#Gangstar in love🖤🥀___A Psycho Love Story””
#writer; Tamanna Islam
#Part __ 01
অন্ধকার ঘরে হাত-পা-চোখ বাধাঁ অবস্থায় পড়ে আছে আইরাত কান্না ভয় সবকিছু একসাথে জড়ো করে রেখেছে তাকে প্রানপণে চেষ্টা করছে ছাড়া পাওয়ার জন্য,, হাত-পা বাধাঁ থাকতে থাকতে এখন ব্যাথা করছে তার। কিন্তু এক পর্যায়ে ছুটাছুটি করে যখন বুঝলো কোন লাভ নেই তখন শান্ত হয়ে বসে পড়লো। হঠাৎ কারো দরজা খোলার শব্দ কানে এলো আইরাতের ধীরে ধীরে কেউ একজন তার কাছে আসতে লাগলো ভয়ে আইরাত এককোণে জড়োসড়ো হয়ে চেপে গেলো লোকটি এসেই আগে আইরাতের বাধঁন খুলে দিতে লাগলো। পিটপিটিয়ে চোখ খুললো আইরাত সামনে থাকা লোকটি আইরাতকে দেখে এক বাঁকা হাসি দিলো। আইরাত সামনে তাকিয়ে দেখলো লম্বাচওড়া কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু অন্ধকার ঘর আর হুডি পড়ে থাকার ফলে স্পষ্ট তার চেহারা দেখা যাচ্ছে না,, কথা যেন আইরাতের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না সব কথা একসাথে গলায় এসে দলা পাকিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তবুও কিছুটা সাহস জোগাড় করে আইরাত সামনে থাকা লোকটি কে জিজ্ঞাসা করলো,,,,,,
আইরাত; ককককে আআআআপনি?
……………………………………
আইরাত; কককি হলো কথা ববববলছেন ননা কেন কককে আপনি কি চাই আপনার আআর কেনোই ববা আমাকে এখানে তুতুতুলে এনেছেন পপ্লিজ আআমাকে যযযেতে দিন🥺 (এই বলে আইরাত দৌড়ে সামনে যেতে নিলেই লোকটি খোপ করে আইরাতের হাত ধরে ফেলে,,একটানে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ঠোঁটজোড়া আঁকড়ে নেয়,,আকস্মিক এমন কান্ডে আইরাত একদমই অবাক হয়ে গেলো, ছাড়া পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেও ছাড়া পেলো না সেই বিশালদেহির সাথে পেড়ে ওঠার জো তার নেই,, আইরাতের চোখ দিলে অনবরত পানি ঝড়ছে বেশ কিছুক্ষন পর লোকটি আইরাতকে ছেড়ে দিলো ছাড়া পেয়ে আইরাত বেশ দূরে চলে গেল হাপাতে লাগলো) আইরাত এবার চিল্লিয়ে বলতে লাগলো,,
আইরাত; অসভ্য লোক কোথাকার, কে আপনি কেন এনেছেন আমাকে এখানে যেতে দিন প্লিজ
এবার লোকটি হুট করেই আইরাতের সামনে এসে পড়লো এবং কানের কাছে আস্তে করে বলতে লাগলো
লোকটি; Baby Girl, এতো ভয় পাচ্ছো কেন বলতো এতো ভয় পেলে তো আমাদের Crazy love story শুরু হওয়ার আগেই The end হয়ে যাবে আর আমি অসভ্য হাহাহা অসভ্যের তো কিছু করলামই না আরও অনেক অসভ্যতামি সহ্য করতে হবে তোমাকে এই অসভ্যের আর যদি কথা হয় আমি কি চাই তবে বলবো “তোমাকে, শুধুই তোমাকে চাই আমার” বড্ড বেশিই যে ভালোবাসি তোমাকে “” এবার লোকটি আইরাতে কে ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে দুইহাত প্রসারিত করে বলতে লাগলো
“Baby Girl, এটা আমার #আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরীর রাজত্ব আর তুমি এই আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরীর বন্দিনী এখানে তোমাকে কেউ ক্ষতি করা তো দূরে থাক চোখ তুলে তাকাতেও পারবে না কারন তাকে তাকানোর সুযোগ টাই আমি দিবো না তার আগেই তাকে আমি দুনিয়া থেকে বিদায় পরেকালের টিকিট ধরিয়ে দিবো আর কেও তোমাকে একটি ফুলের টোকা পর্যন্ত দিতে পারবে না তোমাকে যা করার আমি করবো তোমাকে আঘাতও করবো আমি, কস্টও দিবো আমি, আর ভালোবাসবো ও এই আমি তুমি এখন থেকে আমার কাছেই থাকবে অনেক দূরে দূরে থেকেছি আর তুমিও অনেক পালিয়ে বেড়িয়েছো আমার কাছ থেকে আর এক মূহুর্তের জন্যেও আমি পারবো না জান❣️”” আমি খাবার আর কাপড় আনছি খেয়ে রেডি হয়ে নাও আমরা এখান থেকে বের হবো।। এই বলে আব্রাহাম চলে যেতে নিলে কিছুদূর যেতেই আবার থেমে পড়ে হালকা পিছনে ফিরে আইরাতের উদ্দেশ্যে বলে “এখন কি Hug তুমি করবে নাকি আমি করবো আমি যদি করি তাহলে কিন্তু Hug এর সাথে সাথে আরও অনেক কিছু করে দিবো sooo,,, (এই বলে বাকাঁ হাসি দিল) আইরাত ভাবলো প্রথম দেখাতেই যা করলো এখন যদি আবার আসে না জানি কি কি করবে এই ভেবে আইরাত ধীরে ধীরে আসতে লাগলো,, আব্রাহাম তার পিছনে আইরাতের উপস্থিতি টের পেয়ে একটানে আইরাতের কমোর ধরে কাছে এনে শক্তভাবে জোড়িয়ে ধরলো আর আইরাতের তো প্রানপাখি যায় যায় অবস্থা,, কিছুক্ষন পর আব্রাহাম চলে গেলো। (( আইরাত ধোপ করে নিচে বসে পড়লো এবং ভাবতে লাগলো যে কি থেকে কি হয়ে গেল বেশ ভালোই তো নিজের মতো চলছিলো সে হুট করেই ঝড়ের গতিতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল,, রোজকার মতোই বাবা-মাকে বিদায় দিয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলো আইরাত কিন্তু কোন রিক্সা না পাওয়ার ফলে হেটে হেটেই যেতে লাগলো কিছুদূর গেতেই কোথাথেকে একটা গাঢ় কালো রঙের গাড়ি সামনে এসে থামলো এবং হুডি পরা একজন গাড়ি থেকে নেমে আইরাতের সামনে কি যেন একটা স্প্রে করলো তারপর আর কিছুই খেয়াল নেই তার আর যখন আইরাতের জ্ঞান ফরলো তখন সে নিজেকে এক অন্ধকার ঘরে আবিষ্কার করলো))
.
.
.
.
.
.
.
এবার আসি পরিচয়ে ( আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী আমেরিকার নাম করা টপ বিজনেসমেনদের মধ্যে একজন দেশেও তার বিজনেস রয়েছে এতো দিন তা বাবা দেখাশুনা করে আসছিলেন কিন্ত বাবা এখন অবসর হতে চায়,, আব্রাহাম সাথে আন্ডারওয়াল্ডের মাফিয়াও কিন্তু সেটা সবার অজানা বেশকিছুদিন আগেই দেশে ফিরেছে আব্রাহাম, আব্রাহাম দেখতে কোন হলিউডের হিরো থেকে কম না লম্বা ৬’২, জিম করা বডি, নীলাভ চোখ, চুল গুলো হালকা বড়ো বড়ো উপরে স্টাইল করে কাটা,, সরু নাক-ঠোঁট, আর সাথে চাপ দাড়ি মেয়েরা আব্রাহামের এক ইশারাতে মরতেও রাজি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আর নুজাইফা বিনতে আইরাত দেখতে মাশাআল্লাহ পুরাই পুতুল হাইট ৫’৫ চোখ গুলা বড়ো বড়ো চিকন নাক পুরু ঠোঁট তবে তার ঠোঁটের ঠিক নিচে একটা ছোট তিল রয়েছে যা তার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ,, চুল গুলো মিডিয়াম সাইজের না বেশি বড়ো না বেশি ছোট আইরাত এবার ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী বাবা মার একমাত্র মেয়ে আদরের দুলালি সারাক্ষন বাসা মাথায় করে রাখে অনেক দুষ্টমি করে,, চুপ করে থাকার মতো মেয়ে আইরাত না))
।
।
।
।
।
কিছুক্ষন পর আব্রাহাম এক হাতে খাবার আর এক হাতে বেশ কিছু ড্রেসের পেকেট নিয়ে ফিরে এলো এসে দেখলো আইরাত হতাশভাবে বসে রয়েছে আব্রাহাম আইরাতকে দেখে হালকা ভ্রু কুচকালো এবং সামনে গিয়ে বললো
আব্রাহাম; Hay Baby girl, what happened এভাবে বসে রয়েছ কেন এখন নাও তারাতারি করে খাবার গুলো খেয়ে যে কোন একটা ড্রেস পরে ফেলো (এই বলে আব্রাহাম আইরাতেএ মুখের সামনে খাবার ধরলো) আইরাতের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে আর এই দিকে এই ছেলে আইরাত ঠাস করে আব্রাহামের হাত থেকে খাবারের প্লেটটা ফেলে দিলো এবং চিল্লিয়ে বলে উঠলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আইরাত; খাবো না আমি খাবো না আপনাকে সহ্য হচ্ছে না আমার। আমি বাড়ি যাবো সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে শুনেছেন আপনি থাকবো না আমি এখানে আমি বাড়িতে ফিরে যাবো
ব্যাস এইটুকুই আব্রাহামের মাথা গরম করার জন্য যথেষ্ট ছিলো মাথার রগগুলো ফুলে উঠলো চোখ দিয়ে যেন লাভা বের হচ্ছে আব্রাহামের এমন লুক দেখে আইরাত আঁতকে উঠলো,, আব্রাহাম এক ঝটকায় উঠে এসে আইরাতের চুলের মুঠি ধরলো এবং কাছে এসে বললো
আব্রাহাম; কি বললি তুই আর একবার বল আবার যদি আমি তর এই মুখে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা শুনেছি তো জানে মেরে ফেলবো তোকে তুই আমার শুধুই আমার আমার থেকে কোত্থাও যেতে পারবি না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তোকে আমার কাছেই থাকতে হবে আমাকে সহ্য করতে হবে।। আইরাত ব্যাথায় কাতরাচ্ছে চোখ দিয়ে পানি পরছে কিন্ত আব্রাহাম ছাড়ঁে না আইরাত এক সময় ব্যাথায় কান্না করে দিলো আইরাতের চোখের পানি দেখে আব্রাহামের হুশ ফিরলো এবং তারাতারি করে আইরাতকে ছেড়ে দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আইরাত কান্না করেই যাচ্ছে
আব্রাহাম; কেন জান কেন আমাকে রাগিয়ে দাও বলতো আমি আমার রাগ সামলাতে পারিনা কেন বুঝতেছ না তুমি আমাকে প্লিজ আমাকে আর রাগিয়ে দিও না নইতো কিছু না কিছু উলটা-পাল্টা একটা করে ফেলবো I love you baby girl i love you more then everything 😘😘😘,,,,,,,,,,,,,,
*
*
*
*
*
*
*
চলবে🌹🌹🌹🌹🌹