EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার পর্ব-০৬

0
3444

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার ?
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ৬ষ্ঠ

সামিয়া যখন আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে আসবে, ঠিক তখনি আমি একহাত দিয়ে লাঠিটা আটকিয়ে অন্য হাত দিয়ে ঠাসস ঠাসস করে গালে দুইটা চড় মেরে বলতে লাগলামঃ ক্ষমতার বড়াই দেখাচ্ছিস আমার কাছে এসে। শোন তোদের মতো চার পাঁচটা পুলিশকে আমার পকেটে রাখি। কখনো জানতে চেয়েছিস কি কারণে আজকে ছেলেগুলোকে মারতেছিলাম? কখনো জানতে চেয়েছিস কি সেদিন মেয়েটার (নীলিমা) সাথে আমার বন্ধুর ( রাফি) কেনো বিয়ে দিয়েছিলাম? তা তোরা কখনোই জানতে চাসনি। তাদের কে বিয়ে দিয়েছিলাম কারণ, তারা একে অপরকে ভালোবাসতো। তাদের ভালোবাসাকে পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখতে আমরা সেদিন তাদের কে বিয়ে দিয়েছিলাম। আরে তোকে তো ভালোবাসার কথা বলে লাভ নেই। তুই তো কোনো দিন কাউকে ভালোবাসিস নি। তুই ছিলি স্বার্থপর। তোর ভালোবাসার মানুষটার
প্রতি ছিলো তোর সন্দেহ । ইচ্ছে মতো ছুড়ে ফেলবি ইচ্ছা মতো ব্যবহার করবি। শোন তোকে একটা কথা বলি, আর কখনো আমার পিছে লেগে থাকিস না।
আর ভালো থাকিস।

সামিয়া এতোক্ষণ মাথা নিচু করে আমার কথা গুলো শুনতেছে। আমাদের রুমে মানে আমাদের যে রুমে রাখা হয়েছে সেখানে সামিয়া ছাড়া আর কেউ নেই। সামিয়ার চোখের কোণে পানি জমা হয়েছে। আর আমার বন্ধুরা আমার এই রকম কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে গেল।

আমি আর কোন কথা না বলে বন্ধুদের সাথে নিয়ে থানা থেকে বের হয়ে আসলাম। বাইরে এসে যে পুলিশ আমাদেরকে গাড়িতে করে এখানে নিয়ে এসেছিলো তাকে বললামঃ আপনি আমাদের যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে রাখে আসুন।

হাবিলদারঃ এই ছেলে তোমার সাহস তো দেখতেছি কম নয়। তুমি আমাকে কাজের আদেশ করতেছো।

আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললামঃ আপনি আমাদের কে রেখে আসবেন নাকি বিনা কারণে আমাদেরকে থানায় নিয়ে আসার কারণে চাকরি টা হারাবেন?

হাবিলদার আমার কথা শুনে কিছুটা চমকে উঠলো। হঠাৎ সামিয়া থানা থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে এসে হাবিলদার কে বললোঃ হাবিলদার সাহেব আপনি ওনাদের যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে রেখে আসুন।

হাবিলদারঃ ইয়েস ম্যাম।

এরপরে আমরা গাড়িতে উঠলাম। আসার সময় সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে রক্তিম চোখে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে কাছে পেলে ভর্তা বানিয়ে ফেলবে। আর আমার প্রতি রাগারই কথা। একজন পুলিশ অফিসারকে এভাবে অপমানিত হওয়াটা লজ্জারই বিষয়। কিন্তু কী করবো, সে তো আমাকে কম কষ্ট দেয় নি।

কলেজের ভিতরে ঢুকে আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন তাঁরা। আমাদের দেখে কলেজের স্টুডেন্টরা বেশ অবাক হয়েছে। কারণ, মারামারি করার পরেও যে পুলিশ তাদের সসম্মানে গাড়িতে করে কলেজে রাখে যাবে এটা বেশ অবাক হওয়ারই কথা।

আজকে আর কেউ ক্লাস করলাম না। আর হ্যাঁ আমরা সংখ্যাই ছিলাম নয়জন। সবাই মিলে ক্যান্টিনে গেলাম। বসে থেকে নাস্তা করতেই সিফাত জিজ্ঞাসা করলোঃ সাহিদ তুই কি আমাদের থানার পুলিশ ম্যামকে চিনিস?

সিফাতের কথা শুনে আমি কিছুটা চমকে উঠলাম। আমি বললামঃ আমি কীভাবে চিনবো?

সিফাতঃ না,,তাই বলতেছি আরকি।

আমিঃ হুমম। তাড়াতাড়ি খা বাসায় যাবো।

সিফাতঃ ঠিক আছে।

এরপরে নাস্তা করে বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল বাজাতেই মামি এসে দরজা খুলে দিল।

আমাকে দেখে বললোঃ কি হয়েছে আব্বু তুই এখন চলে আসলি যে শরীর খারাপ নাকি?

আমিঃ না মামি আমি ঠিক আছি। ভালো লাগতেছে না তাই চলে আসলাম।

মামিঃ ওহহহ। আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে এসো।

আমিঃ ওকে।

রুমে এসে ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে ভিজতে লাগলাম।
মনে পড়তেছে সেই তিন বছর আগের অতীত টাকে। কেন সামিয়া কেন তুমি আবার আসলে আমার সামনে? সেদিন তুমি যদি আমার একটা কথা শুনতে তাহলে কি আজ আমাকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো? খুব সুখেই থাকতাম পরিবার পরিজন নিয়ে। তোমার সেই অবহেলা সহ্য করতে না পেরে, তোমার মায়া ত্যাগ করতে আমাকে পাড়ি জমাতে হয়েছে এই ব্যস্ত নগরীতে। ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে আমার সেই চিরচেনা শহর টাকে, চিরচেনা পথ গুলোকে, ছেড়ে আসতে হয়েছে চিরচেনা মুখ গুলিকে। কিন্তু আজ তুমিই আমার সামনে।

বেশ কিছুক্ষণ পর ওয়াশরুম থেকে বরে হয়ে রুমে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে নামাজ পড়ে লাঞ্চ করার জন্য নিচে আসলাম। নিচে এসে দেখি মামি সোফায় বসে থেকে টিভি দেখতেছে। আমিও মামির পাশে বসলাম। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে মামি আর আমি লাঞ্চ করতে ডাইনিং টেবিলে গেলাম। মামি আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন। আসলে এই রকম মামি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। নিজের পরিবারকে ছেড়ে তাদের কাছে চলে এসেছি। কিন্তু তারা কখনো আমাকে পরিবারের অভাবটা বুঝতে দেয়নি।

যাজ্ঞে, লাঞ্চ শেষ করে মামির আরো কিছু সময় ধরে আড্ডা দিয়ে রুমে আসলাম। রুমে এসে ফোনটা হাতে নিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

বিকেলে তিশা এসে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললো। আসরের নামাজ পড়ে বের হলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। সিফাত, আমি আর রাফি এই তিন জন বাইক নিয়ে গেলাম পদ্মার চরে। প্রকৃতির মাঝে সময়টা বেশ ভালোই কাটলো। মন বিষন্নতার সময় এমন জায়গায় আসাটা মন্দ নয়। বেশ উপকারীই বলা যায়।

তিনজন মিলে কিছু সময় কাটানোর পর যে যার বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে একটু সন্ধ্যা হয়ে গেল। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে স্টাডি করতে বসলাম। স্টাডি করতে করতে কখন যে সময় পার হয়ে গেছে বলতেই পারবোনা।

তিশা এসে ডিনারের জন্য ডেকে গেলো। ডিনার করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ঘড়িতে দেখি কলেজে যাওয়ার সময় প্রায় হয়ে এসেছে। তিশাকে নিয়ে বের হলাম কলেজের উদ্দেশ্যে। তিশাকে তিশার কলেজে নামিয়ে দিয়ে আমি আমার কলেজে চলে আসলাম।

বাইক রেখে বন্ধুদের কাছে গেলাম। যায়ে দেখি সিফাত আর মিমি বসে আছে। কিন্তু রাফি আর নীলিমা এখনো আসেনি। নতুন কাপুল তো এখন সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হবেই।

প্রায় দশ মিনিট পর রাফি আর নীলিমা আসলো। রাফি আর নীলিমা আমাদের কাছে আসে বসতেই সিফাত রাফি কে উদ্দেশ্য বললোঃ কিরে নতুন কাপুল আসতে এতো দেরি হলো কেন? রাতে চাপ বেশি পড়েছিলো নাকি?????

সিফাতের কথা শুনে আমি হাসতে লাগলাম।

রাফি লজ্জা মাখা মুখে একটা হাসি দিয়ে বললোঃ আরে না চাপ কিসের হবে?
নীলিমা মাথা নিচু করে বসে আছে।আর মিমিও লজ্জা পেয়ে সিফাত কে খোঁচা দিয়ে বললোঃ এই তোমার মুখে কিছুই আটকায় না নাকি?

সিফাতঃ আরে তুমি এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন?

মিমিঃ লজ্জা পাবো না তো কি করবো।এসব প্রশ্ন কেউ মানুষকে করে? রাতে ওদের মধ্যে কি হয়েছে না হয়েছে তা তোমাকে বলবে নাকি ?

সিফাতঃ বললে কী হবে আমরা আমরাই তো। আর আমাদের বাসর রাত থেকে শুরু করে যা কিছু হবে তা কেউ যদি শুনতে চাই তাহলে সবকিছু বলে দিবো।

মিমিঃ কিহহ????,,, তোকে আমি বিয়েই করবো না। তুই আমার মান সম্মান সব কিছু শেষ করে দিবি।

সিফাত মিমির কথাই কিছুটা ভয় পেয়ে বললোঃ এই কলিজা আমি কাউকে কিছু বলব না। প্লিজ তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা।( ইমোশনাল হয়ে)

মিমিঃ মনে থাকবে তো?

সিফাতঃ হুমম।

ওদের এমন কাহিনী দেখে আমি, রাফি আর নীলিমা হাসতে লাগলাম। সিফাত আমাদের কে হাসতে দেখে আমাদের দিকে রক্তিম চোখে তাকিয়ে বললোঃ আমার এই অবস্থায় দেখে তোদের হাসি বের হচ্ছে।

আমি হাসতে হাসতে বললামঃ কী করবো বল। তুই অন্য জনের রাতের খবর শুনতে যায়ে তোর নিজেরই কি অবস্থা হতে চলছিলো।

সিফাতঃ হুঁ।

কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ক্লাসে গেলাম। শেষের ক্লাসে স্যার এসে বললো প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের সকলকে হলরুমে যেতে বলেছে।

ক্লাস শেষ করে সবাই হলরুমে গেলাম। অনেক ছাত্র ছাত্রী। প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আগামী ১২ তারিখে নবীন বরণ অনুষ্ঠান।আর সেই অনুষ্ঠানে কিছু সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করার ব্যবস্থা করা হবে। যারা যারা আগ্রহী তারা যেন এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়।
আরো কিছু কথা বলে প্রিন্সিপাল স্যার হলরুম থেকে বের হয়ে গেলেন। আমরাও চলে আসলাম।

ক্যান্টিনে এসে নাস্তা করে বাসায় চলে আসলাম। আর হ্যাঁ এই অনুষ্ঠানের সকল দ্বায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র ব্যাচ।সে জন্য আমাদের এই বিষয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই। আর সিনিয়র ব্যাচের বড় ভাইদের সাথে আমার সম্পর্ক টা সেই রকমই। কিছুটা ফ্রেন্ডলি আবার কিছুটা ব্রাদারলি আরকি।আজকে নয় তারিখ আর মাত্র তিন দিন সময় আছে।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। বিকেলে উঠে তিশাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। অনেক্ষণ যাবৎ ঘোরাফেরা করে বাসায় আসলাম। রাতে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে গেলাম।

আর এই ভাবে তিন টা দিন অতিবাহিত হয়ে গেলো। আজকে নবীন বরণ আর সন্ধ্যার দিকে অনুষ্ঠান।আর হ্যাঁ এই কয়দিনে সামিয়ার সাথে আমার একবারের জন্যও দেখা হয়নি। যাক আপদ বিদায় হয়েছে।

অনেক আনন্দের মাধ্যমে অতিবাহিত হলো নবীন বরণ অনুষ্ঠান।
এবার সংগীত অনুষ্ঠানের পালা।আমি, তিশা,মিমি, নীলিমা, সিফাত আর রাফি স্টেজের একেবারে সামনের চেয়ারে বসেছি। তিশা ও এসেছে আমার সাথে। অনুষ্ঠান শুরু হতে আর বেশি সময় নেই। একটু পর এক বড় অ্যানাউন্স করার জন্য স্টেজে উঠলেন। তাঁর নাম হলো মাহফুজ । খুবই ভদ্র এবং মেধাবী ছাত্র।

এরপর বেশ কয়েকটা সংগীত পরিবেশন হয়ে গেল। এবার নৃত্যের পালা। নৃত্যোও কয়েক টা সিনিয়র আপু এবং কয়েকটা জুনিয়র আপু পরিবেশন করেলেন। খুব ভালো লাগলো। অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে। আর দুই একটা গান হতে পারে।

এরপরে মাহফুজ ভাইয়া স্টেজে এসে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বললেনঃ সম্মানিত দর্শক বৃন্দ আমাদের অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে । আর একটা সংগীত পরিবেশন করে আমরা এই অনুষ্ঠানটি শেষ করবো। এই অনুষ্ঠানের শেষ মূহুর্তে আপনাদের সামনে সংগীত পরিবেশন করবেন আমার শ্রদ্ধেয় ছোট ভাই সাহিদ হাসান সাহি।

মাহফুজ ভাইয়ার কথা শেষ হতেই প্যান্ডেলের নিচটা করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।আর আমার তো যায় যায় অবস্থা।গান গাইতে পারি সেটা ব্যাপার না। মাহফুজ ভাইয়া আমাকে গান গাইতে দেখেছেন বলে আজকে আমাকে গাইতে বললেন। কিন্তু যেকোনো বিষয়ের একটা চর্চা প্রয়োজন। আমি কী করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার বন্ধুরা আর তিশাও গাইতে বলতেছে।

আমাকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখে মাহফুজ ভাইয়া আবার মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বললেনঃ সাহিদ হাসান সাহি তোমাকে স্টেজে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমি আর বসে না থেকে চেয়ার থেকে উঠে স্টেজের দিকে হাঁটা ধরলাম। স্টেজে উঠতেই কিছু ছোট ভাই শিষ বাজাতে লাগলো।

গিটার টা হাতে নিয়ে সামানে তাকাতেই এক জায়গায় আমার চোখ আটকে গেল। সেখানে বসে ছিলো সামিয়া।আর তার পাশে ছিলো আমাদের ভার্সিটির এক ম্যাম। সামিয়া কে এতোক্ষণ দেখতে পাইনি।ওকে দেখেই একটা গান মনে হলো। যে গানটি আমি মাঝে মাঝেই শুনতাম। আমি সামিয়ার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে গিটারে একটা টান দিয়ে সুর তুললাম গানটির মাইক্রোফোনটা একটু কাছে নিয়ে এসে গাইতে শুরু করলাম,,,,,,,,,,

মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে••••••
মেয়ে তোর মন টা ভালো না।
মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে•••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।

এতো ভালোবেসেও রে তোর মনটা পেলাম না,
মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না।
এতো ভালোবেসেও রে তোর মনটা পেলাম না,
মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না।

মেয়ে তুই মানুষ ভালো না
না রে••••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।
মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে•••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।

কলেজেতে হন্যে হয়ে আমার পিছে ঘুরতি,
আমার জন্য জীবন বাজির হরহামেশায় ধরতি।
কলেজেতে হন্যে হয়ে আমার পিছে ঘুরতি,
আমার জন্য জীবন বাজির হরহামেশায় ধরতি।
এখন তুই বদলে গেছিস ভুল বুঝে ছেড়ে গেছিস,
এখন তুই বদলে গেছিস ভুল বুঝে ছেড়ে গেছিস।
এখন নাকি আমারে তোর ভালো লাগেনা রে,
ভালো লাগে না রে••••

মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না,
মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না।

মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে••••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।

হাঁসি মুখের অন্তরালে তুই ভেজা শয়তান,
ভালোবাসার বিনিময়ে দুঃখ দিলি প্রতিদান।
হাঁসি মুখের অন্তরালে তুই ভেজা শয়তান,
ভালোবাসার বিনিময়ে দুঃখ দিলি প্রতিদান।

ঘুম নেই আমার চোখে তুই আছিস কার বুকে,
ঘুম নেই আমার চোখে তুই আছিস কার বুকে।
তুই বিহনে আমার পরান বাঁচে না রে,
পরান বাঁচে না•••••

মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না
মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না ।

‌‌মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে••••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।
মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে••••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।

এতো ভালোবেসেও রে তোর মনটা পেলাম না,
মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না।
এতো ভালোবেসেও রে তোর মনটা পেলাম না,
মনের দামে মনটা যে তোর কেনা হলো না।

মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
না রে•••••
মেয়ে তোর মনটা ভালো না।
মেয়ে তুই মানুষ ভালো না,
মেয়ে তোর মনটা ভালো না•••••••••••••••।

গানটা শেষ করতেই সকল স্টুডেন্ট তালি দিতে লাগলো।আমি গিটার টা রেখে স্টেজ থেকে নেমে আসতেই সকলে আমাকে ধন্যবাদ জানালো। সামিয়ার দিকে এক নজর দিয়ে দেখি সে এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। গানের মধ্যে বেশির ভাগ সময়ই আমি সামিয়ার দিকে তাকিয়ে গেয়েছিলাম।

মাহফুজ ভাইয়া মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়ে বলতে লাগলেনঃ ধন্যবাদ ছোট সাহিদ হাসান সাহি কে এতো সুন্দর একটা গান আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

এরপরে আরো অনেক কিছু বললেন। আমি বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিশা কে নিয়ে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে মামা, মামী আর তিশার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রুমে এসে বসে থেকে ফোন টিপতেছি। তিশা আমার রুমে এসে আমার পাশে এসে বসলো। বসার পর আমাকে বললোঃ ভাইয়া তুই কি এখনো ঐ মেয়েকে ভালোবাসিস?

আমি অবাক হয়ে বললামঃ কেন? হঠাৎ এ প্রশ্ন করলি যে?

তিশাঃ তেমন কিছু না। তবে তুই যখন গানটা গাইলি তখন বারবার কোথায় যেন তাকাচ্ছিলিস। আমি সেদিকে লক্ষ্য করে দেখি সেখানে সেই মেয়েটি মানে আমার এক্স ভাবি বসে আছে। সেও তোর দিকে এক ধানে তাকিয়ে ছিলো। এখন ভালোবাসিস কিনা বল? আর মেয়েটা এখানে কেন?

আমিঃ মেয়েটা এই থানার পুলিশ অফিসার।আর তাকে আমি এখনো ভালোবাসি কিনা তা জানিনা, কিন্তু তার কথা মনে হলে আমার
মনের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। তার কথা মনে হলে, তার সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো মনে পড়ে। তবে তার প্রতি আমার ভালোবাসাটা যদি এখনো তাকে তাহলে সেই ভালোবাসার উপর মরিচা পড়ে আছে। যেটাকে ওঠাতে অনেক সময় প্রয়োজন। এসব বাদ দিয়ে রুমে যায়ে ঘুমিয়ে পড়।

তিশাঃ হুঁ,,,আর ভাবিকে নিয়ে আসার জন্য আমাকে লাগলে বলিস।
( মুচকি হেসে)।

আমিঃ পেকে গেছিস?যা তাড়াতাড়ি?

তিশা রুম থেকে যাওয়ার পরে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে গেলাম। কলেজে যাওয়ার পর,,,,,,,

(চলবে)

??? কেমন হচ্ছে তা কমেন্ট করে জানাবেন ???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে