#Khatarnak_Isq.[Impossible Love]
#Sumaiya_Moni.
#Part_04.
_______________________
রাতের আঁধার নেমে পুরো জঙ্গল অন্ধকারে পরিনত হয়েছে। আকাশে অর্ধেক চাঁদ আলো ছড়াচ্ছে চারদিক। শাঁ শাঁ করে বাতাস বইছে। সেই বাতাসের বেগ দেখে মনে হচ্ছে ঝড় শুরু হবে। এগারোটার দিকে আলফি,জন,ম্যারি,লিনা,এনা,জি-তাও ওরা সবাই ঘুমাতে চলে চায়। সারাদিন ঘুরাফেরা ও খাটাখাটুনি করার ফলে শরীর ক্লান্ত ছিল। যার কারণে বিছানায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যায়। সবাই ঠিকিই ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু আলফি জেগে ছিল।একটি টর্চ লাইট হাতে নিয়ে টেন্টের ভেতর থেকে বের হয়ে এলো। জন দের টেন্টের দিকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখে হাঁটা শুরু করল। বিদঘুটে অন্ধকার। চাঁদের আলোয় ও টর্চের আলোয় যে টুকু দেখা যাচ্ছিল তাতেই আলফি সুন্দর ভাবে নির ধিদায় পথ পাড়ি দিচ্ছিল। আলফির মনে ছিল না ভয়ের ছিড়ে ফোঁটা। কারণ আলফি জানত সে মানুষ না। আস্তে আস্তে হেঁটে আলফি চলে আসে ছোট একটি পাহাড়ের কাছে। পিছনে ছিল তার চেয়ে আরো বড় পাহাড়। এই পাহাড় দুটি আলফি বন্ধুদের সাথে জঙ্গল ঘুরে দেখার সময় দেখেছে। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এই পাহাড় দুটি আলফি বাদে ওর বন্ধুরা কেউ দেখেনি।এতে আলফির অবাক লাগলেও তেমন একটা গুরত্ব দেয় না। কারণ আলফি জানে দুনিয়াতে যেমন ভালো মানুষ আছে তেমন খাবার মানুষ আছে। তেমনি কিছু অদ্ভুত প্রাণী,অদ্ভুত বস্তুও আছে লুকিয়ে আছে। কেউ দেখতে পায় তো কারো কাছে অজানা। আলফি প্রথম যখন ওর বন্ধুদের পাহাড়ের কথা জিজ্ঞেস করেছিল তখন ওরা দেখতে পাচ্ছে না বলেছে। এটা বলার সাথে সাথে আলফি আর কথা বাড়ায় না অনেক দূরে এসেগেছে বিধায় টেন্টে চলে আসে।
আলফি এখন ছোট পাহাড়টির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে, পিছনের পাহাড়টির কাছে আসে। পাহাড়টির দিকে তাকাতেই আলফি চমকে যায়। দু পা পিছিয়ে যায়। কারণ স্বপ্ন দেখা অদ্ভুত পাহাড়টির সন্ধান আজ খুঁজে পেল। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পাহাড়ের ভেতরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। কিন্তু আলফি জানে পাহাড়ের প্রথম কদম কি হবে। তাই ভেতরে যাওয়ার সাহস করলেও ধমিয়ে যায়। কিন্তু ভেতরে তো যেতেই হবে। আর না হলে রহস্যের উদঘাটন হবে কি করে? টর্চ হাতে দু তিন কদম সামনে এলো। আল্লাহর নাম নিয়ে ডান পা রাখতেই পাহাড়টি কাঁপতে লাগলো। আলফি এবার ভয় পায় না। সামনে কি হবে সেটা ওর জানা আছে। পাহাড় কাঁপা অবস্থায় দৌঁড়ে ভেতরে চলে আসে। আর পেছন থেকে মাটি ভেঙে ভেঙে সরে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আলফি যতোটুকু পেরেছে দৌঁড়ে একদম ভেতরে চলে আসে। হঠাৎ থেমে যায় একটি সবুজ আলোর রশ্মি দেখে। এদিকে পেছনে তাকিয়ে দেখে পাহাড়টি ভেঙে যাচ্ছে, জোরে কাঁপছে। আলফি কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। দাঁড়িয়ে থাকলে ভেঙে পাহাড়ের নিচে তলিয়ে যাবে।
দিকদিশা না পেয়ে সবুজ আলোর রশ্মির উপর হাত রাখল। এবার আরো জোরে জোরে পাহাড়টি কাঁপতে লাগলো। আলফি ভয় পেয়ে যায়। ভাবছে কেন হাত দিল সবুজ রশ্মির উপর। দু হাত দিয়ে কান চেপে মাটিতে বসে পড়ল। মনের মধ্যে ভয়।আজ মৃত্যু নিশ্চিত!
অন্যপ্রান্তে পাহাড়ে পা রাখতেই একটি লোকের কাছে তার আলামত চলে যায়। তাঁর ঠোঁটে জয়ের হাসি ফুটে ওঠে। দেরি না করে তার পিছনের পাখা দ্বারা উড়ে আসতে থাকে পাহাড়ের কাছে।
কিছুক্ষণ পর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। পাহাড়ের কাঁপনি থেমে যায়। পায়ের নিচে মাটি ঠিকঠাক ছিল।আলফি আস্তে করে চোখ তুলে তাকায়। টর্চ লাইট টা খুঁজতে শুরু করে। ওর থেকে কিছুটা দূরে টর্চ লাইট খুঁজে পায়। হাতে নিয়ে সামনের দিকে তাক করে। সেখানে পাহাড়ের সবুজ রশ্মিটা বন্ধ হয়ে গেছে। যেটা কিছুক্ষণ আগে জ্বলছিল। আলফি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। ওখানে একটি হাতের পাঞ্জা আর্ট করা ছিল। আলফি ওর হাতের পাঞ্জা ও সেই আঁকা পাঞ্জার দিকে তাকাল। সেম,সেম মনে হচ্ছে। আলফি ওর হাত সেই আর্ট করা পাঞ্জার উপর রাখতে চায়। সময় নষ্ট করে না। আজ সব রহস্যের উদঘাটন করবেই। তাতে যদি প্রান যায় যাক! ভয়কে জয় করে হাত রাখল সেখানে। চট করে আলফি ছিঁটকে পাশের পাহাড়ের সাথে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে যায়। আলফি ব্যাথা পায় বুকে। জড়োসড়ো হয়ে কাত হয়ে যায়। এদিকে পাথরের ভেতর থেকে একটি মাজারি আঁকারের তলোয়ার বেরিয়ে এলো। তলোয়ারের আলোয় পাহাড়টি চারদিক আলোকিত হয়ে যায়। আলফি ওঠে বসে হাত চেহারার উপর দিয়ে রাখে। এত আলোতে তাকানো যাচ্ছে না। আস্তেধীরে হাত সরিয়ে তলোয়ারটির দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায়। সাদা চকচকে তলোয়ার। মাথায় রুপর ডিজাইন আর্ট করা।আলফি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ওঠে দাঁড়িয়ে ধীরে পায়ে তলোয়ারটার কাছে এগিয়ে আসে। ঘোরের মাঝে আছে আলফি। একি ভাবে তাকিয়ে তলোয়ারটি স্পর্শ করতে গিয়ে আবার ছিঁটকে পাহাড়ের পাশে পিঠে বারি খায়। মাটিতে পড়ে যায়। এবারও ব্যাথা পায় বুকে। বুকে হাত রেখে আস্তে ওঠে বসে। ওঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করে। পাহাড় ধরে ওঠে দাঁড়িয়ে ফের তলোয়ারটির কাছে আসে। তলোয়ারের পাশে একটি ছোট্ট আরবি অক্ষরের চারটি লেখা ভেসে ওঠছে বার বার। ভালো করে তাকিয়ে অক্ষরটি পড়ার চেষ্টা করছে। আলফি কলেজে পড়ালেখা করলেও ছোট্টোবেলার ওর মামা জিনান ওঁকে আরবি পড়িয়েছে। যার দরুণ আলফি আরবি হরফ পড়তে পারে। দ্বিতীয় বার লেখাটি ভেসে ওঠতেই আলফি পড়ে ফেলে। সেখানে লেখা ছিল ‘রক্ত’। আলফি বুঝতে চেষ্টা করে রক্তটা কিসের জন্য লেখা হয়েছে।
মিলাতে থাকে। তখনি মাথা নাড়া দিয়ে ওঠে। তলোয়ার স্পর্শ করার পর ছিঁটকে দূরে পড়ে গিয়েছিল। যার মানে এটা দ্বারায় তলোয়ার স্পর্শ করতে হলে রক্তের প্রয়োজন। আলফি মিলাতে সক্ষম হয়। আশেপাশে ছোট্ট ধারালো পাথরের টুকরো খুঁজতে শুরু করে। আর পেয়েও যায়। ডান হাতের তালুর উপর পাথরের টুকরো দিয়ে টান দিতেই কেঁটে যায়। আলফি চোখ-মুখ খিঁচে বন্ধ করে নেয়। তারপর তাকিয়ে দেখে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তমাখা হাত দিয়ে তলোয়ারটির মেইন পার্ট জোরে চেপে ধরে। এবার আর ছিটকে পড়েনি বরং তলোয়ারটির ভেতর থেকে সাদা রঙের ধোঁয়া বের হয়ে আলফির শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে। আলফির শরীর ধোঁয়ার কারণে জ্বলষে যাচ্ছে। উপরের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার দেয়। আলফির পিঠের মেরুদণ্ড থেকে দুটি সাদা রঙের পাখা মতো পালক বের হতে শুরু করে। আস্তে আস্তে বের হতে হতে দুটি বিশাল বড় সাদা পাখা বেরিয়ে আসে। আলফির চিৎকারে পাহাড়টির মাঝখান ভরাবর ফাটল ধরে যায়। আলফি পাহাড় চিঁড়ে আকাশে উড়ে যায়। উপরে ওঠতে থাকে,আরো উপরে উড়তে থাকে। ডান হাতে ছিল তলোয়ার। আলফি হুঁশ ফিরে আসে। নিজের দিকে তাকিয়ে পিঠে পাখা দেখে অবাক হয়। হাতের তলোয়ারটি অন্য হাত দিয়ে স্পর্শ করে দেখতে থাকে। নিচে তাকিয়ে দেখে জমিন থেকে অনেকটা উপড়ে উড়ে আছে পিছনের পাখার দ্বারা। আলফির এখন আর ভয় করছে না। আলফি বুঝে যায় সে কে?’পরী’। নিজের বিষয় আজ সত্যিটা জানতে পেরে আলফি বেশ খুশি। তলোয়ার হাতে নিয়ে এদিক,সেদিক উড়ে বেড়াচ্ছে। খুব ভালো লাগছে আলফির।
কিন্তু বেশিক্ষণ উড়তে পারেনি। চলে আসে সেই পাহাড়ের কাছে। জমিনে পা রাখতেই আলফির পাখা দুটি ঘায়েব হয়ে যায়।
-“শাহজাদী!”
কারো নরম কন্ঠের স্বর শুনে আলফি পিছনে ফিরে তাকায়। তাকিয়ে দেখে একজন অর্ধবয়স্ক লোক ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখে মুক্তর মতো পানি চিকচিক করছে। হাঁটু গেড়ে বসে মাথা নিচু করে রাখে। আলফি বেশ অবাক হয় তাঁর এমন কাণ্ডে। এবংকি আশেপাশে তার মতো আরো অনেকেই এসে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে মাথা নিচু করে। আলফি বুঝতে পারছে না এরা কারা? আলফির মতো ডানাকাটা পরী রাও এসে ঝুঁকে পড়ে। আলফি আর চুপ থাকতে পারে না। তাদের উদ্দেশ্যে জোরে জোরে বলে,
-“আপনারা কেন এভাবে ঝুঁকে আছেন? আর কে শাহজাদী?”
কেউ কোনো উত্তর দেয় না। একি ভাবে ঝুঁকে বসে রয়।আলফি কিছুটা ধমকের স্বরে বলে,
-“আপনারা ওঠে দাঁড়ান।”
এই কথাটা শুনে সবাই ওঠে দাঁড়ায়। প্রথম আসা ব্যাক্তিটি একটু সামনে এসে বলে,
-” আপনি আমাদের জ্বীন রাজ্যের শাহজাদী। আমরা আপনার গোলাম। ”
-“আমি শাহজাদী? আপনি আর ওরা কারা?” সবার উদ্দেশ্যে বলে।
-“আমি ইমতিয়াজ। জ্বীন রাজ্যের সদস্য।আর আপনি শাহজাদী,ইফ্রিত জ্বীনের বংশধর। শুধু আপনি একা নয় আমরাও ইফ্রিত জ্বীন।”
-“আমার বাবা,মা কী ইফ্রিত জ্বীন ছিল?”
-“জ্বী!”
-“আমি শাহজাদী কি করে হলাম?”
-“আপনার বাবা ছিল জ্বীন রাজ্যের বাদশা। আপনি তাঁর কন্যা। এখন আপনি আমাদের শাহজাদী। জ্বীন রাজ্যের ভার এখন আপনার হাতে।”
-“আমার?”
-“হ্যাঁ।আপনার হাতে। আপনার জন্য এতটা বছর অপেক্ষা করেছি। জ্বীন রাজ্যের সিংহাসন পুরো খালি ছিল। এখন আপনি রাজ্যের ভার নিয়ে আমাদের ন্যায় দিন।”
-“ন্যায়?”
-“জি,আপনি আসুন আমাদের সাথে।” কথাটা বলতে বলতে হাওয়ার বেগে একটি সুরঙ্গ তৈরি করল ইমতিয়াজ। আলফির হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেল। ভেতরে যাওয়ার পর সবাই আলফিকে দেখে ঝুঁকে সালাম দেয়। আলফি সবার চোখে মুখে খুশির ঝলক দেখতে পাচ্ছে। ইমতিয়াজ নামের জ্বীনটি আলফিকে নিয়ে এসে একটি সিংহাসনের সামনে দাঁড় করায়।
ইমতিয়াজ নরম ভঙ্গিতে আলফিকে বলে,
-“আপনি আসোন গ্রহণ করুন শাহজাদী।”
আলফি তার কথা মতো বসে পড়ে সিংহাসনে। একটি মেয়ে কাশার থালার ভেতর হিরের মুকুট নিয়ে আসে। ইমতিয়াজ থালা থেকে মুকুটটি নিয়ে আলফির মাথায় পড়িয়ে দেয়। জ্বলজ্বল করা মুকুট আলফির মাথায় অনেক সুন্দর লাগছে। শাহজাদীর মতো লাগছে আলফিকে। ইমতিয়াজ জোরে চিল্লিয়ে বলে,
-“নতুন শাহজাদী কায়রাকে সবাই স্বাগতম জানাও। ”
সবাই মাথা হালকা ঝুঁকে স্বাগতম জানায়। আলফির মনে খটকা লাগে। ইমতিয়াজকে প্রশ্ন করে,
-“কায়রা কে?”
-“আপনি? এটাই আপনার আসল নাম। কায়রা মেহজাবিন।”
আলফির কাছে সবটা খোলাসা হলো।তখন ওর মামা জিনানের কথা মনে পড়ে,
-“আমার মামা জিনান কি মানুষ?”
-“না,সেও জ্বীন।”
-“তিনি….।”
-“আমি এখানে কায়রা।” জোরে চিল্লিয়ে বলে জিনান।
-“মামা।”
জিনান কায়রার কাছে এসে চোখের পানি মুছে বলে,
-“এই দিনটি দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। আজ পূরন হলো। এই রাজ্যের শাহজাদী তুই।”
-“সেটা ঠিক আছে মামা। তবে আমি জানতে চায় কী চলছে দুনিয়াতে। আমার বাবা,মা কি গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে নাকি তাঁদের কে কেউ মেরে ফেলেছে?”
ইমতিয়াজ বলে,
-“আমি সব বলছি। আপনি আপনার কক্ষে আসুন।”
কায়রাকে ওর মামা জিনান ও ইমতিয়াজ ওর নিজ কক্ষে নিয়ে আসে। সেখানের বিছানায় পাশে ছোট্ট সিংহাসনে কায়রাকে বসতে বলে।কায়রা সেখানে বসলে ইমতিয়াজ সব কিছু সংক্ষেপে খুলে বলে ।
কায়রার বাবা,মা গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায়নি। তাঁদের কে ভ্যাম্পায়ার কিংডমের রাজা এবিল ও তাঁর লোকরা মেরেছে। এবংকি জ্বীন রাজ্য দখল করতে চেয়েছিল। জ্বীনি তলোয়ার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। যেই তলোয়ারের মালিক এখন কায়রা নিজে। কায়রা সবটা বুঝতে পারে। ভ্যাম্পায়ারদের উপর রাগ-ক্ষোভ জাগে কায়রার মনে। বাকি কথা না বলতে দিয়ে কায়রা থামিয়ে দেয়। আসোন ছেড়ে ওঠে দাঁড়িয়ে বলে,
-“বুঝেছি,আর বলতে হবে না। এতদিন পুলিশ কর্মকর্তারা মেয়ে-ছেলে, কিশোর-কিশোরিদের রক্তশূণ্য ফ্যাকাসে লাশ উদ্ধার করেছিল।সেগুলো ভ্যাম্পায়ার দের হাতে শিকার হয়ে মারা যাওয়ার নিরীহ মানুষ গুলো।”
-“হ্যাঁ, শাহজাদী। প্রতি রাতে মেয়েদেরকে ওরা তাঁর শিকার বানায়। আমার হাত দিয়ে কত নিষ্পাপ জীবনকে মাটি চাপা দিয়েছি তার হিসাব নেই।” ইমতিয়াজ করুন স্বরে বলে কথাটা।
-“আর না। এখন ভ্যাম্পায়ার দের মৃত্যুর দিন এসে গেছে। আমি নিজে ওদের শাস্তি দেবো।” কায়রা রাগী কন্ঠে কথাটা বলে।
-“তুই পারবি কায়রা। কারণ জ্বীন রাজ্যের সব জ্বীন,পরীর থেকে তুই বেশি শক্তিশালী। তুই পারবি আমাদের জ্বীন রাজ্যকে রক্ষা করতে।” জিনান কায়রার মাথায় হাত রেখে বলে।
-“আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো। এই জ্বীন রাজ্যের জ্বীন জাতি ও মানুষদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবো।আমার উপর ভরসা রাখতে পারো মামা।”
-“ফজরের আজান পড়েছে। সকাল হতে চলল। কায়রা তুই ফিরে যা টেন্টে।”
-“হ্যাঁ মামা। আমাকে যেতে হবে।”
-“শাহাজাদী আপনি আপনার খেয়াল রাখবেন।”
-“জী শুকরিয়া। ” বলেই কায়রা কিছুক্ষণের মধ্যে উধাও হয়ে যায়।
চলে আসে টেন্টে। ভেতরে এসে ঘুমিয়ে যায়।
.
.
ভ্যাম্পায়ার কিংডম…….
এবিল গুপ্তচরের মধ্যমে জানতে পারে জ্বীন রাজ্যের শাহজাদীকে তারা ফিরে পেয়েছে। রাগে তার মাথার রগ টনটন করছে। রাজ কোষাগারে সব ভ্যাম্পায়ার দের ডেকে আনতে বলে ইয়াঙ্ককে। এবিল চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলে,
-“সবাই শোনো,এখন থেকে কেউ মানুষের রক্ত খাবে না। মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। জ্বীন রাজ্যের শাহজাদী ফিরে এসেছে। তোমাদের যদি মানুষের ক্ষতি বা রক্ত খেতে দেখে ফেলে তাহলে মৃত্যু হবে শাহজাদীর হাতে। তাই সবাই সতর্ক ভাবে থাকবে।”
এবিলের কথা সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনছিল, এলেন বাদে। এলেন ফোনে গেম খেলছিল। শাহজাদী বা শাহদাজাদা আসুক না কেন,তাতে এলেনের কিছু যায় আসে না। সব ভ্যাম্পায়ার দের চেয়ে এলেন ও এবিল শক্তিশালী। তাই ওর কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এলেন কথার মাঝে ওঠে চলে যেতে নিলে এবিল ডাক দেয়,
-“তুমি কি আমার কথা শুনতে পাওনি আরলেন?”
-“শুনেছি ড্যাড,বাট তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”
-“সাবধানে থেকো তুমি।”
-“সেটা আমাকে না বলে তোমার ভ্যাম্পায়ার দের বলো।”বলেই চলে যায় এলেন। পিছু পিছু এরোনও চলে যায়।
সকালে…….
.
.
.
.
.
.
Continue To………..