গল্প :হবু বউ পাঠ : ০৭
লেখক : অর্দ্র(MR)
পিচ্চির কথা শুনে আমি গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ওখানে গিয়ে বললাম কী হচ্ছে এখানে ।
আমার কথা শুনে ঐখানের সবাই আমার দিকে তাকালো এবং দেখলাম মেয়েটা মনে হয় হাফ ছেড়ে বাচলো । ও আপনাদের তো ঠিক মতো বলাই হয়নি কি হয়েছে এইখানে। আসলে কয়েকটা বখাটে মিলে একটা মেয়েকে ঘিরে ধরেছে । আর মেয়েটা একা ঐটা দেখেই আমার মামনি হাত ইশারায় দেখিয়ে দিল । আপনাদের বলেছিলাম না আমার মামনি অনেক বুদ্ধিমতী । যাইহোক আমাকে দেখে বখাটে দের একজন বলল ঐ তোরা চল । তারপর ওরা এখানে থেকে চলে গেল । আর আপনারা ভাবছেন ওরা আমাকে দেখে চলে গেল কেন আসলে আমাদের এখানে আমার আব্বুর প্রতিপত্তি অনেক বেশি আর আর বখাটেরা আমাকে ভালো করেই চেনে আর ওরা জানে আমি কেমন । যাইহোক ওরা চলে যাওয়ার পর আমি মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি আসলে মেয়েটা আর কেউ নয় ঐ বখাটে মেয়ে । মেয়ে কে দেখে আমি বললাম,,,
আমি : ও আমি তো ভুল করলাম । আসলে বখাটেরা তো এইভাবেই বখাটের হাতেই বিপদে পড়ে ।
মেয়ে : ,,,,,,,,,,,,,,,,,। কিছুক্ষণ থেমে থেকে বলল । আপনি আসলে একটা খারাপ মানুষ ।
আমি : ও তাই না । আমিই তো আপনাকে বাচালাম আর আমিই খারাপ।
মেয়ে : হ ্যা । তো আমাকে আপনি বখাটে বলছেন কেন ।
আমি : তো আপনাকে কী বলবো বখাটে কে কী বলব। যাইহোক আমি এখানে দাড়িয়ে আপনার সাথে ঝগড়া করতে চায় না । বিপদে যখন পড়েছেন তো চলেন আপনাকে বাড়ী পৌছে দেই ।
মেয়ে : না দরকার নেই আমি একাই চলে যাবো ।
আমি : দেখেন বখাটে গুলো এখনো আশেপাশেই আছে আমি চলে গেলে আবার আপনাকে জ্বালাতন করবে তাই বলছি চলেন ।
মেয়ে : না ওরা আর আসবে না । আপনি চলে যান । আর আপনি আমাকে নামিয়ে দিবেন কেন । আমি আপনার কী হই।
আমি : আচ্ছা আপনি আমার বাবা মায়ের পরিচিত । তাই আমার আপনাকে ভালোমতো বাড়ি পৌঁছে দেওয়া দায়িত্ব হয়ে গেছে ।
মেয়ে : আপনার সিমপ্যাথির কোনো প্রয়োজন নেই আপনি যান ।
এবার আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আমি আবার কখন ওকে সিমপ ্যাথি দেখালাম । তারপরেও নিজেকে শান্ত রেখে বললাম ,,
আমি: প্লিজ চলেন আপনার আবার কোনো বিপদ হতে পারে ।
মেয়ে : না ।
আমি : থাপ্পড় চিনস ছেড়ি । তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠ । আর একটা কথা বললে থাপরাইয়া সব গুলো দাঁত খুলে ফেলবো ।
আমার রাগ করা দেখে মনে হয় ভয় পেয়েছে । মাথা নিচু করে গাড়িতে উঠে বসল। বুঝলাম না আমার কথায় তাহলে সত্যিই ভয় পেয়েছে । আমিও গাড়িতে উঠে চলা শুরু করলাম । এমন সময় মামনি বলছে চাচ্চু এই আন্টি টা কে ।
আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো যেহেতু কালকে ও রুবিকে সাথে দেখা করার জন্য বলেছিল সে জন্য আমি একটু দুষ্টুমি করে বললাম ,,
মামনি তুমি তোমার রুবি চাচিকে দেখতে চেয়েছিলে না এইটাই তোমার রুবি চাচি । (আমি)
পিচ্চি আমাকে একটা পাপ্পি দিয়ে মেয়েটা কে বলছে চাচি তোমার কী হয়েছিল ।
মেয়ে : কিছু না । ওখানে কিছু বদমাইশ আমাকে খারাপ খারাপ কথা বলছিল ।
ও হ ্যা আমি মেয়েটাকে কে ইশারায় বললাম একটু কোওপারেট করতে । দেখি কাজ হয়েছে । আসলে মেয়েটা ভালো কথা তো ভালোই শুনছে ।
পিচ্চি আবার মেয়েটা কে প্রশ্ন করলো ।
চাচি তোমার আম্মু নাকি পচা । আর অনেক রাগ দেখায় তাই তো চাচ্চু আমাকে তোমাদের ওখানে নিয়ে যাইনি । যাক ভালোই হলো তোমার সাথে দেখা হয়ে গেল । ( পিচ্চি)
মেয়ে : আম্মু তোমার চাচ্চু বলেছে এইকথা তাই না । আসলে তোমার চাচ্চু একটা পঁচা তাই এইকথা বলেছে ।
পিচ্চি : না আমার চাচ্চু পচা না ।
ওদের কথার মাঝে আমি বললাম আপনাকে কোথায় নামিয়ে দেব।
তখন মেয়েটা আমাকে ওর বাড়ির ঠিকানা দিল । কিন্তু ওর ঠিকানা শুনে আমার সন্দেহ আরো বেড়ে গেল যে মেয়েটা কে । আমার মাথায় শুধু একটা কথাই শূধু ঘুরপাক খাচ্ছে যে মেয়েটা কে ।আরে আপনারা ভাবছেন আমি এগুলো ভাবছি কেন আসলে মেয়েটা যে ঠিকানাটা দিয়েছে সেটা হচ্ছে আমার হবু শ্বশুর বাড়ির মানে রুবিদের বাসার । আমার চুপ করে থাকা দেখে মেয়েটা আমাকে বলছে কী ব ্যাপার চুপ করে গেলেন কেন ।
আমি : না এমনিতেই ।
মেয়েটা আর পিচ্চি গল্প করছে আর আমি মনে মনে ভাবছি মেয়েটা কে । আমি বাসায় গিয়ে হাজার বার বললেও রুবির একটা ছবিও দেখাবে না ।
আসলে আমাকে প্রথমে রুবি কে দেখার বিষয় এ বলা হয় কিন্তু আমিই তখন বাহাদুর এর মতো বলেছিলাম আপনাদের পছন্দই আমার পছন্দ ।
আর এখন দেখতে চেয়েও দেখতে পাচ্ছি না । কপাল আমার ।
তবে আপনাদের বলছি আপনারা কেউ আমার মতো এমন বোকামি করবেন না ।
যাইহোক তারপর মেয়েটা কে আমার বউয়ের বাড়ি থুক্কু আমার হবু শ্বশুর বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে চলে আসলাম ।
বাসায় এসেই সরাসরি ভাবির কাছে হানা দিলাম কোন লাভ হলো না । তারপর ভাইয়ার এর কাছে তাতেও ফেল মারলাম । সবার একই কথা কদিন পরেই তো বিয়ে এখন আর দেখতে হবে না । শত শত বুঝিয়েও নাভ হচ্ছে না ।
তাই ব ্যাথ হয়ে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম । চোখটা একটু ধরে এসেছে তখনই আব্বুর ডাক ।
ধরমর করে উঠে দৌড় দেরি হলে খবর আছে আর এখন ডাকার ধরনটা আলাদা মনে হচ্ছে ।
যাইহোক নিচে আসতে আসতেই বুঝতে পারলাম যে কিছু একটা হয়েছে ।
আব্বুর কাছে এসে বললাম কী হয়েছে আব্বু । ( নরম শুরে বললাম)
আব্বু : আজকে কী করেছিস ।
আমি : কই নাতো আমি তো কিছুই করিনি ।
আব্বু : রাস্তার মেয়েদের জ্বালানো শুরু করেছ ।
হায় হায় আমার ইজ্জত এই গেল বুঝি
আমি : না আব্বু আমি তো এইরকম কিছুই করিনি । আর তোমার কী মনে হয় । আমি যখন পড়াশোনা করতাম তখনই মেয়েদের পাত্তা দেইনি আর এখন । আর তোমাকে কে কী বলেছ শুনি ।
আব্বু : আমি সব ঠিকঠাক জানি যে তুই আজকে কাকে এগুলো করেছিস । আর বলছিস এইগুলো করিস নি ।
এবার আমার মাথার মধ্যে সব কিছুই একদম পরিষ্কার হয়ে গেল । আমি বুঝতে পারছি না মেয়েটা আমার পেছনে লেগেছে কেন ।
আমি আব্বুকে বললাম ঐটা কে রুনি ।
আব্বু : হ ্যা ,,,,,,,,,,,,,
আমি : সত্যিই
আব্বু : হ ্যা মানে না। আমি কী বলতে কী বলছি ঐ তুই এখন যা পরে এই বিষয়ে কথা বলবো ।
তারপর আমি ওখানে থেকে চলে আসলাম এসে যেই মাত্র বিছানায় একটু শুয়ে পড়ার প্রস্তূতি নিচ্ছি তখনই আমার ফোন টা বেজে উঠলো ,,,,,,,
চলবে