Khatarnak Isq Part-02

0
3112

#Khatarnak_Isq.[Impossible Love]
#Sumaiya_Moni.
#Part_02.
_______________________

পুরো কলেজ নিস্তব্ধ। ক্লাস হচ্ছে প্রতিটা কক্ষে। আলফিদের ক্লাস রুমে টিচার বই হাতে পড়া বুঝাচ্ছে। সবাই মন দিয়ে শুনছে। হঠাৎ-ই বাহিরে সোরগোল শুরু হয়ে যায়। হৈচৈ করছে সবাই। ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে কলেজ মাঠে যেতে শুরু করল সবাই। আলফিদের ক্লাস থেকেও ছাত্র-ছাত্রী রা বের হতে লাগল বাহিরে। কী হয়েছে তা দেখার জন্য। ক্লাস টিচার বের হবার পর আলফি,ম্যারি,লিনা,এনা,জয়,জি-তাও বের হয়ে গেল। মাঠে এসে সবাই ভিড় জমিয়েছে। সবার নজর ছিল ছয়তলা ভবনটির উপরে। একটি মেয়ে ছাদের রেলিঙ ধরে ঝুলে আছে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য জোরে জোরে চিৎকার করছে। সবাই এই দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে যায়। বেশ অবাক হচ্ছে সবাই মেয়েটিকে ঝুলে থাকতে দেখে? সবার রূহটা যেনো কেঁপে ওঠছে বার বার। কিছুক্ষণ আগেও পুরো ক্যাম্পাস টা নিরিবিলি ছিল। আর এখন চিৎকার চেঁচামেচিতে ভরপুর। স্যারেরা সবাই ফোন হাতে নিয়ে কাকে যেন ফোন দিচ্ছে। তাঁদের গাফলতি দেখে আলফি মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য চলে যেতে নিলে এনা হাত ধরে টেনে ধরে বলে,
-“কোথায় যাচ্ছিস?”

-“মেয়েটিকে বাঁচাতে।”

-“কোনো ধরকার নেই।”

আলফি এনার কথাটা শুনে অবাক হয়ে যায়। প্রশ্নবোধক চাহনি তাকিয়ে আছে এনার দিকে।তখনি ম্যারি ওদের হাতের ইশারায় ওপরে তাকাতে বলে। সবাই ওপরে তাকিয়ে দেখে একটি সুদর্শন ছেলে মেয়েটির হাত বরাবর দাঁড়িয়ে আছে। বাতাসে কপালে আসা চুল গুলো উড়ছে। সবাই চুপ হয়ে যায়। হৈচৈ থেমে যায়। স্যারদের চেহায়ার চিন্তা ছাফটা দূর হয়ে যায়। সবাই নজর বন্দী করে রেখেছে উপরের দিকে। ছেলেটি কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক হাঁটল। তারপর মেয়েটির হাত ধরে টেনে ওঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মেয়েটি একদম শেষ রেলিঙ ধরে ঝুলে ছিল । যার কারণে ওপরে তুলতে বেশ কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারপরও ছেলেটি হাল ছাড়েনি। রেলিঙের উপর ওঠে মেয়েটির হাত ধরে টেনে উপরো তুলল। এক এক করে রেলিঙের উপরে ওঠতে গিয়ে মেয়েটি হাত কিছুটা ছীলে গেছে। তারপরও ছেলেটির হাত ছাড়েনি।ছেলেটি শক্তি প্রয়োগ করে মেয়েটিকে ওপরে টেনে তুলে। মেয়েটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে লাগল। ছেলেটিকে কিছু বলতে যাবে তখনি সে চলে যায়। নিচের সবাই হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। কিছুক্ষণের মধ্যে ছেলেটি নিচে নেমে আসে। স্যাররা সবাই ছেলেটির দিকে এগিয়ে যায়। আর কিছু ছারী ও ম্যাডাম মেয়োটিকে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। সবাই ছেলেটির দিকে খুশি মুডে তাকিয়ে আছে।
আলফি সন্দেহ চোখে তাকায়। কেন জানি তার কাছে মানুষ নয়,অন্য কিছু মনে হচ্ছে ছেলেটিকে। আলফি সন্দেহজনক ভাবে এনাকে জিজ্ঞেস করে,
-“এই ছেলেটি কে?”

এনা খুশি মুডে বলে,
-“আরলেন জর্জ। সবাই এলেন বলে ডাকে। এই কলেজের ছাত্র ছিল। এখন তার পড়ালেখা কমপ্লিট। সব মেয়েদের ক্রাশ। দেখ মেয়েরা কিভাবে তাকিয়ে আছে। এলেনের ড্যাড ধনীদের মধ্যে একজন। ভাই-বোন নেই। এলেন একা।”

-“হইছে চুপ কর..। আর বলতে হবে না।” জয় বলে।

-“কেন? তোর জ্বলছে।” এনা আড়চোখে তাকিয়ে বলে।

-“নাহ! লাল বান্দর,সাদা বান্দর মেয়েদের ক্রাশ হয় কিভাবে বুঝি না।”

-“স্টাইল তুই কি বুঝবি। তুই তো চুপই থাক।”

ওদের মাঝে তর্ক শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এতে আফলির কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। এখনো আলফি এলেনের দিকে তাকিয়ে আছে। এলেন স্যারদের সাথে কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। আলফি পিছন থেকেও নজর স্থির করে রেখেছে এলেনের দিকে ।

-” আলফি! কার স্বপ্নে ডুবে আছিস?” ম্যারি কাঁধে হালকা ধাক্কা দিয়ে প্রশ্ন করে।

আলফি চোখ সরিয়ে ব্যাপারটা সামলে বলে,
-“কোথাও না।”

-“আজ আমাদের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। ভুলে গেছিস? নাকি মনে আছে?” এনা বলে।

-“না,মনে আছে।” আলফি বলে।

-“তাহলে চল। ক্লাস আর হবে না।”

-“কিন্তু মেয়েটি ঐখানে কিভাবে ঝুলে ছিল,সেটা জিজ্ঞেস করব ওঁকে।”

-“তার দরকার নেই। চল এখান থেকে। ”

-“আরে দাঁড়া…..।”

টেনে ক্লাস রুমের ভেতরে নিয়ে গেল আলফিকে।
এক সাথে সবাই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। আলফি এনার সাইকেলে চড়ে যেতে লাগল।সবাই আজ ওদের বাসায় বসে পড়া কমপ্লিট করবে।
এনাদের বাসায় ওর মা-বাবা নেই। বেরাতে গিয়েছে এনার নানা বাড়ি। বাসায় শুধু এনা একা ছিল।
.
.
ভ্যাম্পায়ার কিংডম…….

এরোন রুমে বসে ব্লাড ব্যাগ থেকে ব্লাড গ্লাসে ঢালছিল খাওয়ার জন্য। ব্লাডের ব্যাগ পাশে রেখে গ্লাস হাতে নিতে যাবে তখনি এলেন এসে ছোঁ মেরে গ্লাসটা নিয়ে নেয়। এবং খেতে শুরু করে। এলেনের এমন কাণ্ডে এরোন টেরা চোখে ওর দিকে তাকায়। এলেন ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে খাচ্ছে।

-“শালা ভালো হ..!”

-“এ জীবনে হবো বলে মন হচ্ছে না।”

-“জানি তো,এই কথাই বলবি।”

এলেন সাইলেন্ট মুডে দাঁত বের করে হাসি দিয়ে আবার ব্লাড খেতে লাগল। এরোন ব্লাড ব্যাগ হাতে নিয়ে খাচ্ছে। এলেন তৃতীয় চুমুক দিতেই বলে ওঠল,
-“নাহ,একদম ভালো লাগছে না। তাজা ব্লাড খেতে হবে।”

-“যেটুকু খেয়েছিস,সেটুকু ফেরত দে।”

-“এখন কি বমি করতে হবে আমায়।”

-“থাক ভাই,আর লাগবে না।”

-“বাহিরে যাব চল।”

-“কেন?”

-“তাজা মানুষের ব্লাড খাবো।”

-“আচ্ছা চল।”
.
.
রাতে……

ম্যারি,লিনা,আলফি ওরা তিন জনে সাইকেল নিয়ে বাসায় ফিলছিল। আলফি এনার সাইকেল নিয়েছে এসেছে। কালকে ফেরত দিবে। ম্যারি, লিনা ওরা নিজেদের সাইকেল নিয়ে এসেছে। আড্ডা দিতে দিতে রাত নয়টা বেজে যায়। বেশ দেরি হয়ে গেছে। জি-তাও,জন অনেক আগেই বাসায় চলে গেছে। এখন উপায় না পেয়ে ওদের একা একা যেতে হবে। তিনজনে পাশাপাশি সাইকেল চালাচ্ছে,আর টুকটাক কথা বলছে। মেইন রাস্তা থেকে সুনসান রাস্তায় চলে আসে। সেই রাস্তার পাশে ছিল ঘন জঙ্গল। ওদের মনে ভয় কাজ করছিল না। কথা বলতে বলতে অনেকটা রাস্তায় পার হয়ে আসে। হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে একটি বিড়ালকে দেখতে পায়। বিড়ালটি অনেক কিউট ছিল। ওরা সাইকেল থামিয়ে বিড়ালটির দিকে ও নিজেদের দিকে তাকাতে লাগল। আলফি আগে নেমে দাঁড়ায়। তারপর ম্যারি ও লিনা নেমে সাইকেলের স্ট্যান ফেলে আলফির দিকে এগিয়ে যায়। আলফি আগে আগেই হেঁটে বিড়ালটির কাছে এসে হাঁটু গেড়ে বসে কোলে তুলে নিয়েছিল বিড়ালটিকে। গাঁয়ে সাদা লোম গুলো ফুলের মতো দেখাচ্ছে। লিনা আলফির হাত থেকে নিয়ে আদর করে দিচ্ছে। তিনজন বেশ কিছুক্ষণ বিড়ালটিকে আদর করে রাস্তার পাশে রেখে যায়। চাইলেই ওরা সাথে করে নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু ওদের তিনজনের বাড়ি বিড়াল নট এলাউ! তিনজন আফসোস করে হেঁটে চলে যেতে নেয়। ম্যারি,লিনা সাইকেলের কাছে আসতেই থমকে যায়। কারণ আলফি ওদের সাথে নেই। পিছনে ফিরে দেখে উধাও হয়ে গেছে আলফি। ওরা ঘাবড়ে যায়। চারদিক তাকিয়ে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না ওঁকে।

-“লিনা কোথায় গেল আলফি?”

-“আমাদের সাথেই তো ছিল।”

-“এটুকু সময়ের মধ্যে কোথায় যাবে আলফি।”

-“আমার খুব ভয় করছে।”

-“আলফি…..আলফি।” জোরে চিৎকার করে নাম ধরে ডাকছে লিনা।

-“আলফি….। আলফি..।”

-“কোনো রেস্পন্স পাচ্ছি না। ফোনের ফ্লাশলাইট অন কর।”

-“তুই কি জঙ্গলে যাবি আলফিকে খুঁজতে?” ভয় ভয় জিজ্ঞেস করে ম্যারি।

-“এ ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। আলফিকে একা রেখে যেতে পারব না। না খোঁজ করে কাউকে বলতেও পারব না।”

-“তাহলে চল,জঙ্গলের ভেতরে খোঁজ করি।”

-“চল! সময় নষ্ট না করে।”

দু’জনে আলফির নাম ধরে ডেকে হাত ধরে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে চলল।
.
অন্যপাশে…

আলফির পেছন থেকে দু’হাতের কব্জি শক্ত করে ধরে রেখেছে । আলফি চেষ্টা করছে নিজেকে মুক্ত করার। কিন্তু অচেনা ব্যাক্তির শক্তির কাছে আলফি কিছুই না। আলফি ঘুরে দাঁড়ান। অচেনা ব্যাক্তির চেহারা দেখতে পারছে না। চাঁদের আলোয় পিছনের ব্যাক্তির চেহারা স্পষ্ট না হলেই আবছা আবছা বোঝা যাচ্ছে এটা এলেন। চোখ লাল,ঠোঁট বেয়ে সরু দাঁত বের হাওয়া। রক্তের পিপাসায় কাতর হয়ে গেছে এলেন। আর ফোস করতে চায় না। এক হাত ছেড়ে দিয়ে দুই আঙুল কানের নিচে রাখতেই আলফি চেতনা হারিয়ে ফেলে। এলেন এই সুযোগে আলফির ঘাড় কাত করে ওপরের দিকে মাথা তুলে ঘাড়ে কামড় বসাতে যাবে কিন্তু কিছুতেই কামড় বসাতে পারছে না। যতবার কামড় দিতে যাচ্ছে ততবার ফিরে আসতে। কেন জানি কোনো কিছু এলেনকে বাঁধা দৃষ্টি করছে। কী? সেটা এলেন জানে না। কিছুক্ষণ এমন কাণ্ড ঘটার পর এলেন ধাক্কা দিয়ে আলফিকে চিৎ করে মাটিতে ফেলে দেয়। রাগ হচ্ছে! চাঁদের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
চোখ বন্ধ করে নিজের আসল রূপে ফিরে আসে এলেন। আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ফোনের ফ্লাশলাইট অন করে হাঁটু গেড়ে বসে অচেনা মেয়েটির মুখের উপর ধরতেই এলেন থমকে যায়। কিছুক্ষণের জন্য অচেনা মেয়টির মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে হারিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত এমন কোনো মায়াবতী মেয়ের উপর এলেনের নজর পড়েনি। অনেক সুন্দরী মেয়ের রক্তের স্বাদ গ্রহণ করেছে। এট ফাস্ট এই অচেনা মেয়েটির কাছে হার মেনে গেল এলেন। এখন একটি মাত্র প্রশ্ন এলেনের মাথায় নাড়াচাড়া দিয়ে উঠছে,”কে এই অচেনা মেয়েটি?”

জঙ্গলের অদ্ভুত প্রাণির চিৎকারের শব্দ শুনে ম্যারি ও লিনা ভয়তে কেঁপে ওঠে। এক পাশে হাতে হাত রেখে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আরেটু এগিয়ে যেতেই চাঁদের আলোয় কারো পা দেখতে পায়।

-“ওটা কি! কারো পা মনে হচ্ছে। ”

-“হ্যাঁ! চ,,,চল গিয়ে দেখি।”

-“না! যদি কোনো প্রাণি হয়।”

-“দূরে দাঁড়িয়ে দেখব। আয় চল।”

-“চল।”

ধিমি পায়ে এগিয়ে এসে ফোনের ফ্লাশলাইট ফেলতেই আলফির চেহারা স্পষ্ট দেখতে পায় । ম্যারি,লিনা দৌঁড়ে আলফির কাছে এসে বাহু ধরে ঝাঁকিয়ে ডাকতে লাগল। আলফির কোনো হুঁশ নেই।

-“সেন্সলেস হয়ে গেছে।”

-“পানি লাগবে। আমার ব্যাগের ভেতরে পানি আছে।” বলেই লিনা কাঁধের ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে আলফির মুখে ছিটাতে লাগল। কিছু সময় অতিবাহিত হবার পরিই আলফির জ্ঞান ফিরে আসল। আলফি ঘাড়ে হাত রেখে ধীরে ধীরে ওঠে বসল। লিনা,ম্যারি আলফিকে প্রশ্ন করতে লাগল। কিন্তু আলফি থম মেরে বসে আছে।

-“আচ্ছা,এখন জঙ্গল থেকে বের হই। পরে সব কিছু জানা যাবে নে।” ম্যারি কথাটা বলতে বলতে আলফিকে টেনে তুলল।

তিন জনে জঙ্গল থেকে বের হয়ে গেল। কিন্তু আলফি বার বার পিছনে ফিরে তাকাচ্ছে। মনে হচ্ছে পেছনে কেউ আছে। লিনা এটা দেখে আলফির হাত ধরে দ্রুত জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসে। সাইকেলের কাছে এসে ম্যারি তাড়া দিয়ে বলে,
-“তাড়াতাড়ি সাইকেলে ওঠ! এখান থেকে চল। জায়গাটা মোটেও ভালো না।”

লিনা,ম্যারি সাইকেলে চড়ে বসে সামনে এগিয়ে যেতেই পিছনে ফিরে দেখে আলফি চুপচাপ পিছনে তাকিয়ে হেনডেল ধরে বসে আছে।

-“আলফি! তাড়াতাড়ি আয় বোন।” চিল্লিয়ে বলে লিনা।

আলফির হুঁশ ফিরে আসে। সাইকেল চালিয়ে ওদের কাছে চলে এলো। তিনজনে বেশ দ্রুত সাইকেল চালাচ্ছে।লিনা,ম্যারি ভাবছে কতক্ষণে বাসায় যাবে। আর আলফি ভাবছে অন্য কিছু। অনেকক্ষণ পর যে যার বাড়িতে পৌঁছে গেল। এবং রাস্তায় আলফি বলে দিয়েছে আজকের ঘটনা যেন কাউকে না বলে। ওরা সেটাই করে। বাড়িতে এসে কোনো একটা বাহানায় দেরি হবার কথা এড়িয়ে যায়।

কিন্তু আলফি খাবার টেবিলে ওর মামার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।

-“এত দেরি কেন হলো? কোনো কারণ?”

-“না মামা। একটু পড়ার চাপ বেশি ছিল তাই দেরি হয়ে গেল।”

-“সাইকেলে কেন এসেছো?”

-“সব সময় তো গাড়িতে চড়ি। তাই আজকে সাইকেলে আসলাম।”

-“তুমি আর সাইকেলে যাতায়াত করবে না।”

-“কেন মামা?”

-“প্রশ্ন করবে না। তুমি কে সেটা ভালো করেই জানো।”

-” মামা আমি আরো জানতে চাই আমি কে? আমার মধ্যে কিছু শক্তি আছে। সেই শক্তির সম্পর্কে আমি অজানা।”

-“আস্তে আস্তে সব যেনে যাবে। শুধু কিছু সময়ের প্রয়োজন। ”

-“সময়টা কবে হবে মামা। যত বড় হচ্ছি নিজের প্রতি জানার আগ্রহটা আরো দ্বিগুণ ভেড়ে যাচ্ছে। তবে, এটা জানি। আমি কোনো সাধারন মানুষ নয়।”

-“ব্যাস! বাকিটা আর জানতে হবে না। খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে চলে যাও।” বলেই টেবিল ছেড়ে ওঠে গেলেন জিনান রহমান।

আলফি মাথা নত করে ভাতের প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে। হাত ধুয়ে আলফিও রুমে চলে আসে। দরজা খুলে বারান্দায় এসে জঙ্গলের কথা ভাবতে থাকে।
-“যে আমাকে পেছন থেকে ধরে রেখেছিল সে মানুষ নয়। তার হাত ভীষন ঠান্ডা ছিল। আমার হাতে যে কালো দাগ গুলো পড়েছিল,সেগুলো আমার শরীরের শক্তির কারণে মিশে গেছে। কেন আমাকে এভাবে ধরেছিল। এত দ্রুত কিভানে ম্যারি,লিনার কাছ থেকে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে গেল? কি উদ্দেশ্য ছিল তার।আমাকে মেরে ফেলা,নাকি অন্য কিছু? ” নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করছে আলফি।
.
.
ভ্যাম্পায়ার কিংডম……..

-“এটা কিভাবে সম্ভব এলেন! একটা মেয়ের রক্তের স্বাদ তুই নিতে পারলি না।” এরোন উত্তেজিত হয়ে হেঁটে হেঁটে বলছে।

এলেন কিছু একটা ভেবে বলে,
-“সেম,আমিও বুঝতে পারছি না। কে এই মেয়ে? তার শরীর থেকে রক্তের গন্ধ আমি পাচ্ছিলাম না। বরং নিজেকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি। হাউ ইট’স পসিবল!”

-“কিং কে বলতে হবে বিষয়টা।”

-“নাহ! ড্যাডকে বলার আগে আমি নিজে মেয়েটির উপর নজর রেখে দেখতে চায় সে কে? জানতে হবে আমার মেয়েটি কী মানুষ? নাকি অন্য কিছু?”

-“যা করার কর। বাট আমাদের কিন্তু একটা দায়িত্ব দেওয়া আছে ইমতিয়াজকে খোঁজার।”

-“মনে আছে।”

-“মাথায় রাখিস।”

-“ব্লাড নিয়ে আয়।”

-“হ্যাঁ,হ্যাঁ এখন এটা খেয়ে কাজ চালাতে হবে।”

-“রাইট!”
.
.
.
.
.
.
.
Continue To………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে