Gangstar In Love Part-04

0
3742

#Gangstar In Love🖤🥀___ A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#Part__04

🍂
🍂
🍂
🍂

পরেরদিন সকালে🌞🌞🌞……………………………..

আব্রাহাম; 🥱🥱🥱 Hay, what’s up everyone?! ( সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে)

অয়ন; ঘুম ভাংলো তোর 🙄

আব্রাহাম; আমি তোর মতো না যে এতো ঘুমাবো 😏

অয়ন; oo hlw,, আমি তোর আগে উঠেছি

আব্রাহাম; আচ্ছা বুঝলাম এবার বল বাপি কোথায় দেখছি না যে?

অয়ন; বাপি তো বারান্দায় বসে চা খাচ্চে

আব্রাহাম; আচ্ছা আমি দেখছি ( এই বলে কফির মগটা হাতে নিয়ে চলে গেলো বারান্দাতে)

আব্রাহাম গিয়ে দেখে তার বাপি রকিং চেয়ারে বসে বসে চা খাচ্ছে আর খবরের কাগজে মুখ গুজে রয়েছে

আব্রাহাম; Good morning বাপি ( পিছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে)

আবির আহমেদ; Very good morning young man (আব্রাহামের মাথায় হাত দিয়ে)

আব্রাহাম; কি করছ তুমি

আবির আহমেদ; তেমন কিছু না বসে আছি আর ভাবছি

আব্রাহাম; কি ভাবছ? ( বাপির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে)

আবির আহমেদ; ভাবছি যে তুই কবে থেকে Office join করছিস

আব্রাহাম; বাপি মাত্রই তো আমেরিকা থেকে দেশে ফিরলাম আর কটা দিন জাক তারপর Join করছি। এখন আমাকে একটু ঘুরতে দাও তো

আবির আহমেদ; হাহাহা আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তোর যখন ইচ্ছা

আব্রাহাম; 😊😊😊

তারপর আবির আহমেদ -অয়ন-আব্রাহাম একসাথেই Breakfast করতে বসলো।

অয়ন; তা ভাই আজকে কোথায় যাওয়ার plan আছে তোর? ( খেতে খেতে)

আবির আহমেদ; না আজকে আর তোমাদের কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। অয়ন Office এ একটা জরুরি Metting আছে আর তা তোমাকেই দেখতে হবে তো খেয়ে তারাতারি office এ জাও

অয়ন; আচ্ছা🙁,, ভাই office এ আর একা একা কতো তুই কবে থেকে যাচ্ছিস?

আব্রাহাম; আর ২-৪ টা দিন যেতে দে তারপর join করবো। বাপি আমার খাওয়া শেষ আমি রুমে যাচ্ছি কিছু ফাইল দেখতে হবে। আর অয়ন তোর সাথে আমার পরে দেখা হচ্ছে।

আবির আহমেদ; আচ্ছা যা

আব্রাহাম রুমে এসে পড়লো,, তারপর যে যার যার কাজে চলে গেলো।

রাতের বেলা,,,,

আব্রাহাম কাকে যেন ফোন দিল

আব্রাহাম; কাজ হয়েছে?

অপর পাশ; জি স্যার,, আমরা এতো দিন জাকে হন্ন হয়ে খুজছি সে বাইরে কোথাও নেই স্যার তারা দেশেই রয়েছে

আব্রাহাম; এবার দেখি কথায় পালায় তারা( বাকা হাসি দিল)



বিকেলবেলা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

Ash কালার টি-শার্ট, Black কালার পেন্ট Black কালার জেকেট পরে রেডি হচ্ছে আব্রাহাম,, আয়নাতে নিজে একবার ভালো করে দেখে নিচে নেমে এলো,,,

আব্রাহাম; বাপি, বাপি,,,

আবির আহমেদ; কিরে কোথাও যাচ্ছিস নাকি?

আব্রাহাম; হ্যাঁ বাপি আমার একটু কাজ ছিলো তো তার জন্য বাইরে যেতে হচ্চে। আর আমি আজকে একটু এতিমখানাতে যাবো

আবির আহমেদ; অনেক ভালো করেছিস বাবা,, এতো দিন পর ফিরে এলি যা সবার সাথে দেখা করে আয় ভালোও লাগবে।

আব্রাহাম; হ্যাঁ, বাবা। আর অয়নের আসতে দেরি হবে আজ বুঝলে

আবির আহমেদ; ঠিক আছে,, সাবধানে যাস

আব্রাহাম; হুমম আর তুমিও নিজের খেয়াল রেখো ba-bye বাপি

আবির আহমেদ; bye…..

আব্রাহাম গাড়ি চালাচ্ছে আপন গতিতে। বেশ কিছুক্ষন পর গাড়ি একটা এতিমখানার সামনে এসে দাড়ালো । গাড়ি থেকে নেমে এলো আব্রাহাম। আজ বহুদিন পর এখানে আসা হলো তার নইত বা দেশের বাইরে থেকে একদম এখানে আসা-যাওয়া বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।
সামনে এগুতে লাগলো আব্রাহাম। যেতেই দেখতে পেলো একটি লোকের সামনে সবাই দাঁড়িয়ে আছে আর সেই লোকটি সবাইকে অর্ডার দিয়ে যাচ্ছে। আব্রাহাম ধীরে ধীরে লোকটির কাছে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। এতে সেই লোকটি প্রায় চমকে গেলো। তারাহুড়ো করে পিছনে তাকাতেই লোকটি দেখতে পেল আব্রাহাম। এক ঝটকায় আব্রাহামকে বুকে টেনে নিল এবং চোখের পানি বিসর্জন দিতে লাগলো।

আব্রাহাম; আরে আরে চাচ্চু তুমি কান্না করছ কেন। আমি এতো দিন পর এসেছি তোমার এই চোখের পানি দেখতে নাকি। আহা কান্না থামাও তো

আব্দুল কাদির; আজ ৬-৬ টা বছর পরে তোকে নিজের সামনে দেখছি নিজেকে কি করে আটকাই বল। তোর কথা অনেক মনে পড়েছে রে অনেক। ভাইজান(আবির আহমেদ) এমন একদিন ও নেই যে তোর কথা বলেনি।
তোকে ছাড়া কেমন ফাকা ফাকা লাগে রে বাবা আর কোথাও যাস না আমাদের রেখে

আব্রাহাম; আরে না আমি আর তোমাদের রেখে কথাও জাচ্ছি না Promise

আব্দুল কাদির; কেমন আছিস বাবা?

আব্রাহাম; অনেক ভালো চাচ্চু। তুমি কেমন আছো আর বাকিরা সব কই?

আব্দুল কাদির; তুই এসে পড়েছিস না এখন অনেক ভালো। আর এখানেই আছে সবাই

এটা একটা এতিমখানা কিন্তু কেও দেখে বলবে না যে এইটা এতিমখানা। সবাই একই পরিবারের মতো থাকে এখানে। আব্রাহামের বাবা আবির আহমেদ অনেক আগে থেকেই এই এতিমাখানা দেখা শুনা করে আসছেন। তাই আব্রাহাম ও আগে এইখানে অনেক এসেছে কিন্তু তার বিদেশ যাওয়ার ফলে এখানে তেমন আর আসা হতো না। আর আজ যখন বাইরে থেকে ফিরেছে তাই সবার সাথে দেখা করতে চলে এলো। আর এনি হচ্ছেন আব্দুল কাদির, আব্রাহাম অয়ন তাকে চাচ্চু বলেই ডাকে। তিনি সবসময় এই খানেই থাকেন এবং সবাইকে দেখে রাখেন পারিবার বলতে এখন তার এই এতিমখানা আর আব্রাহাম রাই রয়েছে।

আব্রাহাম দেখলো কতো ছোট ছোট বাচ্চা রা খেলা করছে আবার কিছু বড়ো বড়ো ছেলে-মেয়ে ও রয়েছে তারা আব্রাহাম কে দেখে খুবই খুশি। আব্রাহাম সবাই কে নতুন ড্রেস, জুতো, স্কুল বেগ, গিফট আরও অনেক কিছু দিলো।

আব্রাহাম আর আব্দুল কাদির বাগানের পাশে হাটছে আর কথা বলছে।।

আব্দুল কাদির; আব্রাহাম বাবা অতীতের কথা কেও মনে রাখে না সবাই চায় তার কালো অতীত ভুলে যেতে তুমিও ভুলে জাও বাবা সব কিছু তো শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই তুমিও সব ভুলে গিয়ে নতুন রুপে শুরু করো। তুমি বাইরের দেশে থেকেছ জানি কিন্তু কখনোই আমাদের কথা ভুলে যাও নি সবসময় তুমি আমাদের খেয়াল রেখেছ।

আব্রাহাম; হ্যাঁ চাচ্চু, এইটা আমার দায়িত্ব আর আমি তা সবসময় পালন করে যাবো। (কিভাবে ভুলি চাচ্চু কিভাবে, তারা আমার পরিবারকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছে যেভাবে ধ্বংস করেছে,, কিভাবে ভুলি তা আমি তাদের ছাড়বো না)

আব্দুল কাদির; আমি জানি বাবা তোমার উপর আমার পুরো বিশ্বাস রয়েছে।

আব্রাহাম; চাচ্চু এই নাও কিছু টাকা আমি বেশিরভাগই তোমাদের Account এ জমা করে দিয়েছি আর বাকি গুলো তোমার হাতে দিলাম

আব্দুল কাদির; এগুলো কেন করতে গেলি বাবা এমনিতেই তো ঠিক ছিলো

আব্রাহাম; আহা নাও তো

আব্দুল কাদির টাকা গুলো নিল। আব্রাহাম আরও কিছুক্ষণ সময় তার চাচ্চু আর বাচ্চাকাচ্চা দের সাথে থেকে এসে পড়লো। এতিমখানা থেকে বের হওয়ার সময় আব্রাহামের কানে কিছু বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ এলো বাগানের পাশ থেকে। আব্রাহাম সেই আওয়াজ অনুসরণ করে এগিয়ে গেলো। গিয়ে দেখল কতো গুলো বাচ্চা একটা মেয়ের সাথে কানামাছি খেলছে।। মেয়েটির চোকে কাপর বাধা, সেও তাদের ধরার জন্য এদিক ওদিক ছুটতে লাগলো। বাচ্চাদের সে কি আনন্দ। একসমাই মেয়েটি একটা বাচ্চা কে ধরে ফেলল সবাই খুশিতে হাততালি দিতে লাগলো। মেয়েটি তার চোখ থেকে কাপর সরিয়ে ফেললো আব্রাহাম মেয়েটিকে দেখে অবাক হলো।। সেই দিন Coffee shop এ সে বৃষ্টি তে ভিজতে যে মেয়েটিকে দেখেছিল এই সেই মেয়ে আব্রাহাম মেয়েটির দিকে এক নয়নে তাকিয়ে আছে মেয়েটির মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকে হাসি যেন মুখ থেকে সরতেই চাই না এটাই হইতো তার চেহারাতে মায়া বাড়ানোর প্রধান কারণ ।। মেয়েটি বাচ্চাদের এতো গুলা বেলুন, chocolates দিয়ে চলে যেতে লাগলো।
আব্রাহাম মেয়েটির পিছু যেতে লাগলো। মেয়েটি যেতে যেতে দেখতে পেল রাস্তায় এক মহিলা একটি ছোট্ট বাচ্চা কে কোলে নিয়ে বসে আছে মেয়েটি দাঁড়িয়ে পড়লো সে দোকান থেকে বেশ কিছু খাবার কিনে এসে সেই অসহায় মহিলা টিকে দিলো আর সাথে কিছু টাকাও দিলো। সাথে থাকা ছোট বাচ্চা টিকে অনেক গুলো কেক আর chocolates দিয়ে মেয়েটি এসে পড়লো,,, আর এইসব কিছুই গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছিলো আব্রাহাম,, ভাবতে লাগলো কি আছে এই মেয়েটির মধ্যে যা এতো গভীর করে কাছে টানে আব্রাহাম কে। আব্রাহাম চাইলেও মেয়েটির কাছ থেকে নিজের চোখ ফেরাতে পারে না। সত্যি বলতে সে চোখ ফেরাতে চায় না,, চোখজোড়া থেমে যায় মেয়েটির মাঝে,,,

হঠাৎ করেই আব্রাহামের ফোন বেজে উঠলো,, ফোন আসায় আব্রাহাম সামনে থেকে চোখ সরিয়ে ফোন ধরলো

আব্রাহাম; Hlw
অপর পাশ; sir, যার কথা বলেছিলেন তাকে তুলে এনেছি
আব্রাহাম;Good
অপর পাশ; কিন্তু sir ও তো কিছুই বলছে না। অনেক মেরেছি স্যার, মারতে মারতে পুরো আধা মরা করে ফেলেছি কিন্তু স্যার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হচ্চে না
আব্রাহাম; Huh (তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে) যাক তাও তো একদিক দিয়ে ভালো হলো। নিজের মালিকের সাথে অন্তত বিশ্বাসঘতকতা করে নি,, যেমনটি করেছিল আমার নিজের পরিবারের লোক।
অপর পাশ; স্যার কিছুই বলছে না অনেক চেষ্টা করেছি,,
আব্রাহাম ; Shoot him
অপর পাশ; স্যার
আব্রাহাম; I said just shoot him, and i wanna hear that sound (প্রচুর রেগে)
অপর পাশ ;Yes sir

ফোনের অপর পাশ থেকে গুলি করার বিকট শব্দ কানে এলো আব্রাহামের।। আব্রাহামের মুখে বাকা হাসি ফুটে এলো।

অপর পাশ; Done sir

আব্রাহাম ফোন কেটে দিয়ে সামনে তাকালো কিন্তু সামনে তাকিয়ে আব্রাহাম আর সেই মেয়েটিকে দেখতে পেল না।। আব্রাহাম এদিক ওদিক খুজতে লাগলো মেয়েটিকে কিন্তু মেয়েটি ততক্ষনে চলে গেছে।।

আব্রাহাম তারপর বাড়িতে এসে পড়লো।

আব্রাহাম; বাপি বাপি i am home
আবির আহমেদ; কিরে এসে পড়েছিস
আব্রাহাম; হে বাপি,
আবির আহমেদ; তা সেখানে সবাই কেমন রয়েছে?
আব্রাহাম ; সবাই ভালো বাবা আব্দুল চাচ্চু বাচ্চারা সবাই অনেক ভালই আছে?
আবির আহমেদ; আলহামদুলিল্লাহ।
আব্রাহাম; কিরে তুই এই সময়ে? তোর না আজকে আসতে দেরি হওয়ার কথা ছিল? (অয়নকে দেখে অবাক হয়ে)
অয়ন; কথা ছিল কিন্তু আমি তারাতারি এসে পড়েছি কি করব বল এতো গুলা কাজ ছিল আমার মাথায় আর ধরছিল না তাই সব মেনেজার কে বুঝিয়ে দিয়ে আমি চলে এসেছি😁
আব্রাহাম; আস্ত একটা ফাকিবাজ, বাপি তুমি তোমার ছেলেকে কিছু বল তোমার আহ্লাদে ছেলেটা আরও গেলো,, আর তুই(অয়নের উদ্দেশ্যে) ভাই একটু তো কাজে focus দে
অয়ন; 😁😁🙃

আব্রাহাম আর কিছু না ঘরে চলে গেলো।। রাত হলো, আব্রাহাম রকিং চেয়ারে বসে আঙুল দিয়ে কপাল ঘসছে আর বলতে লাগলো বাইরে ছিলাম এতো দিন নয় বেচেঁ গেছ কিন্তু এখন আমি দেশ এসে পরেছি এখন দেখি আমার থেকে কতোদূর পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াতে পারো তোমারা। আব্রাহাম corridor এ চলে গেলো সিগারেট টানতে লাগলো আর সেই মেয়েটির মায়া ভরা চেহারা না চাইতেও বার বার তার সামনে আসতে লাগলো। সারা রাত এভাবেই কেটে যেতে লাগলো।।

সকালে🌞🌹,,,,,,,,,,,,,,,,,

অয়ন; Good morning everyone 😴( হাই তুলতে তুলতে Drawing room এ এসে পড়লো অয়ন)

কিন্তু সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলো অয়ন কেননা রুমে কেও নেই রান্নাঘর থেকে শব্দ আসতে লাগলো শব্দ শুনে অয়ন রান্নাঘর এর দিকে গেল।। গিয়ে যা দেখলো তাতে তার চোখ চড়কগাছ। কারণ সামনে তাকিয়ে দেখে আব্রাহাম রান্না করছে আর তার বাপি হাতে হাত গুজে তা দেখছে

অয়ন; কি দেখছি কি আমি ভাই তুই রান্না করছিস?😮

আব্রাহাম; এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে। বাপির শরীর ভালো না আর বাপি রোজ রাধবে তা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারবো না।

আবির আহমেদ; আমি আর ছেলের সাথে পারি না আমাকে টেনে রান্না ঘর থেকে সরিয়ে দিয়েছে আজকে নাকি সে রাধবে

অয়ন; ভাই তুই পারিস রান্না করতে?

আব্রাহাম; আরে আমেরিকা তে তো একা থাকতে হতো আর কোন servant এর হাতের রান্না আমি খেতে পারতাম না তো হালকা পাতলা রান্না করতে করতে শিখে গিয়েছি।

অয়ন; (আব্রাহামের পিছনে দাঁড়িয়ে) ভাই আমার ভয় লাগছে at lest খাওয়ার যোগ্য তো হবে নাকি?

আব্রাহাম; (অয়নের পেটে গুতো মেরে) মারবো না একটা টেনে, আমার রান্না খেয়ে না হাত চাটতে থাকবি তুই বুঝলি

অয়ন; ওওও বাবা তাই নাকি তাহলে আমি যাই fresh হয়ে আসি

আবির আহমেদ; হুমম হুমম তারাতারি যা

আব্রাহাম- আবির আহমেদ রান্নার কাজ শেষ করে সবাই মিলে খেতে বসলো

আব্রাহাম; বাপি আমি আজকে থেকেই office join করতে চাচ্ছি।

আবির আহমেদ; হে তা বলার কি আছে এটা তো খুশির খবর আরো

অয়ন; আহহ তাহলে আমার কাজের pressure টা একটু হলেও কমবে বল

আব্রাহাম; একদম না উল্টো বাড়বে। আর আমি আজ-এখন থেকেই office এ যাবো। কাল রাতে আমার মেনেজারের সাথে কথা হয়েছে

অয়ন; তাহলে আমি আর আজকে যাচ্ছি না

আবির আহমেদ; কি, কেন যাবি না?

অয়ন; আরে আজকে ভাইয়া যাচ্ছে office এ আর মেনেজার তো জানেই তাহলে আজ আর আমি না জাই আজকে ভাইয়াই সামলাক সব কিছু আমি বরং আগামীকাল থেকে যেতে শুরু করি। আজকে আমার Rest day

আব্রাহাম; ফাকিবাজ কি আর বলি সাধে!!😤😤

অয়ন;😒😒😒

আচ্ছা বাপি আমার খাওয়া শেষ তাহলে আমি জাই এখন আর রাশেদ ও আমার সাথে যাবে বুঝলে ওর কাজ আছে। আমি চলি (বাপিকে জড়িয়ে ধরে) এই বাদর থাক (অয়নের মাথায় গাট্টা মেরে) নিজের খেয়াল রাখিস আর বাপি কে দেখে রাখবি সময় মতো medicine দিবি bye bye

এই বলে আব্রাহাম এবং রাশেদ গাড়িতে করে Office এর উদ্দেশ্যে চলে গেলো………………

🍁
🍁
🍁
🍁
🍁
🍁
🍁
🍁
🍁

চলবে ~~~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে