Love Marriage Part-12

0
1579

Love Marriage
পর্ব ১২
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ

ইরা দিশা কে নানাভাবে তিরষ্কার করতে লাগলো।

–আমার স্বামী যদি আমার চোখের সামনে অন্য একটা মেয়ে কে এভাবে বিয়ে করতো তখন হয় আমি নিজেকে শেষ করে দিতাম।
তা না হলে অনেক দূরে পালিয়ে যেতাম।
কিন্তু দিশার তো দেখি অনেক ধৈর্য্য।
স্বামীর বিয়ে করার কথা শুনেও এখনো এই বাড়িতেই পড়ে আছে।
কি নির্লজ্জ মেয়ে রে তুমি???

দিশা কাঁদতে লাগলো।
আমি বুঝতেছিনা আপনি কেনো আমার সাথে এমন করছেন?
আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার?

–কি করলাম আমি?
শুধু মনে করে দিলাম যে ইশান আর তানিয়ার কিন্তু কাল বিয়ে।
চেহারা দেখে মনে তো হচ্ছে না তোমার মনে আছে।
তাই মনে করে দিলাম।

কাল তো খুব বড় গলায় বললে এই সংসার তোমার?
এই বাড়ি তোমার?
কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কিভাবে সবকিছু পালটে গেলো?

ইরা দিশার কানে কানে বলতে লাগলো
এ থেকে বোঝা গেলো তোমার থেকে এ বাড়িতে আমার পাওয়ার বেশি।
এখন সব আমার কথাতেই চলবে।
আর এই পুরো সংসার ও এখন থেকে আমার।
তানিয়া তো পাগল।
ওকে যেমন ভাবে নাচাবো তেমনভাবেই নাচবে।

–তুমি এই বাড়িতে থাকার জন্য আর সংসারে রাজত্ব করার জন্য নিজের মায়ের সাথে এতো বড় অন্যায় করতে পারলে?

–না,না।
এই দোষ টা আমাকে দিও না দিশা।
আমি মার কোন ক্ষতি করি নি।
মার ক্ষতি তো তুমি করেছো।।
তুমি ভেবেছিলে মায়ের সাথে অন্যায় করে পুরো সংসার তোমার দখলে আনবে?
তা আমি বেঁচে থাকতে কি করে হতে দেই বলো তো???
জমি চাষ করলে তুমি,বীজও বপন করলে তুমি।
কিন্তু ফসল পেলাম আমি।

কালকের জন্য রেডি হও দিশা।
কাল থেকে তুমি শুধু চাকরানি হয়ে থাকবে।
আর তোমার স্বামী,,,,,
বুঝতেই তো পারছো ব্যাপার টা।
না আরো বিস্তারিত ভাবে বিশ্লেষণ করে দিতে হবে?

ইরা চলে গেলো।

দিশা নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলো না।
সে কাঁদতে লাগলো।
আজ তার পাশে কেউ নাই।
একিদিকে ইশানের বাড়ির লোকেরা অপমান করছে অন্যদিকে ইশান তো কথায় বলে না।
তাই সে এই বাড়ি থেকে চলে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিলো।

ইশান রুমে এসে দেখে দিশা নাই।
দিশা তাহলে কই গেলো?
সে পুরো বাড়ি খুঁজে দেখলো।
কিন্তু দিশাকে পেলো না।

ইশান বুঝতে পারলো না দিশা বাড়ির বাহিরে গেলো কিভাবে?
কারন সে যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারে সেটা সবাই কে বলা হয়েছে।
ইশান সবার উপর রাগ দেখাতে লাগলো।

ইশান বুঝতে পারছে না কি করবে এখন সে?

ইশান দিশাকে খুঁজে না পেয়ে প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেলো।
সে জানতো দিশা রাগের মাথায় কিছু একটা করে ফেলবে।
তাই সে সবসময় তাকে নজরে নজরে রাখতো।
কিন্তু দিশা বাড়ির বাহিরে গেলো কিভাবে?

ইশানের মনে হলো সে বোধহয় দিশা কে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেললো।

প্রায় এক সপ্তাহ পর ইশান জানতে পারলো দিশার বান্ধুবী সীমার বাড়িতে আছে।

ইশান পাগলের মতো ছুটে গেলো সেখানে।
ইশান কে দেখে সীমা অনেক বেশি অবাক হলো।
তুই এখানে?

–দিশা কই?

–তা আমি কি করে জানবো?

–তোর এখানে আসে নি?

–না।

–আচ্ছা ঠিক আছে।।।
আমি চললাম।।।
এই বলে ইশান চলে যেতে ধরলো।

সীমা তাকে ডাক দিলো।
এসেই যাচ্ছিস যে?
বসলি না?

–এখন বসার সময় নেই।।।
পরে আরেকদিন আসবো।

–দিশাকে খুঁজতিছিস কেনো?
কই গেছে ও?

–জানি না।

–জানিস না মানে???
কি বলছিস এসব???

ইশান কাঁদতে লাগলো।

–কি হয়েছে?
কাঁদছিস কেনো তুই?

–দিশা মনে হয় আর বেঁচে নেই।

–কি বলছিস এসব?

–তাছাড়া ও গেলো কোথায়?

–কেনো তুই ওকে বকেছিলি?

ইশান কোনো উত্তর দিলো না।

–কি হলো?
উত্তর দে?

ইশান চুপ হয়ে আছে।

–তুই আর কি উত্তর দিবি?
আমি তো শুনলাম তুই নাকি ওকে অনেক মারধর করেছিস।
আবার শুনলাম আরেকটা বিয়েও করবি।
বাঃ ইশান বাঃ
পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রেম টাকে টিকিয়ে রাখতে পারলি আর মাত্র কয়েকমাস হলো বিয়ে হয়েছে তাতেই এতো অরুচি এসে গেলো দিশার প্রতি।

–তুই কিছু জানিস না।
তাই এভাবে বলছিস।

–আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না তুই দিশাকে মেরেছিস।
কেমনে পারলি এটা?
যে মেয়েটাকে এতো ভালোবাসতিছ সেই মেয়েটার উপর আজ কেনো এতো অবিচার করলি?

–তুই কি আমার মায়ের কথা শুনেছিস?

–হ্যাঁ শুনেছি।
আন্টির জন্য খুব খারাপ লাগছে।
হঠাৎ করে কি হয়ে গেলো এসব?

–হঠাৎ করে হয় নি।
মার সাথে ইচ্ছা করেই এসব করা হয়েছে।

–তার মানে তোর সন্দেহ দিশা করেছে।

–দিশা এর আগেও এমন এমন সব কান্ড করেছে সেই জন্য সবাই ওকে সন্দেহ করছে।

সীমা সেই কথা শুনে রেগে গেলো।
সবার কথা বাদ দে।
তোর কথা বল।
কারন তোর মতো আর তো কেউ ওকে চেনে না।

–আমার মাথাটা ঠিক ছিলো না রে।
মার এমন একটা অবস্থা দেখে আমি পুরাই ডিপ্রেশনে চলে গেছিলাম।
তাছাড়া আমার আলমারিতে আমি সেই ক্যামিকেল টা পেয়েছি যেটার কারনে মার আজকে এই অবস্থা।
তাই আমিও দিশাকেই সন্দেহ করেছিলাম।

–তোর ঘরের আলমারি তে তো অন্য কেউ ও এটা রাখতে পারে।
আর দিশা কি পাগল যে নিজে অন্যায় করে আবার নিজেই ধরা দেবে।

–জানি না আমি।
আমার মাথায় তখন আর কিছু ঢুকে নি।
আমি মনে হয় এখন পাগল হয়ে যাবো।
এতো টেনশন আর নিতে পারছি না আমি।

–তুই নাকি বিয়ে করবি?
করেছিস?

–বললাম তো আমার মাথা টা একদম ঠিক ছিলো না।
রাগের মাথায় বলেছি।
এখন ওকে কই খুঁজবো বলতো?

–ওর প্রতি যখন অন্যায় করেছিস তখন শাস্তি তো ভোগ করতেই হবে।

–ও কি আর ফিরবে না?
ও যদি আজ কালকের মধ্যে না ফেরে তাহলে আমি যে কি করবো নিজেই জানি না।
ও তো জানে আমি ওকে ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারি না তবুও কেনো বাড়ি থেকে বের হলো?
কেনো বের হলো?

–তুই ওকে মারবি।
তোর বাড়ির সদস্যরা দিনরাত অপমান করবে।
ওকে তোরা মিথ্যা দোষ দিবি।
আবার শুনলাম ওর চোখের সামনে বিয়েও করবি।
তাহলে ও কেনো তোর বাড়িতে থাকবে?
কি জন্য থাকবে?
তুই বল?
আমার তো মনে হয় না ও আর তোর সাথে কথা বলবে বা দেখা করবে।।
কারন তুই ওর সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছিস।

–দেখা না করুক।
কথাও না বলুক।।।
কোনো আপত্তি নাই আমার।
কিন্তু ও ভালো আছে কিনা?
সুস্থ আছে কিনা?
সেটা না জানা পর্যন্ত আমি শান্তি পাচ্ছি না।
কারন ও যে রাগী আর অভিমানী,রাগের মাথায় কি যে করলো আল্লাহই ভালো জানে।

–দিশা কে এতো ভালোবাসিস?
ওকে নিয়ে এতো ভাবিস?
কিন্তু বিশ্বাস করলি না কেনো?
ও তো তোকে বার বার বলেছিলো যে সে এ কাজ করে নি।
কেনো বিশ্বাস করলি না?

ইশান সীমা কে জিজ্ঞেস করলো দিশা তোর এখানেই আছে তাই না?
তা না হলে তুই এতো কথা জানলি কিভাবে?

–নাই এখানে।

ইশান সীমার কথা কিছুতেই বিশ্বাস করলো না।
কারন দিশা এখানে না আসলে সীমা এতো কথা জানলো কি করে?
সে দিশা কে খুঁজতে লাগলো।

— আমি তো শুনলাম ও এখানেই আছে।

–তুই বাসায় চলে যা ইশান।
দিশা আর যাবে না তোর বাড়িতে।

–ও ভালো আছে তো?

–হ্যাঁ ভালো আছে।

–একবার অন্তত দেখি ওকে।

–ও যদি জানে আমি তোকে বলেছি তাহলে আমার উপর খুব রেগে যাবে।
তুই টেনশন করতিছিলি তাই বলে দিলাম।

–ও আছে কোথায়?
প্লিজ বল না?
আমার কষ্ট টা বোঝার চেষ্টা কর।।।

–আমি বুঝে কি করবো?
দিশা যদি না বোঝে।

ইশান কিছুতেই আর সীমার বাসা থেকে গেলো না।

সীমাঃতুই যা ইশান।
কাল আসিস।
আজ ও একটু বাহিরে গেছে।

ইশানঃবাহিরে গেছে মানে?
একা একা যেতে দিলি কেন?

–আজাইরা দরদ বাদ দে।
আগে বল আসল অপরাধী কে খুঁজে পেয়েছিস?

ইশানঃনা।

সীমাঃদিশার মুখে শুনলাম তোর মা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে নাকি তোর বোন ইরা ওকে নানাভাবে অপমান করতে থাকে।
তারপর বলে এখন থেকে নাকি এই সংসার তার।
এই ঘর তার।
তাহলে বোঝ তোর বোন কত স্বার্থপর
দিশা তোর বোনের জন্যই বাড়ি থেকে চলে এসেছে।
ওর আর সহ্য হচ্ছিলো না কিছুতেই।

ইশানঃতার মানে এই কাজ টা ইরা করেছে?

সীমাঃতা তো আমি জানি না।
দিশা আমাকে যা যা বলেছিলো সেটাই বললাম তোকে।
শুধু তাই না।
এদিকে নাকি তানিয়াও দিশা কে অপমান করেছে।
যে তানিয়া কে তোরা মাথামোটা বলিস।
সেও তোর বউ কে অপমান করার সাহস পেয়েছে।
তাহলে তুই বুঝতে পারছিস দিশা কে তুই কত টা নিচে নামায়ছিস?
আর মেয়েটার মনের অবস্থা এখন কত টা খারাপ?

ইশান তার ভুল বুঝতে পারলো।
সে বললো আমি আসলে জ্ঞানহারা হয়ে গেছিলাম।
দিশার কথা শোনার প্রয়োজন ই মনে করি নি।
ও কি আমাকে ক্ষমা করবে?

–দিশার সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে তানিয়াকে বিয়ে করার কথা শুনে।
সে বার বার কাঁদছে আর বলছে ইশান আমাকে কখনোই ভালোবাসে নি।
ভালোবাসলে অবশ্যয় আমাকে বিশ্বাস করতো।
আর তানিয়াকে জীবনেও বিয়ের কথা বলতো না।

ইশানঃআমার যদি সত্যিই তানিয়া কে বিয়ে করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে এখনো করি নি কেনো?
তুই বল?
আমি রাগ করে বলেছিলাম।
কারন সেদিন আমি হাতেনাতে প্রমান পেয়েছিলাম।

সীমাঃতা এখন কি করে বুঝলি দিশা কোনো অপরাধ করে নি?
এখন কেনো ওকে খুঁজতে বের হয়েছিস?

ইশানঃতুই এই কথা টা বলতে পারলি?
তুই জানিস না আমি দিশা কে ছাড়া ভালো থাকতে পারবো না।
দিশা যদি আমার জীবনে না থাকে তাহলে আমি নিজের জীবনটাই শেষ করে দেবো।
সত্যি বলছি।

হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠলো।
সীমা বললো হয় তো দিশা এসেছে।
ইশান বললো তুই দাঁড়া।
আমি খুলছি দরজা।

সীমাঃপাগল হইছিস তুই?
তুই লুকিয়ে থাক আপাতত।

ইশান সীমার কোনো কথাই শুনলো না।
সে নিজেই দরজা খুলে দিলো।

দিশা আর ইশান কিছুক্ষণ দুই জন দুইজনের দিকে তাকিয়ে রইলো।
ইশান দরজাতেই দাঁড়িয়ে রইলো।

সীমা বললো ইশান দরজা থেকে সরে যা।
ওকে রুমে আসতে দে।

ইশান হেসে উঠলো।

দিশা ইশান কে দেখে সীমার উপর খুব মন খারাপ করলো।
তুই আমার নিজের বান্ধুবী হয়ে কি করে ইশানকে বলে দিলি?
তুই এটা করতে পারলি?

সীমাঃবিশ্বাস কর আমি বলি নি কিছু ইশান কে।।
ইশান একাই এসেছে।
সে পাগলের মতো তোকে খুঁজে বেড়াচ্ছে?

দিশাঃকেনো?
আমাকে খুঁজছে কেনো?
আর আমি ইশান নামের কাউকে চিনি না।

ইশান চুপচাপ দিশার কথা শুনছে।

দিশা রুমে চলে গেলো।

ইশান কি করবে এখন বুঝতে পারছে না।
সে কোন লজ্জায় ওর সাথে কথা বলবে?

কিন্তু ইশান লজ্জা শরম ত্যাগ করে দিশার রুমে ঢুকলো।

দিশাঃঅন্যজনের রুমে পারমিশন নিয়ে যে ঢুকতে হয় তা বুঝি আপনি জানেন না?

ইশান দিশার হাত ধরলো আর বললো প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আমি ভুল করে তোমাকে দোষারোপ করেছি।
কিন্তু এখন আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।

দিশাঃআমার হাত ছাড়ুন।
আর রুম থেকে বের হয়ে যান।
আমি আপনাকে চিনি না।

ইশানঃপ্লিজ দিশা আমার কথাটা একবার শোনো।।।
আমার তোমাকে প্রয়োজন।
আমি তোমাকে ছাড়া ঐ বাড়িতে থাকতে পারতিছি না।

দিশা ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
ইশানও পিছু পিছু গেলো।

দিশাঃআপনি এরকম করছেন কেনো?
সীমা তুই কিছু বল।।

সীমাঃআমি কি বলবো?
তোদের ব্যাপার তোরাই মিটিয়ে নে।

দিশাঃকি বলছিস তুই?
আমি তো ওনাকে চিনি না।

সীমাঃইশান তুই চলে যা।
দিশা তোকে চিনতে পারসে না।
আর যখন চিনতে পারবে তখন আসিস।

দিশাঃআমি ওকে আর জীবনেও চিনবো না।
ওকে যেতে বল।।
তা না হলে কিন্তু,,,,,,,,,,,,

ইশানঃতুমি আমাকে না চিনলে না ভালোবাসলে কিন্তু যদি আমার মাকে একটু ভালোবাসো তাহলে নিশ্চয় আমার কথা টা তুমি শুনবে।

দিশাঃআমি কোনো কথা শুনবো না।

ইশানঃতুমি কি চাও না আসল অপরাধী কে আমরা ধরে ফেলি।।।।
যে এতো বড় অন্যায় করেছে সে শাস্তি পাক।
আমি একা একা পারবো না দিশা।
প্লিজ আমাকে হেল্প করো।

দিশাঃকেনো আমিই তো অপরাধি।
যাকে ইতোমধ্যে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।

ইশান দিশাকে এবার জড়িয়ে ধরলো।

দিশা ইশান কে ফেলে দিলো।
আমি আপনাকে চিনি না।।তবুও কোন শাসনে আমাকে ধরেছেন?

ইশানঃ সরি,সরি।
আর ধরবো না।
তুমি যদি আমাকে মাফ করে না দাও তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই।
কথা যদি না বলো তবুও আপত্তি নাই।
তুমি যদি আমাদের বাড়িতে আর না যাও সেটাতেও জোর করবো না ।
কিন্তু আসল অপরাধীর উচিত সাজা হোক সেটা তো নিশ্চয় চাও।
প্লিজ না করো না।
প্লিজ।

দিশাঃআমি কিভাবে সাহায্য করবো?

ইশানঃতুমি আগে বাসায় চলো তারপর শিখিয়ে দেবো।

দিশাঃনা,আমি যাবো না।
আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে কে?

ইশানঃমানে?
কিসের নিরাপত্তা?

দিশাঃএকটা অচেনা ছেলের বাড়িতে যাবো।
সেখানে থাকবো।
আমার যদি কোন ক্ষতি হয়?

ইশানঃতুমি কোন ক্ষতির কথা বলছো?
কে করবে ক্ষতি?
আমি তো সবসময় তোমার সাথেই থাকবো।

দিশাঃআমি অন্য মানুষের কথা বলছি না।
আপনার কথায় বলছি।
আপনার মনে যদি শয়তানি জাগে তখন আমাকে কে বাঁচাবে?

ইশান হেসে উঠলো আমি কেনো তোমার সাথে শয়তানি করবো?
আচ্ছা ঠিক আছে যখন আমাকেই ভয় পাচ্ছো তখন আমি নিজেই থাকলাম না বাড়িতে।

দিশাঃআপনি তাহলে আমাকে কেনো নিয়ে যাচ্ছেন?
যেখানে আপনি নিজেই থাকবেন না।
আপনি না বললেন আমার সাহায্য লাগবে আপনার।

ইশানঃওকে আমিও থাকবো।
আর কথা দিলাম।
কোনো ক্ষতি হবে না তোমার।
আমার বাড়িতে তুমি সম্পূর্ণ নিরাপদ।

দিশাঃপরে কিন্তু আমাকে জোর করতে পারবেন না আপনি।
আমি কিন্তু ও বাড়িতে আর কিছুতেই থাকবো না।

ইশানঃতোমার যা মন চায় তাই করবে।।।
কিন্তু এখন তো চলো।

দিশাঃআপনি বললেই আমি যাবো নাকি?
আমাকে তো আগে ভাবতে হবে।

ইশান আর কোনো তর্ক করলো না।
কারন যে করেই হোক দিশা কে বাড়ি নিয়ে যেতে হবেই।

ইশান চলে গেলো।

সীমা দিশা কে বললো খুব তো বড় গলায় বললি আর যাবি না ওই বাড়িতে।
এখন যেতে রাজি হলি কেনো?

দিশাঃইশানের বোন আমাকে যে অপমান করেছিলো তোর মনে নেই?
ওনাকে শাস্তি দেওয়ার একটা উপযুক্ত সুযোগ পেয়ে গেলাম।
কারন আমার বিশ্বাস উনি এই কাজ করেছে।
অপরাধী ধরা পড়লেই আমি আর ও বাড়িতে থাকবো না।
তাছাড়া আমি একা যাবো না।
তুই ও যাবি আমার সাথে।
কারন ইশানের উপর বিশ্বাস নাই আমার।

–আমি গেলে ইশান রাগ করবে না?

–আমি কি ওর বউ হিসেবে যাচ্ছি নাকি?
আমি তো জাস্ট অপরাধী ধরতে যাচ্ছি।

সীমা হাসতে লাগলো।
ইশান আর তোকে আমি তোদের থেকেও ভালো করে চিনি।
বুঝলি?
আমাকে এসব শিখাস না?

–তুই দেখে নিস।
আমি এবার আর কিছুতেই দূর্বল হবো না।
ইশান আমাকে মেরেছে না?
অবিশ্বাস করেছে না?.
এর শাস্তি তো ও পাবেই।

সবাই সবার মতামত অবশ্যয় জানাবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে