হারিয়ে যাওয়া পথ খুঁজে পাওয়া part 24

0
3340
hariye jaoya poth khoje paoya
হারিয়ে যাওয়া পথ খুঁজে পাওয়া part 24

হারিয়ে যাওয়া, পথ খুঁজে পাওয়া part:24

লেখা –সুলতানা ইতি

রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভাবছে, ফেলে আসা দিন গুলির কথা,চাইলেই ঐ দিন গুলি সুন্দর হতে পারতো, আমার মনের মতো হতে পারতো, কিন্তু হয়নি,,,
নিহাল তুমি নিজ হাতে আমার স্বপ্ন গুলো কে গলা টিপে হর্ত্যা করেছো,, তুমি চাইলেই আমরা দুজন হাতে হাত রেখে সুখে সংসার করতে পারতাম,,,
তুমি যে এই আমি কে দেখছো না,আমি কিন্তু এমন হতে চাইনি, তুমি আমাকে এমন হতে বাধ্য করেছো,,

আনুশা এই সব ভাবছে আর ওর দুচোখ দিয়ে পানি অঝরে গড়িয়ে পড়ছে কোন বাধাই মানছে না আজ চোখের পানি গুলো

সুমি: এই আনু টার যে আজ কি হলো এসেই দরজা বন্ধ করে রুমের ভিতর কি করছে, কে জানে,, কিছু খায়ওনি,মা শুনলে তো আবার আরেক প্রব্লেম যাই ডেকে আসি,, এই আনু দরজা খোল কি হয়েছে তোর বল, দরজা বন্ধ করে আছিস কেনো,

আনুশা: এরা কি আমাকে আমার মতো করে কাঁদতে ও দিবে না

সুমি: আনু বোন আমার দরজা খোল

মামাতো বোন প্রিয়া: ছোট আপু দরজা খোল, কি করছো তুমি একা একা

আনুশা: উফফ এখন দরজা না খুললে পুরো বাড়ি মাথায় করে ফেলবে, আগে চোখে মুখে একটু পানি দিয়ে আসি,নিহালের বিষয়ে এদের কাউকে কিছু বলা যাবে না,আনুশা চোখে পানি দিয়ে এসে দরজা খুলে দিলো

সুমি: কিরে আজ এসেই দরজা বন্ধ করে দিলি কি হয়েছে তোর

আনুশা: না কিছু না এমনি মাথা টা একটু ধরেছিলো,তাই এসে শুয়ে পড়লাম

প্রিয়া: ছোট আপু খাবার খেয়ে একটা ওষুধ খেয়ে সুয়ে পড়ো ভালো লাগবে

আনুশা: খেতে ইচ্ছে করছে না প্লিজ তোরা যা তো আমি ঘুমাবো,আনুশা ওদের ঝোর করেই বের করে দিলো তার পর দরজা আটকিয়ে আবার কান্নায় ভেঙে পড়লো, আজ যে চোখের পানি বাধ মানবে, না,


তানভীর : এই নিহাল টা কে,যে ভাবে আনুশা ওর সাথে কথা বলছিলো, মনে তো হলো খুব পরিচিত কেউ,কিন্তু কে হতে পারে, অন্নি কে জিজ্ঞেস করবো একবার,না থাক এখন না। দেখি কতো দূর যায় ব্যাপারটা,

তানভীরের আম্মু: কিরে তানভীর নতুন অফিস কেমন লাগছে কাজ করে বাবা
তানভীর : আম্মু ভালো ই,(আম্মুকে এখন ও বলিনি আমার নতুন অফিসের বস, যে আনুশা)

আম্মু: খাবার দিচ্ছি খেয়ে নে শরির টা ভালো লাগছে না,আমার

তানভীর : আম্মু তুমি ওষুধ খেয়ে শুয়ে থাকো,আমি নিয়ে খেতে পারবো

আম্মু: পারবি তো, আমি তা হলে যাই

তানভীর : হুম পারবো যাও তুমি,,,আম্মুকে তো বলেছি নিজে খেয়ে নেবো কিন্তু আমার যে খেতে ইচ্ছে করছে না,
এই লোকটা কে যাকে আনুশা এতো গুরুত্ব দিলো,কেমন যেনো ভয় ভয় লাগছে, আম্মুকে ও বলতে পারছি না আনুশার কথা,,,

সেদিন আনুশা বিদেশ চলে যাওয়ার পর আমার স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগে ছিলো,
পাগলের মতো কেটেছে আমার দুটো বছর,,তার পর অনেক কস্টের পর নিজেকে সামলে নিয়েছি,আবার পড়া শুনা শুরু করেছি,পড়া শুনা শেষ জব খুজতে শুরু করলাম,

নিয়তির কি পরিহাস জবটা আনুশার আন্ডারে হলো,,সত্যি কোন কিছু আমাদের হাতে নেই সব উপর ওয়ালার ইচ্ছে


আনুশা কাদতে কাদতে কোখন যে চোখটা লেগে এসেছিলো, বুঝতে পারিনি,দরজায় কেউ টোকা দিচ্ছে বুঝতে পারলাম অনেক বেলা হয়ে গেছে তাই আপু ডাকতে আসছে

আনুশা: উঠে আয়নার সামনে দাড়ালাম,চোখ মুখ ফুলে কি অবস্থা হয়েছে,সবাই সন্দেহ করবে এখন কি করি,

সুমি: আনুশা দরজা খোল তোর সাথে দেখা করতে কেউ এসেছে

আনুশা: কে আসবে আমার সাথে দেখা করতে, আগে ফ্রেশ হয়ে নিই তার পর দেখছি(আপু আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি তুই যা)আনুশা সুমিকে বল্লো

ফ্রেশ হয়ে এসে ভাবছি চোখ মুখ যে আকারে ফুলেছে,, অধিক কান্না করলে যা হয় আর কি,, এখন বাসায় সবাইকে কি বলবো, দূর এতো ভাবতে পারছিনা, অফিসে যেতে হবে আবার

আনুশা: দরজা খুলে বের হলাম, নাস্তা করতে বসলাম,,

মা: কিরে আনু তুই কি কান্না করেছিস, তোর মুখের এই অবস্থা কেনো

সুমি: হুম তাই তো কাল থেকে তুই কেমন উদ্ভট আচরণ করছিস কি হইছে তোর

আনুশা: কি আর হবে কিছুই না,মা ঐ যে তুমি বলো না, ঘুমানোর সময় বালিশ ছাড়া ঘুমালে চোখ মুখ ফুলে যায়

সুমি: সেকি তোর রুমে বালিশ নেই

আনুশা: আছে কিন্তু কি বলতো,ঘুমের মধ্যে বালিশ টা সরে গেছে,
কোন ভাবে মা আর বোনকে বুঝিয়ে ড্রইং রুমে এসে দেখে তানভীর সেখানে বসে আছে

আনুশা: একি আপনি এখানে

তানভীর : আসলে আমি অফিসেই যাচ্ছিলাম পরে মনে হলো এই ফাইল টাতে আপনার সাইন লাগবে তাই

আনুশা: সেটা তো অফিসে গেলেও দিতে পারতেন, ঠিক আছে দিন সাইন করে দিচ্ছি,,

তানভীর : ম্যাম অফিসের সময় হয়ে গেছে চলুন অফিসে যাই

আনুশা: আপনি যান আমি যেতে পারবো

তানভীর : না ম্যাম চলুন না আমরা এক সাথে যাই, যখন দুজনে একই জায়গাতে যাবো তখন আলাদা আলাদা যাওয়ার কোন মানে হয়

আনুশা: আচ্ছা চলুন

তানভীর : যেতে যেতে ভাবছে আজ আনুশার মন ভালো নেই, তাই আমার সাথে কথা বাড়ায়নি, নইলে এই মেয়ে কিছুতেই আমার সাথে যেতে রাজি হতো না,চোখ গুলো ও ফুলে আছে মনে হয় খুব কান্না করেছে,
কিন্তু কেনো,এসব ভাবছে আর তানভীর অন্যমনে হাটছে

আনুশা: এই যে মিঃ গাড়ি এখানে, উঠুন গাড়িতে। এতো কি ভাবছেন

তানভীর : না কিছু না,গাড়িতে দুজনে উঠে বসলো,গাড়ি স্ট্রাট দিলো ড্রাইভার

তানভীর : আনুশা তোমার কি মন খারাপ

আনুশা: বাবাহ এতোক্ষন তো আমার বাসায় আপনি আপনি করে ডাকছিলেন,এখন আবার ভয়েজ চেঞ্জ

তানভীর : তোমার বাসায় আমি বলতে চাইনি,তোমার কথা ভেবে, আচ্ছা এগুলা বাদ দাও,বললে না তো তোমার মন খারাপ কেনো,

আনুশা:????

তানভীর : না মানে যদি ও তুমি সব সময় মুখটাকে শাকচুন্নির মতো করে রাখো , তবু ও অন্য দিনের ছেয়ে আজ মনে হচ্ছে মনটা বেশি খারাপ

আনুশা:??? কিইইই আমি শাঁকচুন্নি, আপনার সাহস হয় কি করে আমাকে এমন কথা বলার,ভুলে যাবেন না আমি কে

তানভীর : না তুমি যেই হওনা কেনো, অফিসে কিন্তু আপনি আমার বস,
এখন তো এটা অফিস নয় তাই আপনাকে বস মানতে পারছি না

আনুশা: সব সময় জানতাম ছেলেরা কথা কম বলে,মেয়েরা সারাদিন বক বক করে কিন্তু এই ছেলে তো উল্টো আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে,,,,,
আপনি এতো কথা কই পান বলবেন, আর এতো কথা বলেন কেনো

তানভীর : আচ্ছা আনুশা তুমি কখনো ও কারো প্রেমে পড়েছো

আনুশা:??????

তানভীর : নাহ মানে প্রেমে পড়লে বুঝতে, ভালোবাসার মানুষের মন খারাপ থাকলে তার মন ভালো করার জন্য কতো কথা বলতে ইচ্ছে হয়

আনুশা: মনে মনে, ঠিক ধরেছি আমার মন ভালো করার জন্য উলটা পাল্টা বকছো,তোমার কথা শুনলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায় তানভীর

তানভীর : আনুশা চুপ করে আছো কেনো,,আচ্ছা আনুশা তুমি তো আমাকে বললে না, এই নিহাল কে যার সাথে কালকে দেখা হয়েছিলো

আনুশা: তানভীর নিহাল এর কথা বলতেই বল্লো,ড্রাইভার গাড়ি থামান

তানভীর : গাড়ি থামিয়ে কি হবে আনুশা,ততক্ষনে ড্রাইভার গাড়িয়ে থামালো

আনুশা: আপনি নামুন মিঃ তানভীর

তানভীর : আমি নামবো মানে

আনুশা: আপনি অন্য কিছু করে অফিসে যান

তানভীর : মানে কি বলছো তুমি

আনুশা: আপনি নামবেন,নাকি আমি নেমে যাবো

তানভীর : ওকে ওকে নামছি
,তানভীর নেমে গেলো

আনুশা: ড্রাইবার গাড়ি গুরান,,ড্রাইভার কে ঠিকানা বলে দিলো আনুশা কোথায় যেতে হবে

তানভীর টেক্সি করে অফিসে আসলো

তানভীর ‘ আর নয় এবার অন্নিকে সব জানাতে হবে, অন্নিকে ফোন করে তানভীর সব বল্লো
অন্নি: তানভীর ভাই আমি দেখছি,আপনি কোন টেনশন করবেন না


এদিকে আনুশা নিহালের আশ্রমে এলো
নিহাল:কেনো এসেছো আনুশা,আমাকে দেখে মজা নিতে,

আনুশা: চিরোটাকাল তুমি এমনই থেকে যাবে,আমি তোমাকে ডক্টর দেখাতে চাই,দেশের সব ছেয়ে বড় বড় ডক্টর দেখাতে চাই

নিহাল: তার কোন প্রয়োজন নেই আনুশা আমি আমার এই জীবন টাকেই মেনে নিয়েছি

আনুশা: এমন বললে হয় নাকি,চলো ডক্টরের কাছে যেতে যেতে কথা বলি অনেক কিছু জানার আছে তোমার কাছে আমার

নিহাল: মনে মনে,কি জানতে চাইবে বলো তোমাকে কোন কিছুই বলার নেই আমার

আনুশা: (তোমাকে অনেক প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি,দেবে কি সব প্রশ্নের উত্তর,না,না কোন উত্তর শুনতে চাই না আমি,তোমার কাছে থেকে, আমি আমার লাইফ নিয়ে সুখে আছি)ড্রাইভার উনাকে গাড়িতে তুলে দাও

নিহাল গাড়িতে বসে ভাবছে কেনো করছো আমার জন্য এতো কিছু

আনুশা: তুমি বললে না তো মা কোথায় আর তোমাদের বাড়িটির কি হয়েছে

নিহাল: সব শেষ হয়ে গেছে মায়ের অসুখের জন্য, মাকে বাঁচাতে পারিনি,,সব শেষ করে ও মাকে পেলাম না, ক্যানসার হয়েছিলো মায়ের,
অনেক টাকা ধার হয়ে যায়,,মায়ের মৃত্যুর পরে বাড়ি ছেড়ে চলে আসি,শুনেছি পাওয়ানাদার রা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছিলো আর কিছু জানি না,,

আনুশা: মনো যোগ দিয়ে নিহালের কথা শুনছে, ভাবছে বিয়ের দিন রাতের কথা, এমন জেদ তার বিয়েরদিন রাতেই বের করে দিলো,আল্লাহ আছেন,তিনি সব দেখেন

নিহাল: কি ভাবছো

আনুশা: কিচ্ছু না হসপিটাল এসে গেছে ড্রাইভার উনাকে নামিয়ে উইল চেয়ারে বসিয়ে দিন,, ড্রাইভার তাই করলো,
আনুশা নিজে উইল চেয়ার ঠেলে নিহাল কে ডক্টরের চেম্বারে নিয়ে গেলো

এদিকে অন্নি আনুশাকে কল দিতে দিতে পাগল প্রায়, আনুশার ফোন সাইলেন্ট করা তাই আনুশা খেয়াল করেনি

তার মানে তানভীরের থেকে যা শুনেছি,আর আনুশার এভাবে তার প্রতি দয়া দেখানো সব কিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে এই সেই নিহাল,
আনুশা কি করতে চায়, ওর সাথে কথা বলতেই হবে আমাকে, তানভীরের ভালোবাসা কি ও বুঝতে পারছে না,,অপেক্ষা করতে হবে আমাকে


ডক্টর বলেছে নিহালের পা আগের মতো করতে হলে ওকে ইন্ডিয়া নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে তা হলে সে আবার আগে মতো চলাফেরা করতে পারবে

আনুশা: নিহালকে নিয়ে ফিরে এলো আশ্রমে,,,
সেখান থেকে,সুমি আপুর শশুর বাড়ি যায়,
সুমির জামাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারে, সে সুমির সাথে সংসার করতে চায়না,রিতি অনুযায়ী সে বিয়ে করবে& বিয়ের জন্য পাত্রী খোজা শুরু করেছে,

আনুশা: আপনি বিয়ে করবেন ভালো কথা, আমার বোনকে ডিবোর্স দিয়ে তার পর বিয়ে করবেন

সুমির জামাই সুমি কি ডিবোর্স দিতে রাজি নন

আনুশা: তা হলে আমার বোনকে নিয়ে সংসার করতে হবে, নতুবা আপনার বিরুধ্যে পুলিশকেস করতে বাধ্য হবো আমি,
অনেক কথা কাটা কাটির পর তারা সুমিকে নিতে রাজি হয়,

আনুশা: তো আংকেল আন্টি,আর আপনি গিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়িয়ে আসবেন,আর আপুকে নিয়ে আসবেন,
এতে আপু খুশি হবে

সব কাজ শেষ আনুশা বিকেল তিনটার দিকে অফিসে যায়,, গিয়ে চেয়ারে বসে মাথা এলিয়ে দেয়,খুব মাথা ব্যাথা করছে,তখনই মনে হলো নিহাল কে ইন্ডিয়া পাঠাতে হবে, যে করেই হোক ওকে আগের মতো সুস্থ করতে হবে, ,,

আনুশা: অফিস স্টাফ রিয়াকে ডেকে বল্লো, তানভীর কে যেন পাঠিয়ে দেয়, ওর ক্যাবিনে

কিছুক্ষন পর,তানভীর: আসবো ম্যাম

আনুশা: হুম আসুন,,ইমিডিয়েটলি নিহাল হাসান এর ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য সব ব্যাবস্থা করুন,বেশি দিন যেন না লাগে যতো টাকা লাগে দিন,১৫ দিনের মধ্যে ইন্ডিয়া যাওয়ার সব ব্যাবস্থা হওয়া চাই

তানভীর : ওকে ম্যাম, আনুশার ক্যাবিন থেকে বেরিয়ে এলো তানভীর একটি প্রশ্নের উত্তর সে কিছুতেই পাচ্ছেনা,কে এই নিহাল যার জন্য আনুশা এতো কিছু করছে,আমি যতোটুকু জানি আনুশার লাইফে কোন প্রেম ছিলো না,,তা হলে কে,,অন্নিটা ও সব কথা বলছে না,,কিছুতো একটা প্রব্লেম আছে

আনুশাকে দেখে মনে হলো ও খুব টায়ার্ড ঠান্ডা কিছু খেলে মনে হয় ভালো লাগতো একটা ঠান্ডা জুস দিয়ে আসি, যেই ভাবা সেই কাজ

তানভীর : ম্যাম আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুব ক্লান্ত,,এই ঠান্ডা জুস টা খান ভালো লাগবে

আনুশা: রেখে যান আমি পরে খেয়ে নিবো

তানভীর : নাহ ম্যাম রেখে গেলে আপনি খাবেন না, আমি জানি,আপনি এখন আমার সামনে খাবেন

আনুশা:( মা ছাড়া এই প্রথম কেউ আমার এতো কেয়ার নিচ্ছে) আনুশা আর কথা বাড়ালো না চুপ চাপ বাধ্য মেয়ের মতো জুস টা খেলো

তানভীর : এই তো গুড গার্ল,,

আনুশা: তানভীরের মুখে কথা টা শুনতে ভালোইই লেগেছে আমার,কেউ তো কখনো ভালোবেসে এই সব বলেনি তাই হয়তো ভালো লেগেছে আমার

তানভীর : ঠিক আছে ম্যাম আমি এখন আসি

আনুশা: হুম যাও

তানভীর : হ্যা কি বললেন ম্যাম,শুনতে পাইনি

আনুশা: বললাম তো তুমি এখন যাও

তানভীর : আলহামদুলিল্লাহ শুনে মনটা শান্ত হলো

আনুশা: কিই আমি ওকে তুমি করে বলেছি সর্বনাশ। তানভীরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও হাসছে
এতো হাসির কিছু হয়নি আমি ভুল করে বলে পেলেছি

তানভীর : ইটস ওকে ভুল করে হলে ও বুড়োদের যে চিল টা আমার উপর লাগিয়েছেন সেটা তুলে পেলেছেন
এই বলে তানভীর হাসতে হাসতে চলে গেলো

আনুশা: ও হাসলো কেনো তা হলে কি আমি ওর উপর একটু একটু করে দূর্বল হয়ে পড়ছি,,আগে ওকে বিরক্ত লাগতো,এখন ওর সব কিছুই আমার ভালো লাগে কিন্তু কেনো,,আর ভাবতে পারছি না

এই বার বাসায় যাই
বাসায় যাওয়ার পর আনুশা সুমিকে আর মাকে খবর টা জানালো

সুমি: তুই সত্যি বলছিস ও আসবে আমাকে নিতে

আনুশা: হুম সত্যি

আনুশার আম্মু: তো ওরা রাজি হলো কি করে

আনুশা: রাজি হলো কি করে সেটা না হয় নাইবা শুনলে

এইভাবে কেটে গেলো পনেরো বিশদিন এর মধ্যে নিহালের ইন্ডিয়া যাওয়ার সব কিছু ফাইনাল হয়ে গেলো আগামিকাল ফ্লাইট

তানভীর : যাই ম্যাম কে খবর টা দিয়ে আসি
ম্যাম আসবো

আনুশা: এসো ( সেদিনের পর থেকে আনুশা তানভীরকে তুমি করেই বলে)

তানভীর : নিহাল হাসানের চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া যাওয়ার সব কিছু রেডী

আনুশা: ওকে, সময় মতো তাকে এয়ারপোর্ট এ পৌছে দিবেন

তানভীর : ম্যাম আপনি যাবেন না

আনুশা: নাহ আমার মিটিং আছে আমি যেতে পারবো না(আসল কথা হচ্ছে নিহালের সামনে আর আমি যেতে চাই না,ওকে শুধু দূর থেকে করুনা করা যায় ভালোবাসা যায় না)

তানভীর : কি ভাবছো আনুশা

আনুশা: এটা অফিস এখানে কোন এমপ্লয়ার, তার বস কে নাম ধরে বলে না।

তানভীর : সরি ম্যাম আসলে একটা কথা বলার ছিলো

আনুশা:( আমি জানি তানভীর তুমি কি বলবে আমাকে,এটাই যে নিহাল আমার কে হয় গত দু সপ্তাহ থেকে এই একি প্রশ্ন করে যাচ্ছো আমাকে)এখন কিছু বলতে হবে না আমাকে, সময় হলে সব জানতে পারবে

তানভীর : ওকে ম্যাম
পরদিন সকাল ৯ টায় ফ্লাইট তানভীর নিহালকে নিয়ে এয়ারপোর্টে গেলো

সংগে আনুশার ঠিক করা একজন ডক্টর যাচ্ছে

নিহাল: আনুশা আসবে না

তানভীর : ম্যাম আসতে পারবে না, উনার মিটিং আছে

নিহাল :ওওও (আমি জানি আনুশা তুমি ইচ্ছে করে আমার সাথে দেখা করছো না,কেনোইবা করবে,,অপরাধ যে আমি করেছি)

তানভীরের ফোন আসে তাড়া তাড়ি অফিসে পৌছাতে হবে

তানভীর : নিহাল আপনার ডক্টর যাচ্চে আপনার সাথে, উনি সময় মতো আপনাকে নিয়ে প্লেনে উঠবে আমার একটু কাজ আছে আমাকে যেতে হচ্ছে
নিহাল: ওকে ঠিক আছে যাও

to be continue

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে