবার বলেন এইখানে ফোন দেন কেনো…আপনি জানেন আপনার ফোনের ডিস্টার্ব এ আমি কয়বার গেইম আউট হয়ছি।?
ফোনটা কেটে দিলো…. আর ডিস্টার্ব করেনি।
রাশু থেকে জিজ্ঞেস করলাম হাসির কন্ঠটা ছেলের ছিলো নাকি মেয়ের?
রাশু বললো ছেলের…
থাক আর এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই।
পরদিন কলেজ গেলাম।
ক্লাসেই বসে আছি। জারিফা,মার্জান, শায়লা সবাই প্রেক্টিসে গেছে।
ভাবলাম এভাবে বসে থাকার চেয়ে লাইব্রেরীটা ঘুরে আসি।
গেলাম সেখানে ও তেমন মানুষ নেই। কিছু কাপল আর কিছু সিংগেল বই পড়ছে।
ভালোই লাগছে পরিবেশটা নিরিবিলি।?
কিছু বই দেখতে দেখতে একটা কোনায় গিয়ে দাঁড়াই।
হঠাৎ মেইন ডোরের দিকে তাকাতেই দেখি রাহুলের এন্ট্রি। অনেক মুড নিয়ে ডুকছে।
কিন্তু এসময় তো ওনার প্রেক্টিসে থাকার কথা নিশ্চয় কাউকে খুজতে এসেছে।
আমিও উনাকে না দেখার মতো করে সেল্ফের পিছনে দাঁড়াই কারন সামনে পড়লে না জানি কি না কি ঝামেলা হয়।?
এদিক ওদিক কাকে যেন খুজছে রাহুল।
হঠাৎ স্নেহার পাশের সেল্ফে এসে দাড়াতেই রাহুল স্নেহাকে দেখে।
স্নেহা রাহুলকে দেখে পিছন ফিরে যায়। রাহুল সামনে এগোতেই স্নেহা জোড়ে হাটা শুরু করে।
রাহুল : স্নেহা দাড়াও,
স্নেহা কিছু না বলে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে পরলো, রাহুল ও স্নেহার পিছু পিছু বেরিয়ে পরলো।
রাহুল গিয়ে স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে তার দিকে ফিরালো,
স্নেহা : কি করছেনটা কি, হাত ছাড়ুন আমার, সবাই দেখছে তো,
রাহুল : দেখুক!
স্নেহা : দেখুক মানে!
রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে একটা ক্লাসে নিয়ে গেলো,
ক্লাসে কিছু ছেলে ছিলো….রাহুল তার মাথার ইশারা করাতে ছেলেগুলো ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে।
স্নেহা অনেক গাভ্রিয়ে গেলো… স্নেহা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে চায়লে রাহুল স্নেহাকে টেনে দেওয়ালে হাত দিয়ে দাঁড়ালো,
স্নেহার শরীর কাঁপতে লাগলো রাহুলের কান্ড দেখে।
রাহুল স্নেহার দিকে তাকিয়ে? স্নেহা নিচের দিকে তাকিয়ে,?
রাহুল স্নেহার চুল গুলো সরিয়ে দেই চোখের উপর থেকে,
স্নেহার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ভয়ে,…
(চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে