Love Marriage
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ
পর্ব ০৩
দিশা বিড়বিড় করতে করতে রুমে ঢুকলো।
ইশান তা দেখে বললো কি হয়েছে নতুন বউ এর?
চোখেমুখে এতো রাগ কেনো?
মনে মনে কাকে বকতেছো?
দিশা বললো আপনাকে।
ইশানঃ কেনো?
আমি আবার কি করলাম?
দিশাঃতোমার পাড়াপ্রতিবেশি রা জিজ্ঞেস করছে বাবা কি দিয়েছে?
বাবার বাড়ি থেকে কি কি আনছো?
তুমিই বলো বাবাকে আর কি দিতে হবে?
আমিও উলটা জবাব দিয়েছি কি দেবে আবার?
তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ টাই তো দিয়ে দিছে।
ইশানঃতারা কিন্তু ভুল কিছু বলে নি।
এমন হ্যান্ডসাম একটা জামাই পেয়েছো ভাগ্য করে।
কিছু তো দিতেই হবে।
দাম আছে না আমার একটা?
দিশা ইশানের কাছে এলো।
তার শার্টের কলার ধরে বললো কি বললে তুমি?
তোমাকে যদি দাম দিয়ে কিনতে হয়,
তাহলে তো আমাকেও দাম দিয়ে কিনতে হবে।
আমি আবার তোমার থেকে কম কিসের?
ইশান দিশার হাত দুটি শক্ত করে ধরলো।
আর বললো আমি তো দাম দিয়েই কিনেছি।
দেনমোহর তো আর কম না।
দিশাঃএই শোনো?
এটা তোমরা ইচ্ছা করে দাও নি?
এটা নিয়ম।
তাছাড়া মেয়েরা একটু বেশি মূল্যবান।
তাই তো তাদের দাম দিয়েই কিনতে হয়।
ইশানঃআচ্ছা ওসব বাদ দাও এখন।
আগে বলো আমাকে না বলে এতো সকালে উঠেছো কেনো?
দিশাঃতুমি ঘুমায়তেছিলে তখন।
তাছাড়া আমি নিজের ইচ্ছায় উঠি নি।
তোমার বোন অনবরত দরজা ধাক্কাতেই আছে।
তাই খুলে দিয়েছি।
ইশান দিশার হাত ছেড়ে দিলো।
এবার তাকে একেবারে কাছে নিয়ে আসলো।
আর বললো এইসব আজেবাজে বকবকানি শোনার জন্য বিয়ে করেছি?
দিশাঃকি করলাম আমি?
ইশানঃএখনো কিছুই বুঝতে পারছো না?
কাল রাতে ঘুমিয়ে পরেছিলে কেনো?
কাল কি ঘুমানোর রাত ছিলো?
দিশাঃঘুম ধরলে আমি কি করবো?
তোমার নিজের খেয়াল ছিলো না যে বউ টা একা একা ঘরে বসে আছে।
একটু তাড়াতাড়ি রুমে যাই।
ইশানঃতোমাকে বললাম না মার সাথে একটু দেখা করে আসি।
আর এই কয় মিনিটেই ঘুম ধরেছিলো?
দিশা কোন উত্তর দিলো না।
ইশানঃআচ্ছা,ঠিক আছে কালকের কথা বাদ দিলাম।
ঘুম ধরেছে তাই ঘুমিয়েছো।
কিন্তু আজ সকালে কখন উঠেছো যে আমি টেরই পেলাম না।
দিশাঃএটাও আমার দোষ?
বললাম তো তোমার বোন,,,,,,
দিশার কথা শেষ না হতেই ইশান দিশার মুখ টিপে ধরলো।
কোনো অজুহাত দেবে না।
আর যেনো এ ভুল না হয়।
মনে থাকবে?
দিশা বললো আমি কি ভুল করেছি সেটাই তো বুঝলাম না।
ইশান হাসবে না কাদবে তা বুঝে উঠতে পারলো না।
সে দিশা কে বললো আগে প্রেমিক প্রেমিকা ছিলাম।
এখন কিন্তু আমরা স্বামী স্ত্রী।
এখনকার জীবন আর আগেকার জীবনের মধ্যে অনেক তফাৎ।
এখন দায়িত্ব কর্তব্য অনেক বেশি।
সবসময় এই কথা টা মনে রাখবে।
বুঝেছো?
দিশা আবার মাথা নাড়লো।
ইশানঃবোঝনি?
দিশাঃনা।
ইশান তখন হাসতে হাসতে বললো যাও এক কাপ চা নিয়ে এসো।
দিশাঃতুমি সেই থেকে এটা বুঝাচ্ছিলে?
ইশানঃহ্যাঁ।।
বুদ্ধি আর তো হলো না।
শুধু ওই বকবকানি টাই পারো।
আর পারো গাল ফুলিয়ে বসে থাকতে।
দিশাঃকি বললে?
ইশানঃচা আনতে বললাম।
দিশা চা আনার জন্য কিচেন রুমে গেলো।
গিয়ে দেখে তার শাশুড়ী রান্না করছে।
দিশাঃমা,কি রান্না করছেন?
দিশার শাশুড়ী কোন উত্তর দিলো না।
দিশা এবার বললো মা,আমার জন্য এক কাপ গ্রীন টি আর আপনার ছেলের জন্য এক কাপ দুধ চা বানিয়ে দেন তো?
আমি ঘরে গেলাম।
রেডি হলে আমাকে ডাক দিয়েন।
সেই কথা শুনে দিশার শশুড় কাশতে লাগলো।
তার কাশি আর থামছে না।
দিশাঃকি হয়েছে বাবা?
পানি খাবেন?
দিশার শশুর কথা বলতেই পারছে না।
তিনি দিশার কথা শুনে অবাক হলেন।
দিশা নিজে চা না বানিয়ে তার শাশুড়ী কে অর্ডার করছে।
ইশানের বাবার এ অবস্থা দেখে ইশানের মা এগিয়ে আসলো।
তুমি কাশতেছো কেনো?
এই দিন টা দেখার জন্যই তো তুমি ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে টা দিলে।
তুমি খুশি হয়েছো তো?
তোমার শখ মিটেছে?
যে মেয়ে বিয়ে না হতেই বলে বিয়ের পর শাশুড়ী মা রান্না করে খাওয়াবে।
তবুও সেই মেয়েকেই ঘরে আনলে?
ইশানের বাবা বললো তুমি আবার আমাকেই দোষারোপ করছো?
আমার কিন্তু কোন দোষ নাই।
বার বার এসবের মধ্যে কেনো আমাকে টানছো?
তাছাড়া এই বিয়ে টা তো আমরা নিজের ইচ্ছায় করায় নি?
পরিস্থিতির কারনে করতে বাধ্য হয়েছি।
আর তোমার জামাই কে জিজ্ঞেস করো।
সেই দিয়েছে এই মেয়ের খোঁজ।
কথাটা শোনামাত্রই ইশানের দুলাভাই এর মুখ থেকে বিস্কুট পড়ে গেলো।
কারন ইনি মনের সুখে চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে ডুবিয়ে খাচ্ছিলেন।
বাবা,,,,,,,,
মানে,,,,,,,
আমি,,,,,
আমি কিছু জানি না মা।।।
আমার কাজ আছে।
আজকে আমাকে একটু দেশের বাড়ি যেতে হবে।
ইরা,,,,,,,,,,? কই তুমি?
আমি গেলাম।
এই বলে তাড়াহুড়ো করে ইশানের দুলাভাই চলে গেলো।
ইশানের মা বললো তোমরা এই বলদটার কথা শুনে মেয়ে দেখতে গেছো?
আমার ভাবতেই অবাক লাগছে তোমরা একটিবার আমাকে বলো নি?
যে মানুষ নিজে ইনকাম করে খেতে পারে না,
ঘর জামাই থাকে সে ভালো মেয়ের খোঁজ কি করে দেবে?
মা,,,,,,,?
চুপ করো।
যা মুখে আসে তাই বলো?
ওই মেয়ের খোঁজ তোমার ছেলেই দিয়েছে।
ওকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো।
অযথা আমার স্বামীকে গালি দিবে না।
আর আমি সারাজীবন এর জন্য এখানে থাকবো না।
শুধু সময়ের অপেক্ষা।
একটা চাকরি হলেই চলে যাবো।
আর জীবনেও আসবো না।
তুমি তখন একা একা তোমার এই প্রাসাদ নিয়ে থাকিও।
লাভ ম্যারেজ পছন্দ করি না,
লাভ ম্যারেজ করতে দেবো না ছেলেকে।
শেষমেষ ছেলে লাভ ম্যারেজ ই করেছে।
আর আমি লাভ ম্যারেজ করেছি দেখে কত কথা শুনতে হয়।
এদিকে নিজেরাও লাভ ম্যারেজ করেছে।
ওনার আদরের ছেলে ও করেছে।
ইরা মুখ বাঁকা করে এসব কথা জোরে জোরে বলতে বলতে তার রুমে গেলো।
ইশানের মা ইশানের বাবার কাছে আসলো।
কি বললো ও?
ইশান লাভ ম্যারেজ করেছে?
দিশা কে ও চয়েচ করেছে?
ইশানের বাবা বললো তুমি একটু বেশি বোঝো।
ও আমাদের কথা বললো।
আর বললো ইশান ও তো প্রেম করেছিলো।
সে ও তো ওই মেয়েকেই বিয়ে করতে চাইছিলো।
ইশানের মা বললো তুমি চুপ করো।
আমি ভুল শোনার মানুষ নই।
এই বলে ইশানের মা ইরার কাছে গেলো।
কি বললি তুই?
ইশান লাভ ম্যারেজ করেছে?
ইশানের বাবা মেয়েকে ইশারা করলো বলিস না মা।
ইরাঃকখন বললাম?
ইশানের মা বললো আমি তাহলে কি ভুল শুনলাম?
ইরাঃহ্যাঁ ভুলই শুনেছো।
আর যদি এটাই ঠিক হতো তখন কি হতো?
ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে?
বউ কে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিতে?
আমি একটা জিনিষ বুঝি না তুমি লাভ ম্যারেজ এ এতো বিরক্ত কেনো?
কেনো পছন্দ করো না?
যার যাকে ভালো লাগবে তাকেই তো বিয়ে করা উচিত।
সেই কথা শুনে ইশানের মা চলে গেলো।
ইরা তার বাবা কে বললো বাবা?
মা কেনো এমন করে?
আমি লাভ ম্যারেজ করেছি দেখে আমাকে আর তোমার জামাইকে একটুও সহ্য করতে পারে না।
ভাইকেও করতে দিতে চায় নি।
কিন্তু তোমরা তো লাভ ম্যারেজ করেই বিয়ে করেছো?
ইশানের বাবা বললো তোর মাকে গিয়ে বল?
সেই ভালো জানে কেনো এমন করে?
আর তুই কি করে সব বলে দিলি?
মেয়ে মানুষের পেটে আসলেই কথা থাকে না।
একটু কিছু হলেই সব সত্যি বলে দেয়।
আর যেনো এ ভুল না হয়।
দিশা খালি হাতে রুমে গেলো।
ইশানঃচা কই?
দিশাঃশাশুড়ি মাকে করতে বলেছি।
ইশানঃকি বলছো এসব পাগলের মতো?
মা এমনিতেই রেগে আছে তার উপর আবার তাকে রাগিয়ে দিয়ে এলে?
দিশাঃআমি সত্যি আর কিছু বলি নি।
ইশানঃআর কি বলতে হবে?
যা বলেছো তাতেই কাজ হয়ে গেছে।
আরে পাগল এসব বাড়ির বউ দের কাজ।
বাড়ির বউ সব কাজ করবে।
শাশুড়ী রা বসে থেকে খাবে।
আর তুমি শাশুড়ী কে হুকুম করেছো চা আনতে?
দিশাঃআনতে বলি নি তো।
শুধু বানাতে বলেছি।
আমি পরে গিয়ে নিয়ে আসবো।
ইশানঃচুপ করো।
খুব ভালো কাজ করো।
না জানি মা রাগে কি করছে?
দিশাঃএখানে রাগ করার কি হলো?
আর দুই কাপ চা বানাতে কতটুকু সময় লাগে?
ইশানঃআমিও তো সেটাই বলছিলাম।
এই কাজ টা নিজে করলে না কেনো?
শাশুড়ী কে করতে বলেছো।
হায় রে বউ তুমি?
দিশাঃকেনো এই নিয়ম?
শাশুড়ী রা রান্না করলে কি হবে?
ইশানঃকিছুই হবে না।
এটা দেখতে খারাপ দেখা যায় যে বউ বসে আছে আর শাশুড়ী রান্না করছে।
বড়দের সম্মান করতে হয় জানো না সেটা?
দিশাঃআমার কিন্তু একটুও ভালো লাগছে না।
তুমি সারাক্ষণ আমাকে উপদেশ দিতেই আছো দিতেই আছো।
আগেই তো ভালো ছিলাম।
সারাদিন ফোনে কত সুন্দর সুন্দর কথা বলতে।
কত ভালোবেসেছো!
আর এখন ভালো তো বাসছোই না শুধু বকা দিচ্ছো সারাদিন।
আমি কিন্তু বাড়ি চলে যাবো।
আর আসবো না।
থাকো তুমি তোমার বাড়ি তে।
ইশান দিশাকে জড়িয়ে ধরলো।
তখন তো সেই জন্যই বললাম প্রেমিক প্রেমিকা আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অনেক তফাৎ।
আগে তোমার কোনো দায়িত্ব ছিলো না।
মায়ে রান্না করে দিয়েছে তুমি বসে থেকে খেয়েছো।
আর সারাদিন আমার সাথে কথা বলেছো।
কিন্তু এখন তোমাকে আমার বাবা মার খেয়াল রাখতে হবে।
রান্না করতে হবে।
সংসারের সব কাজ সামলাতে হবে।
আবার স্বামীকেও ভালোবাসতে হবে।
তার সেবাও করতে হবে।
দিশা ইশান এর হাত দুটি সরালো।
আমার চাই না এ জীবন।
আমি পারবো না এসব করতে।
আগের জীবনই ভালো ছিলো আমার।
ইশান হাসতে লাগলো।
তাই???
শুধু সারাদিন ফোনে কথা বলতে এটাই ঠিক ছিলো?
দিশাঃহুম।
ইশানঃস্বামীর আদর ভালোবাসার প্রয়োজন নাই?
দিশাঃনা।
ইশানঃতাই?
দিশাঃবললাম তো হ্যাঁ।
ইশান দিশাকে জড়িয়ে ধরলো।
তারপর তার ঠোঁটে একটা কিস করলো।
দিশাঃকি হচ্ছে এসব?
ইশানঃআমিও জানি না।
দিশাঃমানে?
ইশান দিশার ঠোঁটে হাত দিলো।
চুপ করো।
আর কোনো কথা না।
এই বলে দিশা কে আদর করতে লাগলো।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো।
ইশান আর দিশার খাবার খাওয়ার কোনো খেয়াল ই নাই।
হঠাৎ দিশা বললো আচ্ছা তোমার ক্ষুধা লাগে নি?
ইশানঃহ্যাঁ লাগছে তো।
দিশাঃতাহলে আমরা খাচ্ছি না কেনো?
ইশানঃকি খাবে?
তুমি কি রান্না করেছো?
দিশাঃএ বাড়িতে কি শুধু আমি আছি?
আর কেউ নাই?
ইশানঃআবার অন্যজনের সাথে নিজের তুলনা করো?
এ বাড়িতে অনেক লোক থাকলেও বউ কিন্তু একটাই।
তাই কারো সাথে কাজের ভাগ না করে নিজেই করবে।
বুঝেছো?
দিশাঃএকটা কাজের লোক রাখলেই তো হয়?
ইশানঃমা,এসব বাহিরের লোকের হাতের রান্না খায় না।
দিশাঃআমিও তো বাহিরের লোক।
ইশান হাসতে লাগলো।
তা বাহিরের লোক আমার ঘরে কি করো?
তাও আবার আমার খাটে,আমার সাথে।
দিশাঃএটা আমার স্বামীর,,,,,,,,,,
ও,,,,,
আমি তো বাহিরের কেউ না।
এটা তো আমার নিজের শশুড় বাড়ি।
নিজের স্বামীর বাড়ি।
ইশান দিশার কপালে একটা কিস করলো।
আর বললো বুদ্ধিমানদের বেশি বোঝাতে হয় না।
আমার বউ টা অনেক বুদ্ধিমতী।
দিশাঃতুমি না বলো আমার বুদ্ধি নাই।
ইশানঃসেটা তো এমনি রাগানোর জন্য বলি।
দিশাঃআমাকে রাগিয়ে কি লাভ তোমার?
ইশানঃগাল ফুলিয়ে বসে থাকো,
কথা বলতে চাও না,
হাত ধরতে দাও না,
এগুলো খুব ভালো লাগে আমার।
দিশাঃআজ থেকে তাহলে সবসময় এগুলোই করবো।
তার জন্য আমার মন খারাপ করে রাগানোর কি দরকার?
ইশানঃসবসময় কি আর এক জিনিষ ভালো লাগে?
কখনো রাগলে ভালো লাগে।
আবার কখনো হাসলে।
কখনো বকলে ভালো লাগে।
আবার কখনো আদর করলে।
কখনো ভালোবাসলে।।
আবার কখনো কখনো কাঁদলেও ভালো লাগে।
দিশাঃতাহলে কি আমাকেও একসময় ভালো লাগবে না তোমার?
ইশানঃতাই মনে হয়?
দিশাঃতুমিই তো বললে সবসময় এক জিনিষ ভালো লাগে না।
ইশান দিশাকে বুকে জড়িয়ে নিলো তুমি আসলেই একটা পাগল মেয়ে।।।
আমি তোমার মুডের কথা বলছি।
তোমার কথা না।।
তুমি কখনো হাসবে।
কখনো আবার কাঁদবে।
কখনো রাগ করবে।
আবার কখনো আমাকে অনেক অনেক ভালোবাসবে।
দিশা ইশান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
যদি কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো তখন কিন্তু একেবারে খুন করে ফেলবো।
ইশানঃকই যাবো আর?
সব পথ তো বন্ধ।।।
আমি শুধু তোমাতেই অন্ধ।
শুধু তোমাকেই ভালোবাসতে চাই হাজার উপায়ে প্রিয়।
দিশাঃতুমি তো দেখি কবি হয়ে গেছো?
ইশানঃএবার একটু বাহিরে যান।
খাবার দাবার যদি কিছু পান।
তাহলে সেটা কষ্ট করে একটু নিয়ে আসেন।
দিশা ইশানের এমন ছন্দ শুনে হাসতে লাগলো।
আর রান্নাঘরে গেলো খাবার আনতে।
চলবে,,,,,,,,,,,,