#Happily_Married 🔪
#Part_4
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida
।
।
ভার্সিটির জন্য তৈরি হয়ে যেই আমি বের হতে যাবো তখনই বাবা হিটলারের মত এসে হাজির হলো।
কোথায় যাচ্ছিস?(হিমেল সাহেব)
ভার্সিটিতে যাবো।আর কোথায়?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
পনেরো দিন তুই কোথাও যাবি না।(হিমেল সাহেব)
মানে কি?এখন কি আমার লেখাপড়ার উপরেও তোমার নজরদারি চলবে নাকি?(আমি রেগে)
তোর উপর আমার বিশ্বাস নেই।যদি আবার পালাস।(হিমেল সাহেব)
বলছি তো বিয়ের আগ পর্যন্ত কোথাও পালাবো না!(আমি চিৎকার চেঁচামেচি করে)
সরি মা।ক্ষমা কর কিন্তু তুই কোথাও যাবি না বিয়ের আগে।বাড়িতেই থাকবি!(হিমেল সাহেব)
তোমার সব কথা বাধ্য মেয়ের মত শুনি বলে সব সময় জোর করো।মাঝে মধ্যে সত্যিই মনে হয় তোমাকে ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই।
বলেই রাগে গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলাম।
আমি যা করছি তোর ভালোর জন্যই করছি।পিয়া তোর নোটস গুলো নিয়ে আসবে।আমি তোর প্রোফেসরদের কাছ থেকেও অনুমতি নিয়েছি।(হিমেল সাহেব হিয়ার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে)
আমি ঘুমাবো।(আমি কড়া গলায়)
হিমেল আর কিছু না বলে চলে গেলো।
।
।
চৌধুরী বাড়িতে
শিট আজকে লেট উঠে পড়েছি।কতো কাজ আছে।আর মাত্র পনেরো দিন পরে বিয়ে।(রামিম সাহেব খাবার টেবিলে বসতে বসতে)
বাবা।এতো চিন্তা করো না হাতে হাতে কাজ করলে ঠিক সব হয়ে যাবে।(আলিশা খাবার বাড়তে লাগলো)
আজকে হলোটা কি আলিশা?তোর ভাই আজকে সকাল সকাল অফিসে না গিয়ে সোফায় বসে বসে পেপার পড়ছে!(রামিম সাহেব ফিসফিস করে)
জানি না বাবা।সার্ভেন্ট বলেছে ও নাকি খুব সকালেই উঠে এখানে এসে বসেছে।এমনিতেই তো সকালে উঠে কিন্তু আজকে জানি কি হয়েছে একটু বেশিই সকালে উঠেছে।(আলিশা ফিসফিস করে)
চল গিয়ে দেখি।
বলেই রামিম সাহেব আর আলিশা গেলো।
খুক খুক।(রামিম সাহেব কাশি দিয়ে)
ও বাবা তুমি উঠে পড়েছো?(আলিফ পেপার রেখে)
কি হয়েছে?তুমি নাকি আজকে খুব সকালে উঠেছো।(রামিম সাহেব সোফায় বসতে বসতে)
হুম বাবা।আসলে বিয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে তো।(আলিফ)
কিহ?(আলিশা আর রামিম সাহেব একসাথে)
কি হয়েছে তোমরা এতো অবাক হচ্ছো কেনো?(আলিফ)
আলিশা আমি কি স্বপ্ন দেখছি?(রামিম সাহেব)
না বাবা এইটা সত্যিই!তোমার ছেলে যে কিনা বিয়ে থেকে একশো হাত দূরে থাকতো আজ সে বিয়ে নিয়ে এতো এক্সসাইটেড!(আলিশা অবাক হয়ে)
এই তোমরা কি কেউ আমার বান্ধবীর কাছে হিয়ার লেহেঙ্গা আর জুয়েলারি তৈরি করতে দিয়েছো।ওর অ্যাসিস্ট্যান্ট আমাকে ফোন করে হিয়ার মাপ চাচ্ছে।(আলেয়া নিচে নামতে নামতে)
রামিম সাহেব আর আলিশা এক দৃষ্টিতে আলিফের দিকে তাকিয়ে আছে,,
কি হলো আলিফের দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?(আলেয়া)
ওকেই জিজ্ঞেস করো?(রামিম সাহেব আলিফকে দেখিয়ে)
আলেয়াও জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,
হুম আমিই আন্টিকে লেহেঙ্গা আর জুয়েলারির কথা বলছি।আর তোমরা চিন্তা করো না।আমি কোথায়, কোন অনুষ্ঠান হবে সব ঠিক করে ফেলেছি।আর সেই অনুযায়ী বুকিংও করে ফেলেছি আর ইভেন্ট গুলো অর্গানাইজ করার জন্য আমি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির সাথে কথা বলে তাদের হায়ার করে ফেলেছি।আমি গেস্ট লিস্ট তৈরি করে ফেলেছি তোমরা একটু চেক করে নিও যদি তোমাদের কোনো গেস্ট থাকে।আর আমি কার্ড গুলোও ছাপানোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।আর কিছু?(আলিফ একদমে)
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।
আরও কিছু?(আলিফ আবারও)
হানিমুন!হানিমুন কোথায় করবি প্ল্যান করেছিস?(আলিশা শকড)
ওইটা হিয়া আর আমি মিলে ডিসাইড করে নেবো?(আলিফ)
তুই কখন এই গুলো ঠিক করলি?(আলেয়া অবাক হয়ে)
কালকে সারা রাত ধরে।(আলিফ)
এইজন্যই তোকে সকালে কেনো দেখা গেছে এইবার বুঝতে পারছি (আলিশা)
ইয়েস।কারণ কাল সারা রাত আমি ঘুমাই নি।(আলিফ)
বাবা আমরা কি কাজ করবো?তুই তো কিছুই রাখিস নি।(রামিম সাহেব)
কে বললো রাখি নি?রাখছি তো!তুমি সবাই ঠিক মত কাজ করছে নাকি দেখবে,আম্মু তুমি গেস্ট দের খেয়াল রাখবে,,আর আলিশা তুই সুন্দর করে ছবি তোলে এফবি তে পোস্ট করবি!ভাইয়া ইজ গেটিং Happily married,,। যাই আমার খুব ঘুম পাচ্ছে আমি গিয়ে ঘুমাই।
বলেই আলিফ নিজের রুমে চলে গেলো।
আম্মু আব্বু কি হচ্ছে এসব?একজন বিয়ে করতে চাইছে না আরেকজন বিয়ের জন্য উতলা হয়ে গেছে।(আলিশা শকড)
কতো কিছু দেখার আছে এখনও এই বয়সে।চলো সবাই কাজে লেগে পরি।(রামিম সাহেব)
হুম।এই আজব জুটির কি হবে কে জানে?(আলিশা সোফায় বসে)
।
।
বিকেলে
আব্বু দুপুরে এসে খাবারের জন্য ডাক দিয়ে গেছে কিন্তু আমি খুলিনি। খাবো না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছি।একটুও আগেও নাস্তার জন্যে ডাক দিয়ে গেলো কিন্তু আমি খুলিনি।আজ খুব রেগে আছি আমি।আমার কোনো কথার কোনো দামই দেয় না।জীবনে কি বিয়েই সব?বিয়ে করলেই কি সুখে থাকা যায়?বিয়ে করাতে কি যে আনন্দ আমি জানি না।
তবে এই বিয়ে আমার তখনও পছন্দ ছিলো না এখনও পছন্দ না। বিয়ের কথা উঠতে না উঠতেই আমার জীবন থেকে আমার স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।নিজের রুমেও আমাকে পাহারা দিয়ে রাখছে।আমার কলেজে যাওয়া বন্ধ।সব হয়েছে ওই বিয়ের জন্য।(আমি মনে মনে রেগে)
কিছুক্ষণ পর ফোনটা বের করে আকাশকে(আমার আরেক বেস্ট ফ্রেন্ড) ফোন দিলাম।
হ্যাল্লো!নতুন বধূ।(আকাশ ফোন ধরে)
ফাজলামি আজকে কি তোর মগজে বাসা বাঁধছে?(আমি রেগে)
তোর গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে খুবই রেগে আছিস। যাই হোক ফালতু কথা বলে তোর রাগ উঠিয়ে নিজের কবর খুঁড়তে চাই না।(আকাশ)
গুড বয়।এখন বল কই তুই?(আমি)
শপিং এ যাচ্ছিলাম বাইক নিয়ে এখন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে তোর সাথে কথা বলছি।কেনো?(আকাশ)
শপিং কেনো?(আমি অবাক হয়ে)
আরে সামনে তোর বিয়ে,পিয়া খবর দিলো।তোর পিচ্ছি কালের বন্ধু আমি আমাকে তো সেই ভালো দেখাতে হবে।তাই আগে থেকেই সব কিছুর তৈরি করতে হবে তো।(আকাশ এক্সসাইটেড হয়ে)
যেই পথে এসেছিস সেই পথে বাড়ি যা।(আমি)
মানে?(আকাশ)
কারণ তুই আমার বিয়েতে আসবি না?(আমি)
কেনো আসবো না?আমি সেই ছোটো বেলা থেকেই দেখতে চেয়েছি কোন সেই হতভাগা হবে যে তোর মত মেয়েকে তার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে!(আকাশ)
থ্যাঙ্ক ইউ ফর দা ইনসাল্ট।আজ কাল যাকে দেখো সেই ইনসাল্ট করছে!(আমি)
ওয়েলকাম।আচ্ছা বাদ দে এইসব।এখন বল আমি আসবো না কেনো?(আকাশ)
কারণ
পরেই আকাশকে আমি আমার ব্যাক আপ প্ল্যান সম্পর্কে বলি।
তুই শুধরানোর মানুষ না।তুই জানিস এই প্ল্যান কতটা রিস্কি।(আকাশ)
জীবনটাই রিস্কি।এখন তোকে যা বলেছি তুই তাই তাই করবি!একটু এদিক ওদিক হলে কিন্তু তোর আর আমার জানাজা দিবে আমার বাবা।(আমি)
দেখ তুই তো আমার জীবনে ভয়ে দেখিয়ে আমার আত্মা গলা পর্যন্ত নিয়ে এসেছিস এখন আংকেলের কথা বলছিস।এইবার কিন্তু ভয়ে আমার আত্মা বের হয়ে আসবে।(আকাশ)
এইজন্যই বলছি।মনোযোগ দিয়ে কাজ করবি।কোনো সমস্যা যেনো না হয়।(আমি)
আচ্ছা।তবে একটা কথা।(আকাশ)
কি?(আমি)
আমি সেই তোর যখন নাক দিয়ে সর্দি পড়তো সেই কালের বন্ধু আর আমিই তোর বিয়েতে যাবো না।(আকাশ নেকা কান্না করে)
ইয়াক ছি:।কি বলছিস?আচ্ছা আচ্ছা তোর নেকা কান্না থামা।তুই আমার বিয়েতে না আসার বদলে আমি তোর বাইকের এক বছরের সার্ভিসএর টাকা দিবো।খুশি?(আমি)
এইটাইত আমি চাই।আচ্ছা যেহেতু ডিলটা হয়ে গেছে সেহেতু আমি এখন রাখছি।
বলেই আকাশ ফোন কেটে দিলো।
কি মীর জাফর টাইপ ফ্রেন্ড আমার!(আমি অবাক হয়ে)
।
।
।
।
সন্ধ্যায়
হিয়া দরজা খোল।(পিয়া দরজায় টোকা দিয়ে)
আমি দরজা খুলতেই ও হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো।
তুই আংকেলের সাথে ঝগড়া করেছিস?(পিয়া রেগে)
উনি কি করেছে জানিস না?(আমি রেগে)
তুই কি করেছিস তুই জানিস না?এর পরেও আঙ্কেল কি করে তোকে বিশ্বাস করবে?(পিয়া)
বিয়ের জন্য আমার সব কিছুর উপর উনি নজরদারি করছে।এইসব তোর চোখে পড়ছে না?(আমি)
বিয়ের জন্য উনি তোর উপর নজরদারি করছে না।উনি নজরদারি করছে তোর স্বভাবের কারণে।কারণ তুই তো উনাকে কোনো কারণ দেস নি উনাকে বিশ্বাস করার।বার বার উনাকে ভুল বুঝে গেলি।এখনও বুঝলি?তুই জানিস না তুই ছাড়া উনার কেউ নেই।তবুও তুই উনাকে কষ্ট দিস।তুই জানিস তুই খাস নি বলে উনিও কিছু খায়নি।তুই ভাবছিস তুই নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস,নিজেকে খারাপ বানাচ্ছিস কিন্তু এইসব করে তুই তোর বাবাকেই বেশি কষ্ট দিচ্ছিস।যা গিয়ে এখন আংকেলের সাথে খাবার খাবি।এখন জেদ ধরে থাকলে ইচ্ছামত মাইর খাবি?(পিয়া আমাকে টানতে লাগলো)
তুই জানিস তুই আমাকে এখন মাইর দিকে পরে তুই এর থেকে বেশি মাইর খাবি।(আমি)
জানি।তবুও চল।
বলেই পিয়া নিয়ে আমাকে বাবার পাশে খাবারের টেবিলে বসালো।
আমি আর বাবা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আবার অন্যদিকে দুজনই মুখ ফুলিয়ে বসে রইলাম।
আঙ্কেল এখন আপনিও!আর আমি কাউকে কিছু বলবো না।যদি তোমাদের এই যুদ্ধ না ভাঙ্গে তাহলে কিন্তু আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো আর আসবো না।বলে দিলাম।
এই দাড়া তুই চলে গেলি এই হিটলার বাবা থেকে আমাকে বাঁচাবে!(আমি পিয়ার এক হাত ধরে)
হুম মা।তুমি চলে গেলে এই অসভ্য মেয়েকে আমি কি করে সামলাবো!(হিমেল সাহেব পিয়ার আরেক হাত ধরে)
তাহলে এখন একে অপরকে খাইয়ে দাও।(পিয়া)
পরেই বাবা পিয়ার কথা শুনে আমাকে খাইয়ে দিলো।আমিও বাবাকে খাইয়ে দিয়ে বললাম,,
সরি আব্বু।
আব্বু আমার মাথায় হাত দিয়ে বললো
ইটস ওকে আমার লক্ষ্মী মা।
বাহরে আমাকেও কেউ খাইয়ে দাও।(পিয়া)
আয় তোকেও খাইয়ে দেই।(হিমেল সাহেব)
আমিও দোকান থেকে বিষ এনে খাইয়ে দেই।(আমি)
হ্যা হ্যা very funny।(পিয়া)
।
।
এক সপ্তাহ পর
বাড়িতে মেহমানদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। ও বাড়ি থেকেও অনেক লোকজনও পাঠিয়েছে বিয়ের কাজের জন্য।আমাদের বাড়িতে তো তেমন কোনো মানুষ নেই।আমার বাবার পক্ষের কোনো আত্মীয় স্বজন নেই।আর মার খবর জানিও না।তাই আত্মীয় স্বজনদের আহাজারি আমাদের বাড়িতে নেই বললেই চলে।তবে পাড়া প্রতিবেশীরা রয়েছে। তারা অনেক ভালো।আমার আব্বু একা বলে তার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।আজকাল এইরকম প্রতিবেশী খুব কমই পাওয়া যায়।পাবেল আংকেল আর আরেকজন আঙ্কেল মিলে বিয়ের বাজারের দায়িত্বে রয়েছেন।পরি আন্টি, আর বাকি সব মহিলারা রান্নাবান্না আর বাকি কি নিয়ম আছে সেগুলো লক্ষ্য রাখছে। পীয়াও আজ থেকে ভার্সিটিতে যাবে না।আর আমাদের নোটস গুলো আকাশ করবে।বেচারা এই নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলো কারণ ওকে ক্লাসে খুব কমই দেখা যেতো কিন্তু আমাদের কারণে ওকে এই কয়দিন রেগুলার ক্লাস করতে হবে।পিউ আপু সাজানোর ডিপার্টমেন্টে,এছাড়াও পার্লারের লোকও উনিই ঠিক করবেন।খুবই ব্যাস্ত সময় পার করছেন সবাই।এদিকে আমি আর পিয়া একটু পর পর রান্না ঘরে যাচ্ছি আর কিছু না নিয়ে এসে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে খাচ্ছি আর সবার কাজ কর্ম দেখছি।আমার অবস্থা এই রকম যার বিয়ে তার তাল নেই পাড়া প্রতিবেশীর ঘুম নেই।
কিছুক্ষণ পর দেখি কিছু কতো গুলো বাক্স এনে সোজা আমার রুমে ঢুকে গেল।সাথে বাবাও ছিলো,,
কি হলো বলা নেই কওয়া নেই?ডাইরেক্ট আমার রুমে ঢুকে পড়ল।(আমি ভ্রু কুঁচকে)
চল গিয়ে দেখি কি এনেছে?(পিয়া)
হুম।
পরেই আমি আর পিয়া রুমে ঢুকলাম।লোকগুলো বক্স গুলো আমার খাটে রেখে চলে গেলো।এতক্ষণে রুমে পরি আন্টি,পিউ আপুও চলে আসলো।আব্বু গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো। এখন রুমে আমি,পিয়া,পরি আন্টি,পিউ আপু আর আব্বু।
আব্বু এইসব কি?(আমি ব্যাগ গুলো ঘাটাঘাটি করতে করতে)
তোর বিয়ের লেহেঙ্গা আর জুয়েলারি।সব পাঠিয়ে দিয়েছে তারা!(হিমেল সাহেব)
আমি তো এমনি বলেছিলাম।তারা সত্যিই সত্যিই ডিজাইনার লেহেঙ্গা আর জুয়েলারি বানিয়ে পাঠিয়েও দিয়েছে। আশ্চর্য মানুষ তারা। যাই ডিমান্ড করছি তাই পূরণ করছে!এখন তো বিয়ে ভাঙ্গা আরো মুশকিল হয়ে যাবে(আমি মনে মনে)
কি হলো?গিয়ে দেখ তোর জিনিস পত্র কেমন হয়েছে?(পরি আন্টি)
পিয়া আমার বিয়ের লেহেঙ্গা বের করে বললো,,
হিয়া দেখ কতো সুন্দর তাইনা?
আমি বিয়ের লেহেঙ্গা দেখে অবাক হয়ে গেলাম।খুব সুন্দর করে বানানো হয়েছে।যেই বানিয়েছে উনি অনেক যত্ন নিয়ে বানিয়েছে।(আমি মনে মনে)
পিয়া দেখ জুয়েলারি গুলোও সুন্দর!(পিউ আপু)
হুম অনেক সুন্দর।(পিয়া)
তোমাদের জন্যও লেহেঙ্গা বানানো হয়েছে!আর এইগুলোর মধ্যে রয়েছে তা।(হিমেল সাহেব)
সত্যি আঙ্কেল।কোথায় দেখি!
বলেই পিয়া আর পিউ আপু খুশি হয়ে তাদের লেহেঙ্গা বাক্স খুললো।
তাদের হাসি মুখ যেনো আমার সহ্য হচ্ছিলো না।তাই আমি গিয়ে বেলকনিতে দাড়ালাম।
বেলকনিতে দাড়িয়ে রুমের ভিতর তাকিয়ে দেখছি বাবা কতো শখ করে নিজের মেয়ের বিয়ের জিনিস পত্র দেখাচ্ছে।উনার চোখে খুশির ঝলক।পিয়া,পিউ আপু পরি আন্টি সবাই কতো খুশি আমার জন্য।তবে আমি কি কোনো ভুল করছি বিয়েটা ভাঙার চেষ্টা করে?আমার কি বিয়েটা করে নেয়া উচিত!
পরেই চোখ বুজে একটা দীর্ঘ শ্বাস নিলাম
না না।এইসব সাময়িক সময়ের জন্য।এই খুশির জন্য আমি নিজের খুশি জলাঞ্জলি দিতে পারি না।আমি যা ভাবছি তাই করবো।
বিয়েটা আমি ভাঙবই।(আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে)
।
।
অন্যদিকে
আলিফ বেলকনিতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কফি খেতে খেতে,,,,
ওর জিনিস পত্র তো ও পেয়ে গেছে।এখনও কি বিয়ে ভাঙার প্ল্যান করছে?যতই বিয়ে ভাঙার প্ল্যান করো না কেনো হিয়া?এই বিয়ে তো হবেই!
।
।
চলবে,,,,