Gangstar In Love Part-02

0
4533

#Gangstar In Love🖤🥀__ A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#Part;__02

🥀🥀🥀

আব্রাহাম আইরাতকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আর এদিকে আইরাত একাধারে কান্না করেই যাচ্ছে বেচারি অনেক ভয় পেয়ে আছে। আব্রাহাম আইরাতকে ছেড়ে বলল

আব্রাহাম; কান্না থামাও জান,
আইরাত; (কান্না করেই যাচ্ছে)
আব্রাহাম; Baby girl, কান্না থামাতে বলেছি
আইরাত; (কান্না করছে তো করছেই)
আব্রাহাম; কি হলো কথা বললে কানে যায় না কান্না থামাতে বলছি না (রেগে চিল্লিয়ে)
আইরাত ভয় পেয়ে কান্না থামিয়ে দিলো

আব্রাহাম; Baby girl just 5 min সময় দিচ্ছি তোমাকে এর মধ্যে তারাতারি করে তৈরি হয়ে নাও,, আর যদি আমি ফিরে এসে দেখেছি যে এখনও তুমি রেডি হওনি তাহলে আমি তোমাকে নিজ হাতে রেডি করিয়ে দিতে বাধ্য হবো তাতে তোমার মত থাকুক আর নাই বা থাকুক I Don’t care Got it (এই বলে আব্রাহাম মুচকি হেসে আইরাতের কপালে ছোট্ট একটা kiss দিয়ে চলে গেলো)

কিছুক্ষণ পর রুমে একটা মেয়ে প্রবেশ করলো মেয়েটির বয়স তেমন একটা হবে না ১৭-১৮ এমন হবে আইরাত মেয়েটিকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো

আইরাত; কে তুমি?
রুবিনা (মেয়েটির নাম); ম্যাম আমি রুবিনা, স্যার আমাকে পাঠিয়েছে আপনাকে রেডি করানোর জন্য
আইরাত মনে মনে; আজব তো আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে তৈরি হতে পারবো না লোক লাগবে পাগল ছাগল মানুষ যত্তোসব
রুবিনা; ম্যাম, প্লিজ আপনি তারাতারি করে রেডি হয়ে নিন নইতো স্যার অনেক রেগে যাবেন
আইরাত মনে মনে; (কি মানুষ রে বাবা সবাই দেখছি এর লোকের ভয়ে ভীত হয়ে থাকে) হ্যাঁ হ্যাঁ চলো

আইরাত আর রুবিনা যাচ্ছে। আইরাত শুধু হা
করে পুরো বাড়ি দেখছে আসলে একে বাড়ি না বলে কোন এক রাজমহল বললে খুব বেশি একটা বেমানান হবে না পুরো বাড়ি জুড়ে শুধু রাজকীয় জিনিস পত্র বাড়িটাকে দেখেই বুঝা যায় যে এখানে যে থাকে সে খুবই শৌখিন প্রকৃতির। যেতে যেতে আইরাত একটি দরজা দেখতে পেল দরজাটি দেখে আইরাত ভ্রু কুচকালো এবং অবাক হয়ে রুবিনা কে জিজ্ঞাসা করলো

আইরাত; রুবিনা এইটা কিসের দরজা?
রুবিনা; ম্যাম এটা হচ্ছে বাড়ির পিছনের দরজা
আইরাতের পিছনের দরজার কথা শুনেই টনক নরলো
আইরাত; ওহ আচ্ছা, তো এখানে দিয়ে কেও যাতায়াত করে না বুঝি?
রুবিনা; ম্যাম, বেশি একটা প্রয়োজন ছাড়া কেউ এইদিক দিয়ে আসে না।

আইরাত আর রুবিনা একটি রুমের সামনে এসে দাড়াঁলো আইরাত রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো রুমটি অসম্ভব সুন্দর সম্পূর্ণ রুম সাদা রঙের তার উপর নানা ধরনের কারুকাজ করা রাজকীয় আসবাবপত্র দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়

রুবিনা; ম্যাম, এইদিকে।
আইরাত একটি ড্রেসের পেকেট নিয়ে Changing room এ ঢুকলো

আইরাত বসে বসে ভাবতে লাগলো যে এভাবে হাতের উপর হাত রেখে বসে থাকলে তো আর চলবে না তাকে এখান থেকে যে করেই হোক বের হতে হবে দরকার পরলে পালাতে হবে কিন্তু বের হতেই হবে তখনই হুট করে আইরাতের মাথায় একটি বুদ্ধি আসলো বুদ্ধি না আসলে শয়তানি বুদ্ধি। আইরাত তার আনা ড্রেসটি পানি দিয়ে সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিলো তারপর রুমের দরজা হালকা খুলে মাথা বের করে রুবিনার উদ্দেশ্য বলল,,,,,,,,,,,

আইরাত; রুবিনা,রুবিনা
রুবিনা; জি ম্যাম বলুন
আইরাত; রুবিনা আসলে আমার জামাটা পুরোপুরি ভিজে গেছে আর আমি এটা পরতে পারবো না তুমি কি প্লিজ আমাকে অন্য আর একটা ড্রেয়া এনে দিবে!
রুবিনা; অবশ্যই ম্যাম, আপনি একটু অপেক্ষা করুন আমি আনছি
আইরাত; হুমমম……..

রুবিনা চলে গেলো, আইরাত ভাবতে লাগলো এইতো সুযোগ তাকে এখনই কিছু একটা করে এখান থেকে বের হতে হবে। আইরাত Changing room থেকে বেড়িয়ে এলো। আইরাতের মনে হলো বাড়ির সেই পিছনের দরজার কথা সে খুব সহজেই পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। যেই ভাবা সেই কাজ আর বেশি দেরি না করে আইরাত বাড়ির পিছনে যেতে লাগলো। সেখানে গিয়েই দেখতে পেল বেশ বড়োসড়ো একটি দরজা। আইরাত খুব ভয় পাচ্ছে এক দোটানার মধ্যে পরে গেছে আইরাত যাবে কি যাবে না। আব্রাহাম যে Dangerous তাকে যদি একবার ধরতে পারে তাহলে কিয়ামত বাধিয়ে দিবে।

আইরাত; আইরু আইরু আইরু ধৌর্য ধর,, সাহস কর তুই পারবি তোকে পারতেই হবে নাহলে যে এই নরক থেমে বের হতে পারবি না তুই পারবি আইরু

খুব সাহস নিয়ে আইরাত কাপা কাপা হাতে দরজা খুলল, দরজা খুলে বেরিয়ে আসল,, বাড়ির আসে-পাশে তাকিয়ে ভালো মতো দেখে নিল,, না কাউকেই দেখা যাচ্ছে না এই সুযোগ

আইরাত কোন কিছুই না ভেবে দৌড় দিল, দৌড়াতে দৌড়াতে একটা সময় সে মেইন রাস্তায় এসে পড়ল হাপাতে লাগলো আইরাত। আইরাত তো ভয়ের চোটে আসে-পাশে না দেখেই পালিয়েছে কিন্তু এখন তো আর এক ঝামেলায় পড়তে হলো তাকে। এখানের ঠিক কোনকিছুই তো সে চিনে না

আইরাত; হায় আল্লাহ একি ঝামেলায় পড়লাম আমি তো কিছুই চিনি না এখানের ওই পাগল টা আমাকে কথায় তুলে এনেছে আমি বাড়ি যাবো( কান্না কান্না ভাব) নাহ থেমে পড়লে চলবে না একদমই।। আমাকে যেতে হবে নইতো ওই Psycho দেখে ফেললে আমি শেষ। ( এই বললে আইরাত আবার দৌড়ে যেতে লাগলো)

এইদিকে রুবিনা নতুন আরও একটি ড্রেস নিয়ে এসে দেখে যে রুমের দরজা খোলা পুরো রুমের কোথাও আইরাত নেই রুবিনা দৌড়ে বাড়ির পিছনে গেলো গিয়ে দেখলো যে বাড়ির পিছনের দরজা খোলা রুবিনার মাথায় আকাশ ভেংে পড়লো

রুবিনা; হায় আল্লাহ একি আইরাত ম্যাম তো পালিয়েছে স্যার যদি একবার জানতে পারে যে ম্যাম নেই তাহলে কেলেংকারী বাধিয়ে দিবে








আব্রাহাম;; ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস (সামনে থাকা কাচের টেবিল টা জোড়ে এক আছাড় দিয়ে,, আব্রাহাম পুরোই হিংস্র হয়ে গিয়েছে পাগলের মতো আচরণ করতে লাগলো সে)

আব্রাহাম; Useless fellow, সব সব কটা অপদার্থ এতো গুলা bodyguard থাকা সর্তেও বাচ্চা একটি মেয়ে এখান থেকে পালালো কিভাবে বলো Speak up damn it ( আরও একটি কাচের টেবিলে জোড়ে লাথি দিয়ে)

আব্রাহামের ঠিক সামনেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সব Bodyguard এবং রুবিনা আব্রাহামের ভয়ে সবাই চুপসে গেছে

রুবিনা; সসস্যার, মেডাম কিভাবে কখন বের হলো কিছুই বুঝতে পারি নি আম মেডাম কে রেখে ড্রেস আনতে গিয়েছিলাম। এসেই দেখি মেডাম ঘরে নেই এবং বাড়ির পিছনের দরজা খোলা

আব্রাহাম; (কিছুটা চিন্তিত হয়ে) আইরাত বাড়ির পিছনের দরজার কথা কিভাবে জানলো কেননা আইরাত এই প্রথম এই বাড়িতে এসেছে তাহলে তো ওর সেই দরজার বেপার এ কিছু জানার কথা না

রুবিনা; স্যার, আআআসলে আমি যখন মেডামকে নিয়ে Changing room এ যাচ্ছিলাম তখন মেডাম সেই দরজাটা দেখে ফেলে তখন আমি বলি যে মেডাম ওটা বাড়ির পিছনের দরজা,, Really very sorry sir আমি বুঝতে পারি নি যে মেডাম এমন কিছু করে ফেলবে sorry sir

আব্রাহামের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে কিন্তু তবুও সে কিছু বলল না পাশে থাকা Gun টা হাতে নিয়ে শূন্যে শুলি করে হনহন করে চলে গেলো

আব্রাহাম; রাশেদ( Bodyguard),, গাড়ি নিয়ে জলদি বের হও। আর এক মিনিট ও আমি দেরি করতে চাই না। আমি জানি আইরাত বেশি দূরে জেতে পারিনি,, কারণ সে এখানের কোন কিছুই তেমন ভালো করে চিনে না।। আমার আইরাতকে চাই যে কোন মূল্যে At any cost বের হও Fast……

এই বলে আব্রাহাম কালো রঙের গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো,, আব্রাহামের রাগে সারাশরীর কাপছে সে নিজেও জানে না যে সে আইরাত কে একবার পেলে কি করবে তার থেকে দূরে যাওয়ার ভাবনা মাথায় কি করে আসলো তার,,

আব্রাহাম; Baby girl, তোমাকে একবার পাই আমার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সাহস একদম সারাজীবনের জন্য ঘুচিয়ে দিবো Just wait and watch…….

আর এইদিকে আইরাত দৌড়াতে দৌড়াতে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এবার আস্তে আস্তে হাটটে লাগলো কিছুদুর যেতেই কিছু বখাটে ছেলে আইরাত কে লেখলো

১ম ছেলে; মামা, দেখ দিন দুপুরে সুন্দরী পরি
২য় ছেলে; ঠিক বলেছিস একে পেলে ভাগ্য খুলে জাব একদম
৩য় ছেলে; চল যাওয়া যাক,,
৪র্থ ছেলে; হ্যাঁ হ্যাঁ চোল।

এই বলে বখাটে ছেলে গুলো আইরাতের দিকে এগুতে লাগলো আইরাত তা খেয়াল করে ভয় পেয়ে দ্রুত হাটটে লাগলো

১ম ছেলে; কি গো ফুল্টুসি, একবার এদিকে আসো না একা একা কথায় যাচ্ছো, দরকার পড়লে আমরা এগিয়ে দিই

২য় ছেলে; আরে আরে এভাবে চলে গেলে হয় জানু আমাদের একা ফেলে জেও না

৩য় ছেলে; (এবার আইরাতের হাত ধরে ফেললো) ডারলিং শুন না চলো আমাদের সাথে

৪র্থ ছেলে; চলে এস বাবু

আরো নানা ধরনের বাজে বাজে কথা তারা আইরাতকে বলতে লাগলো। আইরাত তো ভয়ে কান্না করেই দিয়েছে

আইরাত; প্লিজ আমাকে যেতে দিন,, আমি আপনাদের বোনের মতো প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন,, যেতে দিন আমাকে (কান্না করতে করতে)

কিন্তু তারা আইরাতকে ছেড়ে দিতে নারাজ।। তাদের মধ্যে থেকে একটি ছেলে যেই না আইরাতের ওরনার দিকে হাত বাড়াতে যাবে ঠিক তখনই আব্রাহাম এসে ছেলেটির হাত ধরে ফেললো এবং এক ঘুষি দিলো। ঘুষি টা এতোই জোরে ছিল যে ছেলেটির নাক থেকে মূহুর্তেই গলগল করে রক্ত বের হয়ে লাগলো।। আব্রাহাম হিংস্র বাঘ হয়ে গিয়েছে ফর্সা মুখখানা মূহুর্তের মধ্যেই লাল বর্ণ ধারন করে ফেলেছে হাত শক্ত করে মুঠিবদ্ধ করে ফেললো,, চোখ দিয়ে যেন রক্ত ঝরছে আগুন বের হচ্ছে আর সেই আগুনেই সবাইকে পুড়িয়ে দিবে।। আব্রাহাম ছেলে গুলোকে বেধরক ভাবে পেটাতে লাগলো। প্রথম ছেলেটিকে ইচ্ছা মতো লাথি ঘুষি দিতে লাগলো মার‍তে মারতে একদম আধা মরা করে দিলো,, ২য় ছেলেটির নাক বরাবর ঘুষি দিলো জার ফলে ছেলেটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লো আব্রাহাম ছেলেটির মুখ রাস্তায় ঘষে নিয়ে যেতে লাগলো যার জন্য ছেলেটির মুখ থেকে একদমই চামড়া উঠে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেল ৩য় ছেলেটি অথাৎ যে ছেলেটি আইরাতের ওরনাতে হাত দিয়েছিলো আব্রাহাম সেই ছেলের হাত ভেংে দিলো ৪র্থ ছেলেটিকে লাথি দিতে দিতে মুখে থেকে রক্ত বের করে ফেললো আব্রাহামের রাগ যেন থামার নামই নিচ্ছে না সব কিছু ধ্বংস করে দিতে লাগলো সে।।। আইরাত তো ভয়ে একদম পাথর হয়ে গিয়েছে কানতে কানতে হিচকি উঠে গিয়েছে আইরাতের।।

আব্রাহাম; জানোয়ারের বাচ্চারা তদের সাহস হয় কি করে আমার কলিজার দিকে চোখ তুলে তাকানোর এক একটাকে জানে মেরে ফেলবো,, তোরা তোরা আমার আইরাতের দিকে আমার জানের দিকে নজর দিয়েছিস তদেরকে মেরে আমি তোদের মাংস রাস্তায় কুকুরদের খাউয়াব 😡😡😠😠

ছেলেগুলো প্রায় মরেই গেছে তখন আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকালো আব্রাহামের রক্তবর্ণ চোখ দেখে কলিজা কেপে উঠলো আইরাতের আব্রাহাম আইরাতের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো গাড়ির কাছে

আব্রাহাম; রাশেদ, এই জানোয়ারদের এখান থেকে নিয়ে দূরে কোন নর্দমায় ফেলে দিয়ে আসো আর এই জায়গা দেখে এমন মনে হয় যেন এখানে কিছুই হই নি Is that clear?!
রাশেদ; yes sir

আব্রাহাম আইরাতকে জোড় করে নিয়ে গড়িতে বাসালো আব্রাহাম পারছে না রাগে এখনই এখানে আইরাতকে কিছু করে দিতে

আইরাত; প্লিজ প্লিজ ছাড়ুন আমাকে আমি বাড়ি জাবো আমি থাকতে চাই না আপনার সাথে প্লিজ হাত ছাড়ুন আমি ব্যাথা পাচ্ছি

কিন্তু আব্রাহাম তো নাছোড়বান্ধা ছাড়ার কোন নামই নেই তার। আব্রাহাম এক ধমক দিয়ে আইরাতকে চুপ করে বসিয়ে দিলো। গাড়ি একসময় একটি অনেক বড়ো বাংলোর সামনে এসে দাড়ালো। আব্রাহাম গাড়ি থেকে নেমে পরে আইরাতকে টেনে গাড়ি থেকে বের করলো।। টানতে টানতে আইরাতকে একটি রুমে এনে ছুড়ে মারলো আব্রাহাম জার ফলে আইরাতের হাতে থাকা চুড়ি কয়েকটা ভেংে হাত কেটে গেলো ব্যাথায় চোখ মুখ কুচকে গেলো আইরাতের। আব্রাহাম পাশের ফুলদানি নিয়ে ফ্লোরে দিল এক আছাড়।। মূহুর্তেই ফুলদানি ভেংে চুরমার হয়ে গেলো।। আইরাত আৎকে উঠলো

আব্রাহাম; (আব্রাহাম ছুটে এসে আইরাতের চুলের মুঠি ধরে বললো) আমার কাছ থেকে দূরে পালানোর খুব শোখ তোর তাই না,,দেখলি তো কি হলো। আজ যদি আমি ঠিক সময়ে না আসতাম তাহলে কি হলো ভাবতে পারছিস তুই (প্রচুর রেগে+ চিল্লিয়ে) কেন বুঝিস না যে তকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি কেন কাছে থাকতে চাস না তুই আমার বল বল

আইরাত কোন কথা বলছে না শুধু কান্না করে যাচ্ছে একসময় আইরাত বলে উঠলো

আইরাত; 😭😭😭 আআআমি আমি ভালোবাসি না আপনাকে আমি মুক্তি চাই আমাকে এই নিরক থেকে যেতে দিন দয়া করে আমি ভালোবাসি নন

আর কিছু বলার সুযোগ পেলো না আইরাত আব্রাহাম তাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো,, আইরাতের যেন দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো চোখ দিয়ে অঝরে নোনাজল গড়িয়ে পড়তে লাগলো তার একটা সময় আব্রাহামের Kiss গুলো কামরে পরিনত হতে লাগলো অনেক চেষ্টা করেও আইরাত ছাড়া পেল না আব্রাহাম উন্মাদের মতো কামড়িয়ে যাচ্ছে আইরাতের ঠোঁট জোড়ায়,, ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে আব্রাহাম আইরাতের ঠোঁট গুলো।। অতিরিক্ত ভয়ের ফলে আইরাত এক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। কিছুক্ষন পর আব্রাহাম আইরাতকে ছেড়ে দাড়ালো এবং বুঝতে পারলো যে আইরাত অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে আব্রাহাম আইরাতের পাশেই শুয়ে পড়লো এবং আইরাতের মিস্টি মায়াভরা চেহারার দিকে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো

আব্রাহাম; কেন জান কেন বুঝ না তুমি আমাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসি কেন বুঝ না তুমি তুমি ছাড়া যে আমার পুরো পৃথীবি অন্ধকার তুমিই আমার সব কিছু তুমিই আমার অস্তিত্ব তোমাকে আঘাতও দিব আমি আবার আমিই সেই আঘাতে মলম লাগিয়ে দিব,, তুমি আমার শুধুই আমার,, তুমি আমার হলে আমার আর আমার না হলে তুমি কারোর না (কিছুটা রেগে কথা টা বলল আব্রাহাম) I love you baby i need you badly আব্রাহাম আবারও চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিতে লাগলো আইরাত কে 😍😍😍😍😘😘😘😘😘😘😘😘💋💋💋💋💋💋💋💋💋💋💋💋💋💋😘😘😍❤️❤️🌹🌹

এবার আব্রাহাম ডুব দিলো সেই অতীতে এবং ভাবতে লাগলো

চলবে~~~~~~~❣️

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে