Happily Married Part-06

0
2016

#Happily_Married🔥
#Part_6
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


তুমি আমাকে মনে করতে পারছো না?(আলিফ দাত চেপে চেপে)

আপনি কি আহামরি কিছু যে আপনাকে মনে রাখতে হবে?(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

তোমাকে আমার যে কি করতে ইচ্ছে করতে ইচ্ছে করছে?(আলিফ রাগে গজগজ করতে করতে)

কি করবেন পরে চিন্তা করবেন আগে বলুন আপনি কে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আমাদের কথোপকথন শুনে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।

জীবনের প্রথম হয়তো কেউ দেখছে নিজের বিয়েতেই বরকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে সে কে?

আমি কিছুক্ষন ভেবে,,
ওই দাড়ান।আমি বর সেজে এসেছেন তার মানে আপনি বর।ভালো কথা কিন্তু আমি কোথায় যেনো আপনাকে দেখেছি।কোথায় দেখেছি?

অনেক কষ্টে করে মনে করলাম
আপনার গাড়ি দিয়েই তো পালিয়ে ছিলাম।আর ধরাও পড়েছিলাম।তারমানে আপনি আমার পালানোর বারোটা বাজিয়েছেন?(আমি অবাক হয়ে)

আল্লাহ বাঁচাইছে।তোমার মাথায় একটু হলেও মগজ আছে।আচ্ছা বলতো এতো তাড়াতাড়ি আমাকে ভুলে গেলে কী করে?(আলিফ দুষ্টু হাসি দিয়ে)

রাখেন মিয়া।আগে বলুন আপনি কেনো আমার পালানোর প্ল্যানের বারোটা বাজিয়েছেন?(আমি)

বারে আমার বউ চলে গেলে আমি বিয়ে করবো কাকে?(আলিফ)

তারমানে আপনি আগে থেকেই সব জানতেন?(আমি চোখ বড় বড় করে)

হুম।(আলিফ মাথা নেড়ে)

এখন প্লিজ বলবেন না।আমার সব গুলো প্ল্যানে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আপনি?(আমি অসহায় হয়ে)

আমার বউ কতো বুদ্ধিমতী।(আলিফ দুষ্টু হাসি দিয়ে)

আমি খুব কষ্ট করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করছি।

আপনার নাম কি?(আমি দাত চেপে চেপে)

আলিফ রায়হান চৌধুরী।(আলিফ ভাব নিয়ে)

আপনার নাম শুনে আমার ছোটো বেলার আলিফ লায়লার কথা মনে পড়ে গেলো।(আমি মজা নিয়ে)

আমার কথা শুনে উনার চোখে মুখে রাগের ছাপ দেখতে পেলাম।আমি কেনো এখানে একা রেগে থাকবো আপনিও একটু রাগেন। মি:আলিফ লায়লা।(আমি মনে মনে বিজয়ের হাসি দিয়ে)

হিয়া আর আলিফের কথা শুনে পিয়াস মিটমিট করে হাসছে।আর পিয়া তো সেই ভয়ে কাপছে।

আপনি শিওর আমাকে বিয়ে করতে চান?(আমি)

অবশ্যই!(আলিফ নিজের রাগ কন্ট্রোল করে)

আমি খুব খারাপ মেয়ে!(আমি)

আমি খুব ভালো করে নিবো।(আলিফ)

আমি রান্না করতে পারি না।(আমি)

রেস্তরাঁ থেকে কিনে নিবো!(আলিফ)

আমি মারপিট করি।(আমি)

বিয়ের পর দুজন মিলে বক্সিং করবো।এমনি আমার ভালো কোনো বক্সিং সঙ্গী নেই।(আলিফ)

আমার মধ্যে মেয়েলি কোনো স্বভাব নেই।(আমি)

ওইটা কোনো সমস্যা নেই।(আলিফ)

আমি ভাবছি আর কি বলা যায়!আমার সব প্ল্যান ফিরে আসছে।আর সামনে বিয়ে দাড়িয়ে আছে।মাথা ভন ভন করে ঘুরছে কোনো প্ল্যান আসছে না।তবে কি এই লোকটা আমাকে বিয়ে করবেই?কি হবে আমার!(আমি মনে মনে অসহায়ের মতো)

হিয়া।আরো কিছু বলার আছে তোমার?না থাকলে কাজী সাহেব বিয়েটা পড়াক।আর যদি থাকে তাহলে বলো আমার কাছেও উত্তর আছে।(আলিফ বিজয়ের হাসি দিয়ে)

না নেই।আজ যথেষ্ট সবাইকে বিনোদন দেয়া হয়ে গেছে।কাজী সাহেব বলুন কি বলতে হবে?কোথায় সাক্ষর করতে হবে?(আমি নিরাশ হয়ে বসে পড়লাম)

হিয়ামনী এই প্রথম কেউ তোর সাথে কথায় পারে উঠতে পারলো।তুই যে কত্তো বড়ো একটা ফাজিল তা আমি ভালো করেই জানি।তোকে জব্দ করতে একমাত্র আলিফই পারবে।এইজন্যই তো আলিফই তোর জন্য ঠিক।(হিমেল সাহেব মনে মনে বিজয়ের হাসি দিয়ে)

এইবার বুঝছো যে কি করে তোমার ছেলে জানতে পেরেছে যে মেয়ে পালিয়েছে!(আলেয়া বেগম মনে মনে)

হুম।কিন্তু বৌমা এমন করলো আমাদের মান সম্মান তো,,,(রামিম সাহেব একটু মনমরা হয়ে)

আমাদের ছেলে বিয়ে করছে এইটা নিয়ে খুশি থাকো।মান সম্মান নিয়ে পরে ভাবা যাবে।(আলেয়া বেগম)

হুম আব্বু।আর ভাবী তো তেমন কিছু করেনি।তাই মান সম্মান নিয়ে ভেবেও কোনো লাভ নেই।(আলিশা)

হুম।আলিফের খুশিতেই আমি খুশি আর কিছুর পরোয়া আমি করি না। ও বিয়ে করতে রাজি হয়েছে এইটাই অনেক বড়ো কথা।(রামিম সাহেব)

দেখলে বলেছিলাম না।তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে সামলাতে পারবে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।দেখলে তো?তুমি শুধু শুধু ভয় পেয়ে ছিলে।(পিয়াস)

হুম।(পিয়া লজ্জা পেয়ে)

পিয়ার লজ্জা মাখা মুখ দেখে পিয়াস হাসতে শুরু করলো।


বিদায়ের একটু আগে
একটু পরেই আমাদের বিদায়,, পিয়া,পিউ আপু,পরি আন্টি,পাবেল আঙ্কেল আমাকে জড়িয়ে এমন করে কান্না করছিলো যে বলে বোঝানো যাবে না।বাবা কিছুক্ষণ আড়ালে দাড়িয়ে থেকে ভিতরে চলে গেলো।
আমি উকি দিয়ে বাবাকে দেখার চেষ্টা করলাম।তখনই আলিফ আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,,

যাও গিয়ে বাবার কাছে বিদায় নিয়ে এসো।তাহলে আর তোমার চিন্তা করতে হবে না।

আপনাকে বলতে হবে না।আমি জানি।আর আমি কারো চিন্তা করি না।বুঝলেন?
বলেই হনহনিয়ে বাবাকে খুঁজতে গেলাম।

জীবনেও নিজের মনের কথা স্বীকার করবে না।(আলিফ মনে মনে)

পিয়া আলিফের কাছে গিয়ে বলল
ভাইয়া আপনি একটু আড়ালে আসবেন আপনার সাথে একটু কথা ছিল।

ওকে।(আলিফ অবাক হয়ে)


আমি গিয়ে বাবাকে খুঁজতে খুঁজতে পেলাম আমার রুমে আমার জিনিস পত্র গুলো নিয়ে কান্না করছে।

আমি রুমে ঢুকে বললাম
এতই যখন আমাকে মিস করবে তবে কেনো আমাকে বিয়ে দিতে গেলে?

কই আমি তোকে মিস করবো?(হিমেল সাহেব কাদতে কাদতে)

করবে না মিস?(আমি কাছে আসতে আসতে)

না করবো না।তুই চলে গেলে আমি আর কারো সাথে ঝগড়া করবো না,তুই চলে গেলে আমাকে আর সকাল সকাল উঠে খাবার বানাতে হবে না,তুই চলে গেলে তোর দুষ্টামির জন্য আমাকে আর কারো জন্য ক্ষমা চাইতে হবে না,তোর ভার্সিটিতে ডাকলে আর আমাকে যেতে হবে না,সারাদিন কাজ করে এসে তোর জন্য রাতের খাবার বানাতে হবে না এসেই খালি ঘুমাবো,আর ছুটির দিন কেউ জোরে জোরে গান বাজিয়ে আমার ঘুমের বারোটা বাজাবে না আমি শান্তিতে ঘুমাবো, কারো সাথে আর রেমোর্ট নিয়ে ঝগড়া করতে হবে না শান্তিতে বাংলা ছবি দেখবো।আরো অনেক কিছু আছে যেটা তুই না থাকলে আমি একলা একলা করবো।আমি একলা অনেক মজা করবো।কে বলেছে আমি তোকে মিস করবো?
বলেই বাবা আমার জিনিস গুলো জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।

আমি তার কাছে গিয়েই তাকে জড়িয়ে ধরলাম।
আমি জানি আমার বাবা আমাকে একটুও মিস করবে না।একটুও না।আমিও আমার বাবাকে মিস করবো না একটুও করবো না।
আমিও বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম।আশ্চর্য ব্যাপার হলো এই সব কথাগুলো শুনে যে কেউই কেদে দিতো কিন্তু আমি একটু কান্না করছি না।বরং আমি খুব স্বাভাবিক।তবে আমার মন কান্না করার জন্য আকুল হয়ে উঠছে ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কান্না করি কিন্তু পারছি না।আমি এমনি আমার মনে হয়না আমার বুঝ হওয়ার পর কোনোদিন কেঁদেছি।আজ পর্যন্ত আমার জীবনে যতই কষ্ট হোক না কেনো,যতই দুঃখ পাই না কেনো,,সেটা আমার চোখ দিয়ে কখনই বের হতো না।আমি কান্না করতে পারি না।


একই সময়
আমি যদি ভুল না হই তুমি হিয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড,তাই না?(আলিফ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

জ্বি ভাইয়া!(পিয়া হাত কচলাতে কচলাতে)

কি কথা ছিল তোমার?(আলিফ)

আসলে ভাইয়া হিয়া যেমন দেখতে তেমন না।(পিয়া)

কি বলতে চাইছো?(আলিফ অবাক হয়ে)

হিয়া ওর বয়সের তুলনায় যথেষ্ট বুদ্ধিমতী।কিন্তু বিয়ে কথা আসলে ওর বোধ শক্তি লোপ পায়।যখনই বিয়ের কথা উঠে তখনই ও নিজেকে গুটিয়ে নেয়।পালাতে চায় বিয়ে থেকে আর এই জন্যই ও এত্তো কাহিনী করলো বিয়ে ভাঙ্গার জন্য।নিজেকে খারাপ প্রমাণ করতেও দ্বিধা করলো না।কিন্তু ও খারাপ মেয়ে একদমই না।(পিয়া)

কি হয়েছে?আমাকে সোজা সাপ্টা বলো পিয়া।(আলিফ)

আসলে হিয়া সম্পর্ককে ভয় পায়।তাই যখনই কেউ ওর সাথে নতুন সম্পর্ক করতে আসে তখনই ও কিছু বুঝে না বুঝেই তাকে রিজেক্ট করে দেয়।হোক সেটা বন্ধুত্ব,আত্মীয়তা আর রিলেশন।তাই যখন বিয়ের কথা উঠলো তখন ও আরো ভয় পেয়ে গেলো তাই ও উঠে পড়ে লেগে ছিল বিয়ে ভাঙতে।(পিয়া)

কিন্তু সম্পর্ক নিয়ে ওর কি ভয়?(আলিফ)

ওর মনে হয় ও কারো সাথে সম্পর্ক করলে সে ওকে ছেড়ে চলে যাবে আর ও হার্ট হবে।ওর কাছে সম্পর্ক ভাঙার কষ্ট অনেক।তাই ও ভাবে যদি কোনো সম্পর্ক তৈরিই না হয় তাহলে ভাঙার ভয়ও থাকবে না।তাই ও সম্পর্ক তৈরিই করে না।সম্পর্কগুলো থেকে নিজের মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।আমরা হাতে গোনা কয়েকজন লোক আছি যার সাথে ওর সম্পর্ক আছে।(পিয়া)

এইটা কেনো হয়েছে? ও কি আগে থেকেই কারো সাথে সম্পর্ক এ ছিল।যে ওকে ছেড়ে চলে গেছে বলে ওর এই অবস্থা?(আলিফ)

না না ভাইয়া।হিয়া ছোটোবেলা থেকেই এমন।তবে এই ব্যাপারে আমি বেশি কিছু জানি না।আমার সাথে হিয়ার দেখা হয়েছিল যখন আমার আর হিয়ার বয়স পাঁচ বছর ছিলো।যখন হিয়া আর আঙ্কেল আমাদের বাড়ির পাশেই থাকতে আসে।তখন থেকেই হিয়া অন্যরকম ছিল কারো সাথে মিশতে চাইতো না।অনেক কষ্ট করে ওর আমার বন্ধুত্ব হয়।তবে আমি আর আকাশই ওর একমাত্র বন্ধু।(পিয়া)

আকাশ কে?(আলিফ)

আমার আর হিয়ার ছোটোবেলার বন্ধু।আমরা এক সাথে বড়ো হয়েছি।(পিয়া)

ও আচ্ছা।তবে কি তুমি সত্যিই এইসব জানো না কেনো হয়েছে?(আলিফ)

না।তবে আমার মনে হয় ওর মার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে এইসবের।(পিয়া)

কেনো?(আলিফ)

আসলে যখন ওরা প্রথম এইবাড়িতে এসেছে তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ওর মার মুখ দেখা তো দূরে থাক তার নামও শুনি নি।তার কি হয়েছে?কোথায় আছে?কেমন আছে?বেচেঁ আছে কিনা? আমরা কিছুই জানি না।হিমেল আঙ্কেল না করেছে হিয়ার সামনে যেনো ওর মার কথা আমরা না তুলি।তাই আমরাও কোনো ওর কাছে কিছু জানতে চাই নি।(পিয়া)

ও আচ্ছা।(আলিফ)

ভাইয়া আপনিও কিছু বলতে যাবেন না। ও যদি নিজে থেকে কিছু বলে তাহলে ঠিক আছে।আর ভাইয়া প্লীজ ওর মন থেকে সম্পর্ক নিয়ে যেই ভয় আছে সেই ভয় গুলো দূর করবেন।এইটা আমার অনুরোধ।(পিয়া হাত জোড় করে)

কি করছো পিয়া?তুমি আমার ছোটো বোনের মত।ছোটো বোন হয়ে এইসব করছো!আমি কথা দিচ্ছি আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো হিয়ার মন থেকে সম্পর্কের ভয় দূর করতে।(আলিফ)

ধন্যবাদ ভাইয়া।(পিয়া কাদতে কাদতে)

হয়েছে আর কাদতে হবেনা।এখন চলো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিদায় দিতে হবে না?(আলিফ পিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে)

হুম।চলুন
পরেই আলিফ আর পিয়া চলে গেলো।
পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পিয়াস ওদের কথা শুনে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।


বাহিরে এখন বিদায়ের পালা
সবার কান্না দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে,, বিশেষ করে বাবার।তবে পাবেল আঙ্কেল বাবাকে সামলাচ্ছে।
মন না চাইতেও সবাইকে বিদায় দিয়ে গাড়িতে বসলাম।
গাড়িতে আমি,আলিশা আর আমার বর মশাই।সামনের সিটে বসেছে পিয়াস ভাইয়া।

ভাবী তুমি কাদলে না?(আলিশা)

আমি কাদি না কাদাই।(আমি)

তাহলে এখন কার কাদার পালা।(আলিশা)

আলিফ লায়লা,ভাইয়ার(আমি আর আলিশা এক সাথে)

আলিফ আর পিয়াস,, হিয়া আর আলিশার কথা শুনে হাসতে শুরু করলো।


গাড়ি কতোটুকু যেতে যেতে থেমে গেলো।

কি হয়েছে থামলে কেনো?(আলিফ ভ্রু কুঁচকে)

স্যার গাড়ির পেট্রোল শেষ হয়ে গেছে।(ড্রাইভার)

সামনেই পেট্রোল পাম্প।চলো পেট্রোল ঢেলে নেয়া যাক।(পিয়াস)

পাম্প পর্যন্ত যাওয়ার তেল তো আছে?(আলিফ)

জ্বি স্যার।(পিয়াস)

পরেই গাড়িটা পেট্রোল পাম্পে গিয়ে থামলো।

ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে তেল ভরাতে লাগলো।

তখনই পিয়াসের ফোনে একটা ফোন আসলো,,,
আলিফ আমি একটু আসছি।
বলেই পিয়াস বেরিয়ে গেলো।

তখনই আলিশা বললো
ভাইয়া পানির পিপাসা লেগেছে। একটু পানি আনবি?(আলিশা)

পিয়াস কে বলছি?(আলিফ)

আরে পিয়াস ভাইয়া ব্যাস্ত আছে দেখে পাচ্ছিস না!তুই গিয়ে নিয়ে আয় না।(আলিশা)

আচ্ছা যাচ্ছি।
বলেই আলিফ নেমে পানি আনতে গেলো।

আলিফ চলে যেতেই আমি আলিশাকে বললাম,,
আলিশা আমি একটু ওয়াশরুমে যাবো।(আমি)

আমিও যাই তোমার সাথে!(আলিশা)

না না।তুমি থাকো আমি যাচ্ছি।
বলেই আমি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলাম।

আমাকে গাড়ি থেকে বেরোতে দেখেই পিয়াস ভাইয়া বলল
কোথায় যাচ্ছো?(পিয়াস ফোনে কথা বলতে বলতে)

একটু ওয়াশরুমে।এক্ষুনি চলে আসবো।(আমি)

আচ্ছা সাবধানে যেও।(পিয়াস আবার ফোনে কথা বলতে বেস্ত হয়ে গেলো)

হুম
বলেই আমি ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লাম।


কিছুক্ষণ পর
আলিশা,তোর ভাবী কোথায়?(আলিফ)

ওয়াশরুমে গেছে।(আলিশা)

কখন?(আলিফ সন্দেহ নিয়ে)

অনেকক্ষন হলো।(আলিশা)

এখনও আসে নি হিয়ামণী?(পিয়াস এসে)

তুই কোথায় ছিলি?(আলিফ)

আমি ফুপির সাথে কথা বলছিলাম।আমিও দেখলাম ও গেলো কিন্তু অনেকক্ষন হয়েছে তো চলে আসার কথা তো।(পিয়াস)

আলিফ আর কিছু না বলেই দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো। ও যেই ভয় করছিল সে ভয়ই হয়েছে।ওয়াশরুমের উপরের অংশে জানালা খোলা।আর ফ্লোরে হিয়ার বিয়ের হাই হিল জুতো জোড়া পরে আছে।

আলিফ হিয়ার হাই হিল জুতো জোড়া হাতে করে বাহিরে এসে,,,
ওই মেয়ে আবার পালিয়েছে।(রেগে)


চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে