Love Marriage
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ
পর্ব ০৫
দিশা বাহিরে এসে দেখে তাদের কলেজের ফ্রেন্ডরা এসেছে।
আর তার শাশুড়ী তাদের সাথে বসে গল্প করছে।
দিশা তাদের কে দেখে ভয় পেয়ে গেলো।
তারা কি কি যে গল্প করলো কে জানে?
কারন তার ফ্রেন্ডরা জানে ইশানের ফ্যামিলি নিজের ইচ্ছায় দিশার সাথে ইশানের বিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ইশানের মা জানে না যে ইশান আর দিশা একই কলেজে পড়াশোনা করেছে।
তারা দুইজন প্রেমিক প্রেমিকা।
দিশা কোন কথা না বলে চুপ করে আছে।
তার ফ্রেন্ড রা বললো কি রে আমাদের কে কি চিনতে পারছিস?
না বিয়ে করে ভুলে গেলি?
দিশা তার শাশুড়ীর দিকে তাকালো।
তার শাশুড়ী ও দিশার দিকে তাকালো।
তার এক ফ্রেন্ড হঠাৎ বলে উঠলো আমাদের কে না জানিয়ে বিয়ে করা হয়েছে?
আজ ডাবল ট্রীট চাই আমাদের।
দিশার শাশুড়ী বললো তুমি ইশানের বন্ধুদের আগে থেকে চেনো?
দিশা তো পড়ে গেলো বিপদে।
তবুও সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলো।
——— না মা চিনি না।
——— তাহলে এরা এভাবে বললো কেনো?
——— সেটা তো আমিও ভাবছি।
দিশার বন্ধুরা অবাক!
কি বলে দিশা এসব?
দিশার এক বন্ধু দিশার কাছে এগিয়ে এলো।
তুই এসব কি আবোল তাবোল বকছিস?
তুই ঠিক আছিস তো?
দিশা বললো আপনারা বসেন।।
আমি আপনাদের বন্ধু কে ডেকে দিচ্ছি।
এই বলে সে তাড়াতাড়ি করে রুমে যেতে ধরলো।
দিশার আরেক ফ্রেন্ড দিশার মাথায় আস্তে করে টোকা দিলো।
ব্যাপার কি?
পালিয়ে যাচ্ছিস কই?
দিশা এবার ও চুপ হয়ে আছে।
কি বলবে এখন সে ভেবেই পাচ্ছে না সেটা।
ইশানের মা কিছুই বুঝতে পারলো না।
তিনি বললেন তোমরা এসব কি বলছো?
আর দিশা তুমি এভাবে চুপ করে আছো কেনো?
আর ওরা এসব কি বলছে?
দিশা তার শাশুড়ীর প্রশ্ন এড়িয়ে গেলো।
দিশা আর দেরী না করে তাড়াতাড়ি রুমে চলে গেলো।
কিন্তু রুমে আবার ইশান ছিলো না।
দিশা ইশান কে ডাকতে লাগলো।
ইশান বাথরুমে গেছে।
দিশা বললো তাড়াতাড়ি বের হও।
এদিকে তো অঘটন ঘটে গেছে।
আমাদের ফ্রেন্ডরা এসেছে।
ইশান বাথরুমের ভিতর থেকেই উত্তর দিলো যে তুমি যাও আমি পরে যাচ্ছি।
দিশা বললো তুমি গিয়ে কি বলবে সেটা তো আগে শোনো।
ইশান বললো আমাকে সেটা বলতে হবে না।
আমি জানি কি বলতে হবে।
দিশা আবার চিৎকার করে বললো তুমি বলবে তারা শুধুমাত্র তোমার ফ্রেন্ড হয়।
আমার না কিন্তু।
ইশান বললো ঠিক আছে, ঠিক আছে তুমি যাও।
দিশা আবার বাহিরে গেলো।
কিন্তু তার শাশুড়ী এখনো সেখানেই আছে।
তিনি দিশা আর তার ফ্রেন্ডদের এমন ব্যবহার দেখে আর কোথাও যাচ্ছে না।
তার সন্দেহ হতে লাগলো।
ইশান আসলো।
সে এসে বললো আপনারা ভালো আছেন?
আর আমাদের বাসা চিনলেন কি করে?
ইশানের এক বন্ধু এগিয়ে আসলো।
দোস্ত কি বলছিস এসব?
তুই ও আমাদের চিনতে পারছিস না?
দিশা ইশান কে একটু সাইডে নিয়ে গেলো।
আর বললো কি বলছো তুমি এসব?
এরা তো তোমার বন্ধু।
তুমি আমার বন্ধু ভাবছো কেনো?
ইশান বললো তুমি না বললে যাতে ওদের কে না চেনার ভান করি।
দিশা রাগ হয়ে বললো আরে পাগল সেটা আমার কথা বলেছি।
তুমি ওদের চিনবে।
আমি চিনতে পারবো না।
ইশানের মা এবার রেগে গেলো।
হচ্ছে টা কি এখানে?
দিশাও চেনে না তুই ও চিনিস না,এরা আবার বলছে দুইজনই তোদের ফ্রেন্ড।
ইশান পড়ে গেলো বিপদে।
সে এখন কি বলবে?
সে দিশা কে টোকা দিলো কিছু একটা বলো।
দিশা হঠাৎ করে বলে উঠলো আপনারা ভুল বাড়িতে এসেছেন।
আমরা আপনাদের চিনতে পারছি না।
প্লিজ চলে যান।
ইশানের এক ফ্রেন্ড বললো আমরা তোদের কে না বলে এসেছি সারপ্রাইজ দিবো বলে।
কিন্তু আমরা তো নিজেরাই সারপ্রাইজড হয়ে গেলাম।
আরেকজন বললো এরা ট্রিট দেওয়ার ভয়ে অভিনয় করছে।
লাগবে না আমাদের ট্রীট।
অন্তত তোর মায়ের সামনে আর অপমান করিস না।
ইশানের মা বললো আমি বুঝতেছি না একটা ব্যাপার।
যেখানে দিশাও চেনে না আবার আমার ছেলেও তোমাদের চেনে না সেখানে তোমরা বার বার একই কথা কেনো বলছো?
দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।
ইশান এর মা বললো ইশান এদের কে যেতে দিস না।।।
দরজা বন্ধ করে দে।
এরা হয় তো বাড়ি ডাকাতি করতে এসেছে।
এই বলে তিনি চলে গেলেন।
ইশান একজনের কানে কানে বললো দোস্ত প্লিজ চলে যা।
আমি পরে বুঝিয়ে বলতেছি।
এখানে একটু গোলমাল আছে।
মা জানে না আমাদের সম্পর্কের কথা।
ইশানের মা বাসার দারোয়ান কে বললো গেট বন্ধ করে দাও।
বাসায় চোর ঢুকেছে।
ইশানের মা পুলিশ কে ফোন করলো যে বাসায় চোর এসেছে।
এদিকে ইশান তার বন্ধুদের কে পালানোর জন্য সাহায্য করলো।
কিন্তু সবদিক দিয়ে বন্ধ ছিলো।
ইশান তাদের ঘরের প্রাচীরের উপর একটা মই রেখে এক এক করে সবাই কে উপরে ওঠালো।
আর বললো ঝাপ দে সবাই।
কিন্তু তারা জানালো এতোদূর থেকে ঝাপ দেওয়া যাবে না।
ইশান বললো তোরা তাহলে কিছুক্ষন প্রাচীরের উপর ই দাঁড়িয়ে থাক।
আমি মই টা ওই পাশে নিয়ে যাচ্ছি।
ইশান তাই মই নিয়ে অন্যসাইডে যেতে ধরলো।
এদিকে সবাই প্রাচীরের উপর ই দাঁড়িয়ে থাকলো।
কেউ আর ঝাঁপ দিতে পারলো না।
প্রাচীর টা অনেক উঁচু ছিলো।
ঠিক সেই মুহুর্তে পুলিশের গাড়িও আসলো।
সবাই পুলিশের গাড়ি দেখে তাড়াহুড়ো করে ঝাঁপ দিলো।
কিন্তু আর দাঁড়াতে পারলো না কেউ।
সবাই ওখানেই বসে পড়লো।
আর পা ধরে কাঁদতে লাগলো।
কারন ঝাপ দেওয়ার কারনে তারা সবাই পায়ে ব্যাথা পেয়েছে।
এখন কি হবে?
একজন ইশান কে ফোন দিলো দোস্ত আমরা তো হাটতে পারছি না।
পায়ে অনেক ব্যাথা পাইছি।
কিছু একটা ব্যবস্থা কর।
ইশান তাদের কে বাঁচানোর জন্য বাহিরে এলো।
কিন্তু এসে দেখে পুলিশ গাড়ি থেকে নামছে।
ইশান তাই পুলিশ কে বাড়ির ভিতর নিয়ে যেতে ধরলো।
হঠাৎ পুলিশেরা ইশানের বন্ধুদের দেখে ফেললো।
তারা সেখানে গেলো।
ইশান বললো স্যার আগে বাড়ির ভিতর চলুন।
চোরগুলো তা না হলে পালিয়ে যাবে।
পুলিশ কোন কথা শুনলো না।
পুলিশঃতোমরা এখানে এভাবে বসে আছো কেনো?
ইশানের বন্ধুরা কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না।
ইশান হঠাৎ বুদ্ধি করে বললো স্যার এরা আমার বন্ধু হয়।
ইশান তার বন্ধুদের বললো তা তোরা এখানে কেনো?
ইশানের বন্ধুরা চুপ হয়ে থাকলো।
তখন ইশান বললো স্যার চোরগুলো আমার ফ্রেন্ড পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকেছিলো।
তাই হয় তো এদের কে বেধে রেখেছিলো।
যাতে এরা ভিতরে না যেতে পারে।
পুলিশ বললো কই এদের কে বেঁধেছে?
হাত তো খোলা এদের।
——— তখন এক ফ্রেন্ড বললো স্যার আমাদের পায়ে আঘাত করেছে।
তাই আমরা আর হাঁটতে পারছি না।
সেই কথা শুনে পুলিশ বললো এদের কে বাড়ির ভিতর নিয়ে চলো।
এদের ট্রিটমেন্টের দরকার আছে।
ইশান বললো স্যার বাড়ির ভিতর নিয়ে গিয়ে কি হবে?.
তারচেয়ে আমি এদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।
আপনারা বাড়ির ভিতর গিয়ে চোর খুঁজুন।
পুলিশরা ইশানের কথা শুনে বাড়ির ভিতর গেলো।
এদিকে ইশান এদের কে একটা গাড়ি ঠিক করে পাঠিয়ে দিলো।
আর বললো দোস্ত পরে দেখা করছি।
আর আমাকে মাফ করে দিস।
তার এক বন্ধু মুখ ভেংচিয়ে বললো মাফ করলে কি আমাদের কষ্ট কমবে?
কি হয়রানি টাই না হলাম আজ।
সারাজীবন মনে থাকবে।
সারপ্রাইজ দিতে এসে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেলাম।
তার এক বন্ধু প্যান্টের পকেট থেকে একটা চেন বের করলো আর বললো এটা তোদের কে গিফট দেবো বলে এনে ছিলাম।
কিন্তু তা তো আর দেওয়া হলো না।
ধর এটা দিশা কে দিস।
ইশান হা করে তাকিয়ে থাকলো।
সে এখন এটা কি করে নেয়?
আবার ভাবলো না নিলেও তো এরা মন খারাপ করবে।
ইশানঃতোরা রাগ করিস না প্লিজ।
প্লিজ রাগ করিস না।
পরিস্থিতি টা বোঝার চেষ্টা কর।
ইশানের বন্ধুরা কিছু না বলে চলে গেলো।
এদিকে পুলিশ কোন চোর খুঁজে না পেয়ে তারাও চলে গেলো।
ইশানের মা ইশানের উপর রাগ হলো।
চারদিকে বন্ধ ছিলো।
তবুও চোর কি করে পালালো?
ইশান তার মায়ের সাথে আর অযথা তর্ক করলো না।
দিশা আর ইশান এ বারের মতো বেঁচে গেলো।
কিন্তু তার বন্ধুরা যে অপমানিত হলো সেই জন্য খুব খারাপ লাগলো।
দিশা আর ইশান ঠিক করলো তাদের সাথে দেখা করে সরি বলে নেবে।
কিন্তু বাড়ি থেকে কি করে বের হবে?
তাই ঠিক করলো তারা দিশার বাবার বাড়ি যাবে।
কারন দিশা বিয়ের পর একদিনও বাবার বাড়ি যায় নি।
দিশা তার শাশুড়ী কে বলতে গেলো যে মা আমি একটু বাড়ি যাচ্ছি।
ইশানের মা হাসতে হাসতে বললো তা একাই বাবার বাড়ি যাবে?
আমরা যাবো না?
তোমার বাবা আমাদের কে যেতে বলে নি?
দিশা বললো হ্যাঁ বলেছে।
যাবেন আপনি?
তার শাশুড়ী জানালো যাবোই তো।
কিন্তু তোমার শ্বশুড় তো যেতে পারবে না।
সে খাবার খাবে কোথায়?
ইশানের বোন ইরা হঠাৎ রুমে আসলো।
সে বললো আমিও যাবো।
তখন ইশানের মা বললো সবাই চলে গেলে বাড়ি থাকবে কে?
ইশানের বোন জানালো ইশান আর তার বাবা থাকবে।
তাছাড়া ইশান তো এখন রান্নাবান্না সব একাই করতে পারে।
দিশা আর না করতে পারলো না।
সে মন খারাপ করে ঘরে গেলো।
ইশান দিশা কে বললো আমার ব্যাগ গোছানো শেষ।
তুমি রেডি হও তাড়াতাড়ি।
দিশা ইশান কে বললো তোমার যাওয়া হবে না।
কারন তুমি বাবা আর দুলাভাই এর জন্য রান্না করবে বাসায় থেকে।
ইশান বললো মানে কি?
কি বলছো এসব?
আমি রান্না করবো মানে?
দিশা জানালো তার মা আর বোন তার সাথে যাবে।
আর তোমাকে বাড়ি থাকতে বলেছে।
ইশান সে কথা শুনে খুব রেগে গেলো।
মা কি পাগল হয়েছে নাকি?
আমি তোমাকে রান্নার কাজে হেল্প করি দেখে এখন সবার জন্য রান্না করতে হবে?
পারবো না আমি?
আর তুমি বাবার বাড়ি চলে গেলে আমি এখানে একা একা কি করবো?
——— আমি কি জানি?
তোমার মা কে গিয়ে বলো?
——— তুমি বলো নি আমার কথা?
যে আমিও যাবো তোমার সাথে।
তাছাড়া তুমি তো জানো আমরা ওখানে আমাদের ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করবো।
——— আমি তো বুঝতে পারছি।
কিন্তু মা নিজের থেকেই বলছে যে তিনিও আমাদের বাড়িতে যাবেন।
আর তোমরা ছেলেরা বাড়ি পাহারা দেবে।
আর তোমার বোন জানালো সেও যাবে?
এখন আমি কি করে বলি যে আপনারা যান না।
আমি আর আপনার ছেলে একাই যাবো।
ইশান রাগ করে তার মায়ের রুমে যেতে ধরলো।
কিন্তু এদিকে তার মা এই দিকেই আসছিলো।
তার মা ইশান কে দেখে বলে উঠলো বাবা একটু কষ্ট করে ম্যানেজ করে নিস।
কতই আর বাড়ির ভিতর থাকি?
একটু ঘুরে আসি আমি?
তোরা ছেলেরা তো চাইলেই বাহিরে গিয়ে ঘুরে আসতে পারিস।
আর আমরা মেয়েরা কোথাও যেতে পারি না।
তাছাড়া তোর বাবার অফিস আছে।
সে তো যেতে পারবেই না।
তুই একটু রান্না করে দিস।
শুধু কয়েকটা দিন একটু কষ্ট করিস।
ইশান রাগে আর একটা কথাও বললো না।
এখন কি তাকে সারাজীবন মেয়েদের মতো রান্না করতে হবে?
সে দিশা কে বকতে লাগলো।
তার জন্য আজ এ দিন টা দেখতে হলো।
কেনো যে দিশা কে রান্নার কাজে সাহায্য করতে গেলাম?
ইশান খাওয়াদাওয়া বাদ দিয়ে এই ভরদুপুরেও কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো।
দিশার প্রচন্ড মন খারাপ।
তার একটুও ইচ্ছে হচ্ছে না ইশান কে ছেড়ে চলে যেতে।
কিন্তু সে যদি এখন বলে সে যাবে না তখন আবার তার শাশুড়ী ভাববে তিনি যেতে চেয়েছেন দেখে দিশা এমন করছে।
ইশানের মা আর বোন রেডি হয়ে দিশার রুমে আসলো।
এসে দেখে দিশা রেডি হই নি এখনও।
তাই দিশার শাশুড়ী বললো আমরা গাড়ি তে গিয়ে বসলাম।
তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে এসো।
দিশা মাথা নাড়ালো।
দিশা রেডি হয়ে ইশান কে ডাকতে লাগলো।
ইশান কোন কথা বললো না।
দিশা ইশানের কাঁথা টা টেনে তুললো।
আর বললো আমি যে ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না?
ইশান কোন কথা না বলে কাঁথা টা আবার টেনে তার গায়ে জড়িয়ে নিলো।
দিশাঃআমার উপর রাগ দেখাচ্ছো কেনো?
তোমার মাকে বললেই তো হয় যে তুমিও যাবে?
ইশান কোন কথা বললো না।
দিশা ইশানের কপালে একটা কিস করলো।
আর বললো আমরা এখন বের হবো।
একটু তাকাও এদিকে।
ইশান তবুও তাকালো না।
দিশা ইশান কে জড়িয়ে ধরলো আর বললো তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
আর যদি বেশি খারাপ লাগে তুমি চলে যেও বাড়িতে।
তুমি যেভাবে রাগ দেখাচ্ছো মনে হচ্ছে বাড়ি চেনো না?
ইশান বললো আমি কি যেতে চাচ্ছি?
আর রাগ করবো কেনো?
আমার ঘুম ধরেছে তাই শুয়ে আছি।
তোমরা সাবধানে যেও।
আর আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না।
দিশা ইশান কে বললো তুমি ভাবছো আমি খুব খুশি হয়েছি?
মোটেও না।
আমারও কিন্তু খারাপ লাগছে।
ইশান বললো বেশি দেরী করলে মা কিন্তু রাগ হবে।
তাড়াতাড়ি যাও।
দিশাঃতাহলে আমার দিকে একবার তাকাও।
একটু আদর করো।
ইশানঃকি শুরু করলে বলো তো?
ইশান উঠে দিশার কপালে একটা কিস করলো।
এখন ঠিক আছে?
——— না।
——— আবার কি হলো?
——— তুমি আমার দিকে তো একবার ও তাকাচ্ছো না?
আমার চোখের দিকে একবার তাকাও?
ইশান দিশার দিকে তাকাতেই হেসে উঠলো।
এখন খুশি?
দিশা ইশান কে জড়িয়ে ধরে বললো শুক্রবার তো বাবার অফিস বন্ধ আছে।
তাহলে সেইদিন বাবা কে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যেও।
ইশান মাথা নাড়ালো।
দিশা তার শাশুড়ী আর ননদের সাথে বাবার বাড়ি চলে গেলো।
চলবে?????????
ভালো লাগলে অবশ্যয় লাইক এবং কমেন্ট করবে।