গল্পটা নিশ্চুপ বালিকার(১০)
রচনায়- অনামিকা ইসলাম ‘অন্তরা’
১বছর পর___ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং ডিপার্টমেন্টের সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া’য় স্বয়ং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা শুভ্রকে এক বিশেষ মর্যাদা দেন। অনার্স পাস করার পর মাস্টার্সের ছাত্রত্ব, পাশাপাশি নিজের ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা, ভাবতেই শিহরণ দিয়ে উঠে শুভ্র’র পুরো শরীর। যে ইয়ারে শুভ্র মাস্টার্সে ভর্তি হচ্ছিল, একই ইয়ারে অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের ভতি কার্যক্রম চলছিল। ডিপার্টমেন্টের অফিসে শুভ্র ওর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে বাসায় এসে খুবই অবাক হলো। আশ্চর্য হলো ওর কাগজপত্রের সঙ্গে একটি মেয়ের ছবি দেখে। সম্ভবত ছবিটি ছিল কোন এক নতুন ভর্তি হওয়া অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রীর। দেখে আশ্চর্য হলো শুভ্র। পাশেই বসেছিল শুভ্র’র মা। ছবিটা হাত থেকে নিয়ে বলল, মেয়েটা খুব সুন্দর। শুভ্র হেসে মাকে বলল, মা! চোখগুলো খুব’ই সুন্দর। একটি বইয়ে পড়েছিলাম পটলচেরা চোখ নাকি মেয়েদের আকর্ষণীয় করে। পটলচেরা চোখের সঠিক সংজ্ঞা আমি জানি না বা বুঝি না। তবে মা দেখো, তার চোখটা কিন্তু এর চেয়ে বেশী কিছু। রসিকতার ছলে মায়ের জবাব, ওহ, আচ্ছা! খুব মনে ধরেছে, নাহ?! দুষ্টুমির ছলে শুভ্র’র জবাব, হ্যাঁ, মা খুউব। কিছুটা গম্ভীর কন্ঠে মায়ের জবাব, ওকে! কাল তো তোমার বাবা আসছেই বাহির থেকে। পরশু না হয় দেখে যাবো। কি বলো? পর্দার’র আড়ালে দাঁড়িয়ে মা ছেলের কথোপকথন পুরোটাই শুনে নেয় নীলিমা। ঘটনা বিয়ে পর্যন্ত গড়ালে দাঁতে দাঁত চেপে কান্না আটকে দ্রুত সে স্থান পরিত্যাগ করে…. ‘