Khatarnak Isq Part-11

0
2314

#Khatarnak_Isq.[Impossible Love]
#Sumaiya_Moni.
#Part_11.
_______________________
হাওয়ায় ভেসে রয়েছে এলেনের দেহ। গা থেকে আলোর রশ্মি বের হচ্ছে। রুমটিতে তখনো বাতাস বইছে খুব জোরে। বইয়ের ভেতর থেকে রেড আলো বের হয়ে এলেনের গায়ে প্রবেশ করছে। ধীরে ধীরে এলেনের শরীরের ক্ষত গুলো সেরে যাচ্ছে। পুরো ক্ষত সেরে যাওয়ার পর এলেন চোখ মেলে তাকায়। শোয়া থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। এখনো হাওয়ায় ভেসে আছে। বইটি বন্ধ হয়ে যায়। এলেন উল্টো দিক ঘুরে রয়। মাথা উপরের দিকে তুলতেই চোখ জোড়া লাল দেখা যায়। সর্বশক্তি দিয়ে জোরে চিৎকার করে এলেন। সাথে সাথে এলেনের পিঠের পেছন থেকে কালো রঙের বড়সড় দুটি পাখা বেরিয়ে আসে। সামনের দিক ঘুরতেই এলেন ড্যাড,এরোন,ইয়াঙ্ক কে দেখতে পায়। তারা এলেনকে সুস্থ দেখে খুশি হয়। কিংয়ের চোখ জোড়া খুশিতে চকচক করে ওঠে। এলেন তাদের পাত্তা না দিয়ে জানালা ভেঙে বেরিয়ে যায় বাহিরে। ডাকা ঝাপটে আকাশে উড়তে থাকে।

চট করে এলেনের মনে পড়ে আলফির কথা। এলেন রাগী মুড নিয়ে আলফির বাড়ির দিকে যেতে শুরু করে।
.
.
-“আলফি আরলেনকে মারো নি তুমি?” জিনান প্রশ্ন করেন।

আলফি চুপ।

-“আলফি আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি।”

-“নাহ! মারতে পারিনি। কারণ আমার দ্বারা কাউকে হত্যা করা সম্ভব নয়।” আলফি ঝাড়ি দিয়ে বলে।

-“অসম্ভব কে সম্ভব করতে হবে। কেন বুঝতে পারছো না তুমি?”

-“মামা কিছুক্ষণের জন্য আমি একটু একা থাকতে চাই।”

-“আলফি!…”

আলফি বারান্দা থেকে ডানা ঝাপটে উড়ে যায় আকাশে। জিনানের ভীষণ রাগ হচ্ছে।

-“মামা,আপনি টেনশন করবেন না। আমি ব্যাপারটা দেখছি। আলফিকে বুঝাবো নে।”

-“আলফিকে বলো আরলেন কে যেন তাড়াতাড়ি মেরে ফেলে।”

-“জী,আমি বলব।”

জিনান রুম থেকে বের হয়ে যায়। ইয়ান বারান্দায় এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
-“কোথায় গেল মেয়েটা।”
.
.
মুখ গোমড়া করে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। উড়ে কোথায় যাচ্ছে সেটা জানে না। মনের মধ্যে যন্ত্রণা দায়ক একটি পাথর পড়ে আছে। সরে যাওয়ার কোনো ওয়ে নেই। আচমকা বাতাশের বেগে আলফিকে কেউ জড়িয়ে ধরে সামনে থেকে। আলফির চুল খোলা ছিল। মুখের উপর চুল গুলো পড়ে আছে। যার কারণে ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছে না। হাত দিয়ে চুল সরাতে নিলেই সামনে থেকে বাতাস আসে। সব চুল মুখের উপর থেকে সরে যায়। এলেনের চেহারা আলফির সামনে স্পষ্ট হয়। আলফির কাছে বেশ অবাক লাগছে এলেনের পরিবর্তন দেখে। পিঠে ওর মতো পাখা দেখে আলফির আরো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। এলেন গম্ভীর কন্ঠে বলে,
-“কী? চিনতে কষ্ট হচ্ছে?”

আলফি কপাল কুঁচকে ফেলে।

-“আমি সেই! যাকে অর্ধেক মেরে ফেলেছিলে।”

আলফি চুপ করে আছে।

-“কেনো মেরেছিলে আমায়? তোমার মামার কথা শুনে?”

কথা বলার ভাষা আলফির নেই। এলেন সব কথা শুনে ফেলে আলফির বাসায় এসে।

-“মারতে যখন চেয়েছিলে তখন মেরে ফেলোনি কেন? কিসের আপত্তি ছিল আমাকে মারতে?”

আলফি এবারও চুপ।

-“একটি বারও যাচাই করে দেখলে না,কে বা কারা ঐ নিরীহ মানুষদের মেরেছে।”

আলফির কপালে ভাজ পড়ে।

-“স্যাম,আমাদের রাজ্য থেকে বেরিয়ে নেকড়েদের সাথে যোগ হয়েছে। সে এসব তান্ডব বাঁধিয়ে যাচ্ছে।”

এলেন আলফিকে ছেড়ে দেয়। উল্টো দিক ফিরে বলে,
-“আমি আগের মতো সাধারণ ভ্যাম্পায়ার আর নই! ভ্যাম্পায়ার মন্সটার।”

আলফি আতংক নিয়ে এলেনের দিকে তাকায়।
এলেন আলফির চোখের দিকে তাকিয়ে মৃদ কন্ঠে বলে,
-“তুমি আমাকে ভালোবাস না জানি। কিন্তু আমি তোমাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসি। হ্যাঁ! এটাও জানি আমাদের মিল হবে না। আগে তুমি বলতে। এখন আমি বলবো। আমার কাছ থেকে দূরে থেকো আলফি। ইউ টেক কেয়ার! ”

এলেন চলে যায় কথা শেষ করে। আলফি এলেনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলতে থাকে। এলেনেরও যে কষ্টে বুকটা ভার হয়ে গেছে। আলফি চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। এলেনের কথা গুলো শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে।
এলেন রাজ্যে ফিরে আসে। কক্ষে এসে সোফায় গা এলিয়ে দেয়। মনের মধ্যে পাথর পড়ে আছে। সরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এরোন এলেনের কক্ষে এসে পাশে বসে মৃদ কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
-“শেষ করে দিলি ভালোবাসা।”

এলেন চুপ করে আছে।

-“ভালোবাসা জাত-ধর্ম দিয়ে হয় না।”

-“আই নো…।” এলেন গম্ভীর কণ্ঠে বলে।

-“তাহলে?”

-“আলফি আমাকে ভালোবাসে না।”

-“নিজ মুখে বলেছে?”

-“নাহ!”

-“তাহলে তোর ভুল ধারণা।”

-“সঠিক!”

-“উঁহু! ভুল। লিনা আমাকে ভালোবাসে। সেটা আমি যখন ওঁকে কঁড়া ভাবে জিজ্ঞেস করি তখনি বলে দিয়েছে। এই জন্য লিনা আমাকে দেখে হাসত।”

-“তোর সত্যিটা জানিয়েছিস?”

-“হ্যাঁ! তবে প্রথম ভয় পেলেও এখন ওর দুনিয়া জুড়ে আমি আছি।”

এলেন বাঁকা হাসে। বলে,
-“তুই লাকি!”

-“আমার থেকে তুই বেশি লাকি।”

এলেন তাচ্ছিল্য হাসে।

-“হাসিস না!আমি যদি মানুষকে ভালোবাসতে পারি। তাহলে তুই কেন একজন পরীকে ভালোবাসতে পারবি না। হবে না হয় এটা #Khatarnak_Isq. সমস্যা কী?”

Khatarnak_Isq কথাটা শুনে আলফির কথা কথা গুলো মনে পড়ে। আলফি ওঁকে এই কথা গুলো বলেছিল। এলেন সোজা হয়ে বসে। ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটিয়ে বলে,
-“নিউ প্রেমের কাহিনি হবে #Khatarnak_Isq.কিন্তু তার আগে স্যামের খবর নিতে হবে।” বলেই ওঠে যায় এলেন। এরোন এলেনের কথা ঠিক বুঝতে পারেনি।
___________________

সকালে………

ঘুম থেকে ওঠতে আলফির দেরি হয়ে যায়।ফোনের কথা মনে পড়তেই মনে পড়ে কাল রাত থেকে ফোনের কোনো খোঁজ খবর ছিল না। বালিশের পাশ থেকে ফোনটি নিতেই জনের নাম্বার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। আলফি কল ব্যাক দিতেই জন রিসিভ করে বলে,
-“হেই আলফি! আজ রাতে আমাদের বাড়িতে এসো। ছোট্ট পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। ”

-“কিসের?”

-“এমনি!চলে এসো।”

-“নট!”

-“হোয়াই?”

-“কোনো কারণ নেই।”

-“তাহলে আসতে হবে।”

-“কিন্তু….হ্যালো..হ্যা..বদ ছেলেটা লাইন কেটে দিয়েছে।”

আলফি ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে। রাতে বলা এলেনের কথা মনে পড়তেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে। তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে নেমে যায়। কিছুতেই এলেনের কথা মনে করতে চায় না আলফি। ভুলে যাওয়াই শ্রেয়।
.
.
কাল রাতে কয়েকজন নেকড়েদের মৃত দেহ পাওয়া গেছে জঙ্গলে। স্যামের কাছে এ খবর পৌঁছে গেছে খুব দ্রুত। এলেনের নতুন রূপের ব্যাপারে সবার কাছেই অজানা। এটা গোপন রাখতে বলেছে কিং এবিল। স্যাম ভেবে পাচ্ছে না কে এই কাজ করল। কে মারল ওর লোকদের। নেকড়ে রা ভয় আছে। যখন তখন তাঁদের মৃত্যু হতে পারে এই ভেবে।
স্যামও বেশ আতঙ্কের মধ্যে আছে। লোক বাড়াতে হবে নিজের দলে। তার জন্য ভ্যাম্পায়ার লাগবে। স্যাম নেকড়েদের আদেশ দেয় মানুষ ধরে নিয়ে আসতে। তাঁদের কে ভ্যাম্পায়ার বানাবে স্যাম। এবং নিজের দলে সামিল করবে।
______________

লিনা,ম্যারি,এনা আলফির কাছে আসে। এখান থেকেই নাকি তারা পার্টিতে যাবে। আলফি যাওয়ার জন্য রাজি ছিল না। ওদের তিনজনের জোরাজোরিতে রাজি হয়ে যায়। আলফি এখন নিরুপায়। তবে আলফি খেয়াল করে লিনা কেমন যেন অন্যরকম ব্যবহার করছে। এনা,ম্যারির আড়ালে লিনাকে রুমে নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে,
-“তুই কী এরোনকে লাভ করিস?”

-“তুই বুঝলি কী করে?” অবাক হয়ে বলে লিনা।

আলফি কপালে হাত দেয়। আসলে আলফি না জেনে কথাটা বলেছিল জাস্ট বারি দেওয়ার জন্য। কিন্তু লিনা সত্যি বলেদিয়েছে।

-“কি হলো বল। তুই কী করে জানলি?”

-“আমি জানি না। জাস্ট তোকে জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু তুই সত্যি টা বলে দিলি।”

-“কী বলিস। যাক তুই জানলে সমস্যা নেই।” মৃদ হেসে বলে লিনা।

-“এরোনের সত্যিটা জানিস তো?”

লিনার কপাল কুঁচকে যায়। বলে,
-“তুই এটাও জানিস?”

-“হ্যাঁ।”

-“যেনে গেলি এরোন ভ্যাম্পায়ার। আর কি কি জানিস তুই বল। আমার মনে হয় তুই মানুষ না।”

-“আসলেই! আমি মানুষ না।”

লিনার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। আলফি ফিক করে হেসে দিয়ে বলে,
-“আমি জ্যোতিষি!”

-“হাট!”

-“এই যাহ! বিশ্বাস করলি না।”

-“মোটেও না। এখন বল তুই এরোনের সত্যি টা কিভাবে জানলি?”

-“ঐযে,তোকে খোঁচা দিয়ে।”

-“শীট! তুই অনেক চালাক আলফি।”

-“মানলি তো!” ভাব নিয়ে বলে আলফি।

-“হু। বাট আলফি এরোনের ব্যাপারে কাউকে বলিস না। ও খারাপ ভ্যাম্পায়ার না।”

-“তাই।”

-“হুম! আমি সত্যিই এরোন কে খুব ভালোবাসি। ওঁকে ছাড়া নিজেকে অন্য কারো সাথে ভাবতে পারি না। ভ্যাম্পায়ার তাতে কি। আমার ভালোবাসা সত্যি!”

লিনার আবেগি কথা শুনে আলফি চুপ হয়ে যায়। মনে পড়ে যায় কাল রাতের এলেনের কথা। লিনা যদি মানুষ হয়ে এরোনকে ভালোবাসতে পারে। তাহলে আমাদের সমস্যা কী?

-“আলফি! আমার কথা শুনছিস তুই?”

-“হ্যাঁ… হ্যাঁ। ”

-“বুঝতে পারছিস তো আমি কতটা ভালোবাসি এরোনকে।”

-“হুম।”

তখনি ওদের মাঝে এনা এসে উপস্থিত হয়। খুশি মুডে বলে,
-“আলফি,আলফি…আমি পাগল হয়ে যাব।”

আলফি সরু চোখে তাকিয়ে বলে,
-“যা! তাহলে।”

-“আরে দূর! কথাটা শোন। এলেন আমাকে কল দিয়ে বলেছে পার্টিতে আসলে কালো রঙের ড্রেস পড়ে আসতে। এলেনও নাকি কালো রঙের পোশাক পড়ে আসবে। ”

এনার কথা শুনে আলফির রাগ লাগছে। তারপরও হেসে হেসে বলে,
-“তারপর! ”

-“দেখ! এখন তারপর তারপর শুরু করবি না।তোর স্বভাব ভালো না।”

-“তারপর! ”

-“আলফি?”

-“সামনে দাঁড়িয়ে আছি দেখতে পাচ্ছিস না?”

-“দোস্ত প্লিজ! এমন করিস না। আমি এলেনকে লাভ করি। ওঁকে না পেলে আমি মরে যাব।”

-“ওভার অভিনয়! ” বলেই আলফি লিনা হাসতে লাগল।

এনা রাগে ফোম ফোম করছে।বলে,
-“থামবি না তোরা।”

-“আচ্ছা বল।”

-“আমি আজ এলেনকে প্রপোজ করবো।”

-“লিনা তুই এনার কথা গুলো শুনে রাখ। পরে আমাকে বলিস ওকে।” বলেই আলফি চলে যায়।

লিনা এনার দিকে তাকিয়ে বলে,
-“হুম তারপর বল এনা।”

-“তারপর আমার মাথা।”

-“সাথে এলেনেরটাও।” বলেই দৌড় লিনা।

-“লিনা!”
.
আলফি অন্য রুমে এসে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। কারণ আলফি ভালো করেই জানে এলেন এখন যা করবে সব আলফিকে জেলাস ফিল করার জন্য করবে। আলফি নিজেও কম কিসে। এলেনকে ওর কাছ থেকে সরানোর এটাই ভালো চান্স। ইয়ানের রুমে এসে রাতের পার্টির কথা বলে। ইয়ানকেও সাথে নিয়ে যাবে আলফি। এবার হবে খেলা। ভেবেই আলফির হাসি পাচ্ছে।

রাতে……..

তিন বান্ধবী এক প্রকার যুদ্ধ করেই ইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। জনের বাড়িতে এসে দেখে এলেন,এরোন আগে থেকেই উপস্থিত। আলফি ইচ্ছে করেই এলেনের দিকে তাকায়নি। এলেন মুড নিয়ে বসে আছে সোফায়। এনাকে ইশারায় কাছে আসতে বলে এলেন। এনা খুশিতে গদগদ করে এলেনের পাশে বসে। আলফির তাতে কিছু যায় আসে না। এলেনকে দেখিয়ে আলফি ইয়ানের গা ঘেঁষে বসে। সবাই একে অপরের সাথে কথা বলতে থাকে। এলেন এনার হাত ধরে আলফিকে দেখিয়ে। আলফি ওর মাথাটা ইয়ানের কাঁধে রাখে। এলেন এনার গা ঘেঁষে বসে। আলফি হাই তুলে ইয়ানের হাত জড়িয়ে ধরে।
এলেন ভেতরে ভেতরে রাগে বোম হয়ে যাচ্ছে। একটু নাড়া দিলেই ফেঁটে যাবে। আলফির তাতে কিছু যায় আসে না।

এলেন এক পর্যায় বসে না থেকে এনাকে নিয়ে কাপল ডান্স করতে থাকে। এনা তো সেই লেভেলের খুশি। আলফি এবার বড় হাই তুলে ইয়ানের পিঠে মাথা রাখে। ইয়ান জাস্ট চুপ করে আলফির কাণ্ড গুলো দেখে যাচ্ছে। পিঠে মাথা রেখে মজা পাচ্ছে না। আবার কাঁধে মাথা রাখে। নাহ! এবারও মজা পাচ্ছে না। আলফি এবার ইয়ানের কোলে মাথা রাখে। এলেন এটা দেখে রাগে দাঁতে দাঁত চেপে এনার হাত শক্ত করে ধরে। এনা ব্যাথায় ‘আহহ!’ করে। এলেন হাত ছেড়ে দেয়। স্পেশাল শক্তি দিয়ে সময় বন্ধ করে দেয়। সব কিছু স্টপ হয়ে যায়। আলফি সেটা বুঝতে পেরেও চুপ করে ইয়ানের কোলে শুয়ে থাকে। এলেন তেড়ে এসে আলফির হাত ধরে চট করে দাঁড় করায়। রেগে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,
-“সমস্যা কি? ঠিক মতো এক জাগায় বসতে পারো না নাকি?”

-“আমি বসে থাকি,দাঁড়িয়ে থাকি,শুয়ে থাকি তাতে আপনার কি? আপনার তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথায় নয়। আপনি তো দিব্যি ডান্স করছেন এনার সাথে। ওয়েট! একটা পোঁড়া গন্ধ নাকে আসছে।” আঙুল তুলে বলে আলফি।

-“হ্যাঁ! আমার হৃদয় পুঁড়ছে।” ঝাঁড়ি দিয়ে বলে এলেন।

-“কে যেন,কী বলেছিল কাল… আমার কাছ থেকে দূরে থাকো আলফি।” অন্যমনস্ক হয়ে ভাবতে ভাবতে বলে আলফি।

সহ্যের সীমা পার হয়ে গেছে। এলেন আলফির বাহু জোরে চেপে ধরে ধমক দিয়ে বলে,
-“মজার পাত্র পেয়েছো আমায়। কী ভাবো তুমি নিজেকে? ভালোবাসা কী বুঝো? কখনো ভালোবেসেছো কাউকে। প্রিয় মানুষটিকে অন্য কারো সাথে দেখলে কতটা পুঁড়ে বুঝো তুমি?”

আলফি নরম ভঙ্গিতে এলেনের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। এলেন আলফিকে ছেড়ে দেয়। নরজ সরিয়ে মুখ থেকে ‘স্যরি’ উচ্চারণ করে চলে যায়। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারে না। তার আগেই আলফি এলেনের সামনে এসে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। কান্না জড়িত কন্ঠে বলে,
-“সব কিছু বুঝি আমি। এটাও বুঝতে পেরেছি কায়রা তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। থাকতে পারবে না তোমাকে ছাড়া। She Love Her. She Love Her Alen…..।”
.
.
.
.
.
.
Continue To…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে