জুয়াড়ি স্বামী পর্ব/ ৫
লেখক/ ধ্রুব
✍✍✍✍✍✍✍✍
আমি/ তাহলে এখন যাইরে কাল সন্ধ্যায় বউকে নিয়ে তোর বাসায় আসবো
সাগর/ এই তোর বউ রাজি হয়েছে
আমি/ তারমানে কি তুই কি ভাবছিস আমি মিথ্যা বলছিস
দেখ জুয়াড়ি হতে পারি মিথ্যাবাদী নয়
আমি বলছি আমার বউ কাল তোর ঘরে থাকবে তোর হয়ে
সাগর/ ঠিক আছে কাল দেখা হচ্ছে তাহলে
একটু তাড়াতাড়ি আসিস
আমি/ আচ্ছা আসবো এখন গেলাম
সাগরের সাথে কথা শেষ করে বাসায় গেলাম
ঢুকতে আম্মু বলে
আম্মু/ কিরে ধ্রুব বউমাকে কি বলছিস সকাল থেকে দেখি কেমন মনমরা হয়ে আছে মেয়েটা
আমি/ ও কিছুনা মা হয়তো বাড়ির কথা মনে পড়ছে তাই
আম্মু/ হ্যাঁ সেটাই হবে….
তুই এক কাজ কর বউমাকে নিয়ে কাল-ই ওর বাবার বাড়ি যা
আমি মনে মনে এটা চাইতেছি
আমি বলার আগে যখন আম্মু বলে দিছে তখন তো আরও খুব ভালো হয়েছে
আমি/ আচ্ছা আম্মু কাল বিকালে দিয়ে আসবো
বলে রুমে গিয়ে দেখি নীলা দাঁড়িয়ে আছে জানালার পাশে
একটা কথা কি জানোতো
রুমের জানালাটা না মেয়েদের খুব আপনের চেয়েও আপন হয়
আমি নীলার গায়ে হাত রেখে বললাম
আমি/ কি ভাবছো
নীলা/ চোখের জলটা মুছে বলে
নীলা/ কিছুনা
আমি/ আমি জানি কি ভাবছো কিন্তু বলো আমি কি করতে পারি আমি কখনও ভাবিনি এমনটা হবে
সত্যি বলছি এমনটা আমি কখনও চাইনি
ক্ষমা করে দাও আমায়
নীলা/ কি বলছেন এসব সত্যি বলছি আমি ঐসব নিয়ে ভাবছিনা যা হবার তা হবে সব আমাদের কপাল
এতে আপনার কি দোষ
উফফফফ…. বড় বাঁচা বাঁচলাম
রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমাতে গিয়ে চোখটা বন্ধ করলাম
একটু পরে নীলাও আসলো ঘুমাতে কিন্তু নীলা ঘুমায়না
শুধু চটপট করে আর গড়াগড়ি দেয়
আমার কখন যে চোখটা লেগে এলো বুঝতে পারিনি
মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি নীলা এখনও ঘুমায়নি
আমি/ এই কি হলো ঘুমাবেনা
নীলা/ আচ্ছা ঘুম না আসলে কি মানুষ ঘুমাতে পারে
কি আর করা নীলাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললাম
আমি/ এবার চোখটা বন্ধ করো দেখবে ঘুম চলে আসবে
কিছুক্ষণের মধ্যে নীলা ঘুমিয়ে পড়লো
সাথে আমিও
সকাল হতে উঠে গেলাম
কিন্তু আজকের সকালটা অন্যদিনের মত নয়
একদম ভিন্ন নেই কোন আয়োজন নেই কোন ঝগড়া
আমি উঠে দোকানে নাস্তা করলাম
কিছুক্ষণ পরে সাগর ফোন দিলো
সাগর/ কিরে খেলবিনা
আমি/ না
কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিলাম
সাগর/ কেন টাকা নেই বলে
টাকা আমি দেব তুই চলে আসিস
আমি তাও না করে দিলাম
কেন জানি খেলতেও আজ মন চাইছেনা
মাথায় শুধু একটা চিন্তা নীলাকে ছাড়া কিভাবে সাগরের টাকা গুলো শোঁধ করা যায়
কিন্তু এতগুলো টাকা কে দিবে আমায় জুয়াড়ি বলে কেউতো বিশ্বাস করেনা আমায়
অনেকজনের কাছে চেয়েছি কিন্তু কোথাও পাইনি
এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে করতে দুপুরটা শেষ হয়ে যায়
বাসায় ফিরতে নীলা তাকিয়ে আছে আমার দিকে
আর হয়তো মনে মনে ভাবছে
সাহেবের খেলা এখন শেষ হয়েছে
কিন্তু নীলাতো এটা জানেনা তাকে বাঁচানোর জন্য এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছি
নীলা/ টেবিলে খাবার দেয়া আছে গিয়ে খেয়ে নিন
ততক্ষণে আমি রেডি হয়ে নেই
নয়তো পরে দেরি হয়ে যাবে
আমি গিয়ে হাতমুখ ধুঁয়ে খাওয়ার টেবিলে বসলাম
কিন্তু গলা দিয়ে খাবার নামেনা
নিজের বউকে অন্যের বিছানা ভাবতে কেমন জানি লাগে
একটু পরে হাতটা ধুঁয়ে উঠে গেলাম গেলাম রুমে
গিয়ে দেখি নীলা একেবারে নতুন বউয়ের সাঁজে নিজেকে সাঁজিয়ে নিলো
আমি দেখতে হতবাক হলাম…
আমি/ এসব কি এত সাঁজগোজ কেন
একটা অচেনা মানুষের ঘরে যাচ্ছি
একটু সাঁজগোজ না করলে কি হয়
আমি/ তাই বলে এভাবে
নীলা/ তাতে কি স্বামীর ঋণ শোধ করতে যাচ্ছি
যদি আমাকে দেখে তার পছন্দ নাহয় দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় তখন কি হবে তাই আগে থেকে একটু সাঁজগোজ করে নিলাম
চলবে……