ঘুমন্ত রাজপরী_০৬
‘স্লমালিকুম। ‘ওয়ালাইকুম সালাম। কেমন আছেন ফিরােজ সাহেব? ‘জ্বি, ভালাে। ‘ক’দিন ধরে দেখি না আপনাকে?
‘দারুণ ব্যস্ত। আজ একটু ফাকা পেয়েছি, ভাবলাম আপনাকে জরুরি কথাটা বলে যাই।’
কী জরুরি কথা? ‘ঐ যে আপনার মেয়ের ছবি নিয়ে গেলাম যে ‘ও, আচ্ছা। বসেন, চা খাবেন? ‘তা খাওয়া যায়।
হাজি সাহেব ভেতরে গিয়ে চায়ের কথা বলে এলেন। ফিরে এসে আগ্রহী চোখে তাকিয়ে রইলেন।
| ‘ঐ যে আপনার কাছ থেকে ছবি নিয়ে গিয়েছিলাম, ছবি দেখে সবার এক কথা—মেয়ে কি ছবির মত সুন্দর? ফটোজেনিক ফেস ভালাে থাকলে অনেক সময় এলেবেলে মেয়েকেও রাজকন্যার মতাে লাগে।
হাজি সাহেব ছােট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেললেন।
‘মেয়ে যদি ছবির কাছাকাছিও হয়, তাহলেও ওদের কোনাে আপত্তি নেই। যেদিন বলবেন, সেদিনই বিয়ে।
আপনি কি মেয়ের অসুবিধার কথাটা বলেছেন?
‘পাগল হয়েছেন। এখন আমি এইসব বলব? কথাবার্তা মােটামুটি পাকা হয়ে যাবার পর খুব কায়দা করে…….
‘না, যা বলবার এখনই বলবেন। মেয়েকে আমি একটা বাড়ি লিখে দেব, এটাও বলবেন। ৪৩ কাঁঠাল বাগান। একতলা বাড়ি। ইচ্ছা করলে বাড়ি দেখে আসতে পারেন
মেয়েই দেখলাম না, আর বাড়ি। ‘বাড়িটাই লােকে আগে দেখে, মেয়ে দেখে পরে। তবে মেয়েকে আপনি দেখবেন। আসতে বলেছি। আসুন, ভেতরে গিয়ে বসি।
তারা বসার ঘরে পা দেয়ামাত্র হাজি সাহেবের ছােট মেয়েটি ঘরে ঢুকল। কী শান্ত, স্নিগ্ধ মুখ। গভীর কালাে চোখে ডুবে আছে চাপা কষ্ট। সেই কষ্টের জন্যেই বুঝি এমন টলটলে চোখ।
ফিরােজ বলল, ‘দাঁড়িয়ে আছ কেন, বস।”
মেয়েটি সঙ্গে-সঙ্গে বসল। তার আচার-আচরণে কিছুমাত্র জড়তা লক্ষ করা গেল । সে সরাসরি তাকিয়ে আছে, চোখ নামিয়ে নিচ্ছে না।
‘কি নাম তােমার?
লতিফা।
‘প্রায় চার বছর তােমাদের এদিকে আছি। নামটা পর্যন্ত জানি না। খুবই অন্যায়। তুমি কি আমার নাম জান?
‘জানি। হাজি সাহেব বললেন, লতিফা, তুই এখন ভেতরে যা। চা দিতে বল।”
লতিফা সঙ্গে-সঙ্গে উঠে চলে গেল। ফিরােজ একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস চেপে ফেলল। তার ইচ্ছে করছে, বলে—পাত্র হিসেবে আমাকে আপনার কেমন লাগে? | বলা হল না। আধুনিক সমাজে বাস করার এই অসুবিধে। মনের কথা খােলাখুলি কখনাে বলা যায় না। একটি মেয়েকে ভালাে লাগলেও তাকে সরাসরি সেই কথা বলা যাবে না। অনেক ভণিতা করতে হবে। অনেক চড়াই-উত্রাই পার হতে হবে।
হাজি সাহেব বললেন, ‘আমার মেয়েটা বড় আদরের। ফিরােজ কিছু বলল না। সে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে। উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটার একটা আলাদা মজা আছে। যে-কোনাে দিকে যাওয়া যায়, যেখানে ইচ্ছে সেখানে থেমে যাওয়া যায়। এই সৌভাগ্য ক’জনার হয়? সবাই ব্যস্ত। সবাই ছুটছে। এর মধ্যে দু’-এক জন অন্য রকম থাকুক না, যাদের ছােটার ইচ্ছে নেই, প্রয়ােজনও নেই। | এখন প্রায় বিকেল। হাঁটতে-হাঁটতে অপালাদের বাড়ির সামনে চলে যাওয়া যায়। কেন জানি এই অহঙ্কারী মেয়েটিকে দেখতে ইচ্ছে করছে। তার কঠিন মুখ, চোখের তীব্র দৃষ্টিও কেন জানি মধুর। এর ব্যাখ্যা কী? কোনাে ব্যাখ্যা নেই। এই রহস্যময় পৃথিবীর অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করা যায় না। কবি, দার্শনিক, শিল্পীরা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা কত যুগ আগে শুরু হয়েছে, এখনও চলছে। ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ হয় নি।
‘ফিরােজ সাহেব, কী ভাবছেন? ‘কিছু ভাবছি না। শরীরটা খারাপ লাগছে।
সে কী! আজ আর চা-টা কিছু খাব না। ডাক্তারের কাছে যাব। বমি-বমি লাগছে।” ফিরােজ বমির ভঙ্গি করে চোখ-মুখ উল্টে দিয়ে বলল, ‘কাল রাতেও চার বার বমি হয়েছে। আমি উঠলাম।
অপালাদের বাড়ির সামনে ফিরােজ দাঁড়িয়ে আছে। এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন তাকে দেখা না-যায়। মানুষের অদৃশ্য হবার ক্ষমতা থাকলে বেশ হত। মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে দেখা যেত সে কী করছে। এই মুহূর্তে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। চেইনে বাঁধা ভয়াবহ কুকুর দুটি চেইন ছিড়ে ফেলবার একটা কসরত করছে। মালীকে নিড়ানি হাতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া সব ফাঁকা।।
‘স্যার। ফিরােজ চমকে উঠল।
‘আপনাকে ডাকে স্যার। ‘কে ডাকে?’ ‘আপা আপনাকে যাইতে বলছে।
‘কোন আপা? ‘অপালা আপা। ‘সে কী। কোথায় তিনি?
অপালাদের দারােয়ান তার উত্তর দিল না। দারােয়ান-শ্রেণীর লােকেরা কথা কম বলে।
মেয়েটিকে সম্পূর্ণ অন্য রকম লাগছে। ফিরােজ ভেবে পেল না একই মেয়েকে একেক দিন একেক রকম লাগে কেন। এর পিছনের রহস্যটা কী? সাজগােজের একটা ব্যাপার থাকতে পারে। তার ভূমিকা কতই-বা আর হবে? চোখে কাজল দিয়ে চোখ দুটিকে টানা-টানা করা যায়। চুল মাঝখানে সিথি না-করে বাঁ দিকে করে খানিকটা বদলানাে যায়। পার্ম করে চুলে ঢেউ খেলানাে নিয়ে আসা যায়, কিন্তু তার পরেও তাে মানুষটি ঠিকই থাকবে।
‘বসুন, দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
ফিরােজ বসল। বসতে-বসতে মনে হল অপালার গলার স্বরও এখন অন্য রকম লাগছে। একটু যেন ভারী। আগেকার তরল কণ্ঠস্বর নয়।
‘আপনি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর আগেও একদিন এসে ছিলেন। বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে যান। কেন বলুন তাে?
ফিরােজ কী বলবে ভেবে পেল না। কিছু এই মুহূর্তেই বলা উচিত। মেয়েটি জবাব শােনবার জন্যে অপেক্ষা করছে। জবাবের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। জবাব যদি তার পছন্দ হয়, তাহলে সে ফিরােজের সামনের চেয়ারটায় বসবে, পছন্দ না হলে বসবে না। অহঙ্কারী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকবে।
অপালা বলল, আপনার যদি আপত্তি থাকে তাহলে বলার দরকার নেই।
‘না, কোনাে আপত্তি নেই। আপনার সঙ্গে দেখা হবে এই আশাতেই দাঁড়িয়ে থাকি। দু’ দিন মাত্র নয়, তার আগেও কয়েক বার এসেছি।
ফিরােজ লক্ষ করল, মেয়েটির চেহারা কঠিন হতে শুরু করেছে। কী প্রচণ্ড রাগ এই মেয়ের! গাল কেমন টকটকে লাল হয়ে গেল—ঠোঁট কাঁপছে। মেয়েটি নিজেকে সামলাবার চেষ্টা করছে। সামলাতে পারছে না। মানুষের সঙ্গে কথা বলে এই মেয়ের তেমন অভ্যাস নেই। অভ্যাস থাকলে খুব সহজেই নিজেকে সামলাতে পারত। ফিরােজ বলল, আমার সব কথা না শুনেই আপনি রেগে যাচ্ছেন। সবটা আগে শােনা ভালাে নয় কি?
‘বলুন, শুনছি।
‘আপনি বসুন, তারপর বলছি। আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন আর আমি বসে-বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা বলব, তা তাে হয় না। আর আপনি যদি মনে করেন যে আমার স্তর আর আপনার স্তর আলাদা, তাহলে অবশ্যি ভিন্ন কথা।
অপালা বসল। সে তাকিয়ে আছে ফিরােজের দিকে, এক বারও চোখ ফিরিয়ে
৪০
নিচ্ছে না। এটিও একটা মজার ব্যাপার। এই বয়সের অবিবাহিত মেয়েরা দীর্ঘ সময় পুরুষমানুষের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না। অসংখ্য বার তারা চোখ নামিয়ে নেয়।
‘কি বলবেন, বলুন।
‘আমি নিজের মতাে করে আপনাদের একটা ঘর সাজিয়ে দিয়েছি। সেটা আপনাদের পছন্দ হয়েছে কি হয় নি আমাকে কিছু বলেন নি। আমার জানতে ইচ্ছা করে। জানবার জন্যেই আসি।’
‘আসেন তাে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন কেন?
‘আপনাদের দু’টি বিশাল কুকুর আছে। আমি কুকুর ভয় পাই। ছােটবেলায় আমাকে দু’ বার পাগলা কুকুরে কামড়েছে।
অপালার কঠিন মুখ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। গালের লাগ রঙ এখন অনেকটা কম, নিঃশ্বাস সহজ।
‘আপনার কাজ আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি ম্যানেজারকাকুকে বলেছিলাম, চিঠিতে আপনাকে জানানাের জন্যে। তিনি বােধহয় জানাতে ভুলে গেছেন।
‘চিঠিতেই যখন জানানাের জন্যে বলেছেন, আপনি নিজেও তাে জানাতে পারতেন। পারতেন না?
‘হা, পারতাম। ‘কাজ আপনার ভালাে লেগেছে শুনে খুশি হলাম। এখন তাহলে উঠি।
ফিরােজ উঠে দাঁড়াল। মনে ক্ষীণ আশা, মেয়েটি বলবে, বসুন, চা খেয়ে যান। সন্ধ্যাবেলা এইটুকু ভদ্রতা সে কি করবে না?
অপালা বলল, আপনি বসুন। আমার সঙ্গে চা খান।
ফিরােজ সঙ্গে-সঙ্গে বসে পড়ল। একবার ভেবেছিল রাগ দেখিয়ে বলবে—চা লাগবে না। সেটা বিরাট বােকামি হত। এ যে-ধরনের মেয়ে, দ্বিতীয় বার অনুরােধ করবে না। দু’ জন চুপচাপ বসে আছে। মেয়েটি চায়ের কথা বলার জন্যে ভেতরে যাচ্ছে
, কিংবা কাউকে ডেকেও কিছু বলছে না। এই পয়েন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে হল, মেয়েটি তাকে ডাকতে পাঠাবার আগেই বলে দিয়েছে—আমরা খানিকক্ষণ গল্প করব, তখন আমাদের চা দেবে। অর্থাৎ কিছুক্ষণ সে গল্প করবে।
অপালা বলল, ‘আসুন, আমরা বারান্দায় বসে চা খাই। আমার চা খাবার একটা আলাদা জায়গা আছে। বিকেলের চা বন্ধ ঘরের ভেতর বসে খেতে ইচ্ছা করে না।
চা খাবার জায়গাটি অপূর্ব। যেন একটি পিকনিক স্পট। চারদিকে ফুলের টব। বড় বড় কসমস ফুটে রয়েছে। দিনের সামান্য আলােতেও তারা আনন্দে ঝলমল করছে। টেবিলে চায়ের সরঞ্জাম। সেই সরঞ্জাম দেখে ফিরােজ একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস চাপল। কারণ একটিমাত্র চায়ের কাপ। ওরা এক জনের চা-ই দিয়েছে। | অপালা টেবিলের পাশে দাঁড়ানাে মেয়েটিকে বলল, অরুণা ও বরুণাকে বেঁধে রাখতে বল। আরেকটি চায়ের কাপ দিয়ে যাও।’
কাজের মেয়েটি সন্দেহজনক দৃষ্টি ফেলতে-ফেলতে যাচ্ছে। কর্মচারীর মতাে যে ঢুকেছে, সে মুনিবের মেয়ের সঙ্গে চা খাচ্ছে, দৃশ্যটিতে সন্দেহ করার মতাে অনেক কিছুই আছে।।
‘আমার চায়ের জায়গাটা আপনার কেমন লাগছে?
খুব ভালাে লাগছে।’ ‘আপনার বােধহয় একটু শীত-শীত লাগছে। এরকম একটা পাতলা জামা পরে কেউ শীতের দিনে বের হয়। | আহ্, কী সহজ-স্বাভাবিক সুরে মেয়েটি কথা বলছে! কী প্রচুর মমতা তার গলায়। ফিরােজের মন কেমন যেন অন্য রকম হয়ে গেল।
‘আপনার বিয়েটা এখনাে হয় নি, তাই না?
কোন বিয়ে ? ‘ঐ যে একটি মেয়ের ছবি দেখালেন। বলছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে হবে।
‘ও, আচ্ছা। না, এখনাে হয় নি। সামনের মাসে হবার সম্ভাবনা। মেয়ের এক চাচা আমেরিকাতে থাকেন। ছুটি পাচ্ছেন না বলে আসতে পারছেন না। মেয়ে আবার খুব আদরের। কেউ চায় না যে, তার অনুপস্থিতিতে বিয়ে হােক। বাঙালি হচ্ছে সেন্টিমেন্টাল জাত, বুঝতেই পারছেন। | প্রচুর মিথ্যা বলতে হয় বলেই মিথ্যা বলার আর্ট ফিরােজের খুব ভালাে জানা। মিথ্যা কখনাে এক লাইনে বলা যায় না। মিথ্যা বলতে হয় আঁটঘাট বেধে। সত্যি কথার
কোনাে ডিটেল ওয়ার্কের প্রয়ােজন হয় না, কিন্তু মিথ্যা মানেই প্রচুর ডিটেল কাজ।
| অপালা বলল, আপনি যে এখনাে বিয়ে করেন নি, সেটা কীভাবে বুঝলাম বলুন
=
কীভাবে বুঝলেন? ‘আপনার গায়ের পাতলা জামা দেখে। এই ঠাণ্ডায় আপনার স্ত্রী কিছুতেই এমন একটা জামা গায়ে বাইরে ছাড়তেন না।
ফিরােজ লক্ষ করল, মেয়েটি ছেলেমানুষি ভঙ্গিতে হাসছে, যেন এই বিরাট আবিষ্কারে সে উল্লসিত।
আপনি কি আরেক কাপ চা খাবেন? ‘হ্যা, খাব। এক কাপ খেলে খালে পড়ার সম্ভাবনা।
‘আপনি নিশ্চয়ই আমাকে খুব অহঙ্কারী মেয়ে ভেবে বসে আছেন, তাই না? আমি কিন্তু মােটেই অহঙ্কারী না।’
তাই তাে দেখছি।’ ‘একা-একা থাকতে-থাকতে স্বভাবটা আমার কেমন অন্য রকম হয়ে গেছে।
একা-একা থাকেন কেন? ‘ইচ্ছা করে কি আর থাকি? বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। মা অসুস্থ। বাবা সারাক্ষণই বাইরে-বাইরে ঘুরছেন।
‘অন্য আত্মীয়স্বজনরা আসেন না?
‘কেন? ‘জানি না কেন। আমাকে বােধহয় পছন্দ করেন না। | ‘আপনাকে পছন্দ না-করার কী আছে? আমার তাে মনে হয় আপনার মতাে চমৎকার মেয়ে এই গ্রহে খুব বেশি নেই।’
ফিরােজ লক্ষ করল, মেয়েটি আবার রেগে যাচ্ছে। তার মুখে আগের কাঠিন্য ফিরে
৪২
আসছে। ফিরােজের আফসােসের সীমা রইল না। অপালা বলল, ‘আসুন, আপনাকে গেট পর্যন্ত আগিয়ে দিই।
অর্থাৎ অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় বলা—বিদেয় হােন। ফিরােজের মন-খারাপ হয়ে গেল। আরেক বার আসার আর কোনাে উপলক্ষ নেই। দিন সাতেক পর সে যদি এসে বলে—ঐদিন একটা খাম কি আপনার এখানে ফেলে গেছি—তাহলে তা কি বিশ্বাসযােগ্য হবে? মনে হয় না। এই মেয়েটি অসম্ভব বুদ্ধিমতী।’
সে গেট পর্যন্ত ফিরােজের সঙ্গে-সঙ্গে এল, কিন্তু একটি কথাও বলল না। ফিরােজ যখন বলল, ‘যাই তাহলে। সে তার জবাবেও চুপ করে রইল। শুধু দারােয়ানকে বলল, ‘অরুণা এবং বরুণাকে এখন ছেড়ে দাও।
চলবে….