হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি পাঠ-৩
#আরিশা অনু
“””সত্যি এত সুখ সইনি আমার কপালে।হঠাৎ করে আসা এক কাল বৈশাখি ঝড় আমার পুরো জীবন টা কে ওলোট পালট করে দিয়ে গেছে।
“””এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখ টা লেগে গেছে বুঝতেই পারিনি আমি।
“””চারদিকে আজানের শব্দে ঘুম ভাঙল আমার।ভাবতে ভাবতে চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আমি।
“””তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পরে কিচেনে গেলাম।আম্মু এখনো ঘুম থেকে উঠিনি।তাই আমি রান্না টা চড়ালাম।
“””কিরে সোনা মা আজ এত দ্রুত ঘুম থেকে উঠলি রাতে ঠিকমত ঘুমাস নি।(আম্মু)
“””রান্না করছিলাম তখন আম্মু এসে কথাটা বলল।
“””হ্যাঁ আম্মু ঘুমিয়েছি তো।আজান দিতেই ঘুমটা ভেঙে গেল তাই ভাবলাম আজ রান্না টা আমি করি।(অনন্যা)
“””আচ্ছা বাকিটা আমি দেখছি তুই যা রুহিকে ঘুম থেকে ওঠা।(আম্মু)
“””ঠিক আছে আম্মু যাচ্ছি।
“””কিচেন থেকে এসে রুহি কে তুলে ফ্রেশ করে রেডি করে দিলাম।মেয়েটা ঠিক ওর বাবার মত হয়েছে একটা কাজ নিজে নিজে করতে পারেনা।রুহিকে তৈরি করতে করতে অতীতের ভাবনাই ডুব দিলাম….!!!
.
.
.
.
“””অনু অনুুউুউুউু……..(রোহান)
“””রোহানের চিৎকার শুনে দৌড়ে কিচেন থেকে রুমে আসলাম।আহ্ এত চিৎকার কর কেন।সব কিছু তো রেডি করে রাখছি। তারপর ও এত চেঁচামেচি কিসের।(অনন্যা)
“””তোমাকে কতবার বলছি আমি যতখন বাসায় থাকবো আমার সামনে থাকবা।তুমি আমার কথা শোনো…??(রোহান)
“””আহারে আমার তো আর কাজ নাই সারাদিন মহারাজার সামনে বসে দাসি গিরি কর…!!(অনন্যা)
“””কি বললে তুমি দাসি গিরি করাই আমি তোমায় দিয়ে…?
“””উফ্ একটু কিছু পাইলেই হয়।বল এত ডাকছিলে কেনো..?
“””আগে আমার উওর দাও দাসি গিরি করাই তোমায় দিয়ে আমি…!!!
“””উহু মজা করে বলছি সিরিয়াস কেন হও।এখন বল তো ডাকলে কেনো…??
“””আমার শার্টের বোতাম কে লাগিয়ে দেবে,টাই কে পরিয়ে দেবে শুনি?
“””উফ্ একটা দিন ও কি নিজে করতে পারোনা তুমি….??
“””না পারিনা এখন চুপচাপ কাজ কর।
“””হুম রেডি এবার যাও…..
“””আরে আরে করছো টা কি রোহান এভাবে বাচ্চাদের মত জড়িয়ে ধরে আছো কেন। দেরি হয়ে যাবে তোমার অফিসে যেতে।
“””যাক দেরি হয়ে সারাদিন তো আর তোমায় দেখতে পাব না, আবার সেই রাতে বাসায় আসার পর দেখবো।
“””হয়ছে অনেক পাগলামি করছো এবার যাও..!!
“””হু আমার পাগলিটার কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বেরিয়ে আসলাম বাসা থেকে…!! (রোহান)
“””পাগল টা পরেও বটে প্রতিদিন নতুন নতুন পাগলামি করে ও।(অনন্যা)
.
.
.
.
.
“””আম্মু আম্মু…???( রুহি)
“””হঠাৎ রুহির ডাকে চমকে উঠলাম আমি তারপর বললাম হ্যাঁ সোনা মা বল।
“””চল দেরি হয়ে যাচ্ছে তো আমার নতুন স্কুল এ আমি সবার আগে যাব।(রুহি)
“””রুহির কথায় হালকা হেসে বললাম হ্যাঁ সোনা মা চল।
“””তারপর আম্মুর থেকে বিদায় নিয়ে রুহিকে নিয়ে বেরিয়ে আসলাম বাসা থেকে।
“””রুহিকে স্কুল এ রেখে আমিও চললাম অফিসের দিকে।আজ নতুন অফিসে আমার প্রথম দিন কি জানি সবায় কেমন হবে।ভাবতেই নার্ভাস লাগছে আমার।
“””উফ্ অফিসে পৌঁছাতে লেট হয়ে গেল একটু।
“””অফিসে এসে দাড়ানোর সাথে সাথে একটা মেয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো।
“””আপনি অনন্যা ম্যাম রাইট…?(নিপা)
“””জ্বি।(অনন্যা)
“””আমি নিপা আপনার কলিগ।আপনার আসতে এত লেট হল যে।(নিপা)
“””আসলে একটু লেট হয়ে গেল।(অনন্যা)
“””আচ্ছা ঠিক আছে এখন আপনি আগে স্যারের কেবিনে যান। স্যার এসেই আপনাকে খুঁজছিল।আপনি তো ওনার নতুন পি.এ।আপনার আরও আগে আসা উচিৎ ছিল।স্যার এমনিতে খুব ভালো তবে লেট করা একদম পছন্দ করেনা।
“””যাই হোক আপনি এই ফাইটা নিয়ে স্যারের কেবিনে চলে যান।(নিপা)
“””নিপা কে ধন্যবাদ দিয়ে ফাইলা টা নিয়ে এগিয়ে গেলাম স্যারের কেবিনের দিকে।
“””যত এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছি ততই যেন অদ্ভুত এক অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে আমার মাঝে।
“””বহু বছর পর আবার সেই #হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির খোঁজ পাচ্ছি আমি।আবার যেন নতুন করে ফিল করছি কেনোকিছু যেমন টা ও আশে পাশে থাকলে করতাম…..!!!
“””ভাবতে ভাবতে স্যারের কেবিনের সামনে এসে পড়লাম। কাঁপা কাঁপা হাতে দরজায় হালকা টোকা দিয়ে বললাম…….
“””স্যার আসবো…..?
.
.
.
.
Continue