Gangstar In Love part-05

0
3866

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#writer; Tamanna Islam

#Part__05

গাড়িতে করে অফিসের উদ্দেশ্যে যেতে লাগলো আব্রাহাম আর রাশেদ। আব্রাহাম গাড়ির গ্লাস দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। রাশেদ হঠাৎ করে বলে উঠলো

রাশেদ; স্যার, আজকে আপনি প্রথম আপনার বাবার অফিসে যাচ্ছেন তাই আমি মেনেজার কে বলে রেখেছি যাতে আপনাকে তারা বিশেষ ভাবে welcome করে। তারা সবাই রেডি আছে শুধু আপনার যাওয়ার অপেক্ষা।

আব্রাহাম; হুমমম, আমেরিকা থেকে আজ নতুন কিছু ক্লাইন্ট আসার কথা তাদের সাথে আজ ডিলের বেপারে কিছু কথা আছে। তারা কখন আসবে?

রাশেদ; এসে পড়বে স্যার, আমার তাদের সাথে কথা হয়েছে।

আব্রাহাম;Good

আব্রাহাম আর রাশেদ কথা বলছিলো কিন্তু তাদের ড্রাইভার হুট করেই অনেক জোড়ে গাড়ির Break কশে আব্রাহাম গেলো রেগে,,,,,,

আব্রাহাম; What the hell,, এভাবে গাড়ি কেন Break করলে?

ড্রাইভার; Sorry স্যার, আসলে সামনে কি যেন একটা এসে পড়েছে। আমি দেখছি স্যার

আব্রাহাম; হুমম

ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। বেশ কিছুক্ষন হয়ে যাওয়ার পরও যখন ড্রাইভার ফিরে আসছে না তখন আব্রাহাম ই গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। সামনে গিয়ে দেখলো ড্রাইভার দাঁড়িয়ে আছে

আব্রাহাম; ড্রাইভার, কি হয়েছে?
ড্রাইভার; স্যার, দেখুন না কথা থেকে যেন একটি বিড়াল গাড়ির সামনে এসে পড়েছে আর এই মেয়েটি বিড়ালকে বাচাঁনোর জন্য সামনে এসে দাড়ায়, আমি মেয়েটিকে সরিয়ে দিতে চাইলে মেয়েটি এখন আমার সাথে কথা কাটাকাটি বাজিয়ে দিয়েছে……………
এবার রাশেস ও গাড়ি থেকে নেমে পড়ে।

আব্রাহাম সাথে সাথে সামনে তাকালো। সামনে তাকিয়ে আব্রাহামের চোখ কপালে উঠে গেল। এ তো সেই মেয়েটি যাকে দেখে আব্রাহাম তার চোখের পলক ফেলতেও ভুলে গেছিলো। সেই এক মেয়ের সাথেই কেন যে তার বারবার দেখা হয় সেটা অজানা, মেয়েটির সাথে তার এক আলাদা connection জুড়ে রয়েছে। মেয়েটা বার বার আব্রাহামের সামনে আসে আর তার রাতের ঘুম হারাম করে চলে যায়। আব্রাহাম খেয়াল করলো মেয়েটি বিড়ালকে কোলে নিয়ে আদর করছে। তা দেখে আব্রাহাম মুচকি হাসলো। এবার মেয়েটি দাঁড়িয়ে পড়লো।

মেয়ে; আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা মানুষ তাই অন্তত মনুষ্যত্ব তো থাকা দরকার তাই না। এভাবে সাই সাই করে গাড়ি না চালিয়ে আসে-পাশে কোথায় কি আছে, কে কিভাবে যাচ্ছে তার দিকে একটু খেয়াল করে গেলে ভালো হয় না। আপনি জানেন বিড়াল টা অল্পের জন্য Accident করা থেকে বেচে গেছে। ওদের ও তো জীবন আছে, পরিবার আছে। পরের বার থেকে খেয়াল রাখবেন প্লিজ র এভাবে সাই সাই করে গাড়ি চালাবেন না (মেয়েটি আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে একাধারে কথা গুলো বলে চলে গেলো)

আব্রাহাম যেন অন্য এক জগৎ এ হারিয়ে গেছে। এতক্ষন সে এক ঘোরে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ছিলো। তার কথা বলা, ঘায়েল চোখ দিয়ে তাকিয়ে থাকা ঠোঁটজোড়ার একধারে কথা বলা সব কিছুই যেন আব্রাহাম কে ভিতরে ভিতরে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছিলো। এই প্রথম সে এই মেয়েটিকে তার সামনে কথা বলতে দেখলো। মেয়েটি কথা গুলো আব্রহামের চোখের দিকে তাকিয়ে বলছিলো। আব্রাহামের Heartbeat কয়েকটা মিসও গেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই,, বুকের ভিতর টা কেমন ধুকপুক ধুকপুক করছে। মেয়েটি যে আব্রাহাম সামনে থেকে কখন সরে গেছে আব্রাহামের তাতে কোন হুশ ই নেই।

রাশেদ; স্যার, স্যার
আব্রাহাম; হ্যাঁ হ্যাঁ বলো (রাশেদের ডাকে হুশ ফিরলো আব্রাহামের)
রাশেদ; স্যার, আমাদের যাওয়া উচিত। দেরি হচ্ছে।
আব্রাহাম; yeah,

আব্রাহাম, রাশেদ গাড়িতে উঠে যেতে লাগলো। আব্রাহাম কিছুক্ষন কি যেন একটা ভাবলো। তারপর রাশেদ কে বলে উঠলো

আব্রাহাম; রাশেদ…
রাশেদ; জি স্যার
আব্রাহাম; only 1 hour এর মধ্যে আমার এই মেয়েটির সব information চাই, got it.
রাশেস; জি স্যার পেয়ে যাবেন আপনি নিশ্চিতে থাকুন।

তার কিছুক্ষণের পর তারা অফিসে পৌঁছে গেলো। আব্রাহাম গাড়ি থেকে নেমে চোখ থেকে glasses খুলে এক নজর অফিসকে দেখে নিলো। দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ফেলে ভিতরে হাটা ধরলো আব্রাহাম। ভিতরে গিয়েই উপর থেকে বিভিন্ন ধরনের লাল-নিল কাগজ পড়তে লাগলো আব্রাহামের ওপর সামনে তাকিয়ে দেখলো সবাই হাতে করে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আব্রাহাম কে Welcome করবে বলে। আব্রাহাম সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো

রেদওয়ান শেখ(অফিসের মেনেজার); Welcome sir welcome,, (হাতে থাকা ফুলের তোড়া আব্রাহামের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
আব্রাহাম; Thank u
রেদওয়ান শেখ; Nice to met u sir,, আপনাকে অফিসে দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আব্রাহাম; এখন থেকে রোজ দেখতে হবে।
রেদওয়ান শেখ; জি স্যার চলুন আপনাকে আপনার কেবিন দেখিয়ে দিই।

আব্রাহাম সবার সাথে দেখা করে মেনেজারের সাথে নিজের কেবিনে চলে গেলো। কেবিনে গিয়েই ল্যাপটপে মুখ গুজে কাজ করতে শুরু করে দিল আব্রাহাম। কিন্তু কোন ভাবেই সে তার কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না।। না চাইতেও সেই অপরিচিত মেয়েটির মুখ চোখের সামনে এসে পড়ছে। অবশেষে সে তার চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। আব্রাহাম বড় কাচের দেয়ারে ওপর হাত রেখে বাইরের বেস্ত শহরকে দেখতে লাগলো মাঝে মধ্যে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে সে।। হঠাৎ করে কেবিনের বাইরে কে যেন এসে বললো

রাশেদ; May i come in sir?!
আব্রাহাম; আরে রাশেদ yeah come in……..
রাশেদ; স্যার, আপনি যে মেয়েটির কথা বলেছিলেন তার পুরো information এতে আছে (সামনে একটি ফাইল এগিয়ে দিয়ে)
আব্রাহাম; Very good ( বাকা হেসে)
রাশেস; স্যার, মেয়েটির নাম “নুজাইফা বিনতে আইরাত”। পড়াশোনা করছে এবার ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী। তিনি এবং তার একটি ছোট ভাই ও রয়েছে। মার নাম আতিয়া আহমেদ তিনি হাউসওয়াইফ। তার বাবা আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী। তিনি মূলত রাজনৈতিক কাজে জড়িত। রাজনীতি তে তার যেমন অনেক খ্যাতি রয়েছে ঠিক তেমনই অনেক দূর্নাম ও রয়েছে। তবে শুনেছি যে এই রাজনৈতিক দন্ডের কারণে তার পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো বোম বিস্ফোরণ হয়েছিলো আর এতে নাকি তার ই হাত রয়েছিলো।

আব্রাহামের চোখগুলো মূহুর্তেই রক্তবর্ণ ধারণ করে। হাত মুঠিবদ্ধ করে ফেলে সে। কপালের রোগ গুলো ভেসে উঠে। আব্রাহাম আবার রাশেদকে জিজ্ঞাসা করলো,,

আব্রাহাম; রাশেদ, কি বললে। তার বাবার নাম কি?
রাশেদ; স্যার, আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী পেশায় একজন রাজনীতিবিদ।

আব্রাহাম; হুমম এবার তুমি যেতে পারো।

রাশেদ; জি স্যার।

এই বলে রাশেদ চলে গেলো।
কিন্তু আব্রাহাম রাগে অগ্নিমূর্তি ধারন করেছে। আব্রাহামের চোখ দিয়ে যেন লাভা বের হচ্ছে,, রাগে মাথা ফেটে যাওয়ার উপক্রম। রাগে গা কাপছে তার।শেষে রাগ সামলাতে না পেরে আব্রাহাম এক ঝটকাতে চেয়ার থেকে উঠে পড়লো, টেবিলের ওপরে থাকা গ্লাসটি নিয়ে দেয়ালে এক ঢিল দিল আব্রাহাম,, সাথে সাথে কাচের দেয়ালটি ঝর ঝর করে ভেংে নিচে পড়ে গেলো । সব ফাইলগুলো টেনে ছিড়ে ফেললো, কোন ভাবেই রাগ কমছে না আব্রাহামের মনে পরে যাচ্ছে বার বার কিভাবে তার আপন চাচা তাদের শেষ করে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। যাকে এতো বছর ধরে আব্রাহাম পাগলের মতো খুজছে সে আর কেও না তার ই আপন চাচা আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী। হ্যাঁ হ্যাঁ, আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী আর কেউ নয় আব্রাহামের ই আপন চাচা। তার এই আপন চাচাই রাজনীতির জন্য আর সম্পত্তির লোভে আব্রাহাম দের কে প্রানে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। আব্রাহাম, আব্রাহামের মা কুসুম আহমেদ চৌধুরী বাবা আবির আহমেদ চৌধুরী,, আব্রাহামের চাচা আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী আতয়া আহমেদ চৌধুরী সবাই একইসাথে একই পরিবারে থাকতো। তখন আইরাত মাত্র ২-৩ বছরের ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে আর আব্রাহাম ৮-৯ বছরের ছেলে। সবাই মিলে মিশে থাকলেও আশরাফুল আহমেদের মনে ছিলো তার বড়ো ভাই এর জন্য শুধু ঘৃণা আর ঘৃণা। সবার সামনে ভালো থাকার অভিনয় করতো মাত্র। আশরাফুল আহমেদের রাজনৈতিক ঝামেলা থাকায় বাড়িতে দুই দিন পর পরই মানুষ জন বিভিন্ন বিচার নিয়ে আসতো। এতে অতিস্ট হয়ে আবির আহমেদ এক সময় আশরাফুল আহমেদ কে হুমকি দেন যে তিনি যদি এগুলা ঝামেলা না থামায় তাহলে তিনি আশরাফুল আহমেদ কে বাড়ি থেকে বের করে দিতে বাধ্য হবে।। সবার সামনে আশরাফুল আহমেদ কিছু না বললেও রুমে গিয়ে অনেক রেগে যান রাগে ফুসতে লাগে সে। আর সেইদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে আবির আহমেদ কে যে করেই হোক শেষ করে দিবেন তিনি। যেই ভাবা সেই কাজ আশরাফুল আহমেদ plan করেন যে “”বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ করাবেন। কিন্তু তখন তিনি তার স্ত্রী আতিয়া আহমেদ এবং তার মেয়ে আইরাত বাড়িতে থাকবেন না”” তিনি অবশ্য তার এই প্লেনে অন্য আর এক জনের সাহায্য নিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালে আশরাফুল আহমেদ তার স্ত্রী এবং তার মেয়ে নিয়ে তার শশুড় বাড়ির কথা বলে বেড়িয়ে পড়েন।। বাড়িতে থেকে যায় শুধু আব্রাহাম তার বাবা আবির আহমেদ চৌধুরী তার মা কুসুম আহমেদ চৌধুরী সেইদিন অয়ন ও আব্রাহাম দের বাড়িতে ছিল। এইদিকে আশরাফুল আহমেদ বাড়িতে বোমা ফিট করে এসেছেন,, বাড়ির থেকে দূরে এসে আশরাফুল আহমেদ দাঁড়িয়ে আছেন,, হাতে তার একটি রিমোট মুখে লেগে আছে বাকা হাসি।। তিনি “” Good bye বড়ো ভাই-ভাবি”” এই বলেই রিমোটের বাটনে চাপ দিয়ে দিলেন।



















এক বিকট শব্দে বাড়ি থেকে আগুনের লাভা বেড়িয়ে এলো।। আকাশে কালো ধোয়া উড়ে যেতে লাগলো। বাড়ির ভিতরে থাকা আব্রাহাম তার বাবা মা অয়ন সবাই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেলো।। ভাগ্য ভালো যে সেইদিন তাদের গাড়ির ড্রাইভার ছিলো তিনি শব্দ শুনে ছুটে আসেন এবং দেখেন এই অবস্থা।। তিনি দ্রুত গিয়ে আব্রাহাম, তার বাবা ও অয়নকে বাইরে নিয়ে আসলো কিন্তু আব্রাহামের মা কে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না।। অনেক খুজেও তাকে যখন পাওয়া গেলো না তখন এক প্রকার বাধ্য হয়েই ড্রাইভার তাদের কে নিয়ে বাড়ির বাইরে এসে পড়ে। বাড়ির বাইরে আসার সাথে সাথেই সম্পূর্ণ বাড়ি এক ভয়ংকর আওয়াজে বিস্ফোরণ হয়ে গেলো। সাথে আব্রাহামের মা ও মারা গেলেন।আর অন্যদিকে আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী অট্টহাসি তে ফেটে পড়লেন। ভাগ্য ভালো আব্রাহাম, তার বাবা এবং অয়ন প্রানে বেচে যায়। আব্রাহামের বাবা আবির আহমেদ হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়লেন এবং কান্নায় ভেংগে পড়লেন। তাদের ড্রাইভার চাচ্চু তাদের নিয়ে তার বাড়িতে চলে গেলেন এবং তাদের দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিলেন। কিন্ত আবির আহমেদ যেতে নারাজ। তিনি বললেন “” না আমি দেশের বাইরে যাবো না আমি এখানেই থাকবো””। আবির আহমেদের হঠাৎ করেই মনে পরে আশরাফুল আহমেদের কথা,,তিনি তাদেরর ড্রাইভারের ফোন দিয়ে আশরাফুল আহমেদের কাছে ফোন দেন। আশরাফুল আহমেদ ভালো ভাবে ফোনের দিকে না তাকিয়েই ফোন রিসিভ করেন এবং হাসতে হাসতে বলেন “” হাহাহাহা আমার, আমার এতো দিনের আশা পূর্ণ হয়েছে রে পূর্ণ হয়েছে আমার পথের সবথেকে বড়ো কাট কে আমি তুলে ছুড়ে ফেলেছি এখন আমার পথে আএ কেউ কখনো আসবে না বাধা হয়ে দাঁড়াবে না হাহাহাহা “””। আবির আহমেদের মাথায় যেন আকশ ভেংগে পড়লো তিনি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তারই আপন ছোট ভাই কিনা তারই পরিবার কে শেষ করে দেয়ার পিছনে লেগেছে। আবির আহমেদের চোখ দিয়ে নোনা পানি গড়িয়ে পড়লো। আর এই সবকিছুই আব্রাহাম দেখছে। আবির আহমেদ তাদের ড্রাইভার কে বললো সে যেন তাদের দেশে থাকার ই ব্যাবস্থা করে দেন কিন্তু কেউ যেন তা জানতে না পারে বিশেষ করে তার ভাই আশরাফুল আহমেদ নইতো তিনি আবার ও তাদের জান নেয়ার জন্য আদা লবন খেয়ে লাগবেন। এতো টা বছর আব্রাহাম তার বাবা আবির আহমেদ এবং অয়ন গা ঢাকা দিয়ে ছিলো দেশে। কিন্তু যখন আব্রাহাম বড়ো হলো তখন তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বললেন আবির আহমেদ।। অয়ন কেও পাঠিয়ে দিতে চাইলে অয়ন যেতে চায় না যার ফলে সে দেশেই তার বাপির কাছে থেকে যায়। অন্য দিকে আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী আবার তার রাজনীতিতে লেগে পড়ে আবার তার কুকান্ড শুরু হয় এবং আবির আহমেদ বেশিরভাগ সম্পত্তিই তার নামে করে নেন।বাকি টুকু করতে পারেন না কেননা বাকি সম্পত্তির পেপাস গুলো সেই বাড়ির সাথেই জলে পুড়ে যায়।। কিন্তু এর মধ্যে তাদের ড্রাইভার চাচ্চু মারা জান ফের শোকের ছায়া নেমে আসে আবির আহমেদের জীবনে।। অবশেষে সব কিছু পাড়ি দিয়ে আবির আহমেদ চৌধুরী,, অয়ন নতুন করে বাচতে শিখে,, অনাথ আশ্রমের বাচ্চা দের দেখা শুনা করতে থাকেন,, আর সেই থেকেই আব্দুল কাদিরের সাথে আবির আহমেদ এর খুবই গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু সবাই সবকিছু ভুলে গেলেও আব্রাহাম তার মনের দেয়াল থেকে এই কালো স্মৃতি গুলো কোন ভাবেই ভুলতে পারে না তার চোখে এবং মস্তিষ্কে শুধুই একই কথা ঘুরতে থাকে তা হলো “প্রতিশোধ”। আর আমেরিকা তে নিজের আলাদা Business হওয়ার কারণে আর তার এই প্রতিশোধ নেয়ার আগুনে তাকে এই মাফিয়া জগৎ এ নেমে আসতে হয়েছে আর ধীরে ধীরে আব্রাহাম হয়ে ওঠে
#আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী The Mafia King🎭

আব্রাহাম এতো দিন তার আপন চাচা অথাৎ আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী কেই খুজে এসেছিলেন অবশেষে পাওয়া গেলো।।।








আব্রাহাম এই সব কিছু মনে করছে আর রাগে ফুসছে। চোখ বন্ধ করে রাগ টাকে কোন রকমে সামলে নিলো আব্রাহাম। টেবিলের ওপর হাত রেখে ধুপ করে চোখ খুললো আব্রাহাম।। তাকে দেখে ভয়ংকর লাগছে। আব্রাহাম তার ঠোঁটে বাকা হাসি ঝুলিয়ে বলতে লাগলো……………











আব্রাহাম; মিস. নুজাইফা বিনতে আইরাত,, তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম আমি। ভেবেছিলাম তোমাকে ভালোবেসে আপন করে নিবো কিন্তু তুমি তো আমার ই চাচাজানের একমাত্র মেয়ে বের হলে।। এতোদিন তোমাকে চাইতাম ভালোবাসা হিসেবে কিন্তু এখন তো তুমি আমার জিদেও পরিণত হলে। ভালো বাসতে হলেও এখন আমার তোমাকে চাই আর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হলেও এখন আমার তোমাকেই চাই।।। I want you only you,, At any cost baby Girl… এখন তুমি চাইলেও আমার আর না চাইলেও আমারই। যদি তুমি নিজে আমার কাছ ধরা দাও তাহলে ভালো আর যদি না দাও তাহলে তোমাকে কি করে পেতে হয় তা আমার ভালো করেই জানা আছে (বাকা হাসি)…………………..

🍁চলবে~~~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে