গল্প : হবু বউ পাঠ: ০৪
লেখক : অর্দ্র(MR)
কিছুক্ষণ পর একটা মেয়ে কন্ঠ থেকে আওয়াজ আসলো আমি কী আসতে পারি ।
কথাটা শুনে আমি সামনের দিকে মুখ তুলে তাকাতেই আমার চোখটা আটকে গেল দরজায় । আমার হা হয়ে তাকিয়ে থাকা দেখে মেয়েটা বলল কী আসবো না এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবো ।
আমি : হুম আসেন ।
মেয়েটি ভেতরে এসে দাড়াতেই আমি বললাম বসেন । মেয়েটি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে বসলো ।
আমি বললাম আমি আপনার জন্য কী করতে পারি ।
না আমার জন্য আপাতত আপনাকে কিছু করতে হবে না । আপনি কালকে রাতে যেভাবে রাগ দেখিয়ে ফোন টা রেখে দিলেন তাতে ভাবলাম একবার আপনার সাথে দেখা করে আসি । ( মেয়েটা)
আচ্ছা একটা কথা বলেন তো আপনি কীসের জন্য আমার সাথে লেগেছেন আমি আপনার কী করেছি । আপনি অনেক দিন থেকেই আমাকে এইভাবে বিরক্ত করছেন । কিন্তু কীসের জন্য এইরকম করছেন । (আমি)
এমনিতেই আপনাকে জ্বালাতন করতে আমার খুব ভালো লাগে তাই । আর আপনাকে ছাড়া আর কাকে জ্বালাতন করবো বলেন । ( মেয়েটা)
কী বলছেন এসব আমি আপনাকে চিনি না । আর আমাকে জ্বালাতন করতে ভালো লাগে মানে টা কী । আর আমাকে ছাড়া কাউকে জ্বালাতন করবেন না মানে টা কী । (আমি)
সব গুলোর উত্তর একটাই আপনি মনে হয় ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।(মেয়েটা)
তবে শুনুন আমার না বিয়ে ঠিক করা আছে । আর আমার ওয়াইফ এর নাম রুবি । ১৫ দিন পর আমার বিয়ে ।( ওহ আপনাদের তো বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার বিয়ের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি ) (আমি)
তাই বুঝি ।(মেয়েটা)
আমি: হুম । কোন কনফিউশন আছে নাকি ।
মেয়েটা : না । তো আপনার ওয়াইফ এর নাম কী ।
আমি : আমার ওয়াইফ এর নাম যাই হোক আমি আপনাকে বলবো কেন । আর আপনি অনেক ধরে আমার সময় নষ্ট করছেন । আপনি এখন আসতে পারেন ।
মেয়েটা: হুম । আপনার সময় নষ্ট করার জন্য সরি । তবে আপনার সাথে আবারো দেখা হবে । বাই ,,,
মেয়েটা উঠে চলে যেতে যেতে পেছনে তাকিয়ে বলল বাইদ ্যাওয়ে আমার নাম অবন্তী । বলেই মেয়েটা চলে গেল ।
মেয়েটা চলে যাবার পর মনে হলো আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম । বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার কাজে মন । এই ভাবে দিনটা শেষ ।
এইভাবে যেতে যেতে দুদিন পর অফিস থেকে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটু ছাদে যাবো ভাবলাম তখনি আম্মু একটা ডাক দিল ,,,,
মেহেদী দেখ তোর ফ্রেন্ড এসেছে বাহিরে আয় ।
আমি মনে মনে বললাম আমার ফ্রেন্ড আসছে কিন্তু আমার তো এইরকম কোনো ফ্রেন্ড নাই ।
যাইহোক আমার রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ ,,,,,
চলবে